যোগানের অপেক্ষক ও যোগান সমীকরণ

যোগান অপেক্ষক
কোন দ্রব্যের যোগান অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। যেমন- দ্রব্যের নিজস্ব দাম, উৎপাদনের উপকরনের দাম,
সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দ্রব্যের দাম, কারিগরি কলাকৌশলের পরিবর্তন, কর ও ভর্তুকি, প্রাকৃতিক অবস্থা ইত্যাদি। এই নির্ভরশীলতার সম্পর্ক যখন গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা হয় তখন তাকে যোগান অপেক্ষক বলে।
“অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত” রেখে, যদি শুধুমাত্র দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে গাণিতিক সম্পর্ক প্রকাশ করা
হয় তবে তাকে সাধারণ যোগান অপেক্ষক (এবহবৎধষ ঝঁঢ়ঢ়ষু ঋঁহপঃরড়হ) বলা হয়। যেমন- ( ) ঢ
ঝ ছঢ  ভ চ
এখানে,
 ঝ ছঢ ঢ দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ
ভ = অপেক্ষক
চঢ = ঢ দ্রব্যের দাম
এখানে ঝ ছঢ নির্ভরশীল চলক এবং চঢ স্বাধীন চলক।
যোগান সমীকরণ
যোগান বিধিতে দেখা যায়, “অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত” থাকলে দ্রব্যের দামের সাথে যোগানের সমমূখী সম্পর্ক বিদ্যমান
থাকে। অর্থাৎ দাম কমলে যোগানের পরিমাণ বাড়ে এবং দাম বাড়লে যোগানের পরিমাণ কমে। দ্রব্যের দাম ও যোগানের
পরিমাণের মধ্যে যে নির্ভরশীলতার সম্পর্ক রয়েছে তা নি¤েœর সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
ছ ঈ ফচ ঝ
ঢ   
এখানে ছ  যোগানের পরিমাণ যা অধীন চলক
চ দ্রব্যের দাম যা স্বাধীন চলক
প এবং ফ হলো পরামিতি বা ধ্রুবক
প = ছেদক; ফ = যোগান রেখার ঢাল বা পরামিতি
যোগান সমীকরণ থেকে যোগান রেখা অংকন (উবৎরাধঃরড়হ ধ ঝঁঢ়ঢ়ষু ঈঁৎাব ভৎড়স ঝঁঢ়ঢ়ষু ঊয়ঁধঃরড়হ)
“অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত” রেখে দ্রব্যের দামের সাথে যোগানের পরিমাণের সম্পর্ক যে সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা
হয় তাকে যোগান সমীকরণ বলে।
উদাহরণ: ধরা যাক, দ্রব্যের যোগানের সমীকরণ
ছঝ  ৩  ২চ
এখানে, ছঝ  দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ
= দ্রব্যের দাম
-৩ হলো ছেদক এবং ২ হলো যোগান রেখার ঢাল যা পরামিতি নামে পরিচিত।
যোগান সমীকরণ থেকে যোগান রেখা অংকন করতে হলে প্রথমে যোগান সূচি তৈরী করতে হয়। উপরোক্ত যোগান
সমীকরনে দ্রব্যের দাম পরিবর্তন করলে যোগানের বিভিন্ন পরিমাণ পাওয়া যায় যা যোগান সূচীতে দেখানো হলোঃ
চিত্রে - অক্ষে দ্রব্যের পরিমাণ এবং - অক্ষে দ্রব্যের দাম নির্দেশ করা হলো। যোগান সূচী থেকে প্রাপ্ত দ্রব্যের দাম ও যোগানের
মানগুলোর পারস্পরিক পরিমাপ গ্রহণ করলে রেখাচিত্রে ও বিন্দুগুলো পাওয়া যায়। যোগান সূচীতে দেখা যায়, যখন
দ্রব্যের দাম ১ টাকা যোগানের পরিমাণ তখন ৪ একক যা বিন্দু দ্বারা নির্দেশিত।
দাম বেড়ে ২ টাকা, ৩ টাকা, এবং ৪ টাকা হলে দ্রব্যের যোগান বৃদ্ধি পেয়ে যথাμমে ৬ একক, ৮ একক এবং ১০ একক হয়
যা এবং বিন্দুগুলো দ্বারা নির্দেশিত। এখন দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণ সূচক এবং বিন্দুগুলো যোগ
করলে যোগান রেখা পাওয়া যায় যা প্রদত্ত যোগান সমীকরনের উপর ভিত্তি করে একটি সরল রৈখিক যোগান রেখা।
 যোগান সমীকরণ থেকে কোন দ্রব্যের যোগান সূচি ও যোগান রেখা অঙ্কন করা যায়
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৬.৪
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
১। ঝ = - ৪ + ২ একটি যোগানের সমীকরণ যেখানে দাম এবং = যোগান। দ্রব্যটির যোগানের পরিমাণ কত
দামে শূন্য হবে।
(ক) ১ (খ) ২ (গ) ৩ (ঘ) ৪
৫। ছ  ধ  নচ(ধ  ০,ন  ০) ঝ যোগান রেখাটির চিত্ররূপ হলো-
(ক) বাম দিক থেকে ডানদিকে উর্ধ্বগামী (খ) বাম দিক থেকে ডান দিকে নি¤œগামী
(গ) ভূমি অক্ষ বরাবর সমান্তরাল (ঘ) লম্ব অক্ষ বরাবর উর্ধ্বগামী
৬। যোগান অপেক্ষকে যোগানের পরিমাণ হলো
(ক) স্বাধীন চলক (খ) অধীন চলক (গ) ধ্রæবক (ঘ) পরামিতি
৭। ঝ  প  ফচ সমীকরণটি হলোর. চাহিদা সমীকরণ
রর. যোগান সমীকরণ
ররর. ভোক্তা সমীকরণ
নিচের কোনটি সঠিক?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]