মূলধন গঠন ও দক্ষতা, বাংলাদেশে মূলধন গঠনের সমস্যাগুলো

মূলধন গঠন
সাধারণভাবে যে প্রμিয়ার মাধ্যমে মূলধনের বৃদ্ধি ঘটানো হয় তাকে মূলধন গঠন বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে প্রμিয়ার মাধ্যমে মুদ্রার সঞ্চয়, সঞ্চিত অর্থ সংগ্রহ ও এর বিনিয়োগ ঘটে তাকে অর্থনীতিতে মূলধন গঠন বলে।
অধ্যাপক বেনহামের মতে,“কোন নির্দিষ্ট সময়ে একটি সমাজ তার মূলধনের যে পরিমান বৃদ্ধি সাধন করে তাকে উক্ত সময়ের মূলধন গঠন বলা হয়।”
ধরি, বাংলাদেশে ২০০৫ সালে মূলধনের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকা এবং ২০০৬ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৫০ কোটি টাকা। এখানে বাৎসরিক মূলধন গঠনের পরিমান (১৫০-১০০) ৫০ কোটি টাকা এবং মূলধন গঠনের হার ৫০%। মূলধন গঠনের উপায় (ডধু ঃড় ঋড়ৎসধঃরড়হ ড়ভ ঈধঢ়রঃধষ) মূলধন গঠন মুলত সঞ্চয় ও বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে। মূলধন গঠনের প্রμিয়াটি তিনটি স্তরে বিভক্ত। যথা :
১) সঞ্চয়ের সার্মথ্য
২) সঞ্চয়ের ইচ্ছা
৩) বিনিয়োগের সুবিধা
১)সঞ্চয়ের সামর্থ্য ঃ মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ তার সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করে। সঞ্চয়ের সামর্থ্য আবার আয় ও ব্যয়ের ব্যবধানের ওপর নির্ভর করে। আয় ও ব্যয় সমান হলে সঞ্চয় হবে শূন্য। ব্যয় থেকে আয় বেশি হলে সঞ্চয়ের সামর্থ্য তথা সঞ্চয় হবে এবং এর একটি অংশ মূলধনে পরিণত হবে। যাদের আয় যত বেশি তাদের সঞ্চয়ের সামর্থ্যও তত বেশি। অনুন্নত দেশের আয়ের পরিমাণ, মূল্যস্তর, পরিবারের আয়তন, রুচি, অভ্যাস, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি সঞ্চয়ের সামর্থ্য নির্ধারণ করে।
২) সঞ্চয়ের ইচ্ছা: ইচ্ছার উপর সঞ্চয় নির্ভর করে। এমন অনেক লোক আছে যাদের প্রচুর আয় থাকা সত্বেও কোন সঞ্চয় নেই। বস্তুত সঞ্চয়ের পরিমাণ বহুলাংশে সঞ্চয়ের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। সঞ্চয়ের ইচ্ছা আবার নি¤েœর কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন১. দূরদৃষ্টি : ব্যক্তি যদি দূরদর্শী হয় অর্থাৎ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বর্তমান আয় থেকে কিছু কিছু সঞ্চয় করে।
২. প্রতিপত্তি লাভের আকাক্সক্ষা : অনেক ব্যক্তি সমাজে সম্পদশালী, প্রভাব প্রতিপত্তি ও আধিপত্য বিস্তার করার জন্য আয়ের সম্পূর্ন ভোগ ব্যয় না করে সঞ্চয় করে, এ সঞ্চয় মূলধনে পরিণত হয়। ৩. অধিক সুদের হার : সমাজে সুদের হার যখন বেশি হয়, তখন জনগন বর্তমান ভোগ থেকে বিরত থেকে সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়। এতে মূলধন গঠিত হয়। ৪. নিরাপত্তা : সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তা ও সঞ্চিত সম্পদের নিরাপত্তা থাকলে মানুষ সঞ্চয়ে আগ্রহী হয়। ৫. কৃপনতা : সমাজে অনেক ব্যক্তি আছে যারা খরচ করতে কৃপনতা করেন। তারা দৈনন্দিন খরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয় করেন। ৬. বিনিয়োগের সুবিধা : যে সমাজে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, অর্থাৎ বিনিয়োগ লাভজনক, সে সমাজের মানুষ সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ হয়। ৭. কর ব্যবস্থা : কর ব্যবস্থা যদি এমন হয়, সে সঞ্চিত অর্থের উপর কোন কর দিতে হবে না, তখন মানুষ বেশি করে সঞ্চয় করতে উদ্ধুদ্ধ হয়। অর্থাৎ সরকারের করব্যবস্থা ও নীতি জনসাধারনের সঞ্চয় অভ্যাসকে প্রভাবিত করে। ৮. ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত সম্পদ আহরণকে উৎসাহিত করা হয়। তাই ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় সঞ্চয় ও মূলধন দ্রæত বৃদ্ধি পায়। ৩) বিনিয়োগের সুবিধা: মূলধন গঠন অনেকাংশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধার উপর নির্ভর করে। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করে। হরতাল, ধর্মঘট, সন্ত্রাস ইত্যাদির কারণে জনগনের মধ্যে জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার অভাব দেখা যায়। দেশে বা সমাজে বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে একদিকে উদ্যোক্তাগণের লাভ হবে, অন্যদিকে বিনিয়োগের পরিবেশ অনুকূল হলে সাধারণ জনগনের মধ্য থেকে অনেকে উৎসাহিত হয়ে ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এর জন্য মূলধন গঠনের প্রচেষ্টা চালাবেন। বাংলাদেশে মূলধন গঠনের সমস্যা (চৎড়নষবসং ড়ভ ঈধঢ়রঃধষ ঋড়ৎসধঃরড়হ রহ ইধহমষধফবংয) ১) স্বল্প আয়: বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ বিধায় জনগনের মাথা পিছু আয়ও কম। মুদ্রা¯ফীতির হার বেশি হওয়ায় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেশী। তাই বাংলাদেশে জনগনের ভোগ ব্যয় নির্ধারণের পর সঞ্চয়ের পরিমাণ তেমন থাকে না। ২) সঞ্চয় প্রবণতা কম: যেহেতু আমাদের দেশে মানুষের আয় স্বল্প, ভোগ প্রবনতা অধিক, তাই সঞ্চয় প্রবনতা কম। সঞ্চয় প্রবণতা কম হওয়ায় মুলধন গঠনের হারও কম। ৩) সঞ্চয় সংগ্রহে ঝামেলা: আমাদের দেশে গ্রামগঞ্জে এখনো প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ব্যাংকিং কাঠামো সম্প্রসারিত হয়নি। তাই দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে বিনিয়োগের তহবিল সৃষ্টি করা কঠিন। ৪) কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা: আমাদের দেশের উদ্যোক্তা শ্রেণী ও মানব সম্পদ, কোনটি কাঙিক্ষত মানের নয়। তারা আধুনিক প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে পারে না বিধায় স্বল্প আয়, স্বল্প উৎপাদনের চμ থেকে বের হতে পারে না। ৫) সুদের উচ্চ হার: আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতে সুদের হার বেশী হওয়ায় উদ্যোক্তারা ঋণ গ্রহণে কম আগ্রহী হয়। ফলে উৎপাদন থেকে আয় স্বল্প হয় এবং মুলধন গঠন কমে য়ায়। ৬) উচ্চকর হার: করের হার উচ্চ বিধায় আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগন কর প্রদানে আগ্রহী হয় না। এছাড়া আইনগত দুর্বলতার কারণে কর ফাঁকির প্রবণতাও অধিক। ফলে মূলধন গঠন ব্যাহত হয়। ৭) বিনিয়োগের বিরূপ পরিবেশ: আর্থসামাজিক অবকাঠামোর দিক থেকে আমাদের দেশ এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। মানসম্মত কাঁচামালের অভাব, দুর্বল যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা প্রভৃতি কারণে কাঙিক্ষত বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ অনুপস্থিত। ৮) রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা: আমাদের দেশে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘট, সন্ত্রাস ইত্যাদির কারণে জনগনের মধ্যে জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার অভাব দেখা যায়। জনগনের জানমালের নিরাপত্তার অভাবে সঞ্চয়ের ইচ্ছা হ্রাস পায়। বাংলাদেশে মূলধন গঠন বৃদ্ধির উপায় বাংলাদেশের মত স্বল্প আয়ের উন্নয়নশীল দেশে মূলধন গঠনের ক্ষেত্রে যে সকল অসুবিধা থাকে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই তার অনেকখানি কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার বাড়ার কারণে মূলধন গঠনের হার ও বেড়েছে। বাংলাদেশে মূলধন গঠন বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: ১) উন্নয়ন কর্মকান্ডে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য দেশজ সম্পদকে ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য সরকার করের পরিধি বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব উদ্বৃত্ত সৃষ্টি করে তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। ২) উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সফল বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। ৩) দক্ষ উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।এ জন্য বিনিয়োগ অনুকূল আর্থিক নীতি, রাজস্ব নীতি ,কর নীতি, শিল্প নীতি,বাণিজ্য নীতি প্রনয়ন করা প্রয়োজন। ৪) অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে প্রকৃত মূলধন বৃদ্ধি করা যায়। অর্থাৎ রাস্তাঘাট, পুল, সেতু ইত্যাদি নির্মাণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করা হলে মূলধন সামগ্রীর যোগান বৃদ্ধি পায়। ৫) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থা ও চুক্তির ভিত্তিতে অন্যান্য দেশ থেকে পাওয়া ঋণ ও সাহায্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে মূলধন গঠন বৃদ্ধি করা যায় । ৬) তাছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুদের হার যদি কমানো যায় তাহলে মূলধন গঠন আরো বৃদ্ধি পাবে।
মূলধনের গতিশীলতা
মূলধনের গতিশীলতা বলতে মূলত মূলধনের স্থানান্তরকে বোঝায়। মূলধন এক কারবার হতে অন্য কারবারে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর হতে পারে। মুলধনে এ ধরণের স্থানান্তরকে মুলধনের গতিশীলতা বলে। মূলধনের গতিশীলতাকে মোটামোটি তিন ভাগে ভাগ করা য়ায়। যথা:
১) ভৌগলিক গতিশীলতা: এটি দুই প্রকার।
ক) অভ্যন্তরীণ খ) আর্ন্তজাতিক।
ক. অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা : দেশের ভিতরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মূলধন স্থানান্তর করলে তাকে মূলধনের অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা বলে। যেমনঃ ঢাকা থেকে মূলধন রাজশাহীতে স্থানান্তরের মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে তাকে মূলধনের অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা বলা হবে।
খ. আর্šÍজাতিক গতিশীলতা: এক দেশ থেকে অন্য দেশে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মুলধন স্থানান্তর করলে তাকে মুলধনের আর্ন্তজাতিক গতিশীলতা বলে। যেমনঃ বাংলাদেশ থেকে মূলধন দুবাই স্থানান্তরের মাধ্যমে বিনিয়োগ করলে এটি আন্তর্জাতিক গতিশীলতা হবে।
২) কারবারগত গতিশীলতা : এক ব্যবসায় থেকে অন্য ব্যবসায়, এক শিল্প থেকে অন্য শিল্পে মুলধন স্থানান্তর হলে তাকে কারবারগত গতিশীলতা বলে। যেমনঃ কৃষিবিদ গ্রুপ যদি তাদের মূলধন কৃষিবিদ বিল্ডারস্ এ স্থানান্তর করে তবে তা কারবারগত গতিশীলতা হবে। ৩) স্তরগত গতিশীলতা : চলতি মূলধন যদি স্থায়ী মূলধন ব্যয়ে ব্যবহার করা হয় তখন চলতি মূলধন স্থায়ী মূলধনে রূপান্তরিত হয়। এভাবে এক প্রকার মূলধন থেকে অন্য প্রকার মূলধনের রূপান্তরকে মূলধনের স্তরগত গতিশীলতা বলে। যেমনঃ একটি যন্ত্রপাতি কেনা হল ১০০০০০ টাকায়। এটি একটি স্থায়ী মূলধন। এরপর চলতি মূলধন ২০০০০ টাকা দিয়ে যন্ত্রপাতি মেরামত করা হল। এখন যন্ত্রপাতির মোট মুল্য দাঁড়াল ১২০০০০ টাকা। অর্থাৎ চলতি মূলধনের ২০০০০ টাকা স্থায়ী মুলধনে রূপান্তরিত হল। মূলধনের গতিশীলতার প্রভাব : (১) মূলধনের গতিশীলতার ফলে সংশ্লিষ্ট দেশের আয় সহজেই বৃদ্ধি পায়। (২) দেশের অভ্যন্তরে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়, অপরদিকে বিদেশেও দেশি বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। (৩) এর মাধ্যমে মুদ্রার বিনিময় হারের ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। (৪) এর মাধ্যমে আঞ্চলিক ধন-বৈষম্য দূর হয়। মূলধনের দক্ষতা (ঊভভরপরবহপু ড়ভ ঈধঢ়রঃধষ) মূল্ধনের দক্ষতা বলতে মূলত মূলধনের উৎপাদন দক্ষতাকে বোঝায়। একটি উৎপাদন প্রμিয়া বা ব্যবসায়িক প্রμিয়াতে নিয়োজিত মূলধন ব্যয়ের হারের সাথে উৎপাদিত পণ্যের অনুপাতকে মূলধনের দক্ষতা বলে। গাণিতিকভাবেমূলধনের দক্ষতা = {একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য} এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা মুনাফা রেখা তৈরি করে সেখান থেকে পরবর্তী উৎপাদন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কেননা, অনুপাতটি থেকে দেখা যাচ্ছে যে মূলধন ব্যয়ের হার কমে গেলে মূলধনের দক্ষতা বেড়ে গিয়ে লাভের সুযোগ বেড়ে যায়। তাছাড়া মূলধনের দক্ষতার পর্যায়μমিক হিসাব নিকাশ দেখে বিনিয়োগকারীরা সহজেই নির্ধারণ করতে পারেন যে ব্যবসার অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে। মূলধনের দক্ষতা ব্যবহার করে উৎপাদন কর্মকর্তাগণ গতিবিধি সম্পর্কে সতর্ক থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। রেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নগদ অর্থ হিসেবে তা পেয়ে যাবেন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]