ক্রিকেট
ক্রিকেট দুটি দলের মধ্যে ব্যাট ও বলের খেলা। প্রতি দলে এগারো জন করে খেলোয়াড় থাকে। এ খেলা ডিম্বাকৃতির মাঠ বা গ্রাউন্ডে ২২ গজ পিচের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার পূর্বেই দুই দলের দলনেতা আম্পায়ারের উপস্থিতিতে টসের মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকে কোন দল আগে ব্যাট করবে নাকি বল করবে, এটি টস জয়ী দলনেতার পছন্দ অনুযায়ী হয়ে থাকে। খেলা পরিচালনার জন্য মাঠে দুইজন ও মাঠের বাইরে টেলিভিশন রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য একজন আম্পায়ার এবং একজন ম্যাচ রেফারি থাকেন। ক্রিকেট ব্যাটের প্রস্থ সর্বাধিক ৪.৫ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৩৮ ইঞ্চি। মাটি থেকে স্টাম্পের উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি। একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট বলের পরিধি ২৫০ সেন্টিমিটার এবং এর ওজন প্রায় ১৬০ গ্রাম। এ খেলায় ব্যাটিং পক্ষের উদ্দেশ্য থাকে প্রতিপক্ষের ফিল্ডিং বেষ্টনীকে ফাঁকি দিয়ে বল মেরে রান সংগ্রহ করা। আর বোলিং পক্ষের লক্ষ্য হয় প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে যতটা সম্ভব রান নিতে না দেওয়া এবং ব্যাটসম্যানকে আউট করা।
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল ১৯৭৯ সালে প্রথম আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৯৭ সালে এ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। এর আগেই ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশের।
বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেটপ্রিয় দেশের মতো বাংলাদেশেও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফির শিরোপা লাভ এবং সে সূত্রে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর থেকে ক্রিকেট বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হয়েছে। এ খেলায় বাংলাদেশের সাফল্যও অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে বেশি। ১৯৯৭ সালেই বাংলাদেশ ওয়ানডে স্ট্যাটাস ২৬ জুন ২০০০ তারিখে আইসিসির দশম পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে টেস্ট খেলার মর্যাদা অর্জন করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণসহ বিশ্বের সেরা দলগুলোর সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। ২০০০ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নামা বাংলাদেশ ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায়। ওই বছরই ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৩-২ ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথম আইসিসির পুর্ণাঙ্গ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়। ২০০৬ সালে চার ম্যাচের সিরিজে কেনিয়াকে ৪-০তে হারিয়ে প্রথম কোনো দেশকে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব অর্জন করে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট, ওয়ানডে উভয় সিরিজে হারিয়ে বিদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়। আর ২০১০ সালে নিজেদের মাঠে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ ম্যাচে হারিয়ে পায় টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের সাফল্য উল্লেখ করার মতো। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার অংশ নিতে গিয়েই স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ডে। সেখানেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
টেস্ট খেলার যোগ্যতা অর্জনের আগেই ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপ আয়োজন করে আয়োজক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে বিশ্বকাপের দশম আসরের অন্যতম আয়োজকের দায়িত্ব পায় বাংলাদেশ। ওই আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এছাড়া ২০১৪ সালে টোয়েন্টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বও পালন করে বাংলাদেশ।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ