বাংলাদেশের মূলধন বাজারের ত্রুটি/সমস্যাসমূহ

বাংলাদেশের মূলধন বাজারের ত্রুটি/সমস্যাসমূহ Problems of Capital Market in Bangladesh
বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের মূলধন বাজার এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। এ বাজারে শেয়ার এবং অপরাপর ঋণপত্রের যোগান এখনও সীমিত বলা যায়। দেশের মূলধন বাজারের ত্রুটিসমূহ নিম্নে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হল ।
১। প্রাথমিক ঋণপত্রের অনিয়মিত যোগান : বাংলাদেশে প্রাথমিক ঋণপত্রের যোগান স্থিতিশীল নয় । ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে মাত্র ৬টি কোম্পানী বাজারে সীমিত পরিমাণে শেয়ার ছাড়ে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ছিল। এর ফলে শেয়ার বাজারে কৃত্রিম সংকটসহ অনভিপ্রেত অবস্থার সৃষ্টি হয়। সুতরাং বলা যায় প্রাথমিক ঋণপত্রের অনিয়মিত যোগান বাংলাদেশে মূলধন বাজারের অন্যতম প্রধান ত্রুটি ।
২। বিনিয়োগকারীদের অর্থসংস্থানে দুর্বলতা ও মূলধন বাজারে যেসব প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা, বাংলাদেশ পুঁজি বিনিয়োগ সংস্থা, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, মার্চেন্ট ব্যাংক প্রধান। এদের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান তহবিলের অভাবে বর্তমানে পুঁজি বাজারে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুঁজি বাজারে সংকট দেখা দিলে এসব প্রতিষ্ঠান পুঁজির যোগান বৃদ্ধি করে বাজার গতিশীল রাখে। কিন্তু বাংলাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ তেমন সক্রিয় নয় ।
৩। স্টক এক্সচেঞ্জের নীতি নির্ধারণ এবং ব্যবস্থাপনায় স্ববিরোধীতা ঃ বিশ্বের অনেক দেশে পুঁজিবাজারে নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি আলাদা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন সরকার থেকে মনোনীত ব্যক্তি। কিন্তু বাংলাদেশে পুঁজি বাজারের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন স্টক এক্সচেঞ্জের জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কোন উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে নাই । এমনকি কমিশনের মধ্যেই জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে ।
৪ । শেয়ার ইস্যুকারী এবং ব্রোকারদের ম্যানিপুলেশন ঃ বাংলাদেশে এক শ্রেণীর অসাধু দালাল এবং কিছু শেয়ার ইস্যুকারী কোম্পানি অশুভ আঁতাত করে মাঝে মধ্যেই শেয়ার বাজারে ম্যানিপুলেশনের আশ্রয় নেয় । এর ফলে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বাজারের উপর আস্থা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কমেছে । বর্তমানে আস্থাহীনতাই পুঁজি বাজারের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় বলা যায় ।
৫। এস.ই.সি. এর দুর্বল মনিটরিং ব্যবস্থা ঃ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের অন্যতম দায়িত্ব হল তালিকাভূক্ত বিভিন্ন কোম্পানী ও স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের কাজ নিয়মিত মনিটর করা। কিছু তালিকাভূক্ত কোম্পানী শেয়ার বাজারের প্রচলিত বিধি লংঘন করলেও এস.ই.সি. তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয় নাই । বিভিন্ন কোম্পানী নিজেদের শেয়ার এবং রাইট শেয়ারের মেয়াদ ইচ্ছামতো অনেক সময় বাড়িয়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা মূলধন বাজারের ওপর তাই কমে গেছে । এ অবস্থা মূলধন বাজারের উন্নয়ন ও গতিশীল হওয়ার পথে অন্যতম প্রধান বাধা বলা যায় ।
৬। তথ্য ব্যবস্থায় দুর্বলতা ঃ প্রতিনিয়ত তথ্য পাওয়া গেলে মূলধন বাজারে বিনিয়োগকারীদের পক্ষে সুবিধা হয় । এস.ই.সি. বিনিয়োগকারীদের তথ্য সরবরাহের জন্য প্রতি তিন মাস অন্তর একটি এবং বছরে একটি বড় আকারের প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছিল । বিগত দুই বছর ধরে এরূপ রিপোর্ট আর প্রকাশ পায় না। এতে প্রতিশ্রুতিশীল বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে থেকে যায় যা বাংলাদেশের মূলধন বাজারের অন্যতম ত্রুটি ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]