জাতীয় আয়ের বিভিন্ন ধারণা,জাতীয় আয় ধারণার গুরুত্ব

মোট জাতীয় উৎপাদন
সংক্ষেপে বলা যায়, একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণতঃ এক বছর) একটি দেশের জনসাধারণ কর্তৃক উৎপাদিত (দেশের
ভিতরে ও বাইরে) চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার বাজার মূল্যের সমষ্টি হচ্ছে ঐ দেশের মোট জাতীয় উৎপাদন। এখানে
‘জনসাধারণ’ এবং ‘চূড়ান্ত’ শব্দ দুটোর একটু ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। প্রথমতঃ ‘জনসাধারণ’ বলতে একটি দেশের
নাগরিকদের বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে অবস্থানরত শুধুমাত্র দেশীয় নাগরিকদের উৎপাদিত
দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার বাজার মূল্যই এখানে বিবেচ্য। এ সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকগণ কর্তৃক
অর্জিত আয় বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের অন্তর্ভূক্ত হবে। দ্বিতীয়তঃ ‘চূড়ান্ত’ দ্রব্য বলতে ঐ সকল দ্রব্যসামগ্রীকে বুঝানো
হয়েছে যে সকল দ্রব্যসামগ্রী চূড়ান্তভাবে ব্যবহারের জন্য μীত হয় এবং যেগুলো পরিবর্তনযোগ্য ও পুনঃবিμয়যোগ্য নয়
অর্থাৎ এসব দ্রব্য শুধুমাত্র ভোগ করা হয়, নতুন দ্রব্য উৎপাদনে এগুলো ব্যবহার করা হয় না। অন্যদিকে, নতুন দ্রব্য
রূপান্তরযোগ্য এবং পুনঃবিμয়যোগ্য দ্রব্যসামগ্রী ‘মাধ্যমিক’ দ্রব্য নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, বেকারীতে ময়দা থেকে
পাউরুটি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে, ‘পাউরুটি’ হচ্ছে চূড়ান্ত দ্রব্য এবং ময়দা হচ্ছে মাধ্যমিক দ্রব্য। তবে আপনি যদি ঘরে রুটি
তৈরি করার জন্য ময়দা কেনেন, সেক্ষেত্রে ময়দা একটি চুড়ান্ত দ্রব্য।

নিচের দ্রব্যগুলোর মধ্যে কোনগুলো চূড়ান্ত দ্রব্য, কোনগুলো মাধ্যমিক দ্রব্য এবং কোনগুলো চূড়ান্ত ও মাধ্যমেক উভয়
ধরণের দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় লিখুন: সুতা, কাপড়, চাল, মুড়ি, শার্ট, তুলা, ধান, পাট, চিনি, তৈল।

নীট জাতীয় উৎপাদন

‘জাতীয় আয়’ বিশ্লেষণের জন্য ‘মোট জাতীয় উৎপাদন’ সবচেয়ে শক্তিশালি এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি ধারণা। কিন্তু
জাতীয় আয় বিশ্লেষণে এ ধারণা ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরণের অসুবিধা রয়েছে। উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান হলো মূলধন (কারখানার যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম প্রভৃতি)। প্রতিদিনের ব্যবহারে মূলধন সামগ্রী ক্ষয়প্রাপ্ত হয় অথবা
একপর্যায়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কাজেই উৎপাদন প্রμিয়া অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রতিবছর পুরাতন যন্ত্রপাতি ও
সরঞ্জাম মেরামত অথবা প্রতিস্থাপনে অর্থ ব্যয় হয়, অর্থনীতিতে এ ধরণের ব্যয় ‘অপচয়’ (উবঢ়ৎবপরধঃরড়হ) অথবা ‘মূলধনের
ব্যবহারজনিত ব্যয়’ () নামে পরিচিত। এই ব্যয় শুধুমাত্র পূর্বের উৎপাদন
প্রμিয়াকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য করা হয়। বিদ্যমান উৎপাদনের পরিমাণের পরিবর্তনে এই ব্যয়ের কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু
মোট জাতীয় আয়ের হিসেবে এই ব্যয়কেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়। কেননা মোট জাতীয় উৎপাদনে একটি নির্দিষ্ট বছরে একটি
দেশের জনগণ কর্তৃক উৎপাদিত সকল মূলধন সামগ্রীর বাজার মূল্যকে বিবেচনা করা হয়। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, মোট


জাতীয় উৎপাদন ধারণাটির সাহায্যে একটি দেশের নীট উৎপাদন সম্পর্কে মন্তব্য করা জটিল বিষয়। মোট জাতীয় উৎপাদন
ধারণার অন্তর্নিহিত এ দূর্বলতার জন্য অর্থনীতিবিদগণ নীট জাতীয় উৎপাদন ধারণাটির প্রবর্তন করেন যা মূলধণের
ব্যবহারজনিত ব্যয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং যা একটি দেশের বার্ষিক জাতীয় উৎপাদনের নীট বৃদ্ধির শ্রেয়তর পরিমাপক।

সংক্ষেপে নি¤েœাক্তভাবে নীট জাতীয় উৎপাদনের সংজ্ঞা প্রদান করা যায়;
একটি দেশের জনগণ কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদিত সকল দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের বাজারমূল্য থেকে মূলধনের
ব্যবহারজনিত ব্যয় বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে তা-ই সে দেশের নীট জাতীয় উৎপাদন।
অন্যভাবে বলা যায়,

নীট জাতীয় উৎপাদন  মোট জাতীয় উৎপাদন - মূলধনের ব্যবহারজনিত ব্যয়
ঘঘচ  এঘচ - ঈঈঅ


ধরুন ১৯১৪-১৫ অর্থ বছরে বাংলাদেশের এঘচ (চলতি বাজার মূল্য) = ১১০০ বিলিয়ন টাকা এবং ঘঘচ (চলতি
বাজার মূল্য) = ৯০০ বিলিয়ন টাকা ছিল। উল্লেখিত অর্থ বছরে বাংলাদেশে মূলধণের অবচয়জনিত ব্যয় কত হয়েছিল?
লিখুন।

মোট দেশজ উৎপাদন

একটি দেশের অভ্যন্তরে (ভৌগলিক সীমানায়) একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণতঃ এক বছর) সে দেশের নাগরিকবৃন্দ এবং
বিদেশী ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের আর্থিক বা বাজার মূল্যের সমষ্টিকে আলোচ্য দেশের
মোট দেশজ বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বলা হয়। সংজ্ঞাগতভাবে, মোট জাতীয় উৎপাদনের সাথে মোট দেশজ
উৎপাদনের সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। মোট জাতীয় উৎপাদনে শুধুমাত্র দেশীয় নাগরিকদের (দেশে অথবা বিদেশে
অবস্থানরত) আয়কে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। অন্যদিকে, মোট দেশজ উৎপাদনে দেশে অবস্থানকারী বিদেশীদের আয়ও
অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত দেশীয় নাগরিকদের আয় মোট জাতীয় উৎপাদনে অন্তর্ভূক্ত মোট দেশজ উৎপাদন নয়।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, মোট দেশজ উৎপাদন পরিমাপের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় দেশের ভৌগলিক সীমানাকে,
অর্থাৎ দেশের ভৌগলিক সীমানার ভিতরে যা উৎপাদিত হচ্ছে (দেশের জনগণ এবং বিদেশী ব্যক্তি কর্তৃক) তাদের মোট
মূল্য হচ্ছে এউচ। পক্ষান্তরে, দেশের জনগণ যা উৎপাদন করছে (দেশের ভিতরে বা বাইরে) তাদের মোট মূল্য হচ্ছে
এঘচ। পরিমাপের দিক থেকে, মোট জাতীয় উৎপাদন ও মোট দেশজ উৎপাদনের সম্পর্ক নি¤েœাক্তভাবে প্রকাশ করা যায়;
মোট জাতীয় উৎপাদন  মোট দেশজ উৎপাদন - দেশে অবস্থানকারী
বিদেশীদের আয়
#NAME?
নাগরিকদের আয়



উপরোল্লেখিত সম্পর্ক থেকে এটা স্পষ্ট যে, বিদেশে অবস্থানকারী দেশীয় নাগরিকদের আয় যদি দেশে অবস্থানকারী
বিদেশীদের আয়ের সমান হয় তবে, মোট জাতীয় উৎপাদন ও মোট দেশজ উৎপাদন পরস্পর সমান হবে।

মি. জাহাঙ্গীর মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন। তাঁর স্ত্রী বাংলাদেশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন। মি. জাহাঙ্গীর
কর্তৃক প্রেরিত অর্থ কোন দেশের জিএনপি-এর অংশ? তাঁর স্ত্রীর আয় কোন দেশের জিএনপি-এর অংশ?


আর্থিক ও প্রকৃত জাতীয় উৎপাদন
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জেনেছি যে, মোট জাতীয় উৎপাদন তথা জাতীয় উৎপাদনের দুটো উপাদান
রয়েছে- বস্তুগত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা। এদের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। তাছাড়া এদের বাজার মূল্য
পরিবর্তিত হতে পারে। দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার পরিমাণ বা বাজার মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে জাতীয় উৎপাদনের হিসেবেও
হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কেবলমাত্র জাতীয় উৎপাদনের হ্রাস-বৃদ্ধি থেকে একটি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে সঠিক
ধারণালাভ করা সম্ভব নয়। কারণ জাতীয় উৎপাদনের পরিবর্তন শুধুমাত্র বাজার মূল্যের পরিবর্তনের ফলেও হতে পারে।
এক্ষেত্রে আর্থিক ও প্রকৃত জাতীয় উৎপাদনের ধারণা দুটো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক জাতীয় উৎপাদন বলতে চূড়ান্ত
দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার চলতি বাজার মূল্যকে বুঝায়। অন্যদিকে, প্রকৃত জাতীয় উৎপাদন হলো স্থির বাজার মূল্যে প্রকাশিত
দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার পরিমাণ। চলতি বাজারমূল্য বলতে বর্তমানে দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা যে মূল্যে বিμি হচ্ছে তাকে বুঝায়।
অন্যদিকে, স্থির বাজার মূল্য বলতে পূর্বের কোন একটি স্বাভাবিক বছরে (যে বছরে খড়া, বন্যা, যুদ্ধবিগ্রহ, রাজনৈতিক
অস্থিতিশীলতা এসবের প্রচন্ডতা তুলনামূলকভাবে কম ছিল) দ্রব্যসামগ্রী ও সেবা যে মূল্যে বিμি হত তাকে বুঝায়। একটি
উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি আরো সহজভাবে বুঝানো যায়। মনে করি, কোন দেশ একটিমাত্র দ্রব্য, যেমন- চিনি, উৎপাদন
করে। ধরুন, ২০০৫ সালে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ছিল ৫০০ কিলোগ্রাম এবং প্রতি কিলোগ্রাম চিনির বাজার দাম ছিল
২০ টাকা। সুতরাং ২০০৫ সালে দেশটির আর্থিক জাতীয় উৎপাদন ছিল = (৫০০২০) = ১০,০০০ টাকা। অনুরূপভাবে
মনে করুন, ২০১৫ সালে চিনির মোট উৎপাদন ছিল ৬০০ কিলোগ্রাম এবং প্রতি কিলোগ্রাম চিনির বাজার দাম ছিল ৩০
টাকা। কাজেই ২০১৫ সালে দেশটির আর্থিক জাতীয় উৎপাদন ছিল = (৬০০৩০) = ১৮,০০০ টাকা যা ২০০৫ সালের
আর্থিক জাতীয় উৎপাদন অপেক্ষা ৮,০০০ টাকা অর্থাৎ ৮০% বেশী।
এখন মনে করুন, ২০১৫ সালে চিনির দামের কোন পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ ২০১৫ সালেও প্রতি কিলোগ্রাম চিনির বাজার
দাম ছিল ২০ টাকা। অন্য কথায়, আমরা ২০০৫ সালের বাজার দামে ২০১৫ সালের জাতীয় উৎপাদন পরিমাপ করতে
চাই। ২০০৫ সালের বাজার দামে ২০১৫ সালের জাতীয় উৎপাদন হবে (৬০০২০) = ১২,০০০ টাকা। সুতরাং, ২০১৫
সালের প্রকৃত জাতীয় উৎপাদন ১২,০০০ টাকা যা ২০০৫ সালের চেয়ে ২,০০০ টাকা বা ২০% বেশী। লক্ষ্য করুন,
২০০৫ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে চিনির প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে (৬০০-৫০০) = ১০০ কিলোগ্রাম বা ২০%। উপরের
আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে, বস্তুগত উৎপাদন এবং দ্রব্যমূল্যের যে কোন একটি স্থির থেকে অপরটি বাড়লে
অথবা দুটো একই সাথে বাড়লে আর্থিক জাতীয় উৎপাদন বাড়বে। অন্যদিকে, প্রকৃত জাতীয় উৎপাদন বাড়বে শুধুমাত্র
বস্তুগত উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে।
আর্থিক ও প্রকৃত দেশজ উৎপাদন
আর্থিক ও প্রকৃত দেশজ উৎপাদনও পূর্বের মতই হিসেব করা যায়। আগের উদাহরণটির সাহায্যেই বিষয়টি সহজভাবে বুঝা
যেতে পারে। ধরুন, দেশটির ভৌগলিক সীমানায় একটিমাত্র দ্রব্য, যেমন- চিনি, উৎপাদিত হয়। ধরুন, ২০০৫ সালে
উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ছিল ৫০০ কিলোগ্রাম এবং প্রতি কিলোগ্রাম চিনির বাজার দাম ছিল ২০ টাকা। সুতরাং ২০০৫
সালে দেশটির আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন ছিল = (৫০০২০) = ১০,০০০ টাকা। অনুরূপভাবে মনে করুন, ২০১৫
সালে চিনির মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ৬০০ কিলোগ্রাম এবং প্রতি কিলোগ্রাম চিনির বাজার দাম ছিল ৩০ টাকা। কাজেই
২০১৫ সালে দেশটির আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন ছিল = (৬০০৩০) = ১৮,০০০ টাকা যা ২০০৫ সালের মোট
দেশজ উৎপাদন অপেক্ষা ৮,০০০ টাকা অর্থাৎ ৮০% বেশী।
এখন মনে করুন, ২০১৫ সালে চিনির দামের যে পরিবর্তন হয়েছে তা বিবিচনায় না নিয়ে আমরা ২০০৫ সালের বাজার
দামে ২০১৫ সালের মোট দেশজ উৎপাদন পরিমাপ করতে চাই। তাহলে ২০০৫ সালের বাজার দামে ২০১৫ সালের মোট
দেশজ উৎপাদন হবে (৬০০২০) = ১২,০০০ টাকা। এই ১২,০০ টাকাই হলো ২০১৫ সালে দেশটির প্রকৃত মোট দেশজ
উৎপাদন যা ২০০৫ সালের চেয়ে ২,০০০ টাকা বা ২০% বেশী। লক্ষ্য করুন, ২০০৫ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে চিনির
প্রকৃত উৎপাদন বেড়েছে (৬০০-৫০০) = ১০০ কিলোগ্রাম বা ২০%। উপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি যে,
বস্তুগত উৎপাদন এবং দ্রব্যমূল্যের যে কোন একটি স্থির থেকে অপরটি বাড়লে অথবা দুটো একই সাথে বাড়লে আর্থিক
মোট দেশজ উৎপাদন বাড়বে। অন্যদিকে, প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন বাড়বে শুধুমাত্র বস্তুগত উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]