বৈদেশিক বিনিময় হার বলতে কি বোঝায়? মুদ্রার বিনিময় হার ব্যবস্থার বিবর্তন ব্যাখ্যা করুন।

বৈদেশিক বিনিময় হার
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যেহেতুবিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মুদ্রার ব্যবহার হয় সেহেতুবিভিন্ন মুদ্রার বিনিময়
হার অর্থাৎ একটির সঙ্গে অন্যটি বাজারে কি হারে বিনিময় হচ্ছে সেটি অন্যতম নির্ধারক ব্যাপারে
পরিণত হয়। বৈদেশিক বিনিময় হার বলতে আমরা একটি মুদ্রার তুলনায় অন্য একটি মুদ্রার দাম
বুঝি। বিভিন্ন কারণে, অর্থনীতির সবলতা-দূর্বলতা, মুদ্রার চাহিদা যোগান, আমদানি-রপ্তানির চাহিদার
উৎস বা ধরন ইত্যাদির উপর মুদ্রার বিনিময় মূল্য নির্ভর করে।
বিনিময় হার ব্যবস্থা: বিবর্তন
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যতই সম্প্রসারিত হচ্ছে ততই এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো ক্রমান¦য়ে পরিবর্তন
হচ্ছে, বিতর্ক হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত বিশ্বে ‘স্বর্ণমান'-ই (মড়ষফ ংঃধহফধৎফ) ছিল বিনিময়
হারের প্রধান নির্ধারক। সে অনুযায়ী, সবগুলো দেশের মুদ্রা স্বর্ণ-এর সঙ্গে স্থির অনুপাতে বাধা থাকতো
এবং প্রয়োজন অনুযায়ী স্বর্ণ আমদানি ও রপ্তানি করতেও সক্ষম ছিল। স্বর্ণমান কার্যকর হবার জন্য
কয়েকটি শর্তপূরণ জরুরী ছিল:
১. স্বর্ণই কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে।
২. দেশের স্বর্ণ মজুদ এবং মুদ্রার যোগান অপরিবর্তনীয় অনুপাতে সম্পর্কিত থাকবে।
৩. মজুরি ও দাম পরিবর্তনযোগ্য (ভষবীরনষব) থাকবে এবং মুদ্রার পরিমাণ তত্ত¡ কার্যকর থাকবে।
পূর্ণ ক্ল্যাসিকাল মডেলে এ রকম বিশ্বাসই প্রবল ছিল যে, অর্থনীতিতে যে কোন ভারসাম্যহীনতা দেখা
গেলে বাজার প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আবার ভারসাম্যে ফিরে আসবে। প্রক্রিয়াটি সরল: যেমন,
“ঘাটতি দেশে স্বর্ণ কমে যাবে, মুদ্রা সরবরাহ কমে যাবে, দাম ও মজুরি কমবে এবং রপ্তানি আরও
বেশি বেশি উৎসাহিত হবে। এর ফলে ঐ দেশে বাণিজ্য ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অন্যদিকে
উদ্বৃত্ত দেশে স্বর্ণমজুত বাড়বে, সেজন্য মুদ্রা যোগান বাড়বে, দাম এবং মজুরি বেড়ে রপ্তানি নিরুৎসাহিত
হবে। তার ফলে বাণিজ্য ভারসাম্য আবার পুরানো জায়গায় ফিরে আসবে।”
কিন্তু মজুরি আর দাম অনেক দেশে পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত না হবার ফলে এবং অন্যান্য
শর্তগুলোও পুরোপুরি কার্যকর না হবার ফলে বাস্তবে এই ভারসাম্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুন:প্রতিষ্ঠা সম্ভব
হয়নি। দেখা গেছে মুদ্রা সরবরাহ কমে যাবার ফলে ঘাটতি দেশে দাম কমে যাবার পরিবর্তে বেকারত্ব
বেড়ে যায়। বাস্তব জগতে বাণিজ্যের অব্যাহত সম্প্রসারণের সঙ্গে নির্দিষ্ট স্বর্ণমান অনুযায়ী মুদ্রা বিনিময়
ব্যবস্থার দূর্বলতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো আরও পরিষ্কার হতে থাকে। ৩০ দশকের মহামন্দা এসব

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিটন-উডস-এ আন্তর্জাতিকভাবে বিনিময় হারের সমন¦য় করবার চেষ্টা
হিসাবে স্থির বিনিময় হার ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস করবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একে ব্রিটন-উডস ব্যবস্থা ) বা সমন¦য়যোগ্য ব্যবস্থা বলা হয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বর্ণের সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার থাকবে স্থির: তোলা প্রতি ৩৫ ডলার।
এই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র অনির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ কেনার অধিকারী ছিল। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মুদ্রা সংক্রান্ত
বিষয়ে সবচাইতে ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (সে সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য দেশের জন্য আইএমএফ এর শর্ত দাঁড়াল প্রধানত: তিনটিÑ
১. স্বর্ণ অথবা ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মুদ্রামান ঘোষণা করতে হবে।
২. অন্তত: স্বল্পমেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলার কেনাবেচার মধ্য দিয়ে তাদের নিজেদের
ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে হবে। এবং
৩. আইএমএফকে না জানিয়ে কেউ শতকরা ১০ ভাগের বেশি মুদ্রামূল্য পরিবর্তন করতে পারবে না,
সেক্ষেত্রে আইএমএফ-এর অনুমতি লাগবে যে অনুমতি সকল সদস্য দেশের মতামতের ভিত্তিতেই
গৃহীত হবে। সে হিসাবে বিভিন্ন দেশের মুদ্রামান বস্তুত ডলারের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গেল। এবং সে
হিসাবে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লো সকল দেশই। একে বলা হয় স্থির কিন্তু
সমন¦য়যোগ্য বিনিময় হার ব্যবস্থা।
একটা পর্যায়ে গিয়ে একক ডলার নির্ভর এই ব্যবস্থা ঘিরেও নানা সমস্যা দেখা গেল। ১৯৭১ সালের
১৫ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন আনুষ্ঠানিক ভাবে ডলার ও স্বর্ণের যোগসূত্র ছিন্ন করেন। এবং
সূচিত হয় পরিবর্তনযোগ্য কিংবা ভাসমান বিনিময় হার ব্যবস্থা (ভষবীরনষব ড়ৎ ভষড়ধঃরহম বীপযধহমব
ৎধঃবং)। এই ব্যবস্থায় বাজারের চাহিদা যোগান দিয়েই একটি মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারিত হয়।
তবে বলাই বাহুল্য, ডলার এখনও বাস্তবে একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানেই রয়েছে। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত
ডলারের তুলনাতেই বিভিন্ন মুদ্রার অবস্থান পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আইএমএফ বর্তমানে আন্তর্জাতিক
মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় শক্তি।
বর্তমানে আমরা যে ধরনের বিনিময় ব্যবস্থার মধ্যে আছি সেটি ‘স্বর্ণমান' ব্যবস্থাও নয় আবার ‘ব্রিটনউডস' ব্যবস্থাও নয়। এর মূল বৈশিষ্টগুলো হল নি¤œরূপ:
 কিছুকিছুদেশ তাদের মুদ্রাকে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় নিয়ন্ত্রণমুক্ত করে দিয়েছে।
বাজারের মাধ্যমে এসব মুদ্রার মূল্য নির্ধারিত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশের অন্যতম।
 আবার কিছুউল্লেখযোগ্য দেশ আছে যেগুলোতে পরিবর্তনযোগ্য কিন্তুনিয়ন্ত্রিত বিনিময় ব্যবস্থা চালু
আছে। এই অবস্থায়, এই দেশগুলো মুদ্রার স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রয়োজনে কখনো কখনো হস্তক্ষেপ
করে। বাজারে মুদ্রা মূল্যের উঠানামা নিয়ন্ত্রণে রাখবার জন্যে মাঝে মাঝে বাজারে বিক্রয় বা ক্রয়ও
করে থাকে। এই ধরনের দেশের মধ্যে এখন আছে কানাডা, জাপান, বৃটেন ইত্যাদি।
 কোন কোন দেশ বিশেষত: অনেক ‘তৃতীয় বিশ্ব' ভুক্ত দেশ তাদের মুদ্রা অন্য এক বা একাধিক
শক্তিশালী মুদ্রার সঙ্গে সম্পর্কিত করে রাখে।
 কোন কোন দেশ সমষ্টিগত ভাবে মুদ্রা বøক গঠন করে নিজেদের মুদ্রার স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা
করছে। এধরনের উদ্যোগের সবচাইতে বিকশিত রূপ হচ্ছে ইউরোপীয় একক মুদ্রা ‘ইউরো'র প্রর্বতন।
 উপরন্তুপ্রায় সব দেশই মুদ্রাব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য কখনো বাজার কখনো হস্তক্ষেপের নীতি গ্রহণ করে থাকে। ১৯৭১ সালের ১৫ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন আনুষ্ঠানিক ভাবে ডলার ও স্বর্ণের যোগসূত্র ছিন্ন করেন। এবং সূচিত হয় পরিবর্তনযোগ্য কিংবা ভাসমান বিনিময় হার ব্যবস্থা।
মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন
মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তনের মধ্যে আমাদের মতো দেশগুলোতে মুদ্রার অবমূল্যায়ন (সড়হবু
ফবাধষঁধঃরড়হ)ই সবচাইতে বেশি দেখা যায়। যখন অন্য কোন মুদ্রার সাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট মুদ্রার মুল্য
বা বিনিময় হার কমে যায় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। যেমন যখন ডলারের তুলনায় টাকার
মূল্য কমিয়ে দেয়া হয় তখন তাকে টাকার অবমূল্যায়ন বলা হয়। যদি আবার মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়
তাকে বলে মুদ্রার উর্ধ্বমূল্যায়ন অবমূল্যায়ন সিদ্ধান্তের ব্যাপার এবং তা
কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ (সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক) নিয়ে থাকেন। এর কাছাকাছি ধারণা হল মুদ্রার অবক্ষয়
। এটি সরকারী ঘোষণার ব্যাপার নয়। যখন বাজারে একটি মুদ্রার মূল্য অন্য
দেশের তুলনায় কমে যায় তখন তার অবক্ষয় হয়েছে বলে ধরা যায় আবার যখন অন্য মুদ্রার তুলনায়
এই মুদ্রার মুল্য বেড়ে যায় তখন আমরা তাকে মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি ) বলে আখ্যায়িত করতে পারি।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য মুদ্রার অবমূল্যায়ন খুব গুরুত্বপূর্ন এবং বহুল ব্যবহৃত ঘটনা।
বাংলাদেশে মুদ্রার অবমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত আইএমএফ-এর সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে কিংবা
আইএমএফ-এর পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংকই নিয়ে থাকে। নিচের ছক থেকে দেখছি যে, বাংলাদেশে
এ পর্যন্ত বহুবার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের পিছনে প্রধানত: রপ্তানি বৃদ্ধি ও
প্রতিযোগিতামূলক শক্তিবৃদ্ধির যুক্তিই দেখানো হয়েছে।
কিন্তুমুদ্রার অবমূল্যায়নের মাধ্যমে রপ্তানি কিংবা প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বৃদ্ধি পায় কিনা তা নিয়ে
অর্থশাস্ত্রে অনেক বিতর্ক আছে। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেযোগ্য মার্শাল-লার্নার শর্ত এই শর্ত অনুযায়ী, যদি আমদানি ও রপ্তানি নমনীয়তা ১-এর থেকে
বেশি (অর্থাৎ, বী
+বস>১) না হয় তাহলে এধরনের পদক্ষেপ বা বিনিময় হারের পরিবর্তনযোগ্যতার
অন্য কোন পদক্ষেপে নীট রপ্তানি বৃদ্ধি বা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থায় উন্নতির ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি হবে না।
একটি দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বা অবক্ষয়-এর মাধ্যমে বিদেশে তার পণ্যের দাম কমে। সেই হিসাবে
এর পর সে পণ্যের চাহিদা বাড়বে এবং রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির ফলে এই খাতের বিকাশ
ঘটাতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হয়। একই সঙ্গে একই ঘটনার ফলে এই দেশে বিদেশে থেকে
আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে যায় এবং তাতে আমদানিকৃত পণ্যের চাহিদা কমে যাবার কথা। কিন্তু
এই ঘটনা গুলো কি মাত্রায় ঘটবে এবং সেগুলোর সম্মিলিত ফলাফল হিসাবে অর্থনীতির উপর কি
প্রভাব পড়বে তা নির্ভর করবে এসব পণ্যের দাম চাহিদা নমনীয়তা উপর।
যদি রপ্তানি পণ্যের দাম চাহিদা নমনীয়তা ১ এর কম হয় তাহলে দাম যে হারে কমবে সে হারে চাহিদা
বাড়বে না অর্থাৎ অবমূল্যায়নের মাধ্যমে এক্ষেত্রে নীট রপ্তানি আয় বাড়বে না। আর যদি দাম চাহিদা
নমনীয়তা ১ এর বেশি হয় তাহলে দাম যে হারে কমবে তার চাইতে বেশি হারে চাহিদা বাড়বে।
সেক্ষেত্রে নীট রপ্তানি আয় বাড়বে। অন্যদিকে আমদানি পণ্যের দাম বাড়লে সেসব পণ্যের দাম চাহিদা
নমনীয়তা ১ এর কম থাকলে নীট আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ বাড়বে, ১ এর বেশি থাকলে নীট আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ কমবে।
দেখা গেছে আমদানি ও রপ্তানি দুয়ের সম্মিলিত দাম চাহিদা নমনীয়তা যদি ১ এর বেশি হয় তাহলে বাণিজ্য ভারসাম্য অনুকূল হবে।
সারসংক্ষেপ
মনে রাখা দরকার যে, সাধারণত: মুদ্রার অবমূল্যায়ন বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ব্যয় ও চাহিদা
দুদিক থেকেই মুদ্রাস্ফীতির অবস্থা তৈরী করে।
ছক -১ : মার্কিন ডলারের সঙ্গে বাংলাদেশের টাকার বিনিময় হার (১৯৭১-২০০০)
সময় এক ডলারের বিনিময়ে বাংলাদেশের টাকার পরিমাণ
১৯৭১/২ ৭.৩০
১৯৭৫/৬ ১৫.০৫
১৯৮১/২ ২০.০৭
১৯৮৫/৬ ২৯.৮৯
১৯৯১/২ ৩৮.১৫
১৯৯২/৩ ৩৯.১৪
১৯৯৩/৪ ৪০.০০
এপ্রিল, ১৯৯৬ ৪১.৭৫
সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬ ৪২.৬৫
মার্চ, ১৯৯৭ ৪৩.৩০
এপ্রিল, ১৯৯৭ ৪৫.১৫
অক্টোবর, ১৯৯৭ ৪৫.৩০
নভেম্বর, ১৯৯৭ ৪৫.৪৫
ফেব্রæয়ারি, ১৯৯৮ ৪৬.৩০
অক্টোবর, ১৯৯৮ ৪৮.৫০
জুলাই ১৯৯৯ ৪৯.৫০
নভেম্বর ১৯৯৯ ৫১.০০
ডিসেম্বর ২০০০ ৫৪.১৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পর্যন্ত বিশ্বে ‘স্বর্ণমান'ই ছিল বিনিময় হারের প্রধান নির্ধারক। ব্রিটন-উডস
ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বর্ণের সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার ছিল স্থির : তোলা প্রতি ৩৫ ডলার।
ডলার ও স্বর্ণের এই যোগসূত্র ছিন্ন হয় ১৯৭১ সালে। তবে এখনও ডলারের তুলনাতেই বিভিন্ন
মুদ্রার অবস্থান পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক মুদ্রা
ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় শক্তি। বাংলাদেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন সিদ্ধান্তের পিছনে রপ্তানি বৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতামূলক শক্তিবৃদ্ধির যুক্তিই দেখানো হয়েছে।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বিনিময় হারের প্রধান নির্ধারক ছিল:
ক. স্বর্ণ খ. ডলার
গ. রৌপ্য ঘ. ধাতব মুদ্রা
২. ব্রিটন-উডস ব্যবস্থায় প্রতি তোলা স্বর্ণের স্থির দাম নির্ধারিত হয়ক. ৩০ ডলার খ. ১৩২ ডলার
গ. ৩৫ ডলার ঘ. ২০ ডলার
৩. কোন দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য অনুক‚ল হবে যদি-
ক. আমদানি ও রপ্তানির সম্মিলিত দাম চাহিদা নমনীয়তা ১-এর সমান হয়।
খ. আমদানি ও রপ্তানির সম্মিলিত দাম চাহিদা নমনীয়তা ১-এর বেশি হয়।
গ. আমদানি ও রপ্তানির সম্মিলিত দাম চাহিদা নমনীয়তা ১-এর কম হয়।
ঘ. কোনটিই নয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. স্বর্ণমান ব্যবস্থা ও ব্রিটন-উডস ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলো লিখুন।
২. মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলতে কি বোঝায়?
৩. মার্শাল-লার্নার তত্ত¡ ব্যাখ্যা করুন।
৪. বাংলাদেশে মুদ্রার অবমূল্যায়নকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করেন?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. বৈদেশিক বিনিময় হার বলতে কি বোঝায়? মুদ্রার বিনিময় হার ব্যবস্থার বিবর্তন ব্যাখ্যা করুন।
২. মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে বিশ্বব্যবস্থায় যে পরিবর্তনগুলো আসছে তা সংক্ষেপে বিবৃত করুন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর
পাঠ - ১ : ১. ক ২. ক ৩. গ
পাঠ - ২ : ১. ক ২. গ ৩. খ

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]