ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগসমূহে (এসএমই) অর্থায়ন Financing in Small and Medium Enterprises (SMEs

কৃষিতে অর্থায়ন Financing in Agriculture
দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য নিরসন ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মোট ৯,২৬৪.৭১ কোটি টাকা (অনুন্নয়ন খাতে ৮,২৪৩.২১ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১,০২১.৫০ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল । দেশজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কৃষকদের সহায়তা প্রদানের জন্য সার ও অন্যান্য কৃষি কার্যক্রমের ভর্তুকি বাবদ ৬,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল । ২০১৩-১৪ অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দকৃত অর্থ হতে এপ্রিল, ২০১৪ পর্যন্ত ৯,০০০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে । তাছাড়া কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫২.০৭ কোটি টাকা । কৃষির উন্নয়নের জন্য সরকার স্বাভাবিক বরাদ্দের অতিরিক্ত হিসেবে কৃষিজাত রপ্তানির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ নগদ সহায়তা (Cash incentive) এবং কৃষিতে বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ রিবেট এর সুবিধা রেখেছে । ডাল, তৈলবীজ এবং মসলার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি ঋণের সুদের হার ৮ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৪ শতাংশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের কৃষি ভরণপোষণ পর্যায়ে (Subsistence level) পরিচালিত হওয়ার প্রয়োজনীয় উপকরণ. হিসাবে কৃষি ঋণ একটি ভিন্ন মাত্রার গুরুত্ব বহন করে । দেশের খাদ, নিরাপত্তা জোরদার তথা সার্বিক আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে কৃষিখাত এবং পল্লী অঞ্চলের ভূমিকা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লী ঋণ-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । এ প্রেক্ষিতে ব্যাংক ও অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি ঋণ কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে সম্প্রতি বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংককে কৃষি ঋণ কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করার পাশাপাশি কৃষি ঋণ বিতরণ সহজতর করে ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে বর্ধিত কলেবরে কৃষি/পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি ঋণ বিতরণ সহজতর করে এবং নতুন নতুন বিষয় সন্নিবেশিত, করে ২০০৯-১০, ২০১০-১১ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে বর্ধিত কলেবরে কৃষি/পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ১১,৫১২.৩০ কোট টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১১,১১৬.৮৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছিল। ২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, চারটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক, বিআরডিবি, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিঃ এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের মাধ্যমে মোট ১২,৬১৭.৪০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে বিতরণ করা হয়েছে ১২,১৮৪.৩২ কোটি টাকা যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৬.৫৭ শতাংশ। ২০০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৪,৫৯৫ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৬,০৩৬.৮১ কোটি টাকা (লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৯.৮৮ শতাংশ) কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছে । ২০১৪-১৫ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বিগত নীতিমালার মূলদিকগুলো গ্রহণের পাশাপাশি সকল ব্যাংকের কার্যকর অংশগ্রহণের মাধ্যমে কৃষি/পল্লী ঋণের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, পল্লী এলাকায় ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণে কৌশলগত পদ্ধতি গ্রহণ, কৃষকদেরকে অধিক হারে ব্যাংকমুখী করা, আমদানি বিকল্প ফসল চাষে শতকরা ৪ ভাগ রেয়াতি সুদ হারে ঋণ প্রদান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিদ্যমান প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারসহ বেশকিছু নতুন বিষয় সংযোজিত হয়েছে, যা প্রত্যাশিত কৃষি উৎপাদনের প্রত্যক্ষ সহায়তার পাশাপাশি পল্লী এলাকায় অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধি এবং আয়
• উৎসারী কর্মকাণ্ডের সম্প্রসারণের মাধ্যমে পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ।
২০১১-১২ অর্থবছরের মার্চ সময় পর্যন্ত ১০ টাকা বিনিময়ে ৯৫.৬৪ লক্ষ কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে কৃষকদের ঋণ বিতরণ, সঞ্চয় এবং রেমিট্যান্স সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে ।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ১৫,৫৫০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ পর্যন্ত মোট ৯,৯১৪.১০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যা লক্ষমাত্রার ৬৩.৭৬ শতাংশ । ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত কৃষি বিষয়ক উপাত্ত সারণিতে দেয়া হলো । শিল্পে অর্থায়ন Financing in Industry
বাংলাদেশের মত কৃষি নির্ভর উন্নয়নশীল দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্খিত গতিশীলতা অর্জনকল্পে প্রয়োজন দ্রুত শিল্পায়ন । এ প্রেক্ষিতে শিল্পখাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দ্রুত শিল্পায়নকল্পে বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে উৎসাহ প্রদান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে শিল্প ঋণ বিতরণ ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও অব্যাহত রয়েছে। ফলে শিল্পখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও আদায় ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছর হতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত বছরওয়ারী শিল্প ঋণ বিতরণ ও আদায় পরিস্থিতি সারণিতে দেখানো হলো । ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগসমূহে (এসএমই) অর্থায়ন Financing in Small and Medium Enterprises (SMEs)
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় একটি খাত। এ খাত অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে ভূমিকা পালনসহ রপ্তানিযোগ্য উদ্বৃত্ত পণ্য তৈরির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এ খাতের বিকাশ ও সম্প্রসারণের নিমিত্ত অর্থায়নের ক্ষেত্রে নানাবিধ উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে এ খাতের প্রচলিত ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সঞ্চয়ভিত্তিক অর্থায়ন যেমন হচ্ছে, পাশাপাশি ব্যাংক ও ঋণদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ঋণ সুবিধা নিয়ে এগিয়ে আসছে । বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে পুনঃঅর্থায়ন-এর লক্ষ্যে এটি তহবিল পরিচালিত হয় । এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিল, আইডিএ তহবিল এবং এডিবি তহবিল। তহবিলগুলো ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। জুন ২০১১ তে এডিবি তহবিল-১ এর নেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এ তহবিল থেকে বিতরণ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
২০১১-১২ অর্থবছরের জানুয়ারী, ২০১২ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিল থেকে মোট ১,৬০১.৮২ কোটি টাকা (উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ১৯,০০৯টি), আইডিএ তহবিল থেকে মোট ৩১২.৬১ কোটি টাকা (উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ৩১৬০টি) এবং এডিবি তহবিল থেকে মোট ৪২৬.৩৮ কোটি টাকা (উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ৪,৯৩৪টি) পুনঃঅর্থায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিলের । অন্যান্য ঘূর্ণায়মান পুনঃঅর্থায়ন তহবিল : বাংলাদেশ ব্যাংক তহবিল, আইডিএ ও এডিবি তহবিলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক-এর তত্ত্বাবধানে অন্যান্য তহবিলও পরিচালনা করা হচ্ছে । এগুলো হলো ।
কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ঃ এ স্কিমের আওতায় কৃষিজাত পণ প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে আরো উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে এ খাতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ২০১১- ১২ অর্থবছরে (জানুয়ারি, ২০১২ পর্যন্ত) ৬টি ব্যাংক ও ১১টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪৬,১৯ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা ৯৪৮টি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে প্রদান করা হয়েছে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেন এজেন্সি (জাইকা) তহবিল ঃ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে আগাম অর্থায়ন ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে জাইকা-এর অর্থায়নে জাইকা আগাম অর্থায়ন ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে (২০১১-১২) জাইকা-এর অর্থায়নে Financial sector project for the development of small and medium sized enterprise-BD-P67"" শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। জাইকা তহবিলের আওতায় এসএমই খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ প্রদানের সক্ষমতা (মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি) উন্নয়ন এবং উৎপাদনমুখী এসএনই কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের লক্ষ্যে ৫,০০০ মিলিয়ন জাপনিজ ইয়েন বা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আগাম ও পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদান করা হবে । প্রাথমিক তহবিল হিসেবে ১,০০০ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের সমপরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।"
বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অর্থায়ন ও পুনঃঅর্থায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন তহবিল সুবিধা এসএমই খাতের উন্নয়নকে আরো বেগবান করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]