মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর

আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন থেকে প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন পরিমাপের ক্ষেত্রে মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর
ব্যবহার করা হয়। মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর বের করার জন্য আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদনকে মোট প্রকৃত দেশজ
উৎপাদন দ্বারা ভাগ করতে হয়। উপরের উদাহরণে ২০১৫ সনে আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ১৮,০০০ টাকা ও
প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ১২,০০০ টাকা। ২০১৫ সনে মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর হচ্ছে নি¤œরূপ:

মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর = ----------------------------  ১০০

= (১৮,০০০১২,০০০)১০০ = ১৫০
মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর কেন প্রয়োজন?
মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর জানা থাকলে আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন থেকে অতি সহজে প্রকৃত মোট দেশজ
উৎপাদন পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি, প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন জানা থাকলেও আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন বের করা
যায়। উপরের উদাহরণে, ২০১৫ সালের আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন ছিল ১৮,০০০ টাকা। মোট দেশজ উৎপাদন
ডিফ্লেটর ব্যবহার করে আমরা প্রকৃত প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন পাই- ১০০ ১২ ০০০
একটি দেশের মূল্যস্ফীতির হার হিসেব করতেও মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০১৫
সনে একটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন ডিফ্লেটর ছিল ১৫০ এবং ২০১৪ সনে তা ছিল ১৪০। তাহলে ২০১৫ সনে
দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল নি¤œরূপ -
মূল্যস্ফীতির হার = (১৫০ - ১৪০)/১৪০= ০.০৭১৪ অর্থাৎ ৭.১৪%।
মাথাপিছু জাতীয় আয় (চবৎ ঈধঢ়রঃধ ঘধঃরড়হধষ ওহপড়সব)
একটি দেশের জনসাধারণের জনপ্রতি গড় জাতীয় আয়কে মাথাপিছু জাতীয় আয় বলে। মোট জাতীয় আয়কে মোট
জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ দিলে মাথাপিছু জাতীয় আয় পাওয়া যায় অর্থাৎ
মাথাপিছু জাতীয় আয় = মোট জাতীয় আয়
 ১০০ মোট জনসংখ্যা
এখানে উল্লেখ্য যে, মাথাপিছু জাতীয় আয় একটি দেশের জনগণের কেবলমাত্র জনপ্রতি প্রাপ্যতা (ধাধরষধনরষরঃু) নির্দেশ
করে। এটা কখনই নির্দেশ করে না যে, দেশের প্রতিটি মানুষ একই পরিমাণ আয় উপার্জন করছে। অন্যভাবে বলা যায়,
মাথাপিছু জাতীয় আয় কোন দেশের জাতীয় আয়ের বন্টন সম্পর্কে কোন প্রকার ধারণা দিতে পারে না।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বর্ষপঞ্জী, ১৯৯৪ হাতের কাছে নিন। ১৯৯২-৯৩ ও ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরের আর্থিক ও প্রকৃত
জাতীয় আয় বের করুন। ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছরের প্রকৃত জাতীয় আয় থেকে ১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরের প্রকৃত জাতীয় আয়
কত টাকা বেশী? ১৯৯২-৯৩ অর্থ বছরের জাতীয় আয় ডিফ্লেটর ও মাথাপিছু জাতীয় আয় কত?
ব্যক্তিগত আয় ও ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য আয় (চবৎংড়হধষ ওহপড়সব ধহফ চবৎংড়হধষ উরংঢ়ড়ংধনষব ওহপড়সব)
ব্যক্তি বা পরিবারবর্গ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত থেকে যে আয় অর্জন করে তা ব্যক্তিগত আয় হিসেবে
পরিচিত। কিন্তু ব্যক্তিবর্গ তাদের উপার্জিত আয়ের সম্পূর্ণ অংশ ব্যবহার করতে পারে না। রাষ্ট্রের প্রচলিত নীতিমালা
অনুযায়ী, আয়ের একটি অংশ কর হিসেবে প্রদান করতে হয়। কর প্রদানের পর আয়ের যে অংশ থাকে তা ব্যক্তিবর্গ ভোগ
আর্থিক মোট দেশজ উৎপাদন
প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন
ও সঞ্চয় অথবা বিনিয়োগে ব্যবহার করতে পারে। অন্যদিকে, কর্মসংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু অর্থ প্রাপ্তিও মানুষের জীবনে ঘটে
যেমন বকশিশ, দান, যাকাত, পেনশন, লটারী, উৎসব ভাতা, বেকার ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, ইত্যাদি। এসব কর্মবিহীণ প্রাপ্তিকে
বলা হয় অ-কর্মসংশ্লিষ্ট প্রাপ্তি (ঞৎধহংভবৎ চধুসবহঃ)। এসব প্রাপ্তিসমূহ মানুষের ব্যক্তিগত আয়ের অর্ন্তভ’ক্ত না হলেও
এগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য আয়ে অন্তর্ভূক্ত হয় কারণ সেগুলো তারা তাদের দৈনন্দিন ভোগ ব্যয়ে ব্যবহার
করতে পারে অথবা সঞ্চয় করতে পারে। কাজেই একজন ব্যক্তির যা যা উপার্জন বা প্রাপ্তি তা তিনি ভোগ ব্যয়ে ব্যবহার
করতে পারেন অথবা সঞ্চয় করতে পারেন। কাজেই ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য আয় = ব্যক্তিগত আয় - ব্যক্তিগত কর + অকর্মসংশ্লিষ্ট প্রাপ্তি।
শিক্ষার্থীর কাজ
মিসেস মাধবী একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি মাসিক ৫,৫০০ টাকা বেতন পান। তাঁর স্বামী একজন সরকারী চাকুরিজীবি
ছিলেন। স্ত্রী হিসেবে তিনি স্বামীর পেনশন বাবদ প্রতি মাসে ১০০০০ টাকা পাচ্ছেন। অন্যদিকে, পৌরকর ও সামাজিক
নিরাপত্তার বীমা হিসেবে তাঁকে প্রতি মাসে যথাμমে ৫০০ টাকা ও ৩০০ টাকা দিতে হয়। এখন বলুন দেখি, মিসেস
মাধবীর ব্যক্তিগত আয় কত? তাঁর ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য আয় কত? যদি পৌরকর বৃদ্ধি পায় তাহলে তাঁর ব্যক্তিগত
আয় কিভাবে প্রভাবিত হবে?
জাতীয় আয়ের বিভিন্ন পরিমাপের সম্পর্ক
মোট জাতীয় উৎপাদন
(-) মূলধনের ব্যবহারজনিত ব্যয়
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ১ ও ২ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
মি. জাহাঙ্গীর মালয়েশিয়ায় বসবাস করেন। তাঁর বাড়ী গাজীপুর জেলায়। তাঁর স্ত্রী সালমা একজন ভারতীয় বংশদ্ভুত
বাংলাদেশী। টংগী পৌরসভায় অবস্থিত একটি আর্ন্তজাতিক কোম্পানীতে চাকুরী করেন। তাঁর বড় ছেলে মাহী ভারতে
পড়াশুনা করছে। মি. জাহাঙ্গীর তাঁর উর্পাজিত অর্থের একাংশ তাঁর স্ত্রীকে পাঠান। অবশিষ্ট অংশ নিজের জন্য ব্যয় করেন।
১। মি. জাহাঙ্গীর কর্তৃক প্রেরিত অর্থ কোন দেশের জিএনপি-এর অংশ?
(ক) বাংলাদেশ (খ) মালয়েশিয়া
(গ) ভারত (ঘ) উপরের কোনটিই নয়।
২। তাঁর স্ত্রীর আয় কোন দেশের জিএনপি-এর অংশ?
(ক) বাংলাদেশ (খ) মালয়েশিয়া
(গ) ভারত (ঘ) উপরের কোনটিই নয়।
৩। মূলধনের ব্যবহারজনিত ব্যয় অন্তর্ভূক্ত থাকে
(ক) মোট জাতীয় আয়ে (খ) নীট জাতীয় আয়ে
(গ) নীট অভ্যন্তরীণ আয়ে (ঘ) উপরের কোনটিই সঠিক নয়
৪। আর্থিক ও প্রকৃত জাতীয় আয়ের অনুপাতকে বলা হয়
(ক) জাতীয় আয় ডিফ্লেটর (খ) মূদ্রাস্ফীতি
(গ) ক ও খ উভয়ই (ঘ) উপরের কোনটিই নয়
নিচের উদ্দীপকটি পড়–ন এবং ৫ ও ৬ নং প্রশ্নের উত্তর দিন।
মিসেস মুসাদ একজন ব্যাংকার। বেতন হিসেবে তাঁর বাৎসরিক আয় ১০০০০০টাকা। তাঁর স্বামী মি. মুসাদ সিংগাপুরে
কর্মরত একজন প্রকৌশলী। মিসেস মুসাদ তাঁর স্বামীর নিকট থেকে মাসিক ৫০০০ টাকা পান। অন্যদিকে, তাঁকে পৌরকর
৩০০ টাকা, ব্যাক্তিগত আয় কর ৩০০০ টাকা ও সামাজিক নিরাপত্তার বীমা হিসেবে মাসিক ১০০ টাকা প্রদান করতে হয়।
৫। মিসেস মুসাদের ব্যক্তিগত আয় কত টাকা?
(ক) ১০৫৪০০ (খ) ১০৪৬০০ (গ) ১০০০০০
(ঘ) যদি উপরের কোনটিই সঠিক না হয়, এখানে সঠিক হিসেবটা লিখুন .............।
৬। তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাবহারযোগ্য আয় কত টাকা ?
(ক) ১০০০০০ (খ) ১০৫০০০ (গ) ১০১৬০০
(ঘ) যদি উপরের কোনটিই সঠিক না হয়, এখানে সঠিক হিসেবটা লিখুন

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]