আবহাওয়া ও জলবায়ু

আবহাওয়া ও জলবায়ু

আবহাওয়া বৈচিত্র্যে স্থান

বৈশিষ্ট্য                      স্থান

উষ্ণতম স্থান                  লাল পুর নাটোর

শীতলতম স্থান                 শ্রীমঙ্গল, মৌলভিবাজার

সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত                লালা খাল, জেন্তাপুর, সিলেট

সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত                     লালপুর নাটোর


ভুপ্রকৃতি

ভূপ্রকৃতি বাংলাদেশ তিনটি বৃহৎ নদীপ্রণালী- গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার নিম্নতম প্রবাহ অঞ্চলে অবস্থিত এবং এর ভূখন্ডের প্রায় অর্ধাংশই ১০ মিটার সমোন্নতি রেখার নিচে। যুগপৎভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে উচ্চতা এবং ভূপ্রকৃতির উপর ভিত্তি করে দেশটির ভূমিকে তিনটি প্রধান ভূ-অঞ্চলে বিভক্ত করা যেতে পারে: টারশিয়ারি পাহাড় অঞ্চল (বর্তমান সময় থেকে ৬৬০ লক্ষ থেকে ২০ লক্ষ বৎসর পূর্বে), প্লাইসটোসিন উচ্চভূমি (বর্তমান সময় থেকে ২০ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ বৎসর পূর্বে গঠিত) এবং নবীন সমভূমি (এক লক্ষ বৎসর পূর্বে এর গঠন শুরু হয়, বর্তমানে সে গঠন প্রক্রিয়া ক্রিয়াশীল)। বর্ষাকালীন ভারি বৃষ্টিপাত এবং দেশটির অধিকাংশ এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে নিম্ন উচ্চতা দেশটিকে প্রতি বৎসর বন্যার মুখোমুখি করে।

কোয়াটারনারি পলল (২০ লক্ষ বৎসর পূর্বে শুরু হয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত সম্প্রসারিত)-এর সঞ্চয় ঘটেছে প্রধানত গঙ্গা (পদ্মা), ব্রহ্মপুত্র (যমুনা) এবং মেঘনা নদী ও তাদের অসংখ্য শাখা-প্রশাখার মাধ্যমে। বাংলাদেশের তিন চতুর্থাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই পলল ভূমি। দেশের কেন্দ্রীয় উত্তরাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলে বিস্তৃত বিশাল পলল সমভূমির ভূপ্রকৃতি এবং নিষ্কাশন ধরনে সাম্প্রতিক কালে লক্ষণীয় পরিবর্তন ঘটেছে। কোয়াটারনারি পললের সঞ্চয় ভূকাঠামোগত কর্মকান্ডের দ্বারা প্রভাবিত এবং নিয়ন্ত্রিত ছিল। গত ২০০ বৎসরে গঙ্গা ও তিস্তা নদীর পূর্বাভিমুখী গতি পরিবর্তন এবং সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদীর পশ্চিমাভিমুখী পরিবর্তন সাম্প্রতিক কালে ভূত্বকের বিরাট এলাকাব্যাপী বিচলন (epeirogenic movement)-এর প্রমাণ। পাহাড় এবং টিলাভূমিগুলির অবস্থান শিলং মালভূমির দক্ষিণ অংশের একটি সংকীর্ণ দীর্ঘ এলাকা জুড়ে। সিলেট জেলার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় অংশে এবং দেশের দক্ষিণপূর্বের চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকা, ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য এবং মায়ানমার ইউনিয়নের সাথে সীমান্ত রচনা করেছে।

ভূপ্রকৃতি অনুসারে বাংলাদেশকে পাঁচটি পৃথক অঞ্চলে বিন্যস্ত করা যেতে পারে, যার প্রত্যেকটি অঞ্চলেরই রয়েছে নিজস্ব পৃথক বৈশিষ্ট্যসমূহ। ভূপ্রকৃতির বিস্তারিত ব্যাখ্যায় সমগ্র দেশটিকে ২৪টি উপ-অঞ্চল এবং ৫৪টি একক অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান অঞ্চল এবং উপ-অঞ্চলগুলি হলো: (১) পুরাতন হিমালয় পাদদেশীয় সমভূমি, (২) তিস্তা প্লাবনভূমি, (৩) পুরাতন ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমি, (৪) ব্রহ্মপুত্র-যমুনা প্লাবনভূমি, (৫) হাওর অববাহিকা, (৬) সুরমা-কুশিয়ারা প্লাবনভূমি, (৭) মেঘনা প্লাবনভূমি- (ক) মধ্য মেঘনা প্লাবনভূমি, (খ) লোয়ার মেঘনা প্লাবনভূমি, (গ) পুরাতন মেঘনা মোহনা প্লাবনভূমি (ঘ) নবীন মেঘনা মোহনা প্লাবনভূমি, (৮) গাঙ্গেয় প্লাবনভূমি, (৯) গাঙ্গেয় জোয়ারভাটা প্লাবনভূমি, (১০) সুন্দরবন, (১১) নিম্নতর আত্রাই অববাহিকা, (১২) আড়িয়াল বিল, (১৩) গোপালগঞ্জ-খুলনা পিট অববাহিকা, (১৪) চট্টগ্রাম উপকূলীয় সমভূমি, (১৫) উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের পাদদেশীয় সমভূমি, (১৬) প্লাইসটোসিন সোপানসমূহ- (ক) বরেন্দ্রভূমি, (খ) মধুপুর গড় (গ) তিপারা পৃষ্ঠ, (১৭) উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি অঞ্চল- (ক) স্বল্প উচ্চতাবিশিষ্ট পাহাড়সারি (ডুপি টিলা ও ডিহিং স্তরসমষ্টি), (খ) পর্বতসারি (সুরমা ও টিপাম স্তরসমষ্টি)।

বিস্তারিত


FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]