বয়:পিরামিড বলতে কি বুঝ? প্রধান বয়:পিরামিড সমূহের কাঠামোগত পর্যালোচনা কর।
লিঙ্গ কাঠামো বলতে কি বুঝ?
বিশ্ব জনসংখ্যার লিঙ্গ অনুপাত ধারা বর্ণনা কর।


বয়:শ্রেণী এবং বয়:সূচকসমূহ একটি জনসংখ্যার বয়:কাঠামোর সরলীকৃত ধারণামাত্র। কেননা এতে
কেবল নির্দিষ্ট বয়স ব্যবধানে জনসংখ্যাকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়ে থাকে। বয়:কাঠামো সম্পর্কে বিস্তৃত
ধারণা লাভ করা যায় জনসংখ্যার বয়:পিরামিড বিশ্লেষণের মাধ্যমে। বয়:পিরামিডের একটি বিশেষ
সুবিধা হলো যে, এতে বয়সভেদে নারী ও পুরুষ জনসংখ্যার আনুপাতিক বা সংখ্যাগত বিন্যাস
প্রতিফলিত। একটি আদর্শ বয়:পিরামিডের মাধ্যস্থ উলম্ব বাহুতে নিচ থেকে শীর্ষে ড় থেকে ১,৫ বা ১০
বৎসর বিরতিতে বয়স এবং আনুভ‚মিক বাহুতে ডান দিকে পুরুষ ও বাম দিকে নারী জনসংখ্যা প্রকৃত
সংখ্যায় অথবা শতকরা হারে দেখানো হয় (চিত্র ৩.১০.১)।
সূী
৯০>
৭০
লঔৎখ শগজ্ঝি
াভঞৎঔ \লীঞ্জটয়ঔ
১০০ ৫০ ০ ৫০ ১০০
৬০
৫০
৪০
৩০
২০
১০
বিভিন্ন জনগোষ্ঠি বা দেশের মধ্যে
তুলনার জন্য জনসংখ্যার নারী
পুরুষভেদে শতকরা হার ব্যবহার
শ্রেয়। ব্যবহৃত বয়স বিরতি বা শ্রেণী
যত কম হবে (যেমন, ১ বৎসর) বয়
পিরামিডটি তত বেশী বাস্তবানুগ ও
বিশ্লেষণমূলক হবে। তবে তথ্যের
গুণগত মান এর প্রধান পূর্ব শর্ত।
বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে এই মান
সম্পর্কে কিছু সন্দিহান থাকার কারণে
৫ বা ১০ বৎসর শ্রেণী বিভাজিত বয়স
তথ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চিত্র ৩.১০.১: একটি আদর্শ বয়:পিরামিড
বয়:পিরামিড কদাচিৎ সুষম হয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ মৃত্যু হারে লিঙ্গগত পার্থক্য এবং অনেকক্ষেত্রে
অভিগমন হারের প্রভাব। একারণে বিভিন্ন ধরনের বয়:পিরামিড বিভিন্ন দেশে বা জনগোষ্ঠীতে দেখা
যায়।
বয়:পিরামিডের প্রকারভেদ : বয়:পিরামিড জনসংখ্যার লিঙ্গ ভিত্তিক বয়সগ্রন্থার গঠনগত বা কাঠামোগত
বৈশিষ্ঠ্যের অন্যতম নির্দেশক। এক্ষেত্রে নারী-পুরষ বয়সভেদ সংখ্যাগত বা আনুপাতিক বিন্যাসের উপর
‘পিরামিড' চিত্রটির আকার নির্ভর করে। পূর্বেই যেমন উল্লেখ করা হয়েছে - বয়:শ্রেণীতে নারী-পুরুষ
হারের তারতম্যের বিশেষ পরিবর্তন ঘটলে, তথা জন্ম, মৃত্যু ও অভিগমন হারের বিশেষ পরিবর্তন হলে
জনসংখ্যার বয়:পিরামিডের আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটবে। যুদ্ধ বিগ্রহ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বার্ধক্যের
অভিগমন বা উদ্ধাস্তু প্রভৃতির প্রভাব ছাড়াও জনসংখ্যার স্বাভাবিক পরিবৃত্ত (ঞধহংরঃরড়হ) প্রক্রিয়ায়
বয়:পিরামিডের আকৃতিগত পরিবর্তন ঘটে। এ সমস্তের ভিত্তিতে জনসংখ্যা পিরামিডকে ছয়টি প্রধান
ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি নিচে সংক্ষেপ আলোচনা করা হলো :
সম্প্রসারণশীল (ঊীঢ়ধহংরাব বা চৎড়মৎবংংরাব) : এ ক্ষেত্রে বয়:পিরামিডের ভ‚মি অত্যন্ত প্রশস্ত এবং
শীর্ষভাগ সংকীর্ণ হয়ে থাকে। মোট জনসংখ্যায় শিশু ও নবীনদের হার প্রায় ৫০ শতাংশ, বৃদ্ধদের হার ৫
শতাংশ বা কম হতে পারে। এই অবস্থায় জনসংখ্যায় মোট নির্ভরশীলতা হার অতি উচ্চ এবং মাধ্যমা
বয়স (গবফরধহ ধমব) কম হয় (২০ বৎসরের নিচে)। উচ্চ জন্ম হার এবং নি¤œ আয়ুষ্কাল জনসংখ্যার
প্রধান বৈশিষ্ট্য (চিত্র ৩.১০.২)। বিকাশশীল দেশসমূহের এবং বাংলাদেশের বয়:পিরামিড এরূপ
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
স্থিতিশীল (ঝঃধঃরড়হধৎু): স্থিতিশীল বয়:পিরামিডের ভ‚মি বা পাদদেশ অপ্রশস্ত এবং শীর্ষভাগ কিছুটা
গম্ভুজাকার হয়ে থাকে (চিত্র ৩.১০.২)। মোট জনসংখ্যার শিশু ও নবীন প্রায় ২৫ শতাংশ, বৃদ্ধ ১০ থেকে
১৫ শতাংশ হয়ে থাকে, ফলে মোট নির্ভরশীলতা হার সবচেয়ে কম এবং মধ্যমা বয়স উচ্চ হয়। নি¤œ
জন্ম হার, উচ্চ গড় আয়ুষ্কাল এবং নি¤œ অভিগমন হারের জন্য এরূপ বয়:পিরামিড সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ
উন্নত দেশের বয়:পিরামিড এরূপ।
বয়:পিরামিডের আদর্শ আকার মিসরীয় পিরামিডের (চুৎধসরহফ) যত দেখায় বলে এরূপ নাম করণ
করা হয়েছে।
সূী
শগজ্ঝি
াভঞৎঔ \লীঞ্জটয়ঔ
ঞ) ীŒংীঔৎবাখঁ (ঈষ্ট \লল্ডুঔৎ) ট) ক˙কভাখঁ (কল’ \লল্ডুঔৎ) ঠ) ীঞ্জচঞঔণলাখঁ (কল’ ড়ঙ ভপ্সয় ঝ \লল্ডুঔৎ)
ঢ) সঢ়: কলকযঃ ” ড়কুঁঔ \লীঞ্জটয়ঔৎ ণ) সূ: কলকযঃ ” শগজ্ঝি \লীঞ্জটয়ঔৎ
ড়ঙভপ্সয় সঔ ওকহঠড়ল শ´ হঔকসভ ড়ঙভপ্সয় সঔ ওকহঠড়ল শ´ হঔকসভ
ড) সূ:কলকযঃ ” ড়ঙভপ্সয় শ´হঔকসভ
লঔৎখ
চিত্র ৩.১০.২: বয়:পিরামিডের প্রধান ধরণ
সংকোচনশীল (ঈড়হংঃৎঁপঃরাব ড়ৎ জবমৎবংংরাব): এরূপ বয়:পিরামিডের ভ‚মি অত্যন্ত অপ্রশস্ত এবং
মধ্যভাগ স্ফীত ও শীর্ষভাগ সামান্য চাপা থাকে (চিত্র ৩.১০.২)। মোট জনসংখ্যায় শিশু ও নবীনদের হার
খুব কম (২০ শতাংশের নিচে), বয়স্কদের অনুপাত উচ্চ হয়ে থাকে। এরূপ পিরামিডযুক্ত জনসংখ্যায়
জন্ম হার ও মৃত্যু হার খুবই কম থাকে ফলে কর্মক্ষম বয়:শ্রেণীতে জনসংখ্যার আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।
নি¤œ জন্ম ও মৃত্যু হারের কারণে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি হার ও নি¤œ পর্যায়ে থাকে এবং জনসংখ্যা
বৃদ্ধি অতি ধীরে বা ঋনাÍক হয়ে থাকে। ইউরোপের কতিপয় দেশ, যেমন, অস্ট্রিয়া, সুইডেন এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সিঙ্গাপুরে এরূপ বয়:পিরামিড দেখা যায়।
বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু প্রভাবিত: নির্দিষ্ট বয়:শ্রেণীতে উচ্চ মৃত্যু হারের কারণে এরূপ বয়:পিরামিড সৃষ্টি হয়।
সাধারণত দুর্ভিক্ষ, মহামারী, যুদ্ধ-বিগ্রহ ইত্যাদি প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট কারণে আক্রান্ত দেশ বা
জনসংখ্যায় এরূপ বয়:পিরামিড দেখা যায়। এক্ষেত্রে উচ্চ মৃত্যু হার নারী-পুরুষ উভয়কে আক্রান্ত করে।
নি¤œ ও উচ্চ বয়স সীমার জনসংখ্যায় উচ্চ মরণশীলতার কারণে পিরামিডটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আকার ধারণ
করে (চিত্র ৩.১০.২)। মধ্য আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে এরূপ বয়:পিরামিড লক্ষ্যণীয়।
(ঙ) মহিলা জনসংখ্যায় বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু বা অভিগমন প্রভাবিত: এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়স শ্রেণীতে (যেমন,
প্রজননশীল বয়স সীমায়) উচ্চ মৃত্যু হার (যেমন, বিকাশশীল দেশে পুরুষদের অভিগমন (যেমন, অনেক
উন্নতদেশের শহরাঞ্চলে) এরূপ বয়:পিরামিডের সৃষ্টি হয় (চিত্র ৩.১০.২)।
(চ) পুরুষ জনসংখ্যায় বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু বা অভিগমন প্রভাবিত: এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী (ঙ) বয়:পিরামিডের
বিপরীত পরিস্থিতি বিরাজ করে। বেশ কিছু শহরাঞ্চল এবং গ্রাম থেকে পুরুষ জনসংখ্যার বহিগর্মন এরূপ
পিরামিডের সৃষ্টি করে( চিত্র ৩.১০.২)।
লিঙ্গ কাঠামো
জনসংখ্যার মধ্যে নারী ও পুরুষের ব্যাপক সংখ্যাগত পার্থক্য না থাকলেও সমাজ ও অর্থনীতিতে এই দুই
শ্রেণীর ভ‚মিকার ভিন্নতা থাকার কারণে লিঙ্গ কাঠামো (ঝবী ঝঃৎঁপঃঁৎব) কাঠামো ভ‚গোলবিদদের নিকট
গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন আদমশুমারীতে লিঙ্গ ভেদে জনসংখ্যা সঠিকভাবে পাওয়া যায় কিন্তু অন্যান্য
বৈশিষ্ট্য, বিশেষ করে লিঙ্গ ভেদে বয়:কাঠামোতে তথ্য ভ্রান্তিপূর্ণ হতে পারে। একটি জনসংখ্যায় লিঙ্গ
কাঠামো ‘লিঙ্গ অনুপাত' (ঝবী জধঃরড়) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এই অনুপাত তিনভাবে প্রকাশ করা যায় :
ক) প্রতি হাজার পুরুষে নারীর সংখ্যা (অথবা প্রতি হাজার নারীতে পুরুষের সংখ্যা);
খ) মোট জনসংখ্যায় নারী বা পুরুষের শতকরা হার; এবং
গ) নারী ও পুরুষের (অথবা পুরুষ ও নারীর) গাণিতিক অনুপাত।
জনমিতিক বিশ্লেষণে সাধারণত: (ক) বর্ণিত লিঙ্গ অনুপাত ব্যবহার করা হয়। নিন্মে এর সূত্র দেওয়া
হলো:
লিঙ্গ অনুপাত = ঃ

∞ ১০০০
যখন, ঃ = মোট নারীর সংখ্যা; স = মোট পুরুষের সংখ্যা; এবং ১০০০ ধ্রæবক।
বিশ্ব লিঙ্গ অনুপাত ধারা
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লিঙ্গ অনুপাত পর্যালোচনা করলে উন্নত ও বিকাশীল অঞ্চলে নারী ও পুরুষের
সংখ্যাগত বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যায় কতিপয় ব্যতিক্রম ছাড়া উন্নত দেশগুলিতে নারীর এবং বিকাশশীল
দেশগুলিতে পুরুষের সামান্য সংখ্যাধিক্য রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায়
পুরুষ সংখ্যা গড়ে প্রায় ৯৪০ জন। বাংলাদেশ ২০১০ সালে প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায় পুরুষের
সংখ্যা ১০৫৯ জন, ভারতে এই সংখ্যা ছিল ১০৭৮ জন। উন্নত ও বিকাশশীল অঞ্চলে লিঙ্গভেদে মৃত্যু
হারের তারতম্যই নারী পুরুষ সংখ্যার পার্থক্যের কারণ। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন তুলনামূলকভাবে নারীরা মৃত্যু হার অপেক্ষাকৃত অধিক হ্রাস করে, ফলে উন্নত দেশ গুলিতে নারীর সামান্য সংখ্যা
গরিষ্ঠ হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে পুষ্টি ও চিকিৎসার বিশেষ করে, প্রসূতি পরিচর্যার অভাব ও প্রসবজনিত
মৃত্যুর কারণে বিকাশশীল অঞ্চলে নারীদের মধ্যে মৃত্যু হার অপেক্ষাকৃত বেশী; ফলে বিকাশশীল
দেশসমূহে নারীরা সংখ্যালঘু। তবে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে নারীদের পক্ষে অবস্থার
উন্নয়ন ঘটে অধিকতর প্রতিরোধ ক্ষমতা নারীদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। ল্যাটিন আমেরিকার কতিপয়
দেশে, বিশেষ করে মেক্সিকো এবং ব্রাজিলে নারী-পুরুষ সংখ্যার বিন্যাস এ প্রসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
২০১০ সালে মেক্সিকো ও ব্রাজিলে প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায় পুরুষ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯৮০ ও
৯৩০ জন। মৃত্যুহারের তারতম্য ছাড়াও লিঙ্গভেদে অভিগমনের ফলেও কোন জনসংখ্যার নারী পুরুষ
বিন্যাসের বিশেষ তারতম্য ঘটতে পারে।
কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশে পুরুষরা সামান্য সংখ্যাগরিষ্ট; প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায়
পুরুষ সংখ্যা প্রায় ১০০১ জন। এর মূল কারণ কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে
বাস্তুত্যাগী পুরুষদের অপেক্ষাকৃত ব্যাপক হারে আগমন। অভিগমনের ফলে পশ্চিমা বিশ্বে অনেক অঞ্চলে
নারী-পুরুষ বিন্যাসের বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি
১০০০ জন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল ১০৭০ জন। বর্তমানে এই অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে
এসেছে। ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৫১
জন। সাম্প্রতিক কালে মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশে নারী-পুরুষ ভারসাম্যের বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা
যায়। এ প্রসঙ্গে কুয়েতের অবস্থা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৯৫৭ সালে কুয়েতে প্রতি ১০০০ জন
নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭৭০ জন; ১৯৬৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৫৮০। বর্তমানে
এই সংখ্যা প্রায় ১৫০০। প্রশান্ত মহাসাগরীয় কতিপয় দ্বীপাঞ্চল ছাড়া নারী-পুরুষ সংখ্যার এরূপ
ভারসাম্যহীনতা আর লক্ষ্য করা যায় না। উচ্চ জন্ম হার, মোট জনসংখ্যার শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের উচ্চ
অনুপাত, শুমারীতে নারীদের সঠিকভাবে গণনা না করা এবং পুরুষ শ্রমিক আগমন প্রভৃতি পুরুষের
সংখ্যাধিক্যের কারণ বলে মনে করা হয়। উন্নত বিশ্বে পূর্ব জার্মানী এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে নারীপুরুষ সংখ্যার বিশেষ ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। ১৯৯১ সালে তৎকালীন সোভিয়েট ইউনিয়নে এবং পূর্ব
জার্মানীতে প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৯০৫ ও ৮৫৫ জন। এই
সংখ্যা ১৯৫০ দশকে আরো কম ছিল। বিভিন্ন যুদ্ধে বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পুরুষদের
ব্যাপক মৃত্যুই জার্মানী ও সোভিয়েত ইউনিয়নে পুরুষ সংখ্যা স্বল্পতার মূল কারণ ১৫ থেকে ৪৯ ব:সর
বয়ষ্ক পুরুষের হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান ও সোভিয়েট বাহিনীর নিহত সৈনিকের সংখ্যা ছিল
যথাক্রমে ১৬.৬% এবং ৯%। ফলে পরবর্তী কয়েক দশক এই সমস্ত দেশ সমূহে লিঙ্গ অনুপাত যথেষ্ট
নি¤œ ছিল।
নগরায়ন ও লিঙ্গ অনুপাত ০
উন্নত ও বিকাশশীল অঞ্চলের শহর এলাকায় নারী ও পুরুষের সংখ্যাগত বৈপরীত্য পরিদৃষ্ট হয়।
সাধারণভাবে উন্নত অঞ্চলের শহরগুলিতে নারীদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে। অন্যদিকে বিকাশশীল অঞ্চলের
শহর এলাকায় পুরুষরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরাঞ্চলে প্রতি ১০০০ জন নারীর
তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল ৯৩০ জন। বাংলাদেশে ২০১০ সালে শহর এলাকায় প্রতি ১০০০ জন
নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ছিল ১১৯০ জন। দ্রæত নগরায়নের ফলে বাংলাদেশে শহুরে পুরুষের
সংখ্যা বৃদ্ধিমুখী। তবে পূর্ববর্তী দশকের তুলনায় এই হার বর্তমানে নি¤œমুখী। বিকাশশীল অঞ্চলে শহর
সমূহে পুরুষের সংখ্যাধিক্যের প্রধান কারণ হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতার অবনতি, পুরুষের
ব্যাপকহারে শহরে অভিগমন, শহরে নারী কর্মসংস্থানের অভাব এবং গ্রামীন ও কৃষি কর্মকান্ডে নারীদের
প্রচলিত সম্পৃক্ততা। বিকাশশীল অঞ্চলের মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার কতিপয় দেশে এই ধরার ব্যতিক্রম
লক্ষ্য করা যায়। ল্যাটিন আমেরিকার সমাজ ও সংস্কৃতিতে কৃষি ও গ্রামীন কর্মকান্ডে নারীদের ভ‚মিকা
বিশেষ সক্রিয় নয় এবং এই অঞ্চলের শহরগুলিতে নারী কর্মসংস্থানের অধিকতর সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
বয়স ভিত্তিক নারী-পুরুষ কাঠামো
নারী-পুরুষের বয়স ভিত্তিক বিন্যাস জনমিতিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশে সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নারী ও পুরুষের
বয়সের আনুপাতিক বিন্যাসের ভিত্তিতে কোন জনসংখ্যাকে যুবা বা বর্ধিষ্ণু এবং জরাগ্রন্থ (অমরহম)
হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। কেননা বয়সের উপর নারী-পুরুষের প্রজননশীলতা নির্ভর করে।
সাধারণভাবে কোন জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশের বেশীর বয়স ১৫ বৎসরের কম হলে সেরূপ জনসংখ্যাকে
বর্ধিষ্ণু বা যুবা এবং ৬৫ বৎসরের উর্ধ্বে ১৫% এর বেশী হলে জরাগ্রস্থ জনসংখ্যা হিসাবে অভিহিত করা
হয়। স্বাভাবতই জরাগ্রস্থ জনসংখ্যায় বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশী থাকে (১৫%-এর বেশী), অন্য দিকে যুবা
জনসংখ্যায় শিশু ও নবীন বয়ষ্কদের সংখ্যা বেশী থাকে (৩৫%) -এর বেশী। এ ছাড়া জরাগ্রস্থ
জনসংখ্যায় বয়সভেদে নারী পুরুষের অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য
করা যায় না; পক্ষান্তরে যুবা জনসংখ্যার বিভিন্ন বয়স শ্রেণীতে জনসংখ্যার অনুপাতে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা
যায় চিত্র (৩.১০.৩)।
সূী
৯০+
২০ ১০ ১০ ০ ২০
শগজ্ঝি
াভঞৎঔ \লীঞ্জটয়ঔ
লঔৎখ
চিত্র -৩.১০.৩: বয়স ভেদে লিঙ্গ অনুপাতের পার্থক্য।
লিঙ্গ অনুপাতের বৈষম্যের কারণ
মানুষসহ প্রায় সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে, নারীর চাইতে পুরুষ সন্তান
কিছুটা কম জন্ম গ্রহণ করে। গর্ভাবস্থায় পুরুষ ভ্রæণ সংখ্যা বেশী থাকলেও মৃত প্রসবে পুরুষ সন্তানের
আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। এতদ্বসত্তে¡ও জন্মকালীন লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০ জন নারী সন্তানে ১০৪ থেকে
১০৭ জন পুরুষ সন্তান জন্মগ্রহণ করে। বিষয়টি সম্ভবত পরবর্তীতে বিশেষ করে ০-১ বা ০-৫ বৎসরের
মধ্যে পুরুষের সংখ্যা মৃত্যুজনিত কারণে হ্রাস পায়। বিষয়টি উন্নত ও বিকাশশীল অঞ্চল উভয়ক্ষেত্রেই
প্রযোজ্য। কিন্তু এর অন্তর্নিহিত কারণ সম্পর্কে জনমিতিবিদগণ এখনও নিশ্চিত নন। তবে এমন মনে
করা হয় যে, কোন জনগোষ্ঠী বা দেশের জীবনযাত্রার মান এবং গর্ভাবস্থায় স্বাস্থ্যসেবার মানের সাথে
বিষয়টির সম্পর্ক থাকতে পারে। যার ফলে বিকাশশীল দেশে জন্মলগ্নে এবং নবজাতক পুরুষ শিশুর মৃত্যু
হার নারী শিশুর চাইতে বেশী। যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত বংশদ্ভুত অধিবাসীদের মধ্যেও এরূপ বিভিন্নতা লক্ষ্য
করা যায়। অপরদিকে প্রায় সকল পিতৃতান্ত্রিক সমাজে সামাজিক বা সাংস্কৃতিক কারণে পুরুষ শিশুর প্রতি
আকর্ষণ ও তাদের লালনপালনে পক্ষপাতিত্ব পরবর্তীতে পুরুষের পক্ষে লিঙ্গ অনুপাত বৃদ্ধি পায়। কৃষি
নির্ভর বিকাশশীল দেশসমূহে এ ধরনের প্রবণতা অধিক লক্ষ্য করা যায়। কোন কোন পর্যায়ে এ ধরনের
প্রবণতা মহিলা শিশু হত্যায় পর্যবশিত হয়। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও এ ধরনের উদাহরণ দেখা
যায়। সামগ্রিকভাবে প্রায় সকল জনগোষ্ঠী বা দেশে নারীর চাইতে পুরুষ মরণশীলতা উচ্চ হয়ে থাকে।
এই অসমতা শিশুর জন্মলগ্নে অধিক লক্ষ্য করা যায়। তাই জন্মলগ্নে পুরুষ সন্তানের গড় আয়ুষ্কাল মহিলা
শিশুর চাইতে কম হয়ে থাকে। সাধারণত এ ধরনের অসমতা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড,
আর্জেন্টিনা এবং ইউরোপীয় দেশসমূহে দেখা যায়। কিন্তু এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান সহজসাধ্য নয়।
একই কারণে শিশুর জন্মলগ্নে লিঙ্গ অনুপাতের উচ্চ ধারা প্রতিষ্ঠা করাও কঠিন। তবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে
পুরুষ শিশু মৃত্যু হারের ধারা প্রায় প্রমাণিত। অনেক ক্ষেত্রে পরবর্তী বয়স শ্রেণীতে বিষয়টি প্রতিফলিত
হতে থাকে। উন্নত বিশ্বে এই ধারা পরবর্তীতে প্রবীন বয়:শ্রেণীতে বৃদ্ধার উচ্চ হারের সঙ্গে প্রতিফলিত
হয়। অপরদিকে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার অনেক বিকাশশীল দেশে অতি উচ্চ মাতৃ মৃত্যু
হার পুরুষ মৃত্যু হারকে যথেষ্ট অতিক্রম করে, ফলে অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ লিঙ্গ হার অর্থাৎ জনসংখ্যায়
পুরুষ প্রাধান্য বিরাজ করে। লিঙ্গ বৈষম্যের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো লিঙ্গ নির্দিষ্ট অভিগমন।
সাধারণত পুরুষগণ মহিলাদের চাইতে অধিক অভিগমনপ্রবণ। প্রধানত: পেশাগত কারণে বা
সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক কারণে পুরুষ নির্দিষ্ট অভিগমন বিকাশশীল প্রায় সকল দেশের জন্য প্রযোজ্য।
এ কারণে প্রাপ্তবয়স্ক বা কর্মরত পুরুষগণ অভিগমন করে উৎস স্থানে ১৫ বা ১৮ থেকে ৪০ বৎসরের
মধ্যে। লিঙ্গ অনুপাত হ্রাস পেয়ে জনসংখ্যার ঐ বয়:শ্রেণীতে মহিলা প্রাধান্য দেখা যায়। তবে উন্নত
দেশসমূহে মহিলাদের উচ্চ শিক্ষার হার, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি ও গতি সঞ্চার মহিলা অভিগমন
উৎসাহিত করেছে। এমনকি কোন কোন দেশে, যেমনÑ যুক্তরাজ্য, জার্মানী, নেদারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে
বয়:নির্দিষ্ট মহিলা অভিগমনের ফলে এ সমস্ত দেশের গ্রামাঞ্চলে নি¤œ লিঙ্গ অনুপাত অর্থাৎ পুরুষদের
আধিক্য দেখা যায়। অভ্যন্তরীণ অভিগমনের ক্ষেত্রে এ ধরণের লিঙ্গ অনুপাতে পুরুষের আধিক্য
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। আবার কোন অঞ্চলের বা শহরের পেশাগত কাঠামো লিঙ্গ অনুপাতকে প্রভাবিত করে।
সেনা নিবাস শহর, শিল্প শহর, বন্দর নগর, খনিজ কেন্দ্র ইত্যাদিতে পুরুষ আধিক্য লিঙ্গ কাঠামোর
বৈশিষ্ট্য। অপরদিকে, উন্নত দেশে বিনোদন কেন্দ্র বা শহর হালকা শিল্প কেন্দ্র, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
কেন্দ্রিক শহর এবং ক্ষুদ্র বাণিজ্য শহরের লিঙ্গ কাঠামোয় নারীর আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।
সারণী ৩.১০.১: বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের লিঙ্গ কাঠামো ২০০৯
বৎসর গ্রামীন নগরীয়
পুরুষ মহিলা মোট পুরুষ মহিলা মোট
২০০১ ৫০.৬৩ ৪৮.৯২ ৯৯.৫৫ ১৬.৪৪ ১৪.০২ ৩০.৩৭
২০০২ ৫১.৫৩ ৪৯.৮২ ১০১.৩৫ ১৬.৮৬ ১৪.৩৯ ৩১.২৫
২০০৩ ৫২.৩ ৫০.৬২ ১০২.৯২ ১৭.৩৭ ১৪.৮৩ ৩২.২
২০০৪ ৫২.৯৩ ৫১.২৮ ১০৪.২১ ১৭.৯৬ ১৫.৩৬ ৩৩.৩৩
২০০৫ ৫৩.৩৬ ৫১.৭৮ ১০৫.১৪ ১৮.৬৫ ১৫.৯৭ ৩৪.৬২
২০০৬ ৫৩.৬ ৫২.১০ ১০৫.৬৯ ১৯.৪৩ ১৬.৬৭ ৩৬.১১
২০০৭ ৫৩.৮৪ ৫২.৪১ ১০৬.২৬ ২০.২৫ ১৭.৪০ ৩৭.৬৫
২০০৮ ৫৪.০৩ ৫২.৬৮ ১০৬.৭০ ২১.০৮ ১৮.১৪ ৩৯.২২
২০০৯ ৫৪.১৫ ৫২.৮৯ ১০৭.০৪ ২১.৯২ ১৮.৮৯ ৪০.৮২
২০১০ ৫৪.২২ ৫৩.০৪ ১০৭.২৬ ২২.৭৭ ১৯.৬৬ ৪২.৪৩
২০১১ ৫৪.২২ ৫৩.১৩ ১০৭.৩৫ ২৩.৬৩ ২০.৪৩ ৪৪.০৬
২০১২ ৫৪.২৩ ৫৩.২২ ১০৭.৪৫ ২৪.৫২ ২১.২৩ ৪৫.৭৫
২০১৩ ৫৪.২৩ ৫৩.৩২ ১০৭.৫৫ ২৫.৪৪ ২২.০৭ ৪৭.৫১
২০১৪ ৫৪.২৪ ৫৩.৪১ ১০৭.৬৫ ২৬.৪০ ২২.৯৩ ৪৯.৩৩
২০১৫ ৫৪.২৪ ৫৩.৫ ১০৭.৭৪ ২৭.৩৯ ২৩.৮৩ ৫১.২২
উৎস : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান পকেট বই ২০০৯
পাঠসংক্ষেপ:
বয়:শ্রেণী এবং বয়:সূচকসমূহ একটি জনসংখ্যার বয়:কাঠামোর সরলীকৃত ধারণামাত্র। কেননা এতে
কেবল নির্দিষ্ট বয়স ব্যবধানে জনসংখ্যাকে শ্রেণীভুক্ত করা হয়ে থাকে। বয়:কাঠামো সম্পর্কে বিস্তৃত
ধারণা লাভ করা যায় জনসংখ্যার বয়:পিরামিড বিশ্লেষণের মাধ্যমে। বয়:পিরামিড বিভিন্ন প্রকারের হয়ে
থাকে। যেমন- সম্প্রসারণশীল, স্থিতিশীল, সংকোচনশীল, বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু প্রভাবিত, মহিলা জনসংখ্যায়
বয়:নির্দিষ্ট মুত্যু বা অভিগমন প্রভাবিত এবং পুরুষ জনসংখ্যায় বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু বা অভিগমন প্রভাবিত
প্রভৃতি। বিশ্ব লিঙ্গ অনুপাতের একটি নির্দিষ্ট ধারা আছে। প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে এই পাঠে আলোচনা করা
হয়েছে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন:
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন:
১.১. বয়:শ্রেণী এবং বয়:সূচকসমূহ একটি জনসংখ্যার বয়:কাঠামোর -------- ধারণা মাত্র।
১.২. স্থিতিশীল বয়:পিরামিডের ভ‚মি বা পাদদেশ অপ্রশস্ত এবং শীর্ষভাগ কিছুটা ------- হয়ে থাকে।
১.৩. সংকোচনশীলএরূপ বয়:পিরামিডের ভ‚মি অত্যন্ত ------- এবং মধ্যভাগ স্ফীত ও শীর্ষভাগ সামান্য
চাপা থাকে।
১.৪. বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু প্রভাবিত: নির্দিষ্ট বয়:শ্রেণীতে ------- হারের কারণে এরূপ বয়:পিরামিড সৃষ্টি
হয়।
১.৫. মহিলা জনসংখ্যায় বয়:নির্দিষ্ট ------ বা অভিগমন প্রভাবিত।
১.৬. পুরুষ জনসংখ্যায় বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যু বা ------ প্রভাবিত।
২. সত্য হলে ‘স' মিথ্যা হলে ‘মি' লিখুন:
২.১ পশ্চিম ইউরোপে প্রতি ১০০০ জন নারীর তুলনায় পুরুষ সংখ্যা গড়ে প্রায় ৯০০ জন।
২.২. উন্নত ও বিকাশশীল অঞ্চলে লিঙ্গভেদে মৃত্যু হারের তারতম্যই নারী পুরুষ সংখ্যার পার্থক্যের
কারণ।
২.৩. উন্নত ও বিকাশশীল অঞ্চলের শহর এলাকায় নারী ও পুরুষের সংখ্যাগত বৈপরীত্য পরিদৃষ্ট হয়।
২.৪. মানুষসহ প্রায় সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো যে, পুরুষের চাইতে নারী
সন্তান কিছুটা কম জন্ম গ্রহণ করে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. জনমিতিক পরিবৃদ্ধিকাল তত্ত¡ বা ধারা কাকে বলা হয়?
২. জনমিতিক পরিবৃদ্ধিকাল তত্ত¡ পর্যায় সমূহের বৈশিষ্ট্য কি কি?
রচনামূলক প্রশ্ন:
১. বয়:পিরামিড বলতে কি বুঝ? প্রধান বয়:পিরামিড সমূহের কাঠামোগত পর্যালোচনা কর।
২. লিঙ্গ কাঠামো বলতে কি বুঝ? জনসংখ্যার লিঙ্গ কাঠামো কি ভাবে নিরূপিত হয়? লিঙ্গ অনুপাতের
প্রভাবকারী উপাদানসমূহ আলোচনা কর।
৩. বিশ্ব জনসংখ্যার লিঙ্গ অনুপাত ধারা বর্ণনা কর।
৪. পাঠে বর্ণিত বাংলাদেশের লিঙ্গ কাঠামোর একটি ব্যাখ্যা কর।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]