বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য

বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক বাণিজ্য

বৈদেশিক বাণিজ্য

 
রপ্তানি $১৪.১১ বিলিয়ন (২০০৭ সালের প্রাক্কলন)
রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, হিমায়িত মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্য
প্রধান রপ্তানি অংশীদার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১০.৯%, যুক্তরাজ্য ৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%,

ইতালি ৪.৪২% (২০০০)
আমদানি $২১.৬ বিলিয়ন (২০০৭)
আমদানি পণ্য ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, তুলা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য
প্রধান আমদানি অংশীদার ভারত ১০.৫%, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৯.৫%, জাপান ৯.৫%, সিঙ্গাপুর ৮.৫%,গণচীন ৭.৪% (২০০৪)
মোট বৈদেশিক ঋণ

$২১.২৩ বিলিয়ন (৩১শে ডিসেম্বর, ২০০৭)

বিস্তারিত


বৈদেশিক সাহায্য

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রধান দাতার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সৌদি আরব ও পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ।

বিস্তারিত


বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক  বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের প্রধান কর্তৃপক্ষ। ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ (১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ১২৭) বলে ঢাকায় স্থাপিত হয় এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এর কার্যক্রম শুরুর তারিখ ধরা হয়। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকা শাখার সকল দায় ও পরিসম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৩ কোটি টাকা এবং তা প্রতিটি ১০০ টাকা মূল্যমানের ৩ লক্ষ শেয়ারে বিভক্ত। সম্পূর্ণ মূলধনই সরকার পরিশোধ করেছে। ব্যাংকটি পরিচালনার জন্য ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এ পর্ষদের সভাপতি। অন্যান্যরা হচ্ছেন একজন ডেপুটি গভর্নর ও সাতজন সদস্য। গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর পাঁচ বছরের কম যে কোনো মেয়াদের জন্য সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তবে, সরকার তাদের নিয়োগের মেয়াদ নতুন করে পরবর্তী মেয়াদের জন্য বর্ধিতও করতে পারেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ যাবত যারা গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন: আ.ন.ম হামিদুল্লাহ (১৯৭২-৭৪); এ.কে.এন আহমেদ (১৯৭৪-৭৬); এম নূরুল ইসলাম (১৯৭৬-১৯৮৭); শেগুফ্তা বখ্ত চৌধুরী (১৯৮৭-৯২); খোরশেদ আলম (১৯৯২-৯৬); লুৎফর রহমান সরকার (১৯৯৬-৯৮); ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন (১৯৯৮-২০০১); ড. ফখরুদ্দীন আহমদ (২০০১-২০০৫); ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ (২০০৫-২০০৯); ড. আতিউর রহমান (২০০৯- ২০১৬)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। প্রধান কার্যালয় ছাড়াও ঢাকার সদরঘাটে এর একটি শাখা আছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি করে শাখা আছে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বগুড়া, রংপুর এবং বরিশাল শহরে। প্রধান কার্যালয়ে মোট ৩১টি বিভাগ আছে। এসব বিভাগ এবং শাখা কার্যালয়সমূহের প্রধান হচ্ছেন একজন নির্বাহী পরিচালক অথবা মহাব্যবস্থাপক। ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ৭২৪০।

বিস্তারিত


ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা

ইসলামি ব্যাংকিং   আল-কুরআনএর বিধিবিধান অনুসরণ করে পরিচালিত একটি নতুন ধরনের  ব্যাংকিং ব্যবস্থা যাতে সুদ এবং সুদের বিনিময়ে ধার ও ঋণের লেনদেন নিষিদ্ধ। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ঘোষিত লক্ষ্য হচ্ছে সুদ নির্মূলকরণ এবং অর্থনৈতিক যৌক্তিকতা, ন্যায়বিচার, দক্ষতা, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধির মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উদ্যোক্তা এবং পুঁজিমালিকের মধ্যে শিল্প অথবা বাণিজ্যিক ঝুঁকি সমানভাবে বণ্টন এবং বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফা থেকে প্রাপ্ত অর্থ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আনুপাতিক মূলধনের ভিত্তিতে ভাগ করার কথা বলা হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকসমূহ সাধারণত সেরা ঋণপরিশোধক্ষম গ্রাহকদের সেবা করতে চায়। পক্ষান্তরে, ইসলামী ব্যাংকিং সবচেয়ে উৎপাদনশীল ও লাভজনক প্রকল্পের সন্ধান করে। ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিং তাত্ত্বিকভাবে ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্তর ও সামাজিক অবস্থানের ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্যের বিরোধিতা করে এবং বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং-এর যাত্রা শুরু হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক হিসেবে পরিচিত।  কোম্পানি আইন ১৯১৩-এর অধীনে সীমিত দায় নিয়ে একটি পাবলিক কোম্পানি হিসেবে এটি ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ নিবন্ধিত হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে এর ২৩৭ টি শাখা ছিল। এর অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ছিল ১০০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ৬৪০ মিলিয়ন টাকা। বাংলাদেশে দ্বিতীয় ইসলামী ব্যাংক হিসেবে পরিচিত আল বারাকা ব্যাংক ১৯৯৭ সালের ২০ মে একটি তফশিলি ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকিং কার্যক্রম আরম্ভ করে। বর্তমানে এর নামকরণ হয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। এটি সৌদি আরবের খ্যাতিসম্পন্ন আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আল-বারাকা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশের কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি এবং বাংলাদেশ সরকারের সমবেত উদ্যোগের একটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ২৫৯.৫৫ মিলিয়ন টাকা। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ ব্যাংকের ৩৫টি শাখা রয়েছে। গ্রাহকদের প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবা ছাড়াও ব্যাংকটি শিল্প ও ভূসম্পত্তি-সংক্রান্ত প্রকল্পসমূহের জন্য উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে।

১৯৯৬ সালে ইসলামী ব্যাংকিং নীতিমালার ভিত্তিতে কাজ করার লক্ষ্যে আরও দুটি ইসলামী ব্যাংককে অনুমতি প্রদান করা হয়। এগুলি হচ্ছে  আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এবং সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। দেশের পঞ্চম ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে  শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ২০০১ সালের ১০ মে একটি তফশিলী ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন হলো ৬০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হলো ৩৪২৫ মিলিয়ন টাকা। ব্যাংকটির ৫২ টি শাখা রয়েছে। ব্যাংকটির সামগ্রিক কর্মকান্ড বেশ সন্তোষজনক। ইতোমধ্যে দুটি সনাতন ব্যাংক যেমন এক্সিম (এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক লিমিটেড) এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক সম্পূর্ণরূপে ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়েছে। এক্সিম ব্যাংক একটি সনাতন ব্যাংক হিসেবে ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করে এবং ২০০৪ সালের জুলাই মাসে ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৩৫০০ মিলিয়ন এবং পরিশোধিত মূলধন ২৬৭৭ মিলিয়ন টাকা। বর্তমানে ব্যাংকটির ৫৮ টি শাখা রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকিং-এ রূপান্তরিত হওয়ার পর দুটি ব্যাংক এখন আগের তুলনায় অধিকতর দক্ষতার সাথে কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।

সবমিলিয়ে বাংলাদেশে সাতটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে এবং তাদের শাখার পরিমাণ হলো গ্রাম ও শহর মিলে ৫৩২ টি। এসব ইসলামী ব্যাংক তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম একের পর এক শাখা খুলে কর্মপরিধি বিস্তৃত করছে। এদের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড যার সারা দেশে রয়েছে ২৩৮ টি শাখা। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে একটি নব্যতর সংযোজন হলো বিখ্যাত সনাতন ব্যাংকগুলি তাদের ব্যাংকিং-এ ইসলামী ব্যাংকিংকে জায়গা দিতে শুরু করেছে। ১২ টি সনাতন ব্যাংক এবং তিনটি বিখ্যাত বিদেশি ব্যাংক যেমন  স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক,  এইচএসবিসি এবং  ব্যাংক আল ফালাহ লিমিটেড ইসলামী ব্যাংকিং-এ অংশগ্রহণ শুরু করেছে। সনাতন ব্যাংকের শাখা এখন ২৫। এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এগুলির কার্যক্রম অবশ্যই উল্লেখের দাবী রাখে। সরকারি ও বেসরকারি অনেক সনাতন ব্যাংকও, ইসলামী ব্যাংকিং চালু করবে এমন শাখা খোলার জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী সকল ইসলামী ব্যাংকের সম্মিলিত জমাকৃত অর্থের পরিমান হলো বাংলাদেশের ব্যক্তিখাতের সকল ব্যাংকের সম্মিলিত জমার ২৬.০৫ শতাংশ এবং সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ১৭.৯৮ শতাংশের সমান। একইভাবে বাংলাদেশের সকল ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ হলো সকল ব্যক্তি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ও সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিনিয়োগের যথাক্রমে ২৯.২৭ এবং ২২.১৫ শতাংশের সমান। ইসলামী ও সনাতন ব্যাংকসমূহের সামগ্রিক কর্মকান্ডের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে সর্বমোট ৪৯ টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ৭ টি ইসলামী ব্যাংক। এগুলি দেশের অর্থনীতির ২০ শতাংশ ব্যাংকিং কার্যক্রমই নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকসমূহের সর্বমোট জমার পরিমান হলো ৪৪২৭৫ কোটি টাকা।

ইসলামী ব্যাংকগুলির মধ্যে বরাবরই ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড জমার পরিমান বৃদ্ধি ও বিনিয়োগে এগিয়ে রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স দেশে আনার ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। গত পাঁচ বছরে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (আইবিবিএল) দেশে রেমিটেন্স আনার ক্ষেত্রে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রত্যেকটি ইসলামী ব্যাংক ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তালিকাভূক্ত এবং প্রাথমিক শেয়ার বা আইপিও (Initial Public Offering) ইস্যু করে জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে। সকল ইসলামী ব্যাংক সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা যেমন এটিএম কার্ড এবং অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। এসবই প্রমাণ করে যে, ইসলামী ব্যাংকগুলি ব্যাংকিং উন্নয়ন এবং অর্থায়নের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাস্তবতার নিরিখে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিস্তারিত


FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]