উপমহাদেশে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংগ্রাম(ফকির আন্দোলন)

* সিপাহী বিদ্রোহীকালীন ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ক্যানিং।


উপমহাদেশে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংগ্রাম(ফকির আন্দোলন)

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনির শাসনকালে প্রথম বিদ্রোহ করেন ফকির সন্ন্যাসীরা। তারা ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত বাংলার বিভিন্ন  স্থানে বিদ্রোহ করেছিলেন। ফকির আন্দোলনের নেতা ছিলেন মজনু শাহ ও ভবানী পাঠক। মজনু শাহের নেতৃত্বে ইংরেজগণ উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহ কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। মজনু শাহের মৃত্যুর পর উপযুক্ত নেতার অভাবে এ আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।


উপমহাদেশে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংগ্রাম(নীল বিদ্রোহ)

অস্টাদশ শতকে ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের কারণে বস্ত্রশিল্পে নীলের চাহিদা রেড়ে যায়। ১৮৩৩ সালের সনদ আইনের ফলে ব্রিটেন থেকে দলে দলে ইংরেজ বনিকেরা বাংলায় আসে এবং নীল চাষ শুরু করে। তবে চাষীদের ন্যায্য মূল্য না দেয়ায় চাষীরা নীলচাষে সম্মত হয় না। নীল চাষীদের উপর নির্মম শোষণ ও অত্যাচার চাষীরা নত শিরে মেনে নিলেও কোথাও কোথাও নীল চাষীদের পক্ষে বিচ্ছিন্ন বিদ্রোহ হয় চাষীরা সংঘবদ্ধভাবে নীল চাষে অসম্মতি জানায় এবং আন্দোলন সশস্ত্র রুপ নেয়।  ১৮৫৯ -৬০ সালে উত্তরবঙ্গ এবং ফরিদপুর-যশোর অঞ্চলে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে বিদ্রোহ দমনে ইংরেজ সরকার নীল কমিশন গঠন করে। কমিশন নীলচাষীদের পক্ষে আইন পাস করে-চাষীদের বলপূর্বক নীলচাষে বাধ্য করা যাবে না প্রত্যয় উল্লিখিত ছিল। এর ফলে ১৮৬০ সালে নীল বিদ্রোহের অবসান হয়। বাংলার নীল বিদ্রোহ ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সংঘবদ্ধ বিদ্রোহাত্মক আন্দোলন। রাজনৈতিক সচেতনতার ও বাঙালী জাতীয়তাদের বীজ উপ্ত করেছিল এই নীল বিদ্রোহ। নীলকরদের অত্যাচার নিপীড়ন ও শোষণের কাহিনী তুলে ধরেছেন কথা শিল্পী দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬০ সালে তার নীলদর্পণ নাটকে।


উপমহাদেশে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংগ্রাম(তিতুমীর এর বিদ্রোহ ( ১৭৮২-১৮৩১))

তিতুমীরের প্রকৃত নাম মীর নিসার আলী। তিনি বাঁশের কেল্লা খ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতের চাঁদপুর গ্রামে ১৭৮২ সালে জন্মগ্রাহণ করেন। ১৮২২ সালে মক্কায় হজ করতে গেলে তথায় মৌলানা সৈয়দ আহমদ বেলেলভীর সাথে তার সাক্ষাৎ হয় এবং তিনি ওয়াহাবী আন্দোলন (ধর্ম ও সমাজসংস্কার) শুরু করেন। ‘ওয়াহাবী’ শব্দের অর্থ ‘নবজাগরণ’। তার আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ছিল চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলা।

১৮৩০ সালে সৈয়দ আহমদ বেলেলভী শিখদের পরাজিত করে পেশোয়ার জয় করলে উজ্জীবিত তিতুমীর প্রকাশ্যে ইংরেজদের বিরুদ্দে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি চব্বিশ পরগনা, নদীয় ও ফরিদপুরের অংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষনা করেন। ইংরেজ সরকার দুইবার তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাহিনী পাঠালে  তিনি তাদের পরাস্ত করেন। ১৮৩১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি নারিকেলবাড়িয়ায় ‘বাঁশের কেল্লা’তৈরি করেন। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক ১৮৩১ সালে কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে তার বিরুদ্ধে সেনাবহিনী প্রেরণ করলে তিনি এবং তার বহু অনুচর যু্ধ্দে শহীদ হন (১৯ নভেম্বর ১৮৩১)। তার প্রধান সেনাপতি গোলাম মাসুদকে ইংরেজরা ফাঁসি দেয়।


FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]