পুঁজি বাজার পরিস্থিতি
Capital Market Scenario
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ Dhaka Stock Exchange

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের সংখ্যা ২০১৪ সালের জুন মাসের ৫৩৬টি থেকে বেড়ে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে ৫৪৯টিতে দাঁড়ায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সকল সিকিউরিটিজের ইস্যুকৃত মূলধন ও ডিবেঞ্চারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১,০৬,৩১০,৯৮ কোটি টাকা, যা ৩০ জুন ২০১৪ এর ১,০৩,২০৭.৬৪ কোটি টাকা অপেক্ষা ৩.০১ শতাংশ বেশী। ৩০ জুন ২০১৪ পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সকল সিকিউরিটিজের মোট বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় মোট ২,৯৪,৩২০.২৩ কোটি টাকা, যা ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে ৯.৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩,২১,৭১৮.২২ কোটি টাকায় । ২০০৫ সাল থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সিকিউরিটিজ লেনদেনের সংক্ষিপ্ত তুলনামূলক বিবরণী নিম্নের সারণিতে দেখানো হলো ।
শেয়ার বাজার Share Market
মূলধন বাজারের যে অংশে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইস্যু এবং ক্রয় ও বিক্রয় করা হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে। শেয়ার বাজার দুই অংশে বিভক্ত । যথাঃ
১। প্রাথমিক শেয়ার বাজার এবং
২। দ্বিতীয় শেয়ারের বাজার ।
যে বাজারে নতুন শেয়ার ইস্যু করা হয় তাকে প্রাথমিক শেয়ার বাজার বলা হয় । এ বাজারে ঋণগ্রহীতা এবং ঋণদাতারা শেয়ার এর বিনিময়ে তহবিল হস্তান্তরে লিপ্ত হয় । আগে ইস্যুকৃত বিভিন্ন শেয়ারের লেনদেন যে বাজারে সম্পাদন হয় তাকে দ্বিতীয় শেয়ার বাজার বলে । এ অর্থে শেয়ারের দ্বিতীয় বাজার আর্থিক সম্পদের তারল্য অর্জনে সহায়তা করে ।
প্রাথমিক বাজারে নতুন শেয়ার ক্রয় করলে ক্রেতা নগদ অর্থের বদলে সম্পদ অর্জন করে যা একমাত্র দ্বিতীয় বাজারে বিক্রয় করে নগদ অর্থে পুনরায় রূপান্তর করতে পারে । তাছাড়া প্রাথমিক বাজারে শেয়ার ক্রয়জনিত কোন ঝুঁকি দ্বিতীয় বাজার ন্যূনতম রাখতে সহায়তা করে । সুতরাং দেখা যায় ঝুঁকির মাত্রার দিক থেকে এই দুই বাজারের মধ্যে পার্থক্য আছে ।
শেয়ার বাজার ও মূলধন বাজারের মধ্যে পার্থক্য Difference between Share Market and Capital Market
শেয়ার বাজার এবং মূলধন বাজারের মধ্যে নিম্নোক্ত পার্থক্য দেখানো যায় ।
১। সংজ্ঞাগত : যে বাজারে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইস্যু, ক্রয় ও বিক্রয় হয় তাকে শেয়ার বাজার বলে । পক্ষান্তরে যে বাজারে দীর্ঘমেয়াদী ঋণপত্র এবং ঋণদানযোগ্য তহবিল নিয়ে কার্যক্রম চলে তাকে মূলধন বাজার বলে ।
২। কাঠামোগত ধরন : মূলধন বাজারের কাঠামো দুই ধরনের হয়, ১। স্বল্পমেয়াদী ও ২। দীর্ঘমেয়াদী । প্রথম অংশে স্বল্পমেয়াদী সরকারী বণ্ড এবং বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার ঋণপত্রের লেনদেন হয়। দ্বিতীয় অংশে দীর্ঘমেয়াদী ঋণপত্রের ক্রয়-বিক্রয় হয় ।
শেয়ার বাজারও দুই অংশে বিভক্ত, ১ । প্রাথমিক শেয়ার বাজার ও ২। দ্বিতীয়/গৌণ শেয়ার বাজার। প্রথম বাজারে বিভিন্ন কোম্পানী নিজেদের শেয়ার জনগণ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে । দ্বিতীয় বাজারে ক্রীত শেয়ার আবার পুনরায় ক্রয়-বিক্রয় হয়।
৩। হাতিয়ার : শেয়ার বাজারে শুধুমাত্র সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের লেনদেন হয় । মূলধন বাজারে দীর্ঘমেয়াদী ঋণপত্র ক্রয়-বিক্রয় হয়। যেমন- সরকারী বণ্ড, ট্রেজারী নোট, ডিবেঞ্চার, মর্টগেজ এবং এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ।
৪ । ঋণ তহবিলের সময় পরিধি ঃ মূলধন বাজার প্রধানত মধ্যম এবং দীর্ঘমেয়াদী ঋণ তহবিলের উৎস হিসাবে কাজ করে । শেয়ার রাজার মূলত দীর্ঘমেয়াদী ঋণ তহবিলের যোগান দেয় ।
৫। ইকুইটি তহবিল : মূলধন বাজার ইকুইটি তহবিলের সংস্থান করে। নতুন উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ তহবিলের একটি নির্দিষ্ট অংশ বহন করবে- এই শর্তে বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাকী তহবিলের যোগান দেয় । মূলধন বাজারে এভাবে ইকুইটি তহবিল সৃষ্টি হয়। শেয়ার বাজার এ ধরনের কোন তহবিল সৃষ্টি করে না । কেবল শেয়ারের মূল্যমানের সমপরিমাণে তহবিল সৃষ্টি করে ।
৬। বাজারের পরিধি : মূলধন বাজারের পরিধির বৃহত্তর । শেয়ার বাজার এর একটি অংশ মাত্র।
তবে শেষোক্ত বাজারের কার্যাবলি দ্বারা প্রথম রাজারের অবস্থা অনেকটা নির্ধারিত হয় ।
৭। মূলধনের যোগান : মূলধন বাজার বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কার্যকরী বা চলতি
মূলধন এবং স্থায়ী মূলধনের যোগান দেয় । শেয়ার বাজার শুধুমাত্র স্থায়ী মূলধনের উৎস হিসাবে কাজ করে । ৫.৫৩ বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে মন্দার কারণ/অস্থিরতার কারণ/উত্থান-পতনের কারণ Causes of Depression in the Share Market of Bangladesh
নিম্নোক্ত কারণে শেয়ার বাজারে প্রায়শ মন্দাভাব পরিলক্ষিত হয় ।
১। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কম : সাধারণত শেয়ার বাজারে মন্দার অন্যতম প্রধান কারণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাব । সাধারণত সংকট দেখা দিলে অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুঁজির যোগান বাড়িয়ে বাজার গতিশীল রাখে। বাংলাাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ তেমন সক্রিয় নয়। আবার আইনগত বাধা থাকায় সাধারণ বীমা এবং শর্ত পূরণের জটিলতায় মার্চেন্ট ব্যাংক শেয়ার বাজারে সক্রিয় হতে পারছে না ।
২। এসইসি এর দুর্বলতা : সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের অন্যতম দায়িত্ব হল তালিকাভুক্ত কোম্পানী ও স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের কাজ নিয়মিত মনিটর করা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে কিছু তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রচলিত বিধি-বিধান লংঘন করলেও এসইসি তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয় নাই । বিভিন্ন কোম্পানী তাদের শেয়ার এবং রাইট শেয়ারের মেয়াদ ইচ্ছামত অনেক সময় বাড়ায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা শেয়ার বাজারের উপর তাই কমে গেছে। এ অবস্থা শেয়ার বাজারের উন্নয়ন ও গতিশীল হওয়ার পথে অন্যতম প্রধান বাধা বলা যায় ।
৩। ব্যবস্থাপনা ঃ অনেক দেশে শেয়ার নীতি নির্ধারণী কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবস্থাপনা আলাদা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকে সরকারের মনোনীত ব্যক্তি । কিন্তু বাংলাদেশে শেয়ার বাজারের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে পাকিস্তান আমলের কন্ট্রোলার অব্ ক্যাপিটাল ইস্যুজ তো নয়ই বর্তমানের সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনও স্টক এক্সচেঞ্জের জবাদিহিতা প্রতিষ্ঠায় কোন উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে না । এমনকি কমিশনের মধ্যেই জবাদিহিতার অভাব রয়েছে ।
৪ । অশুভ আচরণ ঃ এক শ্রেণীর অসাধু ব্রোকার এবং কিছু ইস্যুকারী কোম্পানী অশুভ আতাত করে মাঝে মাঝেই শেয়ার বাজারে ম্যানিপুলেশনের আশ্রয় নেয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বাজারের উপর আস্থা ইতোমধ্যেই যথেষ্ট কমেছে । বর্তমানে আস্থাহীনতাই শেয়ার বাজার উন্নয়নের অন্যতম প্রধান অন্তরায় বলা যায় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]