মুদ্রা নীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা

মুদ্রা নীতি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনা Monetary Policy and Monetary Management
চলতি অর্থবাজারে ষান্মাসিক মুদ্রানীতি ঘোষণা পত্রে পরিবর্তিত বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থতির প্রেক্ষাপটে বিশ্বমন্দা-পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অনুসৃত সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি (Accommodative monetary policy)-তে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্ববর্তী বছরের অভ্যন্তরীণ ঋণের উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিলম্বিত প্রভাব (Lag effect), আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি এবং বহিঃখাতে বৈদেশিক মুদ্রার নিম্ন অন্তঃপ্রবাহের ফলে লেনদেন ভারসাম্যে উদ্ভুত চাপ প্রশমনের লক্ষ্যে ২০১১-১২ মুদ্রানীতি প্রণীত হয় । মুদ্রানীতিতে মুদ্রা ও ঋণ যোগান সংযত রেখে অমুৎপাদনশীল ও অপচয়মূলক খাতে ঋণের যোগান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ খাতসহ উৎপাদনশীল এবং অগ্রাধিকার খাতে ঋণের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে নীতি সুদ হার রেপো এবং রিভার্স রেপো দু'দফায় মোট ১০০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে যথাক্রমে ৭.৭৫ ও ৫.৭৫ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করে । উল্লেখ্য, গত ২০১০-১১ অর্থবছরের নীতি সুদের হার মোট ৪ দফায় ২২৫ বেসিস পয়েন্টস বৃদ্ধি করা হয় ।
মুদ্রা ও ঋণ পরিস্থিতি Money and Credit Situation
মুদ্রার সূচকসমূহের গতিধারা Trends in Monetary Aggregates

২০১৪-১৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস শেষে বছরভিত্তিতে (year-on-year) রিজার্ভ মুদ্রার ( Reserve money-RM) প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সংকীর্ণ মুদ্রার (Narrow money-M1) এবং ব্যাপক মুদ্রার (Broad money-M2) প্রবৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পায়। এ সময়ে জনসাধারণের হাতে থাকা কারেন্সী নোট ও মুদ্রা (ব্যাংক-বহির্ভূত মুদ্রা) ও তলবি আমানত উভয়ই হ্রাসের কারণে সংকীর্ণ মুদ্রার বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে । তবে মেয়াদি আমানতের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বাড়লেও সার্বিকভাবে ব্যাপক মুদ্রার প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে ।
সংকীর্ণ মুদ্রা (এম.) Narrow Money (M1 )
সংকীর্ণ মুদ্রা সরবরাহ ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষে ১২.৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, পূর্ববর্তী ২০১১-১২ অর্থবছর শেষে এ বৃদ্ধির হার ৬.৪২ শতাংশ । বছরভিত্তিতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি ২০১৪ শেষে সংকীর্ণ মুদ্ৰা সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫.১৮ শতাংশ, পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে এ বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৩৪
ব্যাপক মুদ্ৰা (এম.) Broad Money (M2)
ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ ২০১০-১১ অর্থবছর শেষে ২১.০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, পূর্ববর্তী ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২২.৪৪ শতাংশ। বছরভিত্তিক চলতি ফেব্রুয়ারি মাস শেষে ব্যাংক মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি ১৮.১৯ শতাংশ, পূর্ববর্তী অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস শেষে এ বৃদ্ধির হার ছিল ২১.৬৬ শতাংশ । এ সময়ে জনসাধারণের হাতে থাকা কারেন্সি নোট ও মুদ্রা (ব্যাংক-বহির্ভূত মুদ্রা) ফেব্রুয়ারি’১১-এ ২৪.৮০ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৯১ শতাংশে । একই সময়ের ব্যবধানে তলবি আমানতের প্রবৃদ্ধি ৩১.৭৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২.৭৮ শতাংশে এবং মেয়াদি আমানতের প্রবৃদ্ধি ১৯.৮১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২১.৬৭ শতাংশে দাঁড়ায় । অর্থাৎ গত অর্থবছরে এ সময়ে জনসাধারণের হাতে থাকা কারেন্সি নোট ও মুদ্রার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটলেও চলতি অর্থবছরে তা ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে । পক্ষান্তরে এ সময়ে তলবি আমানতের প্রবৃদ্ধিও ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। ব্যাপক মুদ্রার স্থিতি ২০১০-১১ অর্থবছর শেষে (জুন'১১ শেষে) ছিল, ৪,৪০,৫২০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস শেষে দাঁড়িয়েছে ৪,৮০,৭৯৯ কোটি টাকায়। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ব্যাপক মুদ্রার প্রবাহ বেড়েছে ৯.১৪ শতাংশ, গত অর্থবছরের একই সময়ে এ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.০৫ শতাংশ । ঋণ Credit
দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা যদি দ্রব্য ক্রয় করে তার মূল্য পরিশোধ না করে ভবিষ্যতে কোন সময় পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করে, তবে তাকে ঋণ বলে । আবার অন্যভাবে বলা যায়, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যকোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করে তা তৎক্ষণাৎ ফেরৎ না দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো নির্দিষ্ট সময় পর পরিশোধ করার অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় তাহলে তাকে ঋণ বলে । যেমন- দি যমুনা পাবলিশার্স যদি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে নগদ ৫ কোটি টাকা গ্রহণ করে ২ বৎসর পর ফেরৎ দেয়ার অঙ্গীকার করে তবে তা হবে ঋণ ।
অধ্যাপক গাইড এর মতে, “আদান-প্রদানের মধ্যে সময় ব্যবধান থাকলে তাকে ঋণ বলে ।”
ঋণ মূলত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে । যথাঃ
১। বিশ্বাস ঃ ঋণ গ্রহীতার চরিত্র ও সততার ব্যাপারে ঋণদাতার আস্থা থাকা প্রয়োজন। অন্যথায় সে ঋণ প্রদানের মতো ঝুঁকি নেবে না ।
২। সামর্থ্য ঃ ঋণগ্রহীতার ঋণ ফেরৎ দেওয়ার মতো আর্থিক যোগ্যতা ও সামর্থ্য থাকতে হবে। অন্যথায় তাকে কেউ ঋণ প্রদান করবে না ।
৩। সময়ের ব্যবধান : ঋণের সাথে সময় ব্যবধান জড়িত । অর্থাৎ ঋণের টাকা ভবিষ্যতে কখন, কত সময় পরে পরিশোধ করা হবে তা কারবারের পূর্বেই ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতাকে ঠিক করে নিতে হয় । ঋণের লেনদেন সম্পন্ন করা হয় যে সকল উপাদানের মাধ্যমে সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ।
(ক) চেক (খ) হুণ্ডি (গ) ব্যাংক নোট (ঘ) ব্যাংক ড্রাফট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ঋণপত্র ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]