বাংলাদেশের ছিট মহল
একটি স্বাধীন দেশের অভ্যান্তরে পাশ্ববর্তী বা সীমান্তবর্তী অন্য কোন স্বাধীন দেশের বিচ্ছিন্ন ভাবে থেকে যাওয়া ভূখন্ড হল- ছিট মহল
কোন সীমান্ত এলাকার অর্ধমাইল এলাকা জুড়ে তৈরী করা বিশদ তথ্য সংবলিত মানচিত্রকে স্ট্রিপম্যাপ/ সুক্ষ্ম রেখাভিত্তিক মানচিত্র বলা হয়। এ মানচিত্রের স্কেল ১৬ ইঞ্চিতে এক মাইল।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি মুজিব ইন্দিরা নামে পরিচিত। এ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন বিঘা কড়িডোর ও ভারতকে বেরুবাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
ইকোপার্ক (Ecopark) Ecological Park এর সংক্ষিপ্ত রূপ। প্রাকৃতিক পরিবেশে সৃষ্ট বিনোদন উদ্যান যা জীববৈচিত্র্যের উপর কোনো বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করে না। বনাঞ্চলের একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে ইকোপার্ক হিসেবে চিহ্নিত করে একটি নিবিড় ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হয়। বিশেষ কিছু প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে কোনো এলাকাকে ইকোপার্ক হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এক্ষেত্রে উদ্ভিদের প্রাধান্যকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে ইকোপার্কে উদ্ভিদ (flora) এবং প্রাণী (fauna) দুটোরই বিশেষ সংরক্ষণের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়। এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া ছাড়াও স্বল্পপরিসরে বিনোদন সৃষ্টির প্রয়াসও ইকোপার্কে লক্ষ্য করা যায়।
বাংলাদেশের মোট আয়তনের ২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি যা দেশের মোট আয়তনের ১৭.০৮ ভাগ। ২.৫২ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমির মধ্যে বনবিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১.৫২ মিলিয়ন হেক্টর যা দেশের মোট আয়তনের ১০.৬ ভাগ। জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন ০.৭৩ মিলিয়ন হেক্টর ইউএসএফ ল্যান্ড এবং অবশিষ্ট ০.২৭ মিলিয়ন হেক্টর গ্রামীণ বনাঞ্চল হিসেবে পরিগণিত। একসময় এসব বন এলাকা ছিল জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ গভীর অরণ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত সবুজ আরণ্যক পরিবেশ ছিল বন্যপ্রাণী সমৃদ্ধ। এসব গভীর অরণ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যেমন, জাতীয় উদ্যান, গেম রিজার্ভ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সাফারি পার্ক ও ইকোপার্ক ইত্যাদি।
ইকোপার্ক স্থাপনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে: হুমকির সম্মুখীন ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, বিবিধ দুর্লভ প্রজাতির বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ, বিদ্যমান উদ্ভিদ ও প্রাণিবেচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, নিবিড় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশিয় প্রজাতির গাছের বংশভান্ডার তৈরি ও উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, পরিকল্পিত ইকো-ট্যুরিজম শিল্পের প্রসার, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি।
ইকোপার্ক শুধুমাত্র বন ব্যবস্থাপনারই অংশ নয়, দেশি-বিদেশি ভ্রমনেচ্ছু এবং প্রকৃতিপ্রেমী লোকজন বিনোদনের পাশাপাশি ওই বিশেষ প্রতিবেশে বেড়ে ওঠা উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। একই সঙ্গে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কেও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক পাহাড়ি বনাঞ্চল ছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্টি করা হয়েছে ইকোপার্ক। উপকূলীয় অঞ্চলের উদ্ভিদের রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ