বাংলাদেশে শিক্ষা ও শিক্ষাকাঠামো
শিক্ষা প্রশাসন শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার কাজে বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ২টি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব পালন করছে। এ দুটি হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় (MOE) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ (PMED)। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এমওই ও পিএমইডি-র আওতায় তিন ধরনের সংস্থা আছে। সংস্থাগুলি হচ্ছে অধিদপ্তর, পেশাগত সংস্থা এবং আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৪টি অধিদপ্তর/বিভাগ রয়েছে: ক. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DSHE), খ. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর (DTE), গ. পরিদর্শন ও অডিট অধিদপ্তর (DIA), এবং ঘ. ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ (FD)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের অধীনে দুটি অধিদপ্তর আছে। এগুলি হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DPE) এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তর (DNFE)। শিক্ষা প্রশাসনের তিনটি পেশাগত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে, ক. জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (NAEM), খ. বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (BANBEIS) এবং গ. জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমী (NAPE)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলি হচ্ছে, ক. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB), খ. মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (BISE), গ. কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (TEB), ঘ. মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (MEB), ঙ. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (UGC) এবং চ. বাংলাদেশ কারিগরি ইনস্টিটিউট পরিষদ (BIT)।
ইনস্টিটিউশন বা ক্ষুদ্র পর্যায়ে, ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা কমিটি বা পরিচালনা পর্ষদ এবং ইনস্টিটিউটের প্রধানগণ স্ব স্ব ইনস্টিটিউটের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা মোটামুটি ৩টি ধাপে সমাপ্ত হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ। প্রাথমিক শিক্ষা ৫ বছরের (গ্রেড ১ থেকে ৫), মাধ্যমিক শিক্ষা ৭ বছরের (গ্রেড ৬ থেকে ১২) এবং উচ্চ শিক্ষা ২ থেকে ৫ বছরের (গ্রেড ১৩ এবং তদূর্ধ্ব) হয়ে থাকে। মাধ্যমিক ধাপকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়: নিম্ন মাধ্যমিক (গ্রেড ৬ থেকে ৮), মাধ্যমিক (গ্রেড ৯ ও ১০) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (গ্রেড ১১ ও ১২)। গ্রেড ১২ শেষ করার পর স্নাতক পর্যায়ে সাধারণ (পাস) ডিগ্রির জন্য ৩ বছর, অনার্স ডিগ্রির জন্য ৪ বছর এবং মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য এক বছর সময় লাগে। উচ্চতর ডিগ্রির (এম.এস/ এম.ফিল/ পিএইচ.ডি) জন্য ন্যূনপক্ষে ২ বছর সময় লাগে।
সাধারণ শিক্ষার সমান্তরালে ইসলাম ধর্মীয় বা মাদ্রাসা শিক্ষার একটি ধারা বিদ্যমান। এর ৫টি ধাপ রয়েছে: ৫ বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা (এবতেদায়ি), ৫ বছর মেয়াদি মাধ্যমিক শিক্ষা (দাখিল), ২ বছর মেয়াদি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (আলিম), ২ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর (পাস) ডিগ্রি (ফাজিল), এবং ২ বছর মেয়াদি মাস্টার্স ডিগ্রি (কামিল)। দাখিল ও আলিম পরীক্ষাসমূহকে সাধারণ শিক্ষার এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার সমমানের ধরা হয়। ফাজিল ও কামিলকে এখনও সাধারণ শিক্ষাধারার স্নাতক (পাস) ও মাস্টার ডিগ্রির সমমানের হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নি। শিক্ষার অন্যান্য ধারাগুলি হচ্ছে: কারিগারি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা, প্রকৌশল শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা, চিকিৎসা শিক্ষা, আইন শিক্ষা এবং ব্যবসায় শিক্ষা। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার তিনটি পর্যায় রয়েছে: ১. গ্রেড ৮-এর পরে এক থেকে ২ বছরের সার্টিফিকেট পর্যায়; ২. এস.এস.সি পাসের পর ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা পর্যায়, এবং ৩. এইচ.এস.সি পাসের পর ৪ বছরের স্নাতক পর্যায়। প্রকৌশল, কৃষি, চিকিৎসা, ব্যবসায় এবং আইন বিষয়ক শিক্ষাসমূহ এইচ.এস.সি পাসের পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ