আয় পদ্ধতি

একটি অর্থনীতিতে দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার উৎপাদন হচ্ছে উৎপাদনের বিভিন্ন উপকরণের উৎপাদনশীল কর্মকান্ডের ফসল। এ
উৎপাদনশীল বা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ও উপ খাত যেমন- কৃষি, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,
ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, খনি প্রভৃতিতে বিস্তৃত। বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত উৎপাদনের উপকরণসমূহ উৎপাদন
প্রতিষ্ঠান তথা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে যা উপকরণসমূহের আয় হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ
উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের জন্য যা উপকরণ ব্যবহারের ব্যয়, উপকরণসমূহের মালিক হিসেবে তা পরিবারবর্গের আয়। আয়
পদ্ধতিতে তাই জাতীয় আয় হচ্ছে উপকরণসমূহের আয়ের যোগফল। আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপের বিষয়টি
জাতীয় আয়ের চμাকার প্রবাহ চিত্র থেকে
জাতীয় আয় = মজুরী + সুদ + খাজনা + মুনাফা

আরো সহজে বুঝা যাবে। চিত্র ২.১ এ প্রবাহ-১ ও প্রবাহ-২ লক্ষ্য করুন। প্রবাহ-১ নির্দেশ করছে যে, পরিবারবর্গ
ফার্মসমূহকে উৎপাদনের উপকরণসমূহ যেমন- শ্রম, মুলধন, ভূমি ও সংগঠন সরবরাহ করছে এবং বিনিময়ে যথাμমে
মজুরী, সুদ, খাজনা ও মুনাফা গ্রহণ করছে (প্রবাহ-২)। সুতরাং মজুরী, খাজনা, সুদ ও মুনাফার যোগফল হচ্ছে উপকরণ
আয়ে জাতীয় আয় । অন্যভাবে, উৎপাদন প্রতিষ্ঠানসমূহের উপকরণ ব্যয়ের
দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে এটাকে উপকরণ ব্যয়ে জাতীয় আয় বলে।
মুনাফা: সংগঠকের পারিশ্রমিক হিসেবে উপরে উল্লিখিত মুনাফাকে প্রধানত: দু’ভাগে ভাগ করা যায়। যথা ব্যক্তি
মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের আয় এবং কর্পোরেট মুনাফা
ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আয় বলতে একক কারবার (ঝড়ষব চৎড়ঢ়বৎবরঃড়ৎংযরঢ়ং), অংশীদারী কারবার
এবং সমবায়ের নীট আয়কে বুঝানো হয়। অন্যদিকে, কর্পোরেট মুনাফা বলতে নিগমবদ্ধ
প্রতিষ্ঠানসমূহের নীট আয়কে বুঝানো হয়। কর্পোরেট আয়ের তিনটি অংশ- (১) কর্পোরেশনের
অংশীদারদের ( ডিভিডেন্ড , (২) কর্পোরেশনের অবন্টিত মুনাফা ( এবং
(৩) নির্গম কর (যা কর্পোরেশনের আয়কর হিসেবে গণ্য।
উপরে বিশ্লেষিত আয় পদ্ধতিতে হিসাবকৃত জাতীয় আয় এবং উৎপাদন পদ্ধতিতে হিসাবকৃত জাতীয় আয় বা মোট জাতীয়
উৎপাদনের মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। আয় পদ্ধতিতে পরিমাপকৃত জাতীয় আয় হচ্ছে এক ধরণের নীট জাতীয় আয় যা
শুধুমাত্র উপার্জন বা আয়ের সাথে সম্পর্কিত বিষয় বা দফাসমূহ ) বিবেচনা করে। অ-উপার্জন বা আয়
হিসেবে গণ্য নয় এমন বিষয় বা দফাসমূহ ) আয় পদ্ধতিতে বিবেচ্য নয়। এ ধরণের দুটো বিষয়
হচ্ছে মূলধণের অবচয় বা ব্যবহারজনিত ব্যয় (এবং ব্যবসা
প্রতিষ্ঠানের পরোক্ষ কর। মূলধণের ব্যবহারজনিত ব্যয়ের ধারণার সাথে আপনারা ইতোমধ্যে পরিচিত হয়েছেন। পরোক্ষ
কর হচ্ছে সরকার কর্তৃক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত সাধারণ বিμয় কর
এবং আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক । এগুলো পরোক্ষ কর, কারণ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উপর এ
সকল কর সরাসরি আরোপ করা হয় না বরং প্রস্তুতকৃত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবার উপর এ কর আরোপ করা হয় পরোক্ষ
করসমূহ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ হিসেবে বিবেচ্য। কাজেই মোট জাতীয় উৎপাদনের (এঘচ) হিসেব পেতে
হলে উপকরণসমূহের আয়ের সাথে মূলধণের ব্যবহারজনিত ব্যয় ও পরোক্ষ কর যোগ করতে হবে।
মোট জাতীয় উৎপাদন = (মজুরী + সুদ + খাজনা + মুনাফা)
+ মূলধণের ব্যবহার জনিত ব্যয় + পরোক্ষ কর
= উপকরণ ব্যয়ে জাতীয় আয়
+ মূলধণের ব্যবহারজনিত ব্যয় + পরোক্ষ কর

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বর্ষপঞ্জী ২০১৫ হাতের কাছে নিন। ২০১০-১১, ২০১১-১২,২০১২-১৩, অর্থ বছরসমূহের মোট
জাতীয় আয় ও উপকরণ ব্যয়ে জাতীয় আয় কত? লিখুন। অতঃপর মূলধণের ব্যবহারজনিত ব্যয় ও পরোক্ষ কর বের করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]