উপমহাদেশে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংগ্রাম(ফরায়েজী আন্দোলন)
ফরিদপুরের (বর্তমান মাদারীপুর) অধিবাসী শরীয়তুল্লাহ বাল্যকাল থেকে ছিলেন ধর্মভীরু। পবিত্র হজ ব্রত পালনের পর দেশে এসে তিনি জনগণকে ধর্মীয় চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করতে প্রয়াসী হন। তার পরিচালিত ধর্মীয় আন্দোলনই ‘ফরায়েজী’ আন্দোলন নামে পরিচিত এবং তিনি ছিলেন এ আন্দোলনের উদ্দ্যোক্তা। তিনি মুসলমানদের ‘ফরজ’ বা অবশ্যই পালনীয় কর্মের উপর জোর দেন। এ থেকেই ‘ফরায়েজী’ শব্দের উৎপত্তি। ফরায়েজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল ফরিদপুর।
হাজী শরীয়তুল্লাহ অনৈসলামিক কর্মকান্ডে সহায়তা করতে নিষেধ করেন বিশেষত শ্রাদ্ধ, পৈতা, রথ, দুর্গাপূজা ইত্যাদির জন্য কর প্রদানে নিষেধ করেন। এ কারণে হিন্দু জমিদারগণ মুসলমাদের দাড়ির উপর কর বসায়। তিনি মুসলমানদের অনৈসলামিক কর্মগুলোকে শীরক ও বেদাত-এই দুই ভাগে বিভক্ত করেন।পীর পূজা, কবর পূজা, সেজদা ইত্যাদিকে শীরক এবং জারিগান, মহরমের মাতম প্রভৃতিকে বিদাত বলে উল্লেখ করেন। তিনি এদেশকে দারুল হরব বা বিধর্মীর রাজ্য বলে অভিহিত করেন।
দুদু মিয়া ( ১৮১৯-১৮৬২)
হাজী শরীয়তুল্লাহর একমাত্র ছেলে দুদু মিয়া পিতার মৃত্যুর পর ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। পিতা মত শান্ত, ধীর-স্থির প্রকৃতির লোক তিনি ছিলেন না। অত্যান্ত সাহসী দুদু মিয়া মুসলমানদের উপর জমিদার ও ব্রিটিশদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতেন। তেজস্বী ও অসাধারন কর্মী দুদু মিয়া দৃঢ় হস্তে জমিদারদের অত্যাচার প্রতিরোধ করতে থাকলে জমিদাররা শংকিত হন্ ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবে বিদ্রোহীদের সমর্থন করায় তিনি গ্রেফতার হন এবং ১৮৬০ সালে মুক্তি পান। জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থ-এটি তার বিখ্যাত উক্তি। ফরায়েজী গণ পূর্ববঙ্গে তাদের আন্দোলন পরিচালনা করেন। ১৯৬২ সালে তিনি মারা যান। এর মধ্য দিয়ে ফরায়েজী আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ