বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি World Trade Scenario
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের World Economic Outlook, April 20125 অনুযায়ী ২০১৪ সালের বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩.৪ শতাংশ যা ২০১৩ সালে ছিল ৩.৫ শতাংশ । Outlook এর পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০১৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৭ শতাংশ হতে পারে। তবে ২০১৬ সাল নাগাদ বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এ সময় প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪.৭ শতাংশ । অন্যদিকে Outlook, April 2015 অনুযায়ী ২০১৪ সালে উন্নত অর্থনীতি দেশসমূহের আমদানি ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩.৭ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে যা ২০১৩ সালে ছিল যথাক্রমে ২.১ শতাংশ ও ৩.১ শতাংশ । অন্যদিকে, বিকাশমান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশসমূহে ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালে আমদানি ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়ে ৫.৫ শতাংশ থেকে ৩.৭ শতাংশ ও ৪.৬ শতাংশ থেকে ৩.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে । একই পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০১৫ সাল নাগাদ উন্নত দেশসমূহের আমদানি ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৩:৩ শতাংশ ও ৩.২ শতাংশে দাঁড়াবে। পক্ষান্তরে, বিকাশমান ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের আমদানি ৩.৩ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৩ শতাংশে দাঁড়াবে । নিম্নের সারণিতে বিশ্ব বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির ধারা তুলে ধরা হল ।
রপ্তানি ও আমদানি নীতি ঃ বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি ২০০৯-২০১২
Export and Import Policy & Trade Policy of Bangladesh 2009 - 2012

៖ রপ্তানি নীতি ও আমদানি নীতির সমন্বয়ে একটি দেশের বাণিজ্য নীতি তৈরি হয় । আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (WTO) ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ফোরামের সাথে সম্পাদিত ভিন্ন ভিন্ন চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ সরকারও নতুন বাণিজ্য নীতি ২০০৯-২০১২ প্রণয়ন করেছে । নিম্নে বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি ২০০৯-২০১২ এর রপ্তানি নীতি ও আমদানি নীতির লক্ষ্য ও ধারাসমূহ সংক্ষেপে তুলে ধরা হল ।
(ক) রপ্তানি নীতির লক্ষ্য (Objectives of Export Policy)
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত বাণিজ্য নীতি ২০০৯-২০১২ অনুসারে রপ্তানী নীতির প্রধান লক্ষ্যসমূহ নিম্নরূপ
১ । WTO -এর বিশ্বায়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে রপ্তানি বাণিজ্যকে আধুনিক ও যুগপোযোগী করা। ২ । শ্রমনিবিড় (বিশেষ করে নারী শ্রমিক নির্ভর) পণ্য রপ্তানিতে উৎসাহ প্রদান ।
৩ । রপ্তানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি সহজে প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান ।
৪। পণ্য বহুমুখীকরণ, পণ্যের গুণগত মনোন্নয়ন ও ডিজাইনের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা বাড়ানো
৫। উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী উদ্যোক্তাগণকে আকৃষ্টকরণ ।
৬। রপ্তানি শিল্পের সম্প্রসারণ ও রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য উপযুক্ত আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন ।
৭ । রপ্তানি সম্প্রসারণে বেসরকারি খাতকে আরও অধিকমাত্রায় সম্পৃক্তকরণ ।
৮ । বর্তমান রপ্তানিকারকদের আরও অধিক সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারক তৈরি করা ।
৯। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান ক্রমান্বয়ে সংকোচন ।
রপ্তানি নীতির ধারাসমূহ (Rules of Export Policy)
উপরিউক্ত রপ্তানি নীতির লক্ষ্যসমূহ অর্জনে রপ্তানি নীতিতে যে সকল ধারা/বিধান রাখা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা নিম্নে দেওয়া হল ।
১। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির বাস্তবতার আলোকে প্রণোদনা প্যাকেজ-০১ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ-
০২ এর আওতায় রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা প্রদান ।
২। রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৮টি রপ্তানি পণ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক খাত এবং ১২টি পণ্যকে বিশেষ উন্নয়ন খাত ঘোষণা করে সরকার নানা রকম সুযোগ ও সুবিধা দিয়ে আসছে ।
৩ । বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে কমপ্লায়েন্স মনিটরিং সেল গঠন ।
৪। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের দক্ষতা ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ।
৫ । নতুন নতুন পণ্যকে রপ্তানি তালিকায় সংযোজনের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি ভিত্তি সূদঢ় এবং বহুমুখীকরণ। ৬। অধিক হারে বাণিজ্যিক মিশন প্রেরণ এবং আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমান বাজার অবস্থান সুসংহতকরণ এবং নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ
(গ) আমদানি নীতির লক্ষ্য (Objectives of Import Policy) বাংলাদেশের নতুন আমদানি নীতির প্রধান লক্ষ্যসমূহ নিম্নরূপ ।
১। WTO -এর আওতায় বিশ্বায়ন ও মুক্ত বাণিজ্য নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমদানি নীতিকে আরো সহজ করা ।
২। আমদানির উপর থেকে ক্রমান্বয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা । বিশেষ করে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সহজ করে রপ্তানীমুখি শিল্প সম্প্রসারণ করে । প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা ।
৩। রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে যথাসম্ভব উদার ভিত্তিতে কাঁচামাল, মোড়ক সামগ্রী ও যন্ত্রাংশ আমদানি সুযোগসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা/ইনসেনটিভ প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানি দ্রুত সম্প্রসারণে সহায়তা করা । ৪ । অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্য পণ্যসমূহের বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা । বিশেষ করে আপদকালীন সময়ে (যেমন- বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ইত্যাদি) জরুরী ভিত্তিতে যাতে জনগণের জন্য পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় তার ব্যবস্থা করা ।
I
৫ । বিদেশে উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আমদানির সুযোগ প্রদান । ৬ । আমদানির নিয়ম পদ্ধতি আরো সহজ ও উদার করা ।
(ঘ) আমদানি নীতির ধারাসমূহ (Rules of Import Policy)
উপরিউক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি ২০০৯ - ২০১২ তে যে সকল বিধান/নিয়ম রাখা হয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ ।
১ । পোশাক শিল্প কর্তৃপক্ষ নিবন্ধিত বিদেশী বিনিয়োগকারীকে ও ‘শিল্প ভোক্তা' হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে । ২। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য, তৈরি পোশাকের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি কোন রকম ঋণপত্র (LC) খোলা ছাড়াই আমদানি করা যাবে ।
৩। ১০০ ভাগ রপ্তানিমুখী শিল্পের কাঁচামাল আমদানির সুযোগ প্রদান ।
৪ । রপ্তানিকারকগণ কর্তৃক কাঁচামালের নমুনা আমদানির সর্বোচ্চ সীমা পূর্বের ৫ হাজার মার্কিন
ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে ।
৫ । শর্তসাপেক্ষে ধানের বীজ, হাঁস-মুরগি ও পাখির ডিম আমদানি করার সুযোগ রাখা হয়েছে। ৬। শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি খাতে টেলিযোগাযোগের যন্ত্রপাতিও আমদানি করার বিধান রাখা হয়েছে। ৭। টিসিবির জন্য শিল্প ও বাণিজ্যিক আমদানির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]