পাকিস্তান আমলে বাংলাদেশ(পাকিস্তানের স্বাধীনতা)
১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগ নেতৃবুন্দ লাহোর প্রস্তাব সংশোধন করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দুটি এলাকা নিয়ে একটি রাস্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করে। দেশবিভাগের সময় আসাম হতে সিলেট জেলাকে পূর্ববঙ্গের সাথে যুক্ত করা হয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে আসামের সংযোগ সাধনের জন্য সিলেট জেলার করিমগঞ্জ মহকুমার বেশিরভাগ অংশ ভারতকে দেয়া হয়।
১৯৪৭: পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ
জুলাই: ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যাক্ট’ পাস। এর মাধ্যমে ১৪ আগষ্ট পকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।
আগষ্ট ১৪: পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল
মধ্যরাতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল পদ গ্রহণ করেন লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। পূর্ববাংলার প্রথম গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন যথাক্রমে এ.কে. ফজলুল হক ও খাজা নাজিমউদ্দীন। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান ২৪ বছর একত্রে ছিল।
জুন ২৩: নারায়ণগঞ্জে এক শ্রমিক সম্মেলনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ. প্রতিষ্ঠিত হয়। পূর্ব বাংলায় এটিই ছিল প্রথম মুসলিম লীগ বিরোধী দল। এর প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ নিম্নরূপ ছিল:
সভাপতিঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
সহ-সভাপতিঃ আবুল মনসুর আহমেদ
আতাউর রহমান খান
আব্দুস সারাম খান
সাধারণ সম্পাদকঃ শামসুল হক
যুগ্ম সম্পাদকঃ শেখ মুজিবুর রহমান
রফিকুল আহসান
খন্দকার মোশতাক আহমেদ
পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালের ২৪ অক্টোবর ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ নিয়ে নামকরণ করা হয় ‘আওয়ামী লীগ’। এর মাধ্যমে সংগঠনটিকে অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান আমলে ১৯৪৮ সালের ৩১ মার্চ আইনসভায় পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন-উপস্থাপিত হয়। অনেক তর্কবিতর্কের পর ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরে আইনসভায় গৃহীত জমিদারী দখল উচ্ছেদ ও প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জমিদারী প্রথার উচ্ছেদ করা হয়। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক জমিদারী প্রথা রদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর পূর্বে ১৮৮৫ সালে বংঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন পাস হলে জমিদারদের উৎপীড়ন থেকে প্রজাদের অধিকার বহুলাংশে সুরক্ষিত ও নিশ্চিত হয়।
প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটাধিচক্রে জয়লাভ করে এবং মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত ২৩৭ আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন রাভ করে। অন্যদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত ৭২ আসনের মধ্যে ১৩টি আসন লাভ করে।
এপ্রিল ৩: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক মন্ত্রীসভা গঠন।
মে ৩০ : প্রাদেশিক মন্ত্রীসভা বরখাস্ত হয়।
মার্চ ২৩: পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রনীত । সংখ্যাসাম্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয়। এ শাসনতন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তান ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র’ নাম ধারণ করে। এর ফলে দুই প্রদেশের নামকরণ হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান’ এবং ‘পশ্চিম পাকিস্তান’। ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
মার্চ ২৪ : শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর নিযুক্ত।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ