গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা, কাঠামো ও মূলধন গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ

গ্রামীণ ব্যাংক Grameen Bank
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭৬ সনের ডিসেম্বর মাসে সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী জোবরা নামক গ্রামে তিনি "গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প ১” নামে একটি গবেষণা প্রকল্প চালু করেন ।.
তিন বছর পর ব্যাপক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় টাঙ্গাইল জেলায় এ প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় । ক্রমাগত সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৮৩ সালে সরকার কর্তৃক 'গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ' জারি করার মাধ্যমে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত বিশেষ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা, কাঠামো ও মূলধন Establishment, Structure and Capital of Grameen Bank
গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা হয় ১৯৭৬ সালে চট্রগ্রামে একটি প্রকল্প চালুর মাধ্যমে। প্রকল্পের সাফল্যের কারণে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এটিকে ১৯৭৯ সালে তাদের প্রকল্প হিসাবে গ্রহণ করে । ১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এ প্রকল্পে ঋণদানের জন্য এগিয়ে আসে এবং ১৯৮৩ সালে একটি অধ্যাদেশ বলে গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে । গ্রামীণ ব্যাংকের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালক মণ্ডলীর সমন্বয়ে গঠিত এদের মধ্যে ৯ জন সদস্য ভূমিহীন শেয়ার মালিকরা নির্বাচিত করে । পরিচালক মণ্ডলীর সভাপতি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আরোও ২ জন সদস্য সরকার কর্তৃক মনোনীত হন। ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ২৪টি নতুন শাখা খোলা হয় । বর্তমানে ১,০৭৯টি শাখার মাধ্যমে এ ব্যাংক ৩৬,৪২০টি গ্রামের ২০ লক্ষ সদস্যদের জন্য কাজ করছে যাদের ৯৪% মহিলা।
গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন প্রায় ২৩২ মিলিয়ন টাকা । মোট পরিশোধিত মূলধনের ৮৮ শতাংশ শেয়ার মালিক বর্তমানে ব্যাংকের সদস্য এবং বাকী ১২ শতাংশ শেয়ার মালিক হলো সরকার ।
গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ Goals and Objectives of Grameen Bank
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিমরূপ ।
১। গ্রামীণ জনগণের এক বিরাট অংশ গ্রাম্য মহাজন, ধনী জোতদার ও ভূ-স্বামীদের শোষণে নিস্পেষিত হয়। এদের শোষণ থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে রক্ষার জন্য ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা ।
২ । । বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে দরিদ্র লোকদের মধ্যে বেকারত্ব, অর্ধবেকারত্ব এবং ছদ্মবেশী বেকারত্ব প্রকট । এসব মানুষ দারিদ্রের দুষ্টচক্রের কবলে রয়েছে । এ বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।
৩। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকের সেবা এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি । এ ফাঁক পূরণের জন্য গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ব্যাংকের সেবা প্রদানকে অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসাবে ধরে নেয় ।
৪। বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে দারিদ্রের দুষ্টচক্র বিরাজমান । দুষ্টচক্র ভেঙ্গে দিয়ে ঋণ প্রদান ও বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বল্প আয়, নতুন ঋণ, নতুন বিনিয়োগ, অধিক আয়ভিত্তিক একটি বিকাশমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রক্রিয়া আরম্ভ করাও গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ।
৫। গ্রামে আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক সুবিধা বঞ্চিত লোকদের সংখ্যাই বেশি। দারিদ্রের কষাঘাতে তারা নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না । সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে এমন এক প্রতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে সংঘবদ্ধ করা যাতে তারা যৌথ শক্তি ও সামর্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয় এবং নিজেরাই ঐ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারেন ৷
৬ । সবশেষে, গ্রামীণ লোকদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রামীণ টেলিফোন সুবিধা চালু করা ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]