ব্যাংকের উৎপত্তি

ব্যাংক শব্দটির সম্পর্কে অনেক মতবাদ রয়েছে। কারো মতে ইটালীয় ইধহপড় বা ইধহপঁং থেকে উদ্ভূত আবার কারো মতে এটি জার্মান শব্দ ইধহপশ থেকে উদ্ভুত। খ্রিষ্টার্ব ৬০০ অব্দে চীনের ঝযধহংর ইধহশ বিশে^র প্রথম ব্যাংক এবং ১১৫৭ খ্রিষ্টাব্দতে ইটালিতে বিশে^র সর্বপ্রথম সরকারি ব্যাংক “ব্যাংক অব ভেনিস” প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের উৎপত্তি নিয়ে একটি মজার কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। একসময় যখন বিনিময়ের মাধ্যমে হিসেবে স্বর্ণ চালু ছিল তখন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের নিকট স্বর্ণমুদ্রা বহন করে ঘুরে বেড়ানো ঝামেলাপূর্ণ ছিল। তাছাড়া স্বর্ণমুদ্রা ভারী হওয়াতে এটি বহন করা কিছুটা কষ্টসাধ্য ছিল এবং সেই সাথে এটি বিনিময়ের সময় ইহার ভেজালশূন্যতা যা যাচাই করে নিতে হতো। এসব কারণে জনগণ তাদের স্বর্ণ স্বর্ণকারের নিকট আমানত হিসেবে জমা রাখত। এই সেবার বিনিময়ে তারা স্বর্ণকারদের কিছু ফি দিত এবং স্বর্ণকারের নিকট হতে রসিদ নিয়ে নিতো। এই রসিদই কাগজী মুদ্রার প্রথম সংস্করণ ছিল। একসময় স্বর্ণকারগণ বুঝলো যে, দিনশেষে আমানতকারীগণ তাদের গচ্ছিত স্বর্ণমুদ্রার খুব কম পরিমাণ ব্যয় করে এবং আমানতকারীগণ তাদের গচ্ছিত স্বর্ণমুদ্রা বা অর্থ একই সময় উত্তোলন করে না। এ কারণে স্বর্ণকারগণ তাদের ভল্টে গচ্ছিত অর্থের একটি অংশ অন্যদেরকে সুদের বিনিময়ে ঋণ দিত। এভাবে তারা প্রচুর মুনাফা অর্জন করতে লাগল। আমানতকারীদের তাদের ভল্টে স্বর্ণমুদ্রা রাখতে আকৃষ্ট করার জন্য স্বর্ণকারগণ বিনিময়ে আরও অল্প পরিমাণ ফি নেয়া শুরু করল। এভাবে সুদ আদান-প্রদানের মধ্যে স্বর্ণকারদের মুনাফা অর্জিত হয় এবং এই মুনাফা অর্জন পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাংক ব্যবস্থা উৎপত্তি ঘটে। ব্যাংক এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে জনগণের অর্থ আমানত হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং প্রয়োজনে জনসাধারণকে ঋণ প্রদান করা হয়। অর্থাৎ ব্যাংক হলো এমন এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেখানে জমাকৃত অর্থের সাথে যাদের অর্থের প্রয়োজন তাদের মধ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। অধ্যাপক কেয়ানμর্সের মতে, ব্যাংক একটি আর্থিক মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যে ঋণ ও ঋণের ব্যবসা করে। অর্থনীতিবিদ μাউদার বলেন “ব্যাংক তার নিজের ও অন্য লোকের ঋণের কারবার করে। ” প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ চেম্বার্স এর ভাষায় “ব্যাংক এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার ঋণ অন্যান্য লোকের ঋণ পরিশোধের জন্য গৃহীত হয়”। অর্থাৎ উপরের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, ব্যাংক হলো এমন একটি আথির্ক প্রতিষ্ঠান যা জনগনের অর্থ আমানত হিসেবে রাখে। প্রয়োজনের সময় অর্থ দিয়ে কৃতার্থ করে, সুদের বিনিময়ে ঋণ প্রদান করে, মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি বিনিময়ের বিভিন্ন মাধ্যম সৃষ্টি করে, বিলের বাট্টা করে মক্কেলদের হয়ে আর্থিক নিশ্চয়তা বা জামিন প্রদান করে।
ব্যাংকের শ্রেণীবিভাগ একটি দেশের অর্থনৈতিক বাজারের শীর্ষে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যা অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে এবং অর্থের বাজারকে নিয়ন্ত্রন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ বাজারের শৃঙ্খলা পরিচালনার জন্য দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে শাখা বিস্তার করে কিছু ব্যাংকের অনুমোদন দিয়ে থাকে। উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে ব্যাংকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ক) বানিজ্যিক ব্যাংক
খ) বিশেষায়িত ব্যাংক
বিশেষায়িত ব্যাংককে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমনক) শিল্প ব্যাংক
খ) কৃষি ব্যাংক
গ) বিনিময় ব্যাংক
ঘ) সঞ্চয় ব্যাংক
ঙ) সমবায় ব্যাংক
চ) কৃষি বন্ধকী ব্যাংক
ছ) ইসলামী ব্যাংক
জ) কর্মসংস্থান ব্যাংক
২) ব্যাংকের শাখার উপর ভিত্তি করে ব্যাংককে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাক) একক ব্যাংক ও খ) শাখা ব্যাংক
এছাড়া আরো কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলোর নিদিষ্ট ভূখন্ডে থেকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিচরণ করে। যেমনক) বিদেশী ব্যাংক খ) দেশীয় ব্যাংক
ছে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]