অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে বুঝায় -, চাহিদা ও চাহিদার নির্ধারকসমূহ

সাধারন অর্থে, কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা বা ইচ্ছাকে চাহিদা বলে। কিন্তুু অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে ভোক্তার কোন দ্রব্য
বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্খার সাথে সাথে তা μয়ের অর্থ, সামর্থ্য এবং ব্যয় করার ইচ্ছা থাকলে তবেই ঐ আকাঙ্খাকে
চাহিদা বলে। ধরা যাক, রহিম আর্থিকভাবে অসচ্ছল। সে একটি মোটর গাড়ী কেনার জন্য আকাঙ্খা প্রকাশ করল কিন্তুু তা
μয় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। কাজেই, এক্ষেত্রে রহিমের মোটর গাড়ির জন্য আকাঙ্খাকে চাহিদা বলা যাবে
না। আবার একজন ধনী অথচ কৃপণ লোকের গাড়ী কেনার ইচ্ছাকে চাহিদা বলা যাবে না। কেননা তার μয়ক্ষমতা
থাকলেও অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা নেই। সুতরাং অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে নি¤েœাক্ত তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণীয়। শর্ত
তিনটি হলো :
(১) কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা;
(২) দ্রব্যটি μয় করার প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য; এবং
(৩) প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি μয় করার ইচ্ছা।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, কোন μেতা বা ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা, আর্থিক সামর্থ্য বা μয়ক্ষমতা
এবং নির্দিষ্ট দামে μয় করার ইচ্ছা থাকলে তবে তাকেই অর্থনীতিতে চাহিদা (উবসধহফ) বলে।
চাহিদার নির্ধারক সমূহ
কোন দ্রব্যের চাহিদা তার দামসহ অন্যান্য কতকগুলো উপাদান বা নির্ধারকের উপর নির্ভরশীল। এগুলোকে চাহিদার
নির্ধারক বলা হয়। চাহিদার নির্ধারকগুলোর ভিত্তিতে চাহিদার অপেক্ষক (উবসধহফ ভঁহপঃরড়হ) প্রকাশ করা যায়।

নি¤েœ চাহিদার নির্ধারকসমূহ ব্যাখ্যা করা হলো:
(১) দ্রব্যের নিজস্ব দাম: দ্রব্যের নিজম্ব দামের উপর তার চাহিদা নির্ভর করে। সাধারণত: কোন দ্রব্যের দাম কমলে তার
চাহিদা বাড়ে এবং দাম বাড়লে তার চাহিদা কমে।
(২) ভোক্তার আয়: সাধারণত: ভোক্তার আয় তার চাহিদাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ভোক্তার আয় বাড়লে চাহিদা
বৃদ্ধি পায় এবং আয় কমলে চাহিদা হ্রাস পায়।
(৩) স¤পর্কিত দ্রব্যের দাম: কোন দ্রব্যের চাহিদা তার সম্পর্কিত দ্রব্য অর্থাৎ পরিবর্তক ও পরিপূরক দ্রব্যের দামের উপর
নির্ভরশীল। যেমন- কফির দাম বাড়লে চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। অপরপক্ষে দুধ চিনির দাম বৃদ্ধি পেলে চায়ের
চাহিদা হ্রাস পায়।
(৪) বাজারে μেতার সংখ্যা: বাজারে μেতার সংখ্যার উপর চাহিদা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বাজারে μেতার সংখ্যা বেশী
হলে কোন দ্রব্যের চাহিদা বেশী হয়। μেতার সংখ্যা কম হলে চাহিদা কম হয়।
(৫) μেতার রুচি, পছন্দ ও অভ্যাস: μেতার রুচি, পছন্দ ও অভ্যাসের পরিবর্তন হলে দ্রব্যের চাহিদারও পরিবর্তন হতে
পারে। যেমন- এক ভদ্রমহিলা তার ছেলেবেলায় ব্যান্ডসংগীত পছন্দ করতেন। সেসময় তিনি ব্যান্ড সংগীতের সিডি
বা ক্যাসেট কিনতেন। পরবর্তীতে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং রবীন্দ্র
সংগীতের সিডি বা ক্যাসেট কিনতে থাকেন।
(৬) সময়: দ্রব্যের চাহিদা সময়ের উপরও নির্ভরশীল। সব সময় দ্রব্যের চাহিদা সমান থাকে না। শীতকালে যে সব
দ্রব্যের চাহিদা থাকে গ্রীষ্মকালে সে সব দ্রব্যের চাহিদা থাকে না। যেমন- আইসμীম, সোয়েটার, জ্যাকেট ইত্যাদি।
(৭) বিজ্ঞাপন: বিজ্ঞাপন বা প্রচারের উপরও অনেক সময় চাহিদা নির্ভরশীল। ভোক্তাকে আকৃষ্ট করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ
ভ‚মিকা রাখে।
(৮) জীবন যাত্রার মান: দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মানের উপরও চাহিদা অনেকাংশে নির্ভরশীল। সাধারণত: দেশের
মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হলে ভোগ্য পণ্যেও চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আর বিপরীত অবস্থায় হ্রাস পায়।
(৯) দামের ভবিষ্যৎ গতি: ভবিষ্যতে কোন দ্রব্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকলে বর্তমানে ঐ দ্রব্যের চাহিদা না কমে বরং
বৃদ্ধি পায়। আবার ভবিষ্যতে বড় ধরনের দাম কমার সম্ভাবনা থাকলে ঐ দ্রব্যের বর্তমান চাহিদা কমে যায়।
(১০) μেতার ভবিষ্যৎ আয়: μেতার ভবিষ্যৎ আয়ের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে চাহিদার পরিবর্তন ঘটবে।
μেতার ভবিষ্যৎ আয় কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে বর্তমানে চাহিদা হ্রাস পাবে। অন্যদিকে, μেতার ভবিষ্যৎ আয়
বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকলে বর্তমানে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
চাহিদা বিধি (খধি ড়ভ উবসধহফ)
”অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত” থেকে কোন দ্রব্যের বাজার দামের সাথে তার চাহিদার পরিমাণের মধ্যে μিয়াগত সম্পর্ক যে
বিধির সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তাকে চাহিদা বিধি বলে। ”অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত” অর্থ্যৎ μেতার আয়, অন্যান্য
সম্পর্কিত দ্রব্যের মূল্য, μেতার রুচি, অভ্যাস ও পছন্দ, μেতার সংখ্যা এবং দ্রব্যের ভবিষ্যৎ দাম, প্রভৃতি অপরিবর্তিত
থাকলে কোন দ্রব্যের নিজস্ব দাম বাড়লে তার চাহিদা কমে এবং দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। অর্থাৎ দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ
আর দামের মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দ্রব্যের চাহিদা ও নিজস্ব দামের মধ্যে এই μিয়াগত সম্পর্কই হলো চাহিদা
বিধি।
মনে করি, এক কেজি চালের দাম যখন ৩০ টাকা তখন এক ব্যক্তি ৩ কেজি চাল μয় করে। এখন যদি দাম বেড়ে ৩২
টাকা হয় তখন সে ৩ কেজি না কিনে ২ কেজি μয় করে। আবার দাম কমে যদি ২৫ টাকা হয় তখন সে ৪ কেজি μয়
করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে চালের দাম বেড়ে গেলে চাহিদা পরিমাণ কমে যায়। আবার দাম কমে গেলে চাহিদার পরিমাণ
বেড়ে যায়। এভাবে দাম পরিবর্তনের সাথে সাথে চাহিদার পরিমাণের পরিবর্তন হয়। অর্থাৎ চালের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান, এটিই হলো চাহিদা বিধি।
চাহিদা বিধির অনুমিত শর্ত
চাহিদা বিধি কতকগুলো অনুমিত শর্তের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। এগুলো নি¤œরূপ:
(১) μেতা / ভোক্তা যুক্তিশীল।
(২) μেতার রুচি ও অভ্যাস অপরিবর্তিত থাকবে।
(৩) μেতার আয় অপরিবর্তিত থাকবে।
(৪) অন্যান্য সম্পর্কিত দ্রব্যের দামের কোন পরিবর্তন হবে না।
(৫) বাজারে μেতার সংখ্যার কোন পরিবর্তন হবে না।
(৬) পূর্ণ প্রতিযোগিতামুলক বাজার থাকবে।
চাহিদা বিধির ব্যতিμম (ঊীপবঢ়ঃরড়হং ড়ভ ঃযব খধি ড়ভ উবসধহফ)
সাধারণত: চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যকার সম্পর্ক বিপরীতমুখী। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিμম লক্ষ্য করা যায়। চাহিদা বিধির ব্যতিμম নি¤œরূপ:
(১) আয়ের পরিবর্তন: ভোগ্যপণ্যের দাম পরিবর্তনের হার অপেক্ষা যদি μেতার আয় পরিবর্তনের হার অধিক হয়
তবে চাহিদা বিধি কার্যকর নাও হতে পারে। যেমন- আয় হ্রাস পেলে কোন দ্রব্যের দাম কমলেও μেতা তা কম পরিমাণে μয় করে।
(২) অভ্যাস ও রুচির পরিবর্তন: মানুষের অভ্যাস ও রুচির পরিবর্তন ঘটলে বিধিটি কার্যকর হয় না। যেমন- ভোক্তার
অভ্যাস ও রুচির পরিবর্তনের ফলে দিন দিন টেলিভিশন, ফ্রিজ প্রভৃতির জন্য লোকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে
এসব দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া সত্তে¡ও চাহিদা কমে না।
(৩) বিকল্প দ্রব্যের দামের পরিবর্তন: কোন দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের সাথে সাথে যদি বিকল্প দ্রব্যের দামেরও
অনুরূপ পরিবর্তন ঘটে, সে সব দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদা বিধি কার্যকর হয় না। যেমন- চা এর দাম হ্রাসের সাথে
সাথে যদি কফি এর দাম হ্রাস পায়, তবে চা এর চাহিদা বাড়বে না।
(৪) অবস্থাগত কারণ: অবস্থাগত কারণেও চাহিদা বিধির ব্যতিμম হতে পারে। কোন এলাকায় কলেরা মহামারী
আকারে ধারণ করলে, মাছের দাম কমলেও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে না। শীতকালে আইসμীমের দাম কমে গেলেও
চাহিদা কমে যায়।
(৫) নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্ষেত্রে দ্রব্যের দাম পরিবর্তনের ফলে চাহিদার তেমন
কোন পরিবর্তন হয় না। যেমন- লবন, ঔষধ ইত্যাদি।
(৬) ভবিষ্যতে দাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা: কোন সময় ভোক্তা যদি মনে করে ভবিষ্যতে দ্রব্যের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে
তাহলে বর্তমানে ঐ দ্রব্যের দাম বাড়লেও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। আবার ভবিষ্যতে আরো দাম কমার সম্ভাবনা
থাকলে ঐ দ্রব্যের বর্তমান দাম কমলেও চাহিদা কমে যাবে।
(৭) μেতার অজ্ঞতা: μেতা অনেক সময় অজ্ঞতার কারণে দ্রব্যের গুনাগুন বিচার করতে পারে না। এক্ষেত্রে দ্রব্যের
দাম বৃদ্ধি পেলে দ্রব্যটি অনেক মূল্যবান মনে করে দ্রব্যটি বেশী পরিমাণ μয় করে। এক্ষেত্রে চাহিদা বিধি
কার্যকর হয় না।
(৮) বিলাসবহুল দ্রব্য: এমন কিছু দ্রব্য আছে যে গুলোর দাম বৃদ্ধি পেলে লোকে সামাজিক মর্যাদা বা গৌরবের
আশায় বেশী পরিমাণ μয় করে। যেমন- ডায়মন্ড, দামী গাড়ী, সৌখিন বাড়ি ইত্যাদি। অর্থনীতিবিদ ভেবলেন
(ঠবনষবহ) এসব দ্রব্যকে “বাগম্বড়পূর্ণ ভোগ” হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। এসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে চাহিদা বিধি
কার্যকর হয় না।
(৯) গিফেন দ্রব্য: এমন কিছু নিকৃষ্ঠ দ্রব্য আছে যেমন- মোটা চাল, মোটা কাপড়, প্রভৃতির ক্ষেত্রে দাম বাড়লে μয়ের
পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং দাম কমলে μয়ের পরিমাণ হ্রাস পায়। অর্থনীতিবিদ স্যার রবার্ট গিফেন এর
নামানুসারে এসব ব্যতিμমধর্মী দ্রব্যকে গিফেন দ্রব্য বলা হয়।
পরিবর্তক ও পরিপূরক দ্রব্য (ঝঁনংঃরঃঁঃব মড়ড়ফ ধহফ ঈড়সঢ়ষবসবহঃ মড়ড়ফ)
আমরা দেখেছি যে, কোন দ্রব্যের চাহিদা সম্পর্কিত দ্রব্যের দাম দ্বারাও প্রভাবিত হয়। সম্পর্কিত দ্রব্য দুই প্রকার হতে পারে:
(১) পরিবর্তক দ্রব্য ও
(২) পরিপূরক দ্রব্য
পরিবর্তক দ্রব্য
যখন দুটি দ্রব্যের মধ্যে একটির পরিবর্তে অন্যটি ভোগ করা যায় যা থেকে প্রায় সমান উপযোগ লাভ করা যায় তখন দ্রব্য
দুটির একটিকে অন্যটির পরিবর্তক দ্রব্য বলা হয়। অন্যভাবে আমরা বলতে পারি, একটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধিতে যদি অন্য
দ্রব্যটির চাহিদা বৃদ্ধি পায় তবে দ্রব্য দুটিকে পরিবর্তক দ্রব্য বলা হয়। যেমন- চা-কফি, চিনি-গুড়, কলম-পেন্সিল ইত্যাদি
একে অপরের পরিবর্তক দ্রব্য।
উদাহরণ: মনে করি, চিনির দাম যখন ৪০ টাকা তখন এক ব্যক্তি মাসে ২ কেজি গুড় μয় করে। কিন্তুু যদি চিনির দাম
বেড়ে ৪৫ টাকা হয় তখন সে ২ কেজি গুড় না μয় করে ৩ কেজি গুড় μয় করে। অর্থাৎ চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় μেতা
বেশী পরিমাণ গুড় কিনে। এখানে μেতা গুড়কে চিনির পরিবর্তক হিসাবে ব্যবহার করে। একইভাবে যদি চিনির দাম কমে
অর্থনীতি ১ম পত্র
ইউনিট পাঁচ পৃষ্ঠা-৫৩
৩৫ টাকা হয় তবে μেতা ২ কেজি গুড়ের পরিবর্তে ১ কেজি গুড় কিনে। অর্থাৎ চিনির দাম কমে যাওয়ায় গুড় কম μয়
করে। অর্থাৎ এখানে চিনির চাহিদা বাড়ে।
এখানে চিনি ও গুড় একে অপরের পরিবর্তক দ্রব্য। পরিবর্তক দ্রব্যের ক্ষেত্রে একটির দামের ক্ষেত্রে অন্যটির চাহিদার
ধনাতœক সম্পর্ক। ছক ৫.১.১ এ পরিবর্তক দুটি দ্রব্যের মধ্যে একটি দ্রব্যের দামের সাথে অন্য দ্রব্যটির চাহিদার সম্পর্ক দেখানো হলোÑ
থেকে দেখা যায়, চিনির দাম বেড়ে ঙচ১ থেকে ঙচ২ হলে গুড়ের চাহিদা বেড়ে ঙঢ১ থেকে ঙঢ২ হয়। অর্থাৎ চিনির দাম ও
চাহিদার মধ্যে সমমূখী সম্পর্ক বিরাজ করে। তইি চিনি ও গুড় পরস্পর পরিবর্তক দ্রব্য।
(২) পরিপূরক দ্রব্য
দুটি দ্রব্যের মধ্যে একটি দ্রব্যের ভোগ বৃদ্ধি পেলে যদি অন্য দ্রব্যের ভোগও বৃদ্ধি পায় তবে দ্রব্য দুটিকে একে অপরটির
পরিপূরক দ্রব্য বলা হয়। অন্যভাবে আমরা বলতে পারি, একটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে যদি অন্য দ্রব্যটির চাহিদা হ্রাস পায়,
তখন দ্রব্য দুটিকে একে অপরের পরিপূরক দ্রব্য বলা হয়। যেমন- চা-চিনি, কালি-কলম, পেট্রোল-গাড়ি, জুতা-মোজা
ইত্যাদি।
পরিপূরক দ্রব্যের ক্ষেত্রে সম্পর্কিত দ্রব্যের মধ্যে একটির দাম বাড়লে অপর দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে একটি
দ্রব্যের দাম ও অন্য দ্রব্যের চাহিদার মধ্যে বিপরীতমূখী সম্পর্ক বিদ্যমান। যেমন- চিনির দাম বৃদ্ধি পেলে চায়ের চাহিদা
কমে যাবে। ছক ৫.১.২ এ পরিপূরক দুটি দ্রব্যের একটির দামের সাথে অন্যটির চাহিদার সম্পর্ক দেখানো হলোÑ চিনির দাম যখন ঙচ১ তখন চায়ের চাহিদার পরিমাণ ঙছ১ । এখন চিনির দাম বেড়ে ঙচ২ হলে চায়ের চাহিদা হ্রাস পেয়ে
ঙছ২ হয়। এক্ষেত্রে চিনির দামের সাথে চায়ের চাহিদার ঋনাত্বক সম্পর্ক বিদ্যমান। আর এই ঋনাতœক সর্ম্পকের কারণে
 অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে ভোক্তার কোন দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্খার সাথে সাথে তা μয়ের অর্থ, সামর্থ্য
এবং তা ব্যয় করার ইচ্ছাকে বুঝায়।
 “অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত” থাকলে চাহিদা বিধিতে দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণের সাথে ঐ দ্রব্যের দামের
বিপরীত সম্পর্ক প্রকাশ করে।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১। অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে বুঝায় -
র. কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা থাকতে হবে
রর. দ্রব্যটি μয়ের সামর্থ্য থাকতে হবে
ররর. প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা থাকতে হবে
নিচের কোনটি সত্য?
(ক) র ও রর (খ) র ও ররর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
২। চাহিদা বিধিতে প্রকাশ পায়র. দাম ও চাহিদার মধ্যে ধনাতœক সম্পর্ক
রর. দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক
ররর. দাম ও চাহিদার মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই
নিচের কোনটি সত্য?
(ক) র (খ) রর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
৩। অর্থনীতিতে চাহিদার উপাদান কয়টি?
(ক) দুটি (খ) তিনটি (গ) চারটি (ঘ) পাঁচটি
৪। চাহিদা বিধি অনুযায়ী দামের সাথে চাহিদার সম্পর্ক কিরূপ?
(ক) ধনাতœক (খ) ঋনাতœক (গ) স্থির (ঘ) কোন সম্পর্ক নাই
চায়ের চাহিদা
চিনির দাম
৫। কলম ও পেন্সিল দুটি পরিবর্তক দ্রব্য। এই দুটি দ্রব্যের দাম ও চাহিদার মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের প্রেক্ষিতে এদের
চাহিদা রেখার আকৃতি কেমন হয়?
(ক) বাম থেকে ডান দিকে নি¤œগামী (খ) বাম থেকে ডান দিকে উর্ধ্বগামী
(গ) ভ‚মি অক্ষের সমান্তরাল (ঘ) লম্ব অক্ষের সমান্তরাল
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৬ ও ৭ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
রহিম সাহেব একজন স্কুল শিক্ষক। স্বাভাবিক অবস্থায় বাজারে যখন বেগুনের দাম প্রতি কেজি ১৫ টাকা তখন তিনি প্রতি
সপ্তাহে ৩ কেজি বেগুন μয় করেন। বেগুনের দাম বেড়ে গেলে তিনি বেগুন কেনা কমিয়ে দেন। আবার বেগুনের দাম কমে
গেলে বেগুন কেনা বাড়িয়ে দেন।
৬। উদ্দীপকে বর্ণিত তথ্য কোন বিধি প্রকাশ করে?
(ক) চাহিদা বিধি (খ) যোগান বিধি (গ) উৎপাদক বিধি (ঘ) উপযোগ বিধি
৭। দাম ও চাহিদার মধ্যে সম্পর্ক হলোর. সমমূখী
রর. বিপরীতমূখী
ররর. ঋনাতœক
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র ও রর (খ) র ও ররর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
৮। করিম একজন দিনমজুর। তার কলেজ পড়–য়া ছেলে পড়াশুনার জন্য একটি ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার জন্য বাবাকে
অনুরোধ করলো। অর্থনীতির দৃষ্টিকোন থেকে ল্যাপটপ μয়ের ইচ্ছা চাহিদা হবে না-
(ক) আর্থিক সামর্থ্য নেই
(খ) অর্থ ব্যয়ের ইচ্ছা নেই
(গ) আকাঙ্খা যথাযথ নয়
(ঘ) পিতার কৃপণতা
৯। চাহিদার উপর প্রভাব বিস্তারকারী উপাদানগুলো :
র. ভোক্তার আয়
রর. দামের ভবিষ্যৎ গতি
ররর. স্থিতিস্থাপকতা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র ও রর (খ) র ও ররর (গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]