বাংলাদেশের শিল্পকারখানা

বাংলাদেশের শিল্পকারখানা

বর্ননা নেই


পাট শিল্প

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পাটকল স্থাপন করা হয় ১৯৫১ সালে ১০০০ তাঁত নিয়ে নারায়নগঞ্জে আদমজীনগরে। বর্তমান বাংলাদেশে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) এর নিয়ন্ত্রণাধীন ২৭ টি(১টি বন্ধ ও ২টি নন জুট মিল), বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন (বিজেএমএ) এর নিয়ন্ত্রণে ১৪৬ টি (৩৮টি বেসকারিকৃত ও ১০৮ টি নতুন স্থাপিত মিল)এবং বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশন (বিজেএসএ) এর আওতায় ৩৬ টি পাট সুতাকল রায়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ২.৯৫ লক্ষ মে. টন যার রপ্তানিমূল্য ১৬১৫৯৫ লক্ষ টাকা।


বস্ত্র শিল্প

দেশে সরকারি কটন স্পিনিং মিলের সংখ্যা ৪২৯ টি। এই ৪২৯ টি মিলের উৎপাদন ক্ষমতা ২১০৬ মিলিয়ন কেজি। এছাড়াও উইভিং মিলের সংখ্যা ৭৮৭ টি এবং এর উৎপাদন ক্ষমতা ২৮০০ মিলিয়ন মিটার; স্পেশালাইজড টেক্সটাইল ও পাওয়ার লুম ইউনিট ৩৮১০০ টি এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৬৫০০০ মিলিয়ন মিটার। হস্তচালিত ইউনিটের সংখ্যা ৩১৩২৪৫ টি (উৎপাদন ক্ষমতা ৮৩০ মিলিয়ন মিটার) রয়েছে। এগুলো ছাড়াও সর্বমোট ৩০০০ টি নীটিং., নীট-ডায়িং ইউনিট (১৪০০ টি রপ্তানিমুখী ইউনিটসহ), ২৩৬টি ডায়িং প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং ইউনিট (উৎপাদন ক্ষমতা ২৬০০ মিলিয়ন মিটার )।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর, ২০১৪ দেশের উৎপাদিত মোট সুতার পরিমাণ ৬০০.৯৪ মিলিয়ন কোজি যার মধ্যে বেসরকারি খাতে উৎপাদনের পরিমাণ ৬০০.০০ মিলিয়ন কেজি। এ সময়ে দেশে মোট কাপড় উৎপাদনের পরিমাণ ৪৩৫৩.০০ মিলিয়ন মিটার যার পুরোটাই বেসরকারি খাতে উৎপাদিত হয়েছে। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮১.৫ শতাংশ বস্ত্রপণ্য ও তৈরী পোশাক থেকে আসছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের ২০টির বেশি দেশে পোশাক রপ্তানি করে থাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম বাজার পোশাক রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয়ের প্রায় ১৮.০ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩২০৪.৭ মিলিয়ন মর্কিন ডলার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এছাড়াও রয়েছে কানাডা ও মধ্য প্রাচ্যের দেশ সমুহ।

 


কাগজ শিল্প

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কাগজকল স্থাপন করা হয়  ১৯৫৩ সালে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনায় কর্ণফূলী কাগজকল। এটি বিসিআইসি নিয়ন্ত্রিত একমাত্র কাগজকল। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাগজকল খুলনা নিউজপ্রিন্ট ৩০ নভেম্বর ২০০২ বন্ধ হওয়ার পর কর্ণফুলী কাগজকল বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম কাগজকল। বাংলাদেশে বর্তমানে ৭টি কাগজকল ও ৪টি হার্ডবোর্ড মিল চালু আছে। সিলেট মন্ড ও কাগজকল স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র কাগজকল।

 


ইস্পাত ও প্রকৌশল শিল্প

বর্ননা নেই


সার শিল্প

১৯৬১ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সার কারখানা স্থাপন করা হয় সিলেটে, ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা। দেশের বৃহত্তম সার কারখানা জামালপুরের যমুনা সার কারখানা চালু হয় ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯১। এটি দেশে গুটি ইউরিয়া তৈরির একমাত্র সার কারখানা।এর বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৫ লক্ষ ৬১ হাজার মে.টন।

বাংলাদেশে সরকার ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বেসরকারি খাতে বাংলাদেশের একক বৃহত্তম সার কারখানা কর্ণফুলী সার কারখানা।এটি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত।


চিনি শিল্প

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি চিনিকল রয়েছে। যার বার্ষিক গড় উৎপাদন ক্ষমতা ২.১০ লক্ষ মে. টন। ফলে বেসরকারি খাতে স্থাপিত ৫/৬টি সুগার রিফাইনারিতে উৎপাদিত চিনি ও আমদানিকৃত চিনি দিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়।


FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]