বস্তুবাচক ও নীতিবাচক অর্থশাস্ত্র কি?
ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থশাস্ত্র বলতে কি বোঝায়?


 ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক বিভাজন
অর্থশাস্ত্রে বস্তুবাচক ও নীতিবাচক বিভাজন
অর্থশাস্ত্র বিশ্লেষণে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে অনেক রকম মতপার্থক্য আমরা দেখেছি। এরমধ্যে যে
দিকটি বিশেষভাবে গুরুতর সেটি হল অর্থশাস্ত্রে মতাদর্শ (রফবড়ষড়মু), মূল্যবোধ (াধষঁব) বা
নীতিনৈতিকতার (বঃযরপং) প্রশ্ন। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ মনে করেন যে, তাঁদের কোনরকম
মতাদর্শ বা মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হওয়া ঠিক নয়। তাঁরা মনে করেন যে, অর্থনীতিবিদদের কাজ হল
শুধুমাত্র বাস্তবতা ঠিক যেভাবে আছে তাকে ঠিক সেভাবে দেখা এবং তার কার্যকারণ বিশ্লেষণ করা।
যেমন, বেসরকারীকরণ করা হলে উৎপাদন বাড়বে কিনা, ন্যূনতম মজুরি চালুকরলে তা অর্থনীতিতে
বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে কিনা, ক্ষুদ্রঋণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বাড়াচ্ছে কিনা ইত্যাদি।
বলাবাহুল্য, এই কার্যকারণ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো সম্পূর্ণ নির্ভর করবে তথ্য সংগ্রহ করে তার
বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের উপর। এই অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এসব সম্পর্কে নীতিগত সিদ্ধান্ত কি
হওয়া উচিত বা পরামর্শ কিংবা আরও বৃহৎ পরিসরে অর্থনীতি কেমন হওয়া উচিত, সমাজের কার কি
পাওয়া উচিত ইত্যাদি সম্পর্কে মতামত প্রদান অর্থনীতিবিদদের কাজ নয়, এই কাজ রাজনীতিবিদ বা
সমাজতাত্তি¡কদের। তাঁদের দৃষ্টিতে অর্থশাস্ত্র হল মতাদর্শমুক্ত বিজ্ঞান (ঠধষঁব ভৎবব ংপরবহপব)। তাঁরা যে
ধরনের অর্থশাস্ত্রীয় বিশ্লেষণ করেন তাকে বলা হয় বস্তুবাচক অর্থশাস্ত্র বা চড়ংরঃরাব ঊপড়হড়সরপং। এর
বিপরীতে অন্য অর্থনীতিবিদরা আছেন যাঁরা মনে করেন শুধুমাত্র বাস্তবতা বিশ্লেষণ নয় অর্থনীতিবিদদের
একই সঙ্গে কাজ হল অর্থনীতি কোন দিকে যাবে, অর্থনীতিতে কি হওয়া উচিত সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট
মতামত দেওয়া। যেমন বেসরকারীকরণ করা উচিত কি অনুচিত কিংবা ন্যূনতম মজুরি চালুকরা উচিত
কি অনুচিত, অর্থনীতিতে বিনিয়োগ কিরকম হওয়া দরকার, বিতরণ কেমন হওয়া দরকার ইত্যাদি
বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান থাকা দরকার। এরা মনে করেন অর্থশাস্ত্রে মতামত,
মূল্যবোধ বা দৃষ্টিভঙ্গী থাকতেই হবে। কারণ যেহেতুঅর্থশাস্ত্র মানুষ ও সমাজ নিয়েই কাজ করে
সেহেতু অর্থনীতিবিদেরা মত-নিরপেক্ষ হতে পারেন না। এঁদের প্রস্তাবিত অর্থশাস্ত্রকে বলা হয়
ঘড়ৎসধঃরাব ঊপড়হড়সরপং বা নীতিবাচক অর্থশাস্ত্র।
অর্থশাস্ত্রে নীতি নৈতিকতা বা মতাদর্শের জায়গা নিয়ে প্রশ্নসমূহ
কিন্তু অর্থশাস্ত্রকে এরকম দুটো ভাগে ভাগ করার মধ্য দিয়েই এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক শেষ হয় না।
অর্থশাস্ত্রে মতাদর্শ বা নীতিনৈতিকতার প্রশ্ন আরও কিছুবিষয়কেও বিবেচনার অন্তর্ভুক্ত করে। শুধু
দু'ভাগে অর্থশাস্ত্রকে ভাগ করবার বিরুদ্ধেও যুক্তি কম নেই। এই বিষয়গুলোকে উপস্থিত করা যায়
নি¤œরূপে:
প্রথমত: অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞানের শাখা। এটি মৌলিক বিজ্ঞান নয় যেগুলোতে গবেষণা ও বিশ্লেষণ
হয় শুধুগবেষণাগারে।

যে দিকটি বিশেষভাবে
গুরুতর সেটি হল
অর্থশাস্ত্রে মতাদর্শ
(রফবড়ষড়মু), মূল্যবোধ
(াধষঁব) বা
নীতিনৈতিকতার

দ্বিতীয়ত: অর্থশাস্ত্রে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের ধরন ভিন্ন, যেখানে জীবন্ত মানুষই গবেষণার মূল বিষয়। শুধু
এই মানুষ নয়, গবেষণায় বা বিশ্লেষণে আরও আসে এই মানুষের সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পদ, সামর্থ ও
সমাজ ইত্যাদি।
তৃতীয়ত: অর্থশাস্ত্রের মানুষ, বিশেষত: আমরা যে ধরনের অর্থনীতিতে বসবাস করি সেখানে আয়,
সুযোগ, ক্ষমতা ইত্যাদি দিকে মানুষ বহুভাগে বিভক্ত। শ্রেণীগত পার্থক্য ছাড়াও লিঙ্গীয় (নারী-পুরুষ),
বর্ণগত, জাতিগত বৈষম্য উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বিরাজ করছে। শুধুএকটি দেশের মধ্যে নয়, বিভিন্ন
দেশের মধ্যেও বিপুল বৈষম্য ও পার্থক্য আছে। সুতরাং কোন একটি একক দিয়ে সবাইকে বোঝানো
যায় না।
চতুর্থত: বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য ও বৈষম্য থাকার ফলে কোন বিষয়ে প্রাপ্ত ফলাফল বা সিদ্ধান্ত
সার্বজনীন হতে পারে না। বস্তুবাচক অর্থনীতির যারা অনুসারী তাদের বিভিন্ন বিশ্লেষণ বা গবেষণায়
অনুমিতি গ্রহণ, বিশ্লেষণ পদ্ধতি, বিশ্লেষণের এলাকা নির্ধারণ ইত্যাদিতে তাই অসম্পূর্ণতা বা পক্ষপাত
থাকার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। নীতিবাচক অর্থশাস্ত্রের অনুসারীদের ক্ষেত্রে সমূহ সম্ভাবনা থাকে পূর্ব
নির্ধারিত সিদ্ধান্ত দ্বারা পরিচালিত হবার যাতে অর্থনীতি ব্যাখ্যার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতের বিপদ থাকতে
পারে।
পঞ্চমত: সমাজ বিজ্ঞান বলেই এখানে মতাদর্শ বা দৃষ্টিভঙ্গী নিশ্চয়ই উপস্থিত থাকে। তবে
অর্থনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্লেষণে বস্তুনিষ্ঠ থাকা এবং কোন ধরনের পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত
দ্বারা পরিচালিত না হয়ে অবশ্যই যথাযথভাবে সমনি¦ত তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করলে অর্থশাস্ত্রকে বস্তুবাচক ও নীতিবাচক এভাবে ভাগ না
করে বরঞ্চ ভাগ করা যায় এভাবে: বস্তুনিষ্ঠ অর্থশাস্ত্র (ঙনলবপঃরাব ঊপড়হড়সরপং) এবং পক্ষপাতদুষ্ট
অর্থশাস্ত্র (ইরধংবফ ঊপড়হড়সরপং)।
ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক
অর্থনীতির বিশ্লেষণের এলাকা অনুযায়ী অর্থশাস্ত্রকে আবার দু'ভাবে ভাগ করা যায়। দীর্ঘসময় জুড়ে
অর্থশাস্ত্র একক ক্ষেত্র হিসেবেই ছিল। ৩০ দশকের মহামন্দার পর থেকেই প্রধানত: ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক
দুইভাগে ভাগ করে দেখার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিতে থাকে। ১৯৩৩ সালে নরওয়েজিয়ান
অর্থনীতিবিদ রেগনার ফ্রিচ (জধমহধৎ ঋৎরংপয) যিনি জান টিনবারজন (ঔধহ ঞরহনবৎমবহ)-এর সঙ্গে
যৌথভাবে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান, তিনিই প্রথম অর্থশাস্ত্রের বিভাজন বোঝানোর জন্য ব্যবহার
করেন "সরপৎড়-ফুহধসরপং" এবং "সধপৎড়-ফুহধসরপং"। সেটিই পরে "সরপৎড়বপড়হড়সরপং" বা ব্যষ্টিক
অর্থশাস্ত্র এবং "সধপৎড়বপড়হড়সরপং" বা সামষ্টিক অর্থশাস্ত্র হিসেবে পরিচিতি পায়। এর মধ্যে ব্যষ্টিক
অর্থশাস্ত্র বলতে আমরা সেটিকেই বুঝি যেটি সমগ্র অর্থনীতিকে বিবেচনা না করে একক ভিত্তিক
বিশ্লেষণকে গুরুত্ব দেয়। একক ভিত্তিক বিশ্লেষণ বলতে বোঝায় একক ভোক্তার আচরণ, চাহিদা, আয়
ইত্যাদি কিংবা একক উৎপাদন বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন, ব্যয়, মুনাফা ধরে বিশ্লেষণ। এই
অর্থশাস্ত্রের বিশ্লেষণের বিকাশ ঘটে প্রথমে প্রান্তিকতাবাদী নামে পরিচিত কধৎষ গবহমবৎ, ঔবাড়হং
প্রমুখদের মাধ্যমে এবং পরে আরও কার্যকর ও সুসংগঠিতভাবে অষভৎবফ গধৎংযধষষ এর কাজে।
এরপর অর্থশাস্ত্রের যে ধারাটি বিশেষভাবে ৩০ দশক পরবর্তী বিভিন্ন অর্থনীতিবিদদের কাজের মধ্য
দিয়ে নির্দিষ্ট বর্তমান রূপ পেয়েছে সেটি হল সামষ্টিক অর্থশাস্ত্র বা গধপৎড় ঊপড়হড়সরপং। এতে
অর্থনীতির বিশ্লেষণ করা হয় সামষ্টিক কাঠামোতে, নির্দিষ্টভাবে জাতীয় পরিসরেই সবকিছুবিবেচনা
করা হয়। বিশেষ করে এই অর্থশাস্ত্রে সেসব বিষয়ের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় যেগুলো
সামষ্টিক কাঠামো ছাড়া বিশ্লেষণ করা যায় না; যেমন, জাতীয় আয়, বেকারত্ব, দামস্তর, মন্দা,
মুদ্রাস্ফীতি, বাণিজ্য চক্র ইত্যাদি।
হ্যান্ডারসন এবং কোয়ান্ট (ঔধসবং গ. ঐবহফবৎংড়হ ধহফ জরপযধৎফ ঊ. ছঁধহফঃ) এই পার্থক্যকে
সংক্ষেপে বলেন এভাবে : "গরপৎড়বপড়হড়সরপং রং ঃযব ংঃঁফু ড়ভ ঃযব বপড়হড়সরপ ধপঃরড়হং ড়ভ
সমাজ বিজ্ঞান বলেই
এখানে মতাদর্শ বা
দৃষ্টিভঙ্গী নিশ্চয়ই
উপস্থিত থাকে। তবে
অর্থনীতিবিদদের দায়িত্ব
হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্লেষণে
বস্তুনিষ্ঠ থাকা এবং
কোন ধরনের পূর্ব
নির্ধারিত সিদ্ধান্ত দ্বারা
পরিচালিত না হয়ে
অবশ্যই যথাযথভাবে
সমনি¦ত তথ্য ও যুক্তির
ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

রহফরারফঁধষং ধহফ বিষষ ফবভরহবফ মৎড়ঁঢ়ং ড়ভ রহফরারফঁধষং ধহফ সধপৎড়বপড়হড়সরপং রং ঃযব ংঃঁফু ড়ভ
নৎড়ধফ ধমমৎবমধঃবং ংঁপয ধং ঃড়ঃধষ বসঢ়ষড়ুসবহঃ ধহফ হধঃরড়হধষ রহপড়সব."
অর্থাৎ ব্যষ্টিক অর্থশাস্ত্র হল, ব্যক্তি বা সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিসমূহের দলবদ্ধ অর্থনৈতিক আচরণের শাস্ত্র এবং
সামষ্টিক অর্থশাস্ত্র হল মোট কর্মসংস্থান এবংজাতীয় আয়-এর মতো সামগ্রিক বিষয়ের শাস্ত্র।
অর্থশাস্ত্র বিশ্লেষণে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে মত পার্থক্যের বিশেষভাবে গুরুতর দিকটি হল মতাদর্শ,
মূল্যবোধ বা নীতিনৈতিকতার প্রশ্ন। বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য ও বৈষম্য থাকার ফলে কোন বিষয়ে
প্রাপ্ত ফলাফল বা সিদ্ধান্ত সার্বজনীন হতে পারে না। সমাজবিজ্ঞান বলেই এখানে মতাদর্শ বা
দৃষ্টিভঙ্গী নিশ্চয়ই উপস্থিত থাকে। তবে অর্থনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন বিশ্লেষণে বস্তুনিষ্ঠ
থাকা এবং কোন ধরণের পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত দ্বারা পরিচালিত না হযে অবশ্যই তথ্য ও যুক্তির
ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ত্রিশ দশকের মধ্যেই অর্থশাস্ত্র ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক শাখায় বিভক্ত হয়ে পড়ে।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. অর্থশাস্ত্রে মতামত বা মূল্যবোধ থাকতেই হবে- এ ধারণা কোন্ অর্থশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত?
ক. নীতিবাচক অর্থশাস্ত্র খ. বস্তুবাচক অর্থশাস্ত্র
গ. ব্যষ্টিক অর্থনীতি ঘ. সামষ্টিক অর্থনীতি
২. কোন্টি সামষ্টিক অর্থশাস্ত্রের প্রত্যয়
ক. ভোক্তার আচরণ খ. মোট কর্মসংস্থান
গ. চাহিদা ঘ. ফার্মের উৎপাদন
৩. ব্যষ্টিক, সামষ্টিক ধারণা প্রথমে কে নিয়ে আসেন?
ক. রেগনার ফ্রিচ খ. পল স্যামুয়েলসন
গ. এ্যাডাম স্মীথ ঘ. বিল গেটস
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. বস্তুবাচক ও নীতিবাচক অর্থশাস্ত্র কি?
২. ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থশাস্ত্র বলতে কি বোঝায়?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. অর্থশাস্ত্রে বস্তুবাচক ও নীতিবাচক বিভাজন কেন করা হয়? বস্তুবাচক ও নীতিবাচক অর্থশাস্ত্রের
পার্থক্য কি?
২. অর্থশাস্ত্রে নৈতিকতা বা মতাদর্শের অবস্থান কি? মতাদর্শ নিরপেক্ষ থাকা এবং বস্তুনিরপেক্ষ থাকার
মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]