অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (The Economic & Social Council)
অর্থনৈতিক ও সামজিক পরিষদ বিশ্বে মানবাধিকার অর্জন, উন্নততর ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক ও সামজিক পরিবেশ গড়ে তোলা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ , শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা স্থাপন, বর্ণ বৈষম্যের অবসান, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও চোরাচালান রোধ, দারিদ্র্যপীড়িত জনগণ ও শিশুদের সাহায্য দান, উদ্বাস্তুদের রক্ষা প্রভৃতি কাজে নিয়োজিত।
এটি জাতিসংঘের মুখ্য কার্যনির্বাহী সংস্থা। এটি জাতিসংঘের প্রশাসনিক দপ্তর। এতে একজন মহাসচিব, একজন উপমহাসচিব, ১২ জন অধস্তান সাচিব, ১২ জনের অধিক সহকারী সচিব রয়েছে। এর দপ্তর সংখ্যা ৮টি। জাতিসংঘের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন এবং এর অন্যান্য সংক্ষার সহযোগীতা করাই হল এ সংস্থার প্রধান দায়িত্ব। এটি জাতিসংঘের সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। জাতিসংঘের সব সংস্থার মোট কর্মী সংখ্যা ৫৩,০০০। শুধু জাতিসংঘ সচিবালয়ের কর্মী সংখ্যা বর্তমানে ৮৯০০।
প্রধান কার্যালয়: First Avenue, New York city. N.Y. 10017. USA
অছি পরিষদ(The Trusteeship Council)
গঠন: জাতিসংঘের মূল অঙ্গসংগঠন সমূহের একটি হচ্ছে অছি পরিষদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অছিভুক্ত অঞ্চল সমূহ নিয়ে জাতিসংঘের অধীনে অছি পরিষদ গঠন করা হয়।
সদস্য: নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাস্ট্র।
কাজ: এ পরিষদ অছি বা ট্রাস্টভুক্ত অঞ্চলসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ এবং এদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সার্বিকভাবে আত্মনির্ভরশীল ও স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা স্বায়ত্তশাসনহীন এলাকাগুলোতে জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, স্বাধীনতা ও স্বাধীকারের পথ নিশ্চিত করে সাংশ্লিষ্ট এলাকাকে সদস্য রাষ্ট্রের অধীনে প্রদান করা এর কাজ। এটি জাতিসংঘের সবচেয়ে সফল অঙ্গসংগঠন।
এর মাধ্যমে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত কয়েকটি দেশ হল নাউরু, নিউগিনি, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন প্রভৃতি। ১৯৯৪ সালে পালাউ’র স্বাধীনতা প্রাপ্তির মাধ্যমে অছি পরিষদের কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
প্রতিষ্ঠা: ৩ এপ্রিল, ১৯৪৬
১৯২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি লীগ অব নেশন্স এর অঙ্গসংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলে ৩ এপ্রিল, ১৯৪৬ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালত কার্যক্রম শুরু হয়। আন্তর্জাতিক আদালত হচ্ছে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন আন্তর্জাতিক বিচার প্রতিষ্ঠান। আদালতে বিচারপতিগণের কার্যকাল ৯ বছর। একজন বিচারক দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে পানে। কিন্তু কোন দেশ থেকেই একের অধিক চিারক নিয়োগ করা হয়া না। বিচারপতিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পেতে হয়। কোন সদস্য এ আদালতে আসতে চাইলে বা এর বিচার মেনে চলতে না চাইলে এই আদালত সংশ্লিষ্ট দেশকে বাধ্য করতে পারে না। এই আদালতের কোন বিচারপতিকে পদচ্যুত করা যায় না। একাধিক রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেলে এবং রাষ্ট্রসমূহ নিজেরা উক্ত সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হলে উভয় পক্ষ আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাইলে আন্তর্জাতিক আদালত উক্ত বিষয়ের আইনগত দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়।
প্রধান কার্যালয়: শান্তিপ্রাসাদ, The Peace Palace, 2517 KJ The Hague, Netherland
এ পর্যন্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাকিবর্গ ১৬টি নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে।–
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ