সুমেরীয় সভ্যতা

সুমেরীয় সভ্যতা

খ্রিস্টপূর্ব ৫,০০০ অব্দে মেসোপটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক ও সিরিয়া) দক্ষিণে পারস্য উপসাগরের অববাহিকায় বসবাসরত ‘সুমেরে’ জনগোষ্ঠী টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে এ সভ্যতা গড়ে তোলে। আনুমানিক ৪০০০ থেকে ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ সময়ে এ সভ্যতার ব্যাপক উন্নতি ঘটে। এ সময়ে চাষ পদ্ধতি, লিখন পদ্ধতি এবং চাকা ও এর ব্যবহার আবিষ্কৃত হয়। এরা ‘কিউনিফর্ম’ নামক অক্ষর ভিত্তিক বর্ণলিপি আবিস্কার করে লেখার কাজে ব্যবহার করে। এদের ধর্ম-মন্দিরকে বলা হতো ‘জিগুরাত’। “জিগুরাত” হলো সুমেরীয়দের তৈরি উচুঁ ও দেখতে সুন্দর নকশা পাহাড়ের মত বিশাল মন্দির। প্রাচীন সুমেরীয় সম্রাট ‘ডুঙ্গি’ নামক কঠোর নিয়ম প্রচলন করেন। এ আইনে শাস্তি ছিল প্রতিশোধমূলক-দাঁতের বদলে দাঁত, চোখের বদলে চোখ। বাইবেলের অনেক কাহিনীতে সুমেরীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের ছাপ রয়েছে। বাইবেলে টাওয়ার অব বাবেল বা জিগুরাতের কাহিনী রয়েছে। এছাড়া গিলগামেশের মহাকাব্যে রয়েছে মহাপ্লাবনের কাহিনী। প্রত্মতত্ত্ববিদগণ দেখিয়েছেন যে, এ এলাকাটি কয়েক হাজার বছর আগে মহাপ্লাবনে ডুবে গিয়েছিল। ইসলাম অনুসারে এটি নূহ নবীর মহাপ্লাবনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

খ্রিস্টপূর্ব ২৩০০ সালে আরব থেকে আগত সেমীয় গণ মেসোপটেমীয়ায় সুমেরীয় সভ্যতা ধ্বংস করে গড়ে তোলে ব্যাবিলনীয় ও আসিরীয় সভ্যতা।

 

 

 

 

 


FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]