রিজার্ভ মুদ্রা মুদ্রার আয় গতি Reserve Money

রিজার্ভ মুদ্রা Reserve Money
বার্ষিকভিত্তিতে ২০১০-১১ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ মুদ্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ২১.০৯ শতাংশ, পূর্ববর্তী অর্থবছরে এ বৃদ্ধির হার ছিল ১৬.০৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৩০ শতাংশ হলেও নীট অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি পায় ৮৭.০৬ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি ও আমদানি উভয়েরই ৪০ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি হলেও আমদানির ভিত্তি পরিমাণ বেশী হওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহেরও প্রবৃদ্ধি মাস পায়। ফলে নীট বৈদেশিক সম্পদের তেমন প্রবৃদ্ধি ঘটেনি । অন্যদিকে, সরকারের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবী ৪৩.৫৯ শতাংশ এবং তফসিলি ব্যাংকেসমূহের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবী ১৮১.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধির কারণে নীট অভ্যন্তরীণ সম্পদের এ উচ্চ প্রবৃদ্ধি ঘটে যা রিজার্ভ মুদ্রা বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা পালন করে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস শেষের রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধি পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই মাস শেষের ২০.৭৭ শতাংশের তুলনায় হ্রাস পেয়ে ৩.৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে নীট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি ৩.৭১ শতাংশ এবং নীট অভ্যন্তরীণ সম্পদের প্রবৃদ্ধি ৩.০৬ শতাংশ । পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ে এ প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ১.৬৯ শতাংশ এবং ১০৩.১৯ শতাংশ। কম গুরুত্বপূর্ণ আমদানি নিরুসাহিত করা এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি ফিরে আসার ফলে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নীট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি ধনাত্মক অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, এ সময়ে সরকারের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবী ৯৭.৭১ শতাংশ বৃদ্ধি এবং তফসিলি ব্যাংকসমূহের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবী ৯,২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় খাতের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংকের
মুদ্রা গুণক Money Multiplier
২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যাপক মুদ্রার তুলনায় রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় ব্যাপক মুদ্রা গুণক জুন ২০১২ শেষে ৫.২৮৭ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে জুন ২০১৩ শেষে ৫.৩৬৫ এ দাঁড়ায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাস শেষে ব্যাপক মুদ্রার প্রবৃদ্ধি রিজার্ভ মুদ্রার প্রবৃদ্ধির তুলনায় বেশি হওয়ায় ব্যাপক মুদ্রা গুণক জুন ২০১৩-এর তুলনায় ফেব্রুয়ারি ২০১৪ মাস শেষে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৪৫৪ এ দাঁড়ায়। এ সময়কালে রিজার্ভ/আমানত অনুপাত জুন ২০১৩' শেষে ০.০৮৪ থেকে হ্রাস পেয়ে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ শেষে ০.০৮২ ও মুদ্রা / আমানত অনুপাত জুন ২০১৩ শেষে ০.১২৬ থেকে হ্রাস পেয়ে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ শেষে ০.১২৫ এ দাঁড়ায় ।
মুদ্রার আয় গতি
Income Velocity of Money

মুদ্রার আয় গতি ২০১১-১২ অর্থবছর শেষে ১.৭৮ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষে ১,৭২-এ দাঁড়ায়। ২০১০-১১ অর্থবছর শেষে মুদ্রার আয় গতি আরো হ্রাস পেয়ে ১.৮১-এ দাঁড়িয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে মুদ্রার আয় গতি ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে মুদ্রার আয় গতি হ্রাস পায় ৬.১২ শতাংশ । ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে তা হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৫.৪৮, ৭.৭৩ এবং ৬.২৮ শতাংশ। বিগত কয়েক বছর ধরে মুদ্রার আয় গতির ক্রমহ্রাসমান ধারা অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান মুদ্ৰায়ন (Monetisation) এবং আর্থিক গভীরতা (Financial deepening) নির্দেশ করে । লেখচিত্রে ২০০২-০৩ অর্থবছর থেকে জিডিপি'র শতকরা হারে ব্যাপক মুদ্রার গতিধারা দেখানো হলো ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]