এশিয়া মহাদেশ
কনফুসিয়াস [চীন]
জন্ম-মৃত্যু: ৫৫১-৪৭৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
বিশেষ তথ্য: চৈনিক দার্শনিক। ৫৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীনের ছ্যুফু শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। কনফুসিয়াসিজম এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি চীনে ‘খোং গুরু’ নামে সুপরিচিত। তার দর্শন ও রচনাবলী চীনসহ পূর্ব এশিয়ার জীবনদর্শনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। তার বিশ্বাস ছিল শিক্ষার মুল ভিত্তি হচ্ছে নীতিজ্ঞান।
হযরত মুহম্মদ (সা:)
জন্ম-মৃত্যু: ৫৭০-৬৩২
বিশেষ তথ্য: সর্বশেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল। ইসলাম ধর্মের প্রাণ পুরুষ ও প্রচারক। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।
আল বেরুনী [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ৯৭৩-১০৪৮
বিশেষ তথ্য: বিশ্ববিখ্যাত আরব শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী। ৯৭৩ সালে পারস্য বর্তমান ইরানে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি গজনীর সুলতান মাহমুদের সাথে ভারতে আসেন এবং ভারতের অবস্থা সুন্দর ভাবে লিপিবদ্ধ করেন। ‘কিতাবুল হিন্দ’ তার বিখ্যাত গ্রন্থ। গণিত, জোতির্বিদ্যা, পদার্থ প্রায় সকল বিষয়ে তার অগাধ দক্ষতা ছিল।
রাজা রামমোহন রায় [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৭৭৪-১৮৩৩
বিশেষ তথ্য: ভারতের বিখ্যাত সমাজ সংস্কারক। তিনি সতীদাহ প্রথা বিলোপ, বাল্য বিবাহ রদ, পর্দাপ্রথা বাতিল ইত্যাদি কুসংস্কার দূরীকরণে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি বিধবা বিবাহ ও স্ত্রী শিক্ষার সমর্থক ছিলেন। তিনি ১৮২৮ সালে ব্রাক্ষ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক পুরুষ বলা হয়।
ওমর খৈয়াম [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ১০৩৮-১১২৩
বিশেষ তথ্য: ফার্সি কবি, গাণিতিক ও জ্যোতির্বিদ। কাব্যগ্রন্থ রুবাইয়াতের জন্য বিখ্যাত।
স্বামী বিবেকানন্দ [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৬৩-১৯০২
বিশেষ তথ্য: তার প্রকৃত নাম নরেন্দ্রনাথ দত্ত। হিন্দু ধর্মীয় মহাপুরুয় এবং দার্শনিক। আধুনিক ভারতের হিন্দু পূণজাগরনের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলৈন বিবেকানন্দ। তার সর্বাধিক খ্যাত ১৮৯৩ সালে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্বধর্ম মহাসভায়’ প্রদত্ত ‘আমেরিকান ভ্রাতা ও ভগিনী’ বক্তৃতাটি পাশ্চত্য সমাজের হিন্দু ধর্মের পরিচিতি প্রদানে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেদান্ত আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৯০২ সালে বেলুড় মঠে দেহ ত্যাগ করেন।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ [পাকিস্তান]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৬-১৯৪৮
বিশেষ তথ্য: পাকিস্তান জাতির জনক হিসেবে পরিচিত এবং পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল। ১৯৪০ সালে লাহোর অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন তিনি দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রবক্তা।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৬৯-১৯৪৮
বিশেষ তথ্য: ভারতের রাজনৈতিক আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা এবং ভারতের জাতির জনক। কবিগুরু রবীন্দনাথ ঠাকুর তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি প্রদান করেন। তিনি অহিংস অসহাযোগ আন্দোলন (১৯২০); ভারত ছাড় আন্দোলন (১৯৪২) ইত্যাদি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। তিনি ‘ক্রনিক্যাল’ নামক দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম হরতালের প্রবর্তক। ‘The Story of My Experiments with Truth’ গ্রন্থটি রচনা করেন। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নাথুরাম গডসে নামক জনৈক আততায়ী কর্তৃক নিহত হন।
সরোজিনী নাইডু [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৭৯-১৯৪৯
বিশেষ তথ্য: ভাতের নাইটংঙ্গেল হিসেবে খ্যাত। ১৯২৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। স্বাধীনতার পর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্রের প্রথম মহিলা গভর্নর ছিলেন। বাঙালি হয়েও বাংলায় কোন কবিতা রচনা করেননি কিন্তু ইংরেজি সাহিত্যে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ [ভারত]
জন্ম-মুত্যু: ১৮৮৮-১৯৫৮
বিশেষ তথ্য: ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম সহযোগী হিসাবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি এবং শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ‘ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’ তার অন্যতম ঐতিহাসিক গ্রন্থ।
জওহরলাল নেহেরু [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৮৯-১৯৬৪
বিশেষ: তথ্য: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৪ সাল মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও বিখ্যাত আইনজীবি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন এক বিখ্যাত লেখক তার বিখ্যাত তিনটি ইংরেজি বই যথা; An Autobiography’ ‘Glimpses of World History’ এবং ‘The Discovery of India’ চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে তিনি পরলোক গমন করেন।
হো চি মিন [ভিয়েতনাম]
জন্ম-মুত্যু: ১৮৯০-১৯৬৯
বিশেষে তথ্য: ভিয়েতনামের জাতির জনক। ১৯৪৫ সাল হতে তাঁর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তৎকালীন উত্তর ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ‘আঙ্কেল হো’ নামে পরিচিত। তার নেতৃত্বাধীন মুক্তি পাগল, স্বাধীনচেতা ভিয়েতনামের সাহসী সৈন্যদল আমেরিকার ন্যায় শক্তিশালী দেশের সৈন্যদলকে পরাজিত করে।
মাও সেতুং [চীন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৩-১৯৭৬
বিশেষ তথ্য: চীনের মহান নেতা। প্রথম জীবনে ওকজন প্রাথমিক স্কুলেন শিক্ষক ছিলেন। ১৯৩৬ সালে ১২ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ লং মার্চের সময় তিনি চীনের কমিউনিস্ট পর্টির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর তিনি তিয়েন আনমেন স্কয়ারে দাড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেন। ১৯৬৯ সালে চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নেতৃত্ব দেন।
নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসু [ভারত]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৭-১৯৪৫
বিশেষ তথ্য: পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতকে স্বাধীন করার উদ্দেশ্যে জাতীয় সেনাবাহিনী ‘আজাদ হিন্দু ফৌজ’ গঠন করেন। এছাড়া তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈকি দল গঠন করেন। তাকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নায়ক বলা হয়। তার বিখ্যাত উক্তি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”।
চৌ এন লাই [চীন]
জন্ম-মৃত্যু: ১৮৯৮-১৯৭৬
বিশেষ তথ্য: চীনের বিপ্লবী নেতা। চীনের লাল ফৌজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম নায়ক এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিরেন। মাও সেতুং এরপর তিনি চীনের সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে পরলোক গমন করেন।
ড. আহমেদ সুকর্নো [ইন্দিানেশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০১-১৯৭০
বিশেষ তথ্য: ইন্দোনেশিয়ার জাতির জনক ও প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ১৯৪৫-১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সে দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি পঞ্চশীলা নীতি প্রবর্তন করেন। ১৯৬৬ জাসে জেনারেল সুহার্তোর সামরিক অভ্যুন্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন।
টেংকু আব্দুর রহমান [মালয়েশিয়া]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০৩-১৯৯০
বিশেষ তথ্য: মালয়েশিয়ার জাতির জনক এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ওআইসি এর প্রথম মহাসচিব। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন।
আয়াতুল্লাহ খোমেনী [ইরান]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯০০-১৯৮৯
বিশেষ তথ্য: ইরানের শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা। তিনি ফ্রান্সে পনের বছর সনে থাকেন। নির্বাসনে থাকাকালীন সময়ে তিনি গণ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ আন্দোলনের মুখে স্বপরিবারে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার নেতৃত্বে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৩ জুন রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মাদার তেরেসা [মেসিডোনিয়ায়]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১০-১৯৯৭
বিশেষ তথ্য: মেসিডোনিয়ায় জন্ম। তখন তার নাম ছিল অ্যাগনেস গোলাস্কা বেজাকিস হিউ। ভারতের সমাজ সেবিকা হিসেবে পরিচিত।
১৯২৮ সালে কলকাতায় আগমন করেন এবং ১৯৪৮ সালে কলকাতায় আগমন করেন এবং ১৯৪৮ সালে ভারতের নাগরিকত্ব রাভ করেন ও দু:স্থ মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৫০ সালে কলকাতার মিশনারি অব চ্যারিটিজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভারতের জাতীয় পুরস্কার, নেহেরু শান্তি পুরস্কার এবং ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার রাভ করেন। তিনি পুরস্কারের সব অর্থ দু:স্থ মানবতার সেবায় ব্যয় করার ঘোষণা দেন।তিনি ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
লি ডাক থো [ভিয়েতনাম]
জন্ম-মৃত্যু: ১৯১১-১৯৯০
বিশেষ তথ্য: সাবেক উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য এবং উত্তর ভিয়েতনামের প্রধান শান্তি আলোচনাকরী। ১৯৭৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করলেও তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ