বাংলায় ইউরোপিওদের আগমন
জলপথ আবিষ্কার
১৪৯৮ সালে পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপের পথ ঘুরে ভারতের কালিকট বন্দরে আগমন করেন। তার এই সফরে পথপ্রদর্শক হিসেবে বার্থোলোমিউ ডিয়াজ উত্তমাশা অন্তরীপ পর্যন্ত আসেন। ভাস্কো-দা-গামার ভারতবর্ষে আগমনের পর হতে বিভিন্ন ইউরোপীয় বণিকগোষ্ঠীর আগমন ঘটে এবং উপমহাদেশের ইতিহাসে বৈপ্লবিক সম্ভাবনাপূর্ণ নবযুগের সূচনা হয়।
পর্তুগীজদের আগমনঃ
১৫১০ সালে সর্বপপ্রথম পর্তুগীজরা (পর্তুগালের অধিবাসী) ভারতবর্ষে আগমন করেন। বাংলাদেশে পর্তুগীজগণ ফিরিঙ্গি নামে পরিচিত। ১৫১৪ সালে তারা কোচিনে কুঠি স্থাপন করে। ১৫১৬ সালে তারা বাংলায় আগমন করে। ১৫১৭ সালে তারা বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে চট্টগ্রাম ও সপ্তগ্রামে। সুলতান মাহমুদ শাহ তাদের এ অনুমতি দেন। ভারতের প্রথম পর্তুগীজ ভাইসরয় ছিলেন ফ্রান্সিককো ডি আলমিডা। তারা বাংলার সুলতান মাহমুদ শাহের পক্ষে শেরশাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়। শেরশাহ পরবর্তীতে পর্তুগীজদের বাংলা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
প্রায় একশত বছর উপমহাদেশের বিভিন্ন অংশে তাদের বানিজ্য একচেটিয়া ছিল। তারা কালিকট, গোয়া, দমন, দিউ, হুগলী, চট্টগ্রাম প্রভৃতি স্থানে বাণিজ্যকুঠি ও উপনিবেশ স্থাপন করে। তারা ভারতবর্ষে লোকদের উপর অত্যাচার করত, ডাকাতি করত এবং বলপূর্বক লোকদের খ্রিস্টানধর্মে দীক্ষিত করত। এ জন্য মুঘল সম্রাট তাদের অধিকাংশ কুঠি নষ্ট করে দেয়। নিপীড়নমুলক কার্যকলাপের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সমর্থন না পাওয়ায় এবং অন্যান্য ইউরোপীয় বণিকদের সাথে বানিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ভারতবর্ষে তাদের ব্যবসায়িক অস্তিত্ব ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়। পর্তুগীজ জলদস্যুদের বলা হয় ‘হার্মাদ’, শব্দটি পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ