কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি

অর্থ বাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত। অর্থ বাজারের এই ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের অনুমোদন দিয়ে থাকে। সবরকম মুদ্রা প্রচলনে ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যাবলি সমূহ নিচে আলোচিত হলোক)
সাধারণ কার্যবলি মুদ্রা ও নোট প্রচলন: মুদ্রা ও নোট প্রচলন করাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এই ক্ষেত্রে একক অধিকার ভোগ করে। মুদ্রার মান সংরক্ষন: বৈদেশিক মুদ্রা বা ধাতুর সাথে দেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রার মান বা মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বজায় রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মুদ্রা বাজার পরিচালনা: দেশের অভ্যন্তরে একটি শক্তিশালী অর্থ বাজার গঠন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
ঋণ নিয়ন্ত্রণ: ঋণের স্বল্পতা বা অধিক উভয়েই দেশের অথনৈতিক উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর। তাই সঠিক ভাবে ঋণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে, নীতি-কৌশল ব্যবহার করে ঋণের পরিমান কাম্যস্তরে রাখার চেষ্টা করে। বিনিময় নিয়ন্ত্রণ: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সাম্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে রপ্তানী বৃদ্ধি পায়।
খ. সরকারের ব্যাংক হিসেবে কার্যাবলি
সরকারের তহবিল সংরক্ষণ: রাষ্ট্রীয় তহবিল ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তহবিল সংরক্ষণ করে যাকে এই ব্যাংক। আর্থিক লেনদেন সম্পাদন: সরকারের সাথে দেশ বিদেশের সব ধরনের আর্থিক দেনা পাওনা নিষ্পত্তি করে এই ব্যাংক। অর্থের আমানত গ্রহণ ও প্রদান: কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের অর্থ সরকারের তহবিলে জমা করে থাকে এবং সরকারে নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে অর্থ প্রদান করে। হিসাব সংরক্ষণ: এই ব্যাংক সরকারের বিভিন্ন খাতের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ ও পরিচালনা করে। ঋণ প্রদান ও তত্ত¡াবধান: সরকারের আর্থিক সংকটের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ হিসেবে অর্থ প্রদান করে এবং উক্ত ঋণ তত্ত¡াবধান করে থাকে। বৈদেশিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সর্ম্পক রক্ষা করা: সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক,
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহ, বিশ^ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, গোষ্ঠী উন্নয়ন ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সংযোগ রক্ষা করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিত্ব করা: সরকারের উপদেষ্টা ও পরামশর্ক হিসেবে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার কাজটি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক সর্ম্পক স্থাপনের প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পাদনে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। আর্থিক ব্যবস্থার নীতি বাস্তবায়ন: সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারের আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে সরকারকে সাহায্য করে। অর্থনীতির চাকা স্বাভাবিক রাখার জন্য কঠোর হস্তে আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করে থাকে। গ. অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে তালিকাভূক্তকরণ: নতুন নতুন ব্যাংক এর শাখা প্রতিষ্ঠার অনুমতি এবং উক্ত ব্যাংকের শাখা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করছে কিনা তা নজরদারী করে। নিকাশ ঘর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক সকল ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে তার তালিকাভূক্ত সকল ব্যাংকের সাথে দেনা-পাওনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করে। ঋণদান ও তদারকি: কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার তালিকাভূক্ত অন্যান্য ব্যাংকের প্রয়োজনে ঋণ দেয়া এবং তা কিভাবে ব্যবহার হয় তার তদারকি করে। ঋণ আদায়ে সহযোগীতা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্তর্ভুক্ত ব্যাংকসমূহ যখন প্রদত্ত ঋণের অর্থ আদায়ে সমস্যায় পড়ে তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব নিয়ম কানুন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকারকে উৎসাহ দিয়ে যুগোপযোগী আইনের মাধ্যমে ব্যাংক সমূহের ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ সাহায্যে করে। নিরীক্ষণ কাজ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক, তালিকাভূক্ত ব্যাংকসমূহ সঠিক ভাবে তাদের হিসাব কার্য পরিচালনা করছে কিনা তা নিরীক্ষণ করে থাকে। জমা সংরক্ষন: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভূক্ত ব্যাংকসমূহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কতিপয় নিয়ম মেনে চলে। যেখানে দেয়া আছে জনগনের আমানতের নির্দিষ্ট কিছু অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। উপদেশ প্রদান: তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ব্যাংক প্রতিবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক উপদেশ প্রদান করে থাকে।
ঘ. উন্নয়ন মূলক কার্যাবলী ব্যাংকিং ব্যাবস্থার প্রসারণ: সাধারণ জনগণের সুবিধা কথা চিন্তা করে, ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুবিধার কথা বিবেচনা করে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রকার নিয়ম কানুন তৈরীর মাধ্যমে উন্নয়ন কার্য সম্পাদন করে। অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন: অর্থনীতির অনেক খাত রয়েছে যেমন কৃষি, ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি খাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখে। বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসার: এই ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং মুদ্রার মান সংরক্ষণ করে। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা করে থাকে। প্রাকৃতিক সম্পদ: দেশের আবিষ্কৃত ও অনাবিষ্কৃত সম্পদ সমূহ জনগণের কল্যাণে কিভাবে নিয়োজিত করা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঙ. অন্যান্য কার্যাবলী তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা: সরকারের পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে পরামর্শ প্রদান এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক সংস্কার নীতিমালা প্রণয়নের উপর গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। বার্ষিক রিপোর্ট তৈরী ও বাস্তবায়ন: কেন্দ্রীয় ব্যাংক সারা বছরের অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং ব্যাবস্থার চিত্র প্রিন্ট আকারে জনসম্মুখে প্রকাশ করে। এতে করে জনগন দেশের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারে। উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারি যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের আর্থিক উন্নয়ন এবং জনগনের প্রয়োজনে জনগনের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংক (ঈড়সসবৎপরধষ ইধহশ) বাণিজ্যিক ব্যাংক হল এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে জনগনের ও প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে স্বল্প সুদে আমানত সংগ্রহ করে এবং যাদের অর্থের প্রয়োজন তাদের অধিক সুদে ঋণ প্রদান করে। আমরা এভাবেও বলতে পারি যে ব্যাংক জনগনের ও প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আমানত সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণ করে, লেনদেনে সহায়তা করে, ঋণ প্রদান করে, বিনিয়োগ সহায়তা করে, মূলধন গঠনে সহায়তা করে তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলী (ঋঁহপঃরড়হং ড়ভ ঈড়সসবৎপরধষ ইধহশ) আধুনিক অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত উন্নত হয়েছে। মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে বানিজ্যিক ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নি¤েœ পর্যায়μমে বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি আলোচনা করা হলক) সাধারণ কার্যাবলি ঃ বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ হল ব্যাংকিং কার্যμম পরিচালনা মাধ্যমে মুনাফা অর্জন ও সর্বোচ্চ ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা। ১) আমানত গ্রহণ: বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কাজ হল জনগণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আমানত সংগ্রহ করা। এই আমানত তিন ধরনের হতে পারেক) চলতি আমানত
খ) স্থায়ী আমানত
গ) সঞ্চয়ী আমানত
চলতি আমানতের অর্থ যে কোন সময় তোলা যায়। গ্রাহক চাওয়া মাত্র ব্যাংক তা দিতে বাধ্য থাকে। এই আমানতের উপর সুদ দেওয়া হয় না। সঞ্চয়ী আমানতের অর্থ উত্তোলন করা যায় ন। সঞ্চয়ী আমানতের উপর কিছু সুদ দেয়া হয়। স্থায়ী আমানতের টাকা মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে উঠানো যায় না। স্থায়ী আমানতের উপর বেশি সুদ পাওয়া যায়। ২) ঋণ প্রদান: বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করে এবং পরে যাদের প্রয়োজন যে সকল উদ্যোক্তাকে ঋণ হিসেবে প্রদান করে। এ ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতাদের নিকট হতে ঋণের বিপরীতে জামানত গ্রহণ হয়ে যায়। ৩) বিনিয়োগের মাধ্যম সৃষ্টি করা: নগদ অর্থের লেনদেন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নগদ অর্থের লেনদেন কমানোর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন প্রকার বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টি করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ডেবিট কার্ড, μেডিট কার্ড, ভ্রমনকারীর চেক ইত্যাদি বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি করে লেনদেন অত্যন্ত সহজতর করে তোলে। ৪) হুন্ডি বাট্রাকরণ: আর্থিক সংকটের সময় বাণিজ্যিক ব্যাংক মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই কিছু কমিশন রেখে বিনিময় বিল ভাঙ্গিয়ে দেয়। একে হুন্ডি-বাট্রা বা বিল বাট্রাকরণ বলে। ৫) ঋণ আমানত সৃষ্টি: ঋণদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো আমানতের সৃষ্টি করতে পারে। যারা ব্যাংকে হতে ঋণ গ্রহণ করে তারা অনেক সময় ঋণের টাকা নগদ না উঠিয়ে ব্যাংকের একাউন্টে জমা রাখে। দরকারের সময় চেকের মাধ্যমে সে টাকা ওঠাতে পারে। এভাবে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ হতে আমানত সৃষ্টি করে। ৬) দেশীয় ও আন্তজার্তিক বানিজ্যিক সহায়তা: দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক ব্যাবসায় বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রচুর অর্থ যোগান দেয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একই সাথে ভালো উপদেশ দেয়। তাছাড়া ও ব্যবসায়ীদের বিনিময় বিলে স্বীকৃতি প্রদান, হুন্ডি বাট্রাকরণ ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ৭) মূলধন গঠন: বাণিজ্যিক ব্যাংক আমানত হিসেবে সাধারণ জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে বড় তহবিল গঠন করে। তাছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলো মূলধন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জনহিতকর কার্যাবলি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার কার্যাবলি মুনাফা অর্জনের জন্য সীমিত রাখে না, সে সাধারণ জনগণের কল্যানে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানা কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। নিচে এ সর্ম্পকে আলোচনা করা হলো১) অর্থ স্থানান্তর: বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে চেক, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার ইত্যাদির মাধ্যমে অতিদ্রæত নিরাপদে অর্থ স্থানান্তর করে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশে^র যে কোন স্থান হতে অর্থ স্থানান্তর করে সাধারণ জনগণের উপকার করছে।
২) ওয়েজ আর্নার: বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিদেশে কর্মরত সকল দেশী শ্রমিকদের মজুরি অতি দ্রæততম সময়ের মধ্যে দেশে সকল খরচ তাদের আত্মীয়ের নিকট পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের সেবা করে থাকে। ৩) মূল্যবান দ্রব্যাদি সংরক্ষণ: বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের মূল্যবান দ্রব্যাদি ব্যাংকের নিজস্ব লকারে ন্যূন্যতম সার্ভিস চার্যের মাধ্যমে নিরাপদে সংরক্ষণ করে থাকে। ৪) ভ্রমনের সুযোগ সুবিধা তৈরী: নগদ অর্থ সাথে নিয়ে ভ্রমন করা ঝুকিপূর্ণ। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যাংক ভ্রমন, ভ্রমন চেক, ভ্রাম্যমান নোট ইত্যাদির মাধ্যমে নগদ অর্থ বহন করা থেকে ঝুকিমুক্ত করে। ৫) সনদ প্রদান: বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকের প্রয়োজনে আর্থিক স”ছলতার সনদপত্র প্রদান করে। ৬) প্রকাশনা: বাণিজ্যিক ব্যাংক তার নিজের আর্থিক অবস্থান ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থান পর্যালোচনা করে এর সাময়িকী প্রকাশ করে জনগনকে সচেতন করে তোলে। প্রতিনিধিত্ব মূলক কার্যাবলি
১) ঋণ শর্তাদি সংগ্রহ প্রদান: বাণিজ্যিক ব্যাংক তার গ্রাহকদের হয়ে চেক, লভ্যাংশ, কুপন, আয়কর, বাড়ি ভাড়া, বীমা প্রিমিয়াম, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি সংগ্রহ ও প্রদান করে থাকে। ২) ঋণপত্রের μয় বিμয়: এই ব্যাংক তার গ্রাহকদের পক্ষে শেয়ার, ডিবেঞ্চার μয় বিμয় করে থাকে। প্রাথমিক শেয়ার বিμয় করে থাকে। প্রাথমিক শেয়ার বিμয়ের জন্য কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংককে প্রতিনিধি নিযুক্ত করে থাকে।
৩) অছির কাজ: বানিজ্যিক ব্যাংক তার গ্রাহকদের বন্ধকী সম্পত্তি দেখাশোনা, গ্রাহকের হয়ে সম্পত্তির দেখাশোনা, সম্পত্তির কর আদায় ইত্যাদি অছির ন্যায় কাজ করে।
৪) বৈদেশিক বিনিময়: বাণিজ্যিক ব্যাংক বৈদেশিক দেনা পাওনা পরিশোধে সহায়তা করে। ৫) শেয়ার সিকিউরিটিজ μয় বিμয়: বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সরকারি বন্ড, সিকিউরিটিজ μয় বিμয়ে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে।
৬) অবলেখক: বাণিজ্যিক ব্যাংক নতুন নতুন কোম্পানির প্রাথমিক শেয়ার ও ঋণপত্র বিμয়ের জন্য অবলেখক হিসেবে কোম্পানিতে কাজ করে। ৭) গোপনীয়তা রক্ষা: বানিজ্যিক ব্যাংক তার সকল গ্রাহকের লেনদেন, আর্থিক অবস্থা অর্থের হিসেবে ক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে।
অন্যান্য কার্যাবলী বাণিজ্যিক ব্যাংক তার অধীনস্থ বিভিন্ন শাখার মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করে থাকে। এই ব্যাংক তাদের নিজস্ব কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা পত্র প্রকাশ ও প্রচার করে থাকে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের সমাজ সেবা কার্যμম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও বাণিজ্যিক ব্যাংক নানা ধরনের সমাজ সেবামুলক কার্যμম পরিচালনা করে থাকে। যেমন- কোন কোন ব্যাংক দরিদ্র জনগণকে মাছের খামার করে দেয়, গবাদি পশু কিনে দেয়, বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ মুলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে, যাকাতের তহবিল গঠন করে। নিম্নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের সমাজ সেবামূলক কার্যμম আলোচনা করা হল:
১) শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা: বিভিন্ন ব্যাংক দরিদ্র জনগণের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে এককালীন, মাসিক ও বাৎসরিক ভিত্তিতে বৃত্তির ব্যবস্থা চালু করেছে। এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাংকসমুহ বর্তমানে গবেষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। ২) চিকিৎস্যা ক্ষেত্রে সহায়তা: বিভিন্ন ব্যাংক বর্তমানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল সমূহে অনুদান প্রদান করছে। তাছাড়া জটিল এবং কঠিন রোগসমুহে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি μয়ে ও সহায়তা প্রদান করছে।
৩) দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা: বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাড়ায়। তারা সে সময় তাদেরকে আর্থিক সাহায্য অথবা মানবিক সাহায্য, এমনকি শীতবস্ত্র ও প্রদান করে। এর ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হয়।
৪) গনসচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়তা: বাণিজ্যিক ব্যাংক বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা যেমন যৌতুক, বাল্য বিবাহ, মাদক ইত্যাদি সম্পর্কে নানা ধরনের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে থাকে।
৫) পরিবেশ রক্ষায় ভুমিকা: বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহ শহরের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে বৃক্ষ রোপণ ও পরিচর্যা কার্যμম পরিচালনা করে, তাছাড়া রাস্তাঘাটের সৌন্দর্য বর্ধনসহ নানা ধরনের কাজ করে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। য়ে

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]