বাংলাদেশের স্থলবন্দর

বাংলাদেশের স্থলবন্দর

স্থলবন্দর  সীমান্তে অবস্থিত আন্তদেশীয় পণ্য ও যাত্রী যাতায়াত এবং বিনিময় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। স্থলবন্দরে শুল্ক, অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা বিধান দপ্তর ছাড়াও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণমূলক দপ্তরসমূহের অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়। এখানে আন্তদেশীয় পণ্য বিনিময় যাত্রী অভিবাসন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ নিমিত্তে পণ্যাগার (ওয়ারহাউজ), যাত্রী ছাউনি, অভ্যর্থনাকেন্দ্র, আমদানি-রপ্তানি দলিলাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো গড়ে ওঠে। স্থলবন্দরে যাতায়াতের নিমিত্তে উভয় দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠা যেমন জরুরি তেমনি আন্তদেশীয় পণ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে বৈধ-অবৈধতা ও আইন সঙ্গতার বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের ব্যবস্থা থাকে।

বাংলাদেশের স্থলবন্দরসমূহ বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল, ভূটান ও মায়ানমারের স্থল কিংবা নদী দ্বারা সৃষ্ট সীমান্তে অবস্থিত। প্রতিবেশী দেশের অঞ্চল ও পণ্য বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে কিংবা যাত্রী যাতায়াতের গুরুত্বের ভিত্তিতে স্থলবন্দরসমূহে অবকাঠামোগত সুবিধাবলীর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। বেনাপোল বন্দর দিয়ে অধিক মাত্রায় পণ্য বিনিময় হয়ে থাকে পক্ষান্তরে তামাবিল দিয়ে পণ্যের চাইতে যাত্রী যাতায়াত বেশি হয়। স্থল বন্দরসমূহের অবকাঠামোগত সুবিধা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজনের নিরীক্ষেই গড়ে ওঠে।

বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ প্রায় ২৪০০ কিমি যার শতকরা ৯২ ভাগ ভারতের সঙ্গে এবং বাকি ৮ ভাগ মিয়ানমারের সঙ্গে। পুরো সীমান্তে ছোট-বড় ১৮১টি শুল্ক স্টেশন আছে যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই শুল্ক স্টেশনসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত ও নির্বাচিত স্টেশনসমূহে স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দায়িত্ব দিয়ে ২০০১ সালের ২১ নং আইনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে  বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক)। এ যাবত ১৩টি স্থলবন্দর নিজস্ব কিংবা বিওটি ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাস্থবককে।

প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে একটি বাণিজ্যবান্ধব সম্পর্ক বিকাশের লক্ষ্যে, স্থলবন্দরসমূহে অধিকতর সেবাধর্মীতা এবং সহজতর পরিচালনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক ও যুগোপযোগী প্রযুক্তিক সুবিধার সমন্বয় ঘটানোর মাধ্যমে আন্তদেশীয় বাণিজ্যে একটি অনুকূল ভারসাম্য অবস্থান তৈরির মিশন ও ভিশন রয়েছে বাস্থবকের। বাস্থবকের প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে স্থলবন্দর পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণের নীতি প্রণয়ন, স্থলবন্দরে পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও প্রদানের জন্য অপারেটর নিয়োগ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে স্থলবন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে আদায়যোগ্য কর, টোল, রেইট ও ফিমের তফসীল প্রণয়ন এবং স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কারো সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্পাদন। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬টি স্থলবন্দর রয়েছে।

বিস্তারিত

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]