বাস্ত্তসংস্থানিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের বনভূমি নিম্নোক্ত শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে: ক্রান্তীয় আর্দ্র চিরসবুজ, ক্রান্তীয় আধা-চিরসবুজ, ক্রান্তীয় আর্দ্র পত্রমোচী, জোয়ারধৌত বন ও কৃত্রিম বন।
ক্রান্তীয় আর্দ্র চিরসবুজ বন (Troppical wet evergreen forest) সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যসহ এখানে চিরসবুজ গাছগাছালির প্রাধান্য। এই বনে কিছুটা আধাচিরসবুজ ও পত্রমোচী বৃক্ষও থাকে, কিন্তু তাতে বনের চিরসবুজ প্রকৃতি বদলায় না। চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৌলভীবাজার জেলায় এ ধরনের বনভূমি রয়েছে। বৃক্ষসমূহ ৪৫-৬২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর্দ্র ছায়াঢাকা স্থানে পরাশ্রয়ী অর্কিড, ফার্ন ও ফার্নজাতীয় উদ্ভিদ, লতা, মস, কচু, বেত ইত্যাদি প্রায় সর্বত্রই জন্মে। গুল্ম, বীরুৎ ও তৃণ কম, এ জাতীয় বনে প্রায় ৭০০ প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ রয়েছে। কালিগর্জন, ধলিগর্জন, সিভিট, ধুপ, কামদেব, রক্তন, নারকেলি, তালী, চুন্দাল, ঢাকিজাম ইত্যাদি সাধারণ চিরহরিৎ বৃক্ষ প্রজাতি যেগুলি সর্বোচ্চ ছাউনি (canopy) সৃষ্টি করে। চাঁপা, বনশিমুল, চাপালিশ, মাদার ইত্যাদি আধাচিরহরিৎ ও চিরহরিৎ বৃক্ষ বিক্ষিপ্তভাবে জন্মে। পিতরাজ, চালমুগরা, ডেফল, নাগেশ্বর, কাউ, গোদা, জাম, ডুমুর, করই, ধারমারা, গামার, তেজবল মদনমাস্তা, আসার, মুস, ছাতিম, তুন, অশোক, বড়মালা, ডাকরুম, বুরা ইত্যাদি দ্বিতীয় স্তরের ছাউনি সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে Gnetum ও Podocarpus নামক দুটি নগ্নবীজী উদ্ভিদ দেখা যায়। এ বনে কয়েক প্রজাতির বাঁশও রয়েছে।
ক্রান্তীয় আধা-চিরসবুজ বন (Tropical Semi-evergreen forest) বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এ বন সাধারণত চিরহরিৎ, কিন্তু পত্রমোচী (deciduous) বৃক্ষেরও প্রাধান্য রয়েছে। এ বনভূমি সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুরের পাহাড়ি এলাকা নিয়ে গঠিত। প্রধানত জুমচাষ করা হয়। এখানে আট শতাধিক প্রজাতির সপুষ্পক উদ্ভিদ রয়েছে। চিরসবুজ বন অপেক্ষা এ জাতীয় বনে গাছতলায় (undergrowth) উদ্ভিদ অধিক জন্মে। উঁচু আচ্ছাদন সৃষ্টিকারী বৃক্ষ ২৫-২৭ মিটার উঁচু। উপত্যকা ও আর্দ্র ঢালে চাপালিশ, তেলশুর, নারকেলি প্রজাতিগুলিই বেশি জন্মে। গুটগুটিয়া, তুন, পীতরাজ, নাগেশ্বর, উড়িআম, নালিজাম, গোদাজাম, পীতজাম, ঢাকিজাম ইত্যাদি মধ্যমাঞ্চলে ছাউনি সৃষ্টি করে। ডেফল ও কেচুয়ান নিম্নস্তরের আচ্ছাদক। অপেক্ষাকৃত অধিক উষ্ণ ও শুষ্ক ঢালে এবং খাঁজে বিভিন্ন প্রজাতির গর্জন, বনশিমুল, শিমুল, শিলকরই, চুন্দুল, গুজা বাটনা, কামদেব, বুরা গামারি, বহেড়া ও মুস উপরের ছাউনি সৃষ্টি করে। গাব, উদাল ও শিভাদি মধ্যম উচ্চতার ছাউনি সৃষ্টি করে, এবং আদালিয়া, বড়মালা, গোদা, অশোক, জলপাই ও দারুম নিচু ছাউনি সৃষ্টি করে। সাধারণ চিরসবুজ উদ্ভিদ প্রজাতিগুলি হলো গর্জন, শিমুল, বনশিমুল, বাটনা, চাপালিশ, তুন, করই ও জলপাই। এ বনভূমির উদ্ভিদের উত্তরাংশের সঙ্গে পূর্ব-হিমালয় ও দক্ষিণাংশের সঙ্গে আরাকানের উদ্ভিদের সাদৃশ্য রয়েছে। এই বনগুলির মোট আয়তন প্রায় ৬,৪০,০০০ হেক্টর যা বাণিজ্যিক কাঠের ৪০% যোগায়। পূর্বে প্রবর্তিত সেগুনের সঙ্গে সাম্প্রতিক রাবার চাষের ফলে এ বনভূমির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।
ক্রান্তীয় আর্দ্র-পত্রমোচী বন (Tropical moist deciduous forest) শাল (Shorea robusta) গাছের প্রাধান্য বিধায় সাধারণত শালবন নামে পরিচিত। বর্তমানে ঢাকা, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলে বিস্তৃত এ বনভূমির দুটি সুস্পষ্ট বলয় রয়েছে (প্রায় ১০৭,০০০ হেক্টর)। বৃহৎ অংশটি ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার মধ্যবর্তী অঞ্চলে প্রায় ৮০ কিমি দীর্ঘ ও ৭-২০ কিমি চওড়া যা মধুপুরগড় নামে পরিচিত। ক্ষুদ্রতর অংশটি শেরপুর জেলায় ভারতের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত, ৬০ কিমি লম্বা ও ১.৫-১০ কিমি চওড়া। তাছাড়া রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ ও নওগাঁ জেলায় শালবনের কিছু বিচ্ছিন্ন অঞ্চল (প্রায় ১৪,০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে) এবং কুমিল্লা জেলার শালবন বিহার, ময়নামতি ও রাজেশপুরে কিছু অবশেষ (২০০ হেক্টর) ছড়িয়ে রয়েছে। বিশ শতকের প্রথম দিকে কুমিল্লা থেকে ভারতের দার্জিলিং পর্যন্ত একটি অবিচ্ছিন্ন শালবন ছিল। বর্তমানে বনের অধিকাংশই দখল হয়ে গেছে। অবিশষ্ট বনের গাছের মজুদ ও গুণমান নিম্নস্তরের। বর্তমানে শালবন এলাকায় রয়েছে অসংখ্য ধানক্ষেত। বনের অবিচ্ছিন্ন ছাউনি ১০-২০ মিটার উঁচু, অধিকাংশই পত্রমোচী প্রজাতি। শাল (প্রায় ৯০%) ছাড়া অন্যান্য সাধারণ বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে পলাশ, হালদু, জারুল বা সিধা (Lagerstroemia parviflora), বাজনা, হাড়গজা, আজুলি (Dillenia pentagyna), ভেলা, করই, মেনদা (Litsea monopetala), কুসুম, উদাল, ডেফাজাম, বহেড়া, কুরচি, হরীতকী, পিতরাজ, শেওড়া, সোনালু, আসার, আমলকি ও অধগাছ (Croton oblongifolius)। লতার (অধিকাংশই কাষ্ঠলতা) মধ্যে রয়েছে কাঞ্চনলতা, আনিগোটা (Zizyphus rugusa), কুমারীলতা, গজপিপুল, পানিলতা, নানা জাতের মেটে-আলু (Dioscorea species), শতমূলী ও গিলা। গাছতলার প্রজাতির সংখ্যাও যথেষ্ট (৫০ গণের প্রায় ২৫০টি প্রজাতি) যাদের মধ্যে আসামলতা, ভাঁট, বৈঁচি, ময়নাকাঁটা, আসাল ইত্যাদিরই প্রাধান্য। ঘাসের মধ্যে ছনই বেশি। কিছু পরাশ্রয়ী উদ্ভিদও রয়েছে। শিম, সিজ ও কলমী গোত্রীয় উদ্ভিদও রয়েছে।
জোয়ারধৌত বন (Tidal forest) খুলনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের এই উপকূলীয় বনগুলি (একত্রে প্রায় ৫২০,০০০ হেক্টর) বাংলাদেশের সর্বাধিক উৎপাদনশীল বনভূমি। প্রতিবার জোয়ারের সময় এ বনভূমি সমুদ্রের পানিতে প্লাবিত হয়। এখানকার চিরসবুজ গাছগুলির আছে বায়ুমূল এবং বংশবিস্তার জরায়ুজ ধরনের। সুন্দরি ছাড়াও পশুর, গেওয়া, কেওড়া, কাঁকড়া, বাইন, ধুন্দুল, আমুর ও ডাকুর দলবদ্ধভাবে জন্মে। উপকূলীয় পানির ঘোলাটে ভাব ও লবণাক্ততা সেখানকার প্রজাতিগুলির বিন্যাস ও বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে। সুন্দরবন ছাড়াও গাঙ্গেয় বদ্বীপের অনেকগুলি চরই ম্যানগ্রোভের গভীর বনে ঢাকা, নেই শুধু সুন্দরি। নদীর পলি জমে ওঠা তীর ও ফাটলেই এসব প্রজাতি দ্রুত বেড়ে ওঠে। নদী ও খালের পাড়ে ঠেসমূলীয় (rhizophoreceous) প্রজাতির প্রাধান্য দেখা যায়।
কিছু বন কিছু নির্দিষ্ট বাস্ত্তসংস্থানে সীমিত থাকে। এসব বনের মধ্যে রয়েছে
১. বেলাভূমি বা তটীয় বন- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের সমুদ্র উপকূল বরাবর বিস্তৃত। এখানে নানা ধরনের ও ঘনত্বের ঝোপঝাড়ের সঙ্গে জন্মে ঝাউ, কেরুং, পনিয়াল, কাঠবাদাম, মাদার, পিপুল ও নিশিন্দা;
২. স্বাদুপানির নিম্নভূমির বন- সিলেট, সুনামগঞ্জের হাওর ও পার্বত্য বনাঞ্চলের নিচু এলাকায় অবস্থিত। এসব এলাকা বর্ষায় প্লাবিত হয় ও মাটি অত্যন্ত পানিসিক্ত থাকে। সিলেট অঞ্চলে নিম্নভূমির বনে প্রচুর তৃণজাতীয় উদ্ভিদ- ইকড়, খাগড়া ও নল জন্মে। হাওরগুলির পাড়ে প্রায়শই শুধু হিজল বন দেখা যায়। এখানকার গাছতলার গাছগাছড়া হলো প্রধানত বেত, গুঁয়েবাবলা (Lantana species) এবং বড় জাতের ঘাস ও বেনা। বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে- কড়ই, শিমুল, কালউঝা (Cordia dichotoma), ভাটকুর (Vitex heterophylla) ও জারুল। গাছতলার প্রজাতি হলো তেরা (Alpinia), কেউমূল (Costus), মুর্তা ও দাঁতরাঙ্গা/লুটকি (Melastoma) ও নল। এসব বিশেষ ধরনের বন ছাড়াও পাহাড়ি ছোট নদী বা ছড়ার কিনারে স্বকীয় গাছগাছালিসহ আরও স্থানীয় কিছু বন রয়েছে যেখানে গাছের মধ্যে জন্মে চালতা, পিটালি, কাঞ্জল (Bischofia javanica), জারুল, অশোক, ভুবি (Baccaurea ramiflora), জলপাই, শেওড়া ও ডুমুর এবং এইসঙ্গে অনেক প্রজাতির পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ, ফার্ন ও মস।
পার্বত্য বন আবাদের পর নতুন বনায়ন এলাকায় প্রথমে জন্মে গোলসাগু (Cariota urens), বুরা (Macaranga species), বড়মালা (Callicarpa arborea), কাশিপালা (Hibiscus macrophyllus), গোদা (Vitex peduncularis), জীবন (Trema orientalis), নুনকচি (Glochidion species), আমলকি, কুরচি, এলেনা (Antidesma), কদম, ডেফাজাম (Cleistocalyx operculata), কড়ই, উদাল, বাজনা, কাঁটা কশই, তুন, ভাদি, গুটগুটিয়া (Proteium serratum), বাটা, হাড়গোজা ও বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস। প্রাকৃতিক বনভূমির ক্রমাগত হ্রাসের কারণেও কিছু বিশেষ ধরনের বন সৃষ্টি হয়, যাকে তৃণজাতীয় অগোছালো জঙ্গল বলা যায় (প্রায় ৭৫০,০০০ হেক্টর)। বর্তমানে ছন চাষের জন্য এসব গৌণ জঙ্গল প্রায়ই পোড়ানো হয়।
আবাদি বন (Plantation forest) প্রতিবছর রোপিত এই বন দুভাগে বিভাজ্য:
১. রোপিত রাষ্ট্রীয় বন- ১৮৭১ সালে বর্তমান মায়ানমার থেকে বীজ এনে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে সেগুন চাষের প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন থেকেই আবাদি বন গাছ কেটে নতুন করে বনায়নের অংশ হয়ে উঠে। ১৯২০ সাল পর্যন্ত এটি শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামেই সীমাবদ্ধ ছিল। তারপর চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগেও সম্প্রসারিত হয়। বছরে বনায়নের হার ছিল ৪০০ হেক্টর। সেগুনের পর লাগানো অন্যান্য প্রজাতি হলো গামারি, চাপালিশ, গর্জন, মেহগনি, জারুল, তুন, পাইন ও জাম। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ব্যাপক বনায়ন কর্মসূচি গৃহীত হয়। ১৯৭৪ সালে বন বিভাগ জ্বালানি কাঠ উৎপাদনের জন্য গামারি, Albizia falcata; কদম, Acacia species; Eucalyptus species ও পাইনের মতো দ্রুতবর্ধনশীল বৃক্ষ ব্যাপকভাবে রোপণ শুরু করে;
২. ব্যক্তিমালিকানাধীন আবাদি বন- চিরাচরিত প্রথা হিসেবেই বসতবাড়িতে সাফল্যের সঙ্গে বিভিন্ন বৃক্ষ ও ফসল জন্মানো হয়। এ জাতীয় বন রাষ্ট্রীয় বনভূমি ধ্বংসের বিপরীতে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বসতবাড়ির বনভূমিতে প্রায় ১৬০ প্রজাতির বৃক্ষ পাওয়া যায়। এই ধরনের বন সরকারি বনের তুলনায় ১৫-২৫ গুণ বেশি উৎপাদনশীল।
বনভূমির বিস্তৃতি (Forest distribution) বাংলাদেশে অশ্রেণীবদ্ধ বনাঞ্চলসহ সর্বমোট রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বনাঞ্চলের পরিমাণ প্রায় ২২ লক্ষ ৪২ হাজার হেক্টর। এই সম্পূর্ণ এলাকার একটি বিরাট অংশ বৃক্ষহীন। বিগত তিন দশক ধরে প্রতি বছর গড়ে ২.১% বনাঞ্চল বিলুপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের গ্রামীণ বনভূমিসমূহ দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের প্রয়োজনীয় কাঠ ও জ্বালানি কাঠের চাহিদার উল্লেখযোগ্য অংশ পল্লি অঞ্চলের বনসমূহ থেকে পূরণ হয়। কাঠ উৎপাদন ছাড়াও পল্লি বনসমূহের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব রয়েছে।
এ সকল বন থেকে আহরিত হয় ফলমূল, পশুখাদ্য, জ্বালানি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের কাঁচামাল, কৃষি সরঞ্জাম, গৃহনির্মাণের উপকরণসমূহ। এক হিসাবে দেখা গেছে যে, গ্রামীণ বন জঙ্গলের পরিমাণ প্রায় ২,০৭,০০০ হেক্টর। প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ বনকে বন বলা চলে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ বনকুঞ্জসমূহ বহুমুখী তাৎপর্য বহন করে।
চা বাগান এক ধরনের বন যা উল্লেখ করা প্রয়োজন। গুণগতমান বিচারে উৎকৃষ্ট বৃক্ষ সম্পদ পাওয়া যায় চা বাগান এলাকা থেকে। চা বাগানে উৎপন্ন বৃক্ষাদির পরিমাণও দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। চা বাগানের বৃক্ষাদি বলতে চা বাগানের ছায়া প্রদানকারী বৃক্ষ ছাড়াও চা বাগান সংলগ্ন এলাকার অন্যান্য বৃক্ষকে বুঝানো হয়। এই ধরনের প্রায় ২,৮০০ হেক্টর আচ্ছাদিত ভূমি চট্টগ্রাম, সিলেট ও রাঙ্গামাটিতে বিস্তৃত। অতীতে এরূপ আরও অধিক পরিমাণ ভূমিতে ঘন বৃক্ষরাজি শোভা পেত।
তৃতীয় ধরনের বন দ্রুত প্রসার লাভ করছে। বন বহির্ভূত সরকারি খাস জমি যেমন রাস্তাঘাটের কিনার, রেল পথের বেড়ী, খাল বিলের পাড়ে বৃক্ষরোপণ। এই ধরনের প্রান্তিক ভূমিতে বনায়ন একদিকে ক্ষয়িষ্ণু গ্রামীণ বনের ঘাটতিপূরণ করছে, একই সঙ্গে পতিত জমির ব্যবহারে যোগ করছে এক নতুন মাত্রা।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ