পুরস্কার বলতে ব্যক্তি বা দলগত পর্যায়ে সাফল্যের স্বীকৃতি কিংবা কর্মদক্ষতার উজ্জ্বল নিদর্শনের ফলস্বরূপ প্রাপ্ত পদক বা সম্মাননাকে বুঝায়। সাধারণতঃ ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা দলগতভাবে বিশেষ বিশেষ পর্যায়ে অনন্য সাধারণ অবদান, কুশলতা, দক্ষতা, নৈপুণ্যতাকে স্বীকৃতি বা মূল্যায়ণের লক্ষ্যে যে পদক্ষেপ নেয়া হয় কিংবা খেতাব দেয়া হয়, তা-ই সাধারণ অর্থে বখশিশ, সম্মাননা বা পুরস্কার। ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা দলগত পর্যায়ে এ অবদান প্রতিযোগিতামূলক বা স্বতঃস্ফূর্ত - উভয়ভাবেই হতে পারে। বলা হয়ে থাকে যে, "জয়লাভই বড় কথা নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা"। কিন্তু, সাধারণভাবে বিজয়ীকে অভিনন্দন এবং পরাজিতকে তিরস্কৃত করা হয়।
প্রতিযোগিতামূলক পর্যায়ে যে ব্যক্তি বা দল ১ম হয় সাধারণতঃ সে ব্যক্তি বা দলকেই পুরস্কার লাভের একমাত্র দাবীদার হিসেবে সর্বসমক্ষে স্বীকৃত ও চিহ্নিত করা হয়। অবশ্য তা প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কিংবা পূর্ব নির্ধারিত নিয়মাবলীর উপর নির্ভরশীল। যখন দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা দল সমপর্যায়ের বলে প্রতীয়মান হয়, তখন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ব্যক্তি কিংবা দলকে বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার প্রদান করে। তখন পুরস্কারের মূল্যমান সমভাবে বন্টন করা হয়।
নোবেল পুরস্কার১৯০১ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তিত হয়। ঐ বৎসর থেকে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক তুলনারহিত কর্মকাণ্ডের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হল: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। নোবেল পুরস্কারকে এ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ইংরেজিতে নোবেল লরিয়েট বলা হয়।
সুয়েডীয় বিজ্ঞানী আলফ্রেদ নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল-এর মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল মৃত্যুর পূর্বে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। শুধুমাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয় অসলো, নরওয়ে থেকে। বাকি ক্ষেত্রে স্টকহোম, সুইডেনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে, কিন্তু অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে ১৯৬৯ সালে। আলফ্রেদ নোবেল তার উইলে অর্থনীতির কথা উল্লেখ করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। প্রত্যেক বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেক একটি স্বর্ণপদক, একটি সনদ ও নোবেল ফাউন্ডেশন কর্তৃক কিছু পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। ২০১২ খ্রিস্টাব্দে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৮০ লক্ষ সুইডিশ ক্রোনা। নোবেল পুরস্কার মৃত কাউকে দেয়া হয় না। লরিয়েটকে অবশ্যই পুরস্কার প্রদানের সময় জীবিত থাকতে হবে। কিন্তু এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। খুব বেশি অবদান এর জন্য মরনত্তোর পুরস্কার দেয়া হয়।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ