মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠান

মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠান

১৯৭৫ সালের কুদরত-ই-খুদা কমিটির সুপারিশের আলোকে মাদ্রাসা বোর্ড নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদ্রাসাসমূহে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও বহুমুখী পাঠ্যসূচি প্রবর্তিত হয়। ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত আলিম ও ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত ফাযিল পরীক্ষায় এ সিলেবাস কার্যকর হয়। উক্ত দু’শ্রেণিতে মাদ্রাসার নির্ধারিত সকল পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার এইচ.এস.সি এবং এস.এস.সি-এর সম্পূর্ণ কোর্স অর্ন্তভুক্ত করে ফাযিল শ্রেণিকে সাধারণ শিক্ষার এইচ.এস.সি এবং আলিমকে এস.এস.সি-এর মান দেওয়া হয়। এ কমিটি মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শাখা চালু করে।

১৯৭৮ সালে প্রফেসর মুস্তফা বিন কাসিমের নেতৃত্বে Senior Madrasah Education System Committee গঠিত হয়। ১৯৭৯ সালের ৪ জুন হতে বোর্ডটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। জনশিক্ষা পরিচালক প্রফেসর বাকী বিল্লাহ খান এর প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

১৯৮৪ সালে মুস্তফা বিন কাসিমের কমিটির সুপারিশের আলোকে সাধারণ শিক্ষার স্তরের সঙ্গে মাদ্রাসা বোর্ড নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা স্তরের নিম্নরূপ সামঞ্জস্য করা হয়: ইবতেদায়ী (প্রাথমিক) ৫ বছর, দাখিল (মাধ্যমিক) ৫ বছর, আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) ২ বছর, ফাযিল (ডিগ্রি) ২ বছর এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) ২ বছর মোট ১৬ বছর। এ কমিটি কর্তৃক প্রণীত সিলেবাস ১৯৮৫ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল ও ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় কার্যকর হয়। উক্ত দু’শ্রেণিতে মাদ্রাসার নির্ধারিত সকল পাঠ্যপুস্তক ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার যথাক্রমে এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি-এর সম্পূর্ণ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করে দাখিলকে এস.এস.সি এবং আলিমকে এইচ.এস.সি-এর সমমান দেওয়া হয়। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে সমন্বিত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা এখন মাদ্রাসা শিক্ষা শেষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য অনুমোদিত যে কোনো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। কিন্তু ফাযিল (ডিগ্রি) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে সমন্বিত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা শুধু মাদ্রাসা বা স্কুলে চাকুরির ক্ষেত্রে সমমান পায়, অন্য ক্ষেত্রে নয়।

মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কারের ফলে আলিয়া মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯০৭-০৮ সালে এদেশে ইবতেদায়ী হতে কামিল পর্যন্ত মাদ্রাসা ছিল ২,৪৪৪টি। ১৯৪৭ সালে ৩টি সরকারি মাদ্রাসাসহ (দাখিল হতে কামিল পর্যন্ত) আলিয়া মাদ্রাসার সংখ্যা ছিল ৩৭৮টি। ১৯৭১ সালে দাখিল, আলিম, ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসার সর্বমোট সংখ্যা ছিল ৫০৭৫টি। ২০০৭ সালে মাদ্রাসার সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৯,৪৯৩টিতে। তন্মধ্যে দাখিল ৬,৭০০টি, আলিম ১,৪০০টি, ফাযিল ১,০৮৬টি এবং কামিল ১৯৮টি।

২০০৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত মাদ্রাসা বোর্ড আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার ইবতেদায়ী (প্রাথমিক) হতে কামিল (স্নাতকোত্তর) পর্যন্ত সকল স্তরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করত। বর্তমানে Islamic University (Amendment) Act, 2006 মোতাবেক সাধারণ শিক্ষার সাথে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা সমন্বিত করার কারণে ফাযিল (ডিগ্রি) ৩ বছর এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) ২ বছর মোট ৫ বছরের কোর্স চালু হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০০৬ সালের পর থেকে মাদ্রাসা বোর্ড শুধু দাখিল ও আলিম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করবে। উক্ত আইন অনুসারে ১,০৮৬টি ফাযিল (স্নাতক) ও ১৯৮টি কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা অর্থাৎ ১,২৮৪টি মাদ্রাসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়। এতে সাধারণ শিক্ষার সাথে মাদ্রাসা শিক্ষার দীর্ঘ দিনের বিরাজমান পার্থক্য দূরীভূত হয়।

বিস্তারিত


FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]