চাহিদার বহুমাত্রিকতা বলতে কি বোঝায়?
গিফেন ও নিকৃষ্ট দ্রব্যের সংজ্ঞা দিন।
চাহিদা বিধি কি? কখন এর ব্যতিক্রম দেখা যায়?


ভোক্তার আচরণ এবং বাজারে চাহিদা-যোগান
ভোক্তার আচরণ
ব্যষ্টিক অর্থশাস্ত্রে একক ভোক্তার আচরণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। ভোক্তার
পছন্দ এবং সিদ্ধান্ত কিভাবে নির্ধারিত হয়, কি কি শর্তের উপর এগুলো নির্ভর করে, দাম পরিবর্তন বা
আয় পরিবর্তন বা অন্য কোন পরিবর্তন কিভাবে এবং কি মাত্রায় একজন ভোক্তার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত
করে সেসবই এই বিশ্লেষণের অন্তর্ভুক্ত।
নয়া ক্ল্যাসিকাল অর্থশাস্ত্র একক ভোক্তা ধরে এই বিশ্লেষণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং সেটাকেই
অর্থনীতির কেন্দ্রীয় বিষয় বলে বিবেচনা করে। এই ধারার অর্থনীতিবিদদের মতে ভোক্তা হচ্ছে
সার্বভৌম, ভোক্তার পছন্দ আর সিদ্ধান্ত তাই তার সার্বভৌম অবস্থান ও ইচ্ছার বহি:প্রকাশ। ভোক্তার
তৃপ্তি, উপযোগ সর্বোচ্চকরণ যেহেতুমূল লক্ষ্য, সেহেতুতার অবস্থান যাই হোক, যা কিছুথেকেই তার
এই তৃপ্তি আসুক সেটাই ভোক্তাদের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা করে। ভোক্তার এই আচরণ তাই বস্তুত:
অর্থনৈতিক তৎপরতায় সমান বিনিময়কেই নিশ্চিত করে এবং অর্থনীতিতে একটি সুষম অবস্থার সৃষ্টি
করে। এই অর্থনীতিবিদদের মতে, এই অবস্থা একই সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার
ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে বাজার অর্থনীতির ক্ষমতাকেই প্রকাশ করে।
এই ব্যাখ্যাকে অবশ্য অনেক অর্থনীতিবিদই গ্রহণ করেননি। বৃটিশ খ্যাতনামা ও আন্তর্জাতিক
নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ যিনি কেইনসীয়ান অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সেই জোয়ান রবিনসন
(ঔড়ধহ জড়নরহংড়হ) “ভোক্তারা সার্বভৌম” এই ধারণাটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন,
পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে সব ভোক্তা একরকম নয়। আয়ের ব্যাপক পার্থক্য ক্রয়ক্ষমতার যে মাত্রায়
পার্থক্য তৈরি করে তাতে পছন্দ আর তৃপ্তির সার্বজনীন ধারণাটি কাজ করে না। তাছাড়া বিজ্ঞাপন আর
অন্যান্য প্রভাব ও প্রচারের চাপ এবং তথ্যের ঘাটতির ফলে ভোক্তা যে পছন্দটি করে তা আসলে তার
নয়। শুধু দৃশ্যমান নয়, ভোক্তার মনোজগতের এই নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থা বিবেচনায় নিলে বাজার
অর্থনীতির প্রচলিত অনেকগুলো অনুমিতির গ্রাহ্যতা ক্ষুন্ন হবে। ভোক্তাকে তার সামাজিক অবস্থান থেকে
বিচ্ছিন্ন সমরূপ (যড়সড়মবহবড়ঁং) একটি অর্থনৈতিক এজেন্ট হিসেবে বিবেচনা করলে সমাজে শুধুআয়
দিয়ে নয় অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের যেসব বৈষম্য বা অসমতা আছে সেগুলোও ঢাকা পড়ে যায়। এর
মধ্যে শ্রেণীগত ছাড়াও আছে জাতিগত এবং লিঙ্গীয় বৈষম্য।
সমাজের অসম অবস্থা যে গুরুত্বপূর্ণ তা বাজার অর্থনীতির নেতৃস্থানীয় অর্থনীতিবিদ পল স্যামুয়েলসনও
বলেছেন, “আমরা একটা কপট সমাজে বাস করি। আমাদের আইন সবার জন্য সমান অধিকার -এর
ঘোষণা করে, এক ব্যক্তির এক ভোট, সবার জন্য সমান সুযোগ। আধুনিক গণতন্ত্রের এটা হল চলতি
বুলি। কিন্তু প্রতিদিনের বাজার অর্থনীতির জীবন অন্য কথা বলে। এখানে কিছুমানুষ যখন ক্ষুধার্ত
থাকে এবং যখন তাদের কোন ঘুমানোর জায়গা থাকে না তখন অন্য কিছুমানুষ থাকে বিশাল প্রাসাদে
এবং লাখ ডলারের গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।”৯


“ডব ষরাব রহ ধ ফড়ঁনষব-ংঃধহফধৎফ ংড়পরবঃু. ঙঁৎ ষধংি ঢ়ৎড়পষধরস বয়ঁধষ ৎরমযঃং ভড়ৎ ধষষ, ঃযব ঢ়ৎরহপরঢ়ষব ড়ভ ড়হব ঢ়বৎংড়হ ড়হব াড়ঃব,
ধহফ বয়ঁধষরঃু ড়ভ ড়ঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু. ঞযরং রং ঃযব ৎযবঃড়ৎরপ ড়ভ সড়ফবৎহ ফবসড়পৎধপু. ইঁঃ ফধরষু ষরভব রহ ধ সধৎশবঃ বপড়হড়সু ংঢ়বধশং

নয়া ক্ল্যাসিকাল ধারার
অর্থনীতিবিদদের মতে
ভোক্তা হচ্ছে সার্বভৌম,
ভোক্তার পছন্দ আর
সিদ্ধান্ত তাই তার
সার্বভৌম অবস্থান ও
ইচ্ছার বহি:প্রকাশ।
পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে
সব ভোক্তা একরকম
নয়। আয়ের ব্যাপক
পার্থক্য ক্রয়ক্ষমতার যে
মাত্রায় পার্থক্য তৈরি
করে তাতে পছন্দ আর
তৃপ্তির সার্বজনীন
ধারণাটি কাজ করে না।

চাহিদা ও যোগানের প্রাথমিক ধারণা
আমরা সবাই দিনে রাতে অনেক কিছুরই প্রয়োজন বোধ করি। অনেক কিছুআমাদের দরকার হয়
বেঁচে থাকার জন্য, অনেক কিছুর দরকার হয় আনন্দ পাবার জন্য। অনেক কিছুআবার দরকার হয়
নিজেদের শারীরিক অবস্থার বা জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য। আবার অনেক কিছুআমরা চাই
নিজেদের মানসিক উৎকর্ষ বাড়ানোর জন্য। আবার আমরা এমন অনেক কিছুচাই যা এসবেরই বাইরে,
মানসিক আশ্রয়-মনের প্রয়োজনে। এই সবগুলো চাওয়া এক নয়, এক প্রকার নয়। কিন্তু এগুলোর কার
কি গুরুত্ব, এগুলো আমাদের পক্ষে কিভাবে পাওয়া সম্ভব, মানুষ কোনটি মানুষ হিসেবে সমাজ থেকে
পাবার অধিকার রাখে, কোনটিতে সাধারণ সম্পত্তি হিসেবে সবার প্রবেশাধিকার আছে, কোনটি মানুষ
পাবে কিনা তা নির্ভর করবে তার ক্রয়ক্ষমতার উপর ইত্যাদি বিষয় সবাই একভাবে দেখেন না।
মানুষের প্রাপ্যতা, ক্ষমতা, অধিকার ইত্যাদি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য আছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত।
নিচের ছকে চাহিদার বহুমাত্রিক, বহুমুখী একটি চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।
ছক ১ : চাহিদার বহুমাত্রিকতা
প্রয়োজন কেন? কি কি?
বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, ঔষধ, নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ বাতাস, বিশুদ্ধ পানি।
আনন্দ পাবার জন্য গান, নাচ, নাটক, চলচ্চিত্র, ভ্রমণ, বই, ছবি।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য যানবাহন, উন্নত আশ্রয়, বস্ত্র, অবসর বৃদ্ধি, সুস্থ পরিবেশ।
মানসিক উৎকর্ষের জন্য শিক্ষা, গবেষণা, তথ্য, যোগাযোগ।
মনের আশ্রয়ের জন্য ¯েœহ, আদর, সহমর্মিতা, সহানুভ‚তি, ভালবাসা, সঙ্গ।
আমরা যে ধরনের অর্থনীতিতে বসবাস করি সেখানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হচ্ছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
এখানে মানুষের চাওয়া বা আকাক্সক্ষাকে চাহিদা বলা হয় তখনই যখন তার হাতে তা কেনার মতো
পয়সা থাকবে। এই অর্থনীতিতে উপরের প্রায় সবগুলো প্রয়োজন মেটানোর জন্যই মানুষ অর্থের সন্ধান
করে। আমরা পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই দেখি যে, অর্থের জন্য, ন্যূনতম সম্পত্তির জন্য কিভাবে ভাই-
বোনকে, ছেলে বাবা বা মাকে, ভাই-ভাইকে আঘাত করছে, মা বা বাবা অর্থের অভাবে সন্তানকে বিক্রি
করে দিচ্ছে! এর পেছনে সেই অর্থনৈতিক ক্ষমতা অর্জনের অক্ষমতা কিংবা এটি অর্জনের যে নিষ্ঠুর
প্রতিযোগিতা তার বিষয়গুলোই কাজ করে।
এসব বিষয় নিয়ে আমরা পরে আরও আলোচনা করবো। আপাতত: আমরা এখন দৈনন্দিন প্রয়োজন
বা দৈনন্দিন চাহিদার দিকে তাকাই। এখানে আমাদের খেয়াল করা দরকার যে, বর্তমানে অর্থশাস্ত্র
বলতে প্রধানত: যে নয়া ক্ল্যাসিকাল অর্থশাস্ত্র অধ্যয়ন করা হয় সেটি বর্তমান ‘বাজার অর্থনীতি'কে
একটি স্থায়ী, অনৈতিহাসিক ব্যবস্থা হিসেবে দেখে থাকে। তার ফলে এই কাঠামোতে ব্যষ্টিক বা
সামষ্টিক যেভাবেই হোক স্বল্পমেয়াদে নির্দিষ্ট কিছুআচরণকেই সমগ্র বিশ্লেষণের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা
করা হয়।
চাহিদা বিধি কি?
এই বিশ্লেষণ অনুযায়ী যদি অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে তাহলে একটি পণ্যের দাম ও চাহিদার
সম্পর্ক বিবেচনা করলে সাধারণত: একটা চিত্র দেখা যায়। তাকে এক কথায় বলা যায় এভাবে,
“অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দাম কমলে চাহিদা বাড়ে এবং দাম বাড়লে চাহিদা কমে।”
অর্থাৎ অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে, য়ফ=ভ(ঢ়) এখানে য়ফ= চাহিদার পরিমাণ, ঢ়= দাম।

ড়ঃযবৎরিংব. ডযরষব ংড়সব ঢ়ড়বঢ়ষব মড় যঁহমৎু ধহফ যধাব হড় যিবৎব ঃড় ংষববঢ়, ড়ঃযবৎং ষরাব রহ ড়ঁঃঢ়ষধহঃ সধহংরড়হং ধহফ ফৎরাব
$১০০,০০০ পধৎং”. ঝধসঁবষংড়হ, ড়ঢ় পরঃ. ১৪ঃয বফরঃরড়হ, ঢ় ৩৫৪
মানুষের প্রাপ্যতা,
ক্ষমতা, অধিকার
ইত্যাদি নিয়ে
অর্থনীতিবিদদের মধ্যে
ব্যাপক মতপার্থক্য
আছে। কোন কোন
ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের
অবস্থান সম্পূর্ণ
বিপরীত।

এর ছক ও চিত্র আমরা দেখছি নিচে।
ছক ২ : একটি পণ্যের কাল্পনিক দাম ও চাহিদার চিত্র
দাম ৮ ৭ ৬ ৫ ৪ ৩ ২ ১
চাহিদা ০ ১ ২ ৩ ৫ ৬ ৭ ৮
চিত্র ২.১ : চাহিদা রেখা
উপরের ছক ও চিত্রে দাম যখন ৮ তখন চাহিদা শূন্য। অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত অবস্থায় দাম কমার
সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা ১ ২ ৩ করে বাড়ছে। এটি হচ্ছে চাহিদার সাধারণ চিত্র, যেখানে চাহিদা রেখা
ডানদিকে নি¤œগামী।
যোগান বিধি কি?
একইভাবে আমরা যদি যোগানের দিকে তাকাই তাহলেও একটি সাধারণ চিত্র পাবো। সেখানে
দেখবো: “অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দাম বাড়লে যোগান বাড়ে, দাম কমলে যোগান কমে।”
অর্থাৎ অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে,
য়ং=ভ(ঢ়) যেখানে য়ং = যোগানের পরিমাণ, ঢ়= দ্রব্যের দাম।
এর ছক ও চিত্র আমরা দেখছি নিচে।
ছক ৩ : একটি পণ্যের কাল্পনিক দাম ও যোগানের চিত্র
দাম ৮ ৭ ৬ ৫ ৪ ৩ ২ ১ ০
যোগান ১০ ৯ ৮ ৭ ৫ ৩ ২ ১ ০
ছক অনুযায়ী দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যোগানের পরিমাণও বাড়ছে। দামের সঙ্গে যোগানের একমুখী
সম্পর্কের কারণে চিত্রে তাই আমরা ডানদিকে উর্ধ্বগামী যোগান রেখা পাচ্ছি।

চিত্র ২.২ : যোগান রেখা
চাহিদা বিধির ব্যতিক্রম
দামের সঙ্গে চাহিদার বিপরীত সম্পর্ক এবং যোগানের একমুখী সম্পর্কই যথাক্রমে চাহিদা বিধি ও
যোগান বিধির মূল কথা বলে আমরা জানি। কিন্তু এমন কিছুদ্রব্য বাজারে থাকতে পারে যেগুলোতে
এই বিধি কাজ করে না কিংবা সম্পূর্ণ বিপরীত বিধি কার্যকর হয়। চাহিদা বিধির ব্যতিক্রম দেখা যায়
যেসব ক্ষেত্রে সেগুলো হল নি¤œরূপ:
 যখন সামাজিক আভিজাত্য প্রদর্শনের জন্য কোন কিছুকেনা হয় তখন দাম বৃদ্ধিতে চাহিদা আরও
বাড়ে।
 শেয়ার বাজারের মতো ক্ষেত্রে যখন প্রত্যাশা থাকে আরও দাম বৃদ্ধির তখন দাম বাড়লে চাহিদা
বাড়ে আবার যখন আশংকা থাকে দাম কমার তখন দাম কমলে চাহিদা কমে।
 যখন কোন দ্রব্য এমন হয় যার দাম বৃদ্ধি ভোক্তাকে বাধ্য করে অন্য পণ্যের চাহিদা কমিয়ে
সেটিকেই আরও বেশি করে কিনতে। আয়ারল্যান্ডের রবার্ট গিফেন এই বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি
আকর্ষণ করেছিলেন বলে এ ধরনের দ্রব্যকে ‘গিফেন দ্রব্য'-ও বলা হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ
ধরনের দ্রব্যের উদাহরণ হতে পারে চাল। চালের দাম বেড়ে গেলে সীমিত আয়ের মানুষ অন্য
আরও দামী দ্রব্য যেমন মাংস বা দুধের ভোগ কমিয়ে আরও বেশি চাল দিয়ে নিজের ভোগ চাহিদা
পূরণ করবে।
 আয় বেড়ে গেলে এমন অনেক দ্রব্য আছে যেগুলোর দাম কমলেও তার চাহিদা বাড়বে না। এ
ধরনের দ্রব্যকে বলা যায় নিকৃষ্ট দ্রব্য, যেগুলোর চাহিদা আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে কমে আসে।
আবার কোন কোন পণ্যের দাম যদি বাড়ে তবুও ভোক্তার আয় বাড়লে সেগুলোর চাহিদা বাড়তে
পারে।
অবশ্য “অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে” শর্তটি চাহিদা ও যোগান বিধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যতিক্রম যেগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো অন্যান্য অবস্থার প্রভাবে। চূড়ান্ত বিচারে, সেই হিসেবে
এগুলোকে ঠিক ব্যতিক্রম বলা যায় না।
নয়া ক্ল্যাসিকাল অর্থনীতিবিদদের মতে ভোক্তা হচ্ছে সার্বভৌম, ভোক্তার পছন্দ আর সিদ্ধান্ত তাই
তার সার্বভৌম অবস্থান ও ইচ্ছার বহি:প্রকাশ। পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে সব ভোক্তা একরকম নয়।
আয়ের ব্যাপক পার্থক্য ক্রয়ক্ষমতার যে মাত্রায় পার্থক্য তৈরি করে তাতে পছন্দ আর তৃপ্তির
সার্বজনীন ধারণাটি কাজ করে না। মানুষের প্রাপ্যতা, ক্ষমতা, অধিকার ইত্যাদি নিয়ে

অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ব্যাপক মত পার্থক্য আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদদের অবস্থান
সম্পূর্ণ বিপরীত।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. ভোক্তারা সার্বভৌম এই ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করেন কে?
ক. জোয়ান রবিনসন খ. পল স্যামুয়েলসন
গ. এ্যাডাম স্মীথ ঘ. জোসেফ স্টিগলিজ
২. গিফেন দ্রব্য হচ্ছেক. সামাজিক আভিজাত্য প্রদর্শনের জন্য যে দ্রব্য কেনা হয়।
খ. কোন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ভোক্তাকে বাধ্য করে অন্য পণ্যের চাহিদা কমিয়ে সেটিকে আরো বেশি
কিনতে।
গ. কোন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ভোক্তাকে বাধ্য করে অন্য পণ্যের চাহিদা বাড়াতে।
ঘ. যে দ্রব্যের চাহিদা আয় বৃদ্ধির সাথে কমে যায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. চাহিদার বহুমাত্রিকতা বলতে কি বোঝায়?
২. গিফেন ও নিকৃষ্ট দ্রব্যের সংজ্ঞা দিন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. ভোক্তার আচরণকে বর্তমান অর্থশাস্ত্রে কেন গুরুত্ব দেয়া হয়? এ সম্পর্কে বিভিন্ন মত আলোচনা
করুন।
২. চাহিদা বিধি কি? কখন এর ব্যতিক্রম দেখা যায়?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]