. বৈবাহিক কাঠামোর বিভিন্ন প্রকরণগুলি কি? বৈবাহিক অবস্থার জনমিতিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।


বিবাহ নারী ও পুরুষের মধ্যে আইনগতভাবে সম্পর্কীয় ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে স্বীকৃত একটি
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জনমিতিক অবস্থা। বয়স ও লিঙ্গ কাঠামোর মত এই বৈশিষ্ট জৈবিক সত্বাপূর্ণ নয়। বৈবাহিক
কাঠামো পুরোপুরি একটি জনসংখ্যার বা জনগোষ্ঠীর অর্জিত বৈশিষ্ট্য। বিবাহ সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও
ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য পরিবার সৃষ্টির মূল ভিত্তি। যেহেতু কোন পরিবারের বা জনগোষ্ঠীর প্রজননশীলতা
বিবাহের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, সেহেতু জন্ম হারের পর্যায় নির্ণয়ে বৈবাহিক অবস্থা বা কাঠামোর বিন্যাস
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বৈবাহিক বৈশিষ্ট্য প্রধানত তিন ধরনের নারী-পুরুষ সম্পর্কের সাথে যুক্ত :
(ক) এক বিবাহ - একজন পুরুষের সাথে একজন নারীর বৈবাহিক সম্পর্ক। এই বৈবাহিক সম্পর্ক বিশ্বে
সর্বাধিক প্রচলিত;
(খ) বহুপতিœক বিবাহ - একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী গ্রহণ। প্রধানত মুসলিম সাংস্কৃতিক অঞ্চলে এরূপ
বৈবাহিক সম্পর্ক সীমিত আকারে প্রচলিত; এবং
(গ) বহু ভর্তৃক বিবাহ- একজন নারীর একাধিক স্বামী গ্রহণ। একাধিক স্বামী প্রধানত পরিবারভুক্ত
একাধিক ভাই হয়ে থাকে। যে সব সমাজে বা জনগোষ্ঠীতে অতি উচ্চ লিঙ্গ অনুপাত (অর্থাৎ পুরুষ
আধিক্য) বর্তমান, যেমন, হিমালয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ ভারতের নীলগিরি এলাকার কিছু কিছু উপজাতির
মধ্যে এই বৈবাহিক প্রথা দেখা যায়।
এছাড়া খৃষ্টীয় সাংস্কৃতিক অঞ্চলের কোন কোন এলাকায়, যেমন মধ্য ও ল্যাটিন আমেরিকায় (ক্যারিবীয়
অঞ্চলসহ) এবং পাশ্চাত্য বিশ্বে সম্মত মিলন (ঈড়হংবহংঁধষ টহরড়হ) প্রথায় সীমিত নারী-পুরুষের মধ্যে
পরিবার গঠনের প্রবণতা সম্প্রতি লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক বিবাহ প্রথা ব্যাতিরেকে এক-
জোড়া নারী ও পুরুষ বহুদিন যাবৎ পারিবারিক জীবন অতিবাহিত এবং সন্তান-সন্ততি প্রতি পালন করতে
পারে। প্রথাটি রাষ্ট্র ও সামাজিকভাবে বর্তমানে স্বীকৃত হলেও অনেক ক্ষেত্রে সন্তান গ্রহণের পর এরূপ
অনেক দম্পতি এক পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে থাকে। এর কারণ প্রধানত
বৃহত্তর সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসনের সাথে যুক্ত মনে করা হয়। বৈবাহিক সম্পর্কের উপরে বর্ণিত
শ্রেণীভাগের খ ও গ-কে একত্রে বহুগামী (চড়ষুমধসু) সম্পর্ক বলা হয়।
সামগ্রীকভাবে নির্দিষ্ট সময়ে একটি জনসংখ্যার বৈবাহিক কাঠামোকে নি¤œরূপ শ্রেণীবিভাজন করা হয়ে
থাকে, এবং জাতীয় আদম শুমারীতে গণনাকৃত হয়ে থাকে:
(ক) বিবাহিত
(খ) অবিবাহিত;
(গ) বিবাহ-বিচ্ছিন্ন :
(ঘ) বিধবা এবং বিপতœীক;
(ঙ) তালাক প্রাপ্ত।
এই শ্রেণীবিভাজন জনসংখ্যার অনুপাতের পার্থক্য একটি দেশের জনমিতিক এবং আর্থ-সামাজিক
অবস্থার উপর বিবিধ ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এগুলি বিশেষ করে নারী ও পুরুষের কর্ম
কাঠামো ও কর্ম তৎপরতা, শিক্ষা গ্রহণের পর্যায়, অভিগমন প্রবণতা এবং বিশেষভাবে প্রজননশীলতা ও
মরণশীলতাকে প্রভাবিত করে।
বৈবাহিক অবস্থার জনমিতিক সম্পর্ক
বৈবাহিক অবস্থার জনমিতিক তাৎপর্য যে কোন জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ গুরুত্ববহ। বৈবাহিক অবস্থাভেদে
মৃত্যু ও অভিগমন হারের বিশেষ তারতম্য হয়ে থাকে। অবিবাহিত ও তালাক প্রাপ্তদের তুলনায়
বিবাহিতদের মধ্যে মৃত্যু হার সাধারণভাবে কম। বৈবাহিক অবস্থা, বিশেষ করে সন্তান সংখ্যা ও
সন্তানদের বয়সের সঙ্গে অভিগমনের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ছোট ও স্কুল গামীহীন পরিবারের মধ্যে
অভিগমনের প্রবণতা অধিক লক্ষ্য করা যায়। বৈবাহিক অবস্থার একক ও প্রধান গুরুত্ব হচ্ছে জন্ম হার
সম্পর্কিত (তাহা, ১৯৮৯)। বিবাহের মাধ্যমেই নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবন শুরু হয়। সুতরাং জন্ম
হারের ক্ষেত্রে বিবাহিতদের ভ‚মিকা অনন্য। উল্লেখ্য, প্রজনন প্রক্রিয়ায় নারীদের বিশেষ ভ‚মিকা রয়েছে।
প্রজননের ক্ষেত্রে নারীগণ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং নারীদের প্রজননকালও সুনির্দিষ্ট। সাধারণভাবে ১৫
থেকে ৪৯ বৎসর বয়সের মধ্যেই নারীদের প্রজননকাল সীমিত। তবে ২০ থেকে ৩০ বৎসর মধ্যে
নারীদের সন্তান জন্ম দানের হার সর্বাধিক এবং মোট সন্তান জন্মদানের ৭০ শতাংশ সন্তান এই বয়স
সীমার মধ্যে জন্মগ্রহণ করে থাকে। স্বাভাবতই কোন জনসংখ্যায় বিবাহিত নারীর অনুপাত এই
বয়সসীমার মধ্যে অধিক হলে এবং গড় বিবাহ বয়স কম হলে সন্তান ধারণের সম্ভাব্যতা বৃদ্ধি পায়; ফলে
এরূপ জনসংখ্যায় জন্ম হার উচ্চ হয়ে থাকে। প্রায় সকল বিকাশশীল দেশে এবং মুসলিম দেশ সমূহে
এরূপ অবস্থা দেখা যায়। অপরদিকে উন্নত দেশসমূহে এর বিপরীত অবস্থার কারণে নি¤œ জন্ম হার
পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন জনসংখ্যার বৈবাহিক কাঠামো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বিকাশশীল দেশের
তুলনায় উন্নত দেশ সমূহে অবিবাহিত নারীর অনুপাত অপেক্ষাকৃত বেশী। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ২৫-২৯
বয়স শ্রেণীতে ৭৮ শতাংশ নারী বিবাহিত এবং পারিবারিক জীবন যাপন করেছিল। ২০১০ সালে
বাংলাদেশে একই বয়সশ্রেণীতে প্রায় ৯৪ শতাংশ নারী বিবাহিত ছিল। উন্নত ও বিকাশীল দেশসমূহে
বৈবাহিক অবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে বিবাহে নারীদের বয়সগত পার্থক্য। উন্নত অঞ্চলে
নারীদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স প্রায় ২৫ বৎসর ছিল। বিকাশশীল দেশে এই বয়স ছিল ১৫ থেকে
১৭ বৎসরের মধ্যে। বাংলাদেশে এই বয়স ছিল প্রায় ১৭ বৎসর (১৯৯১) এবং ভারতে ১৮ বৎসর
বর্তমানে বাংলাদেশে এই বয়স ১৮ বৎসর (২০১০) বিকাশশীল দেশে এরূপ নি¤œ বিবাহ বয়স এবং
বিস্তৃত সন্তান ধারণ কাল উচ্চ জন্ম হারের প্রধান কারণ বলা যেতে পারে।
বৈবাহিক অবস্থার সাধারণ বিশ্ব চিত্র
বিংশ শতাব্দীতে উন্নত ও বিকাশশীল উভয় অঞ্চলেই বৈবাহিক অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা
গেছে। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে অবিবাহিত ও বিবাহিতদের গড় বয়সগত পরিবর্তন বিশেষ
উল্লেখযোগ্য। অতীতে অবিবাহিত বা কৌমার্য ছিল উন্নত বিশ্বের বৈবাহিক কাঠামোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য
(তাহা, ১৯৮৯)। ১৮৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বৎসর ও তদুর্ধ বয়স্ক পুরুষদের প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং
নারীদের প্রায় ৩৪ শতাংশ অবিবাহিত ছিল। এই সময়ে ২০-২৪ বৎসর বয়:শ্রেণীতে পুরুষদের মধ্যে
অবিবাহিত হার ছিল ৮১ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে প্রায় ৫২ শতাংশ। ১৯৬০ সালে এই বয়:শ্রেণীতে
পুরুষ ও নারীদের মধ্যে অবিবাহিত ছিল যথাক্রমে ৫৩ ও ২৮ শতাংশ। অপরদিকে, ১৯২০ সালে ৩৫-
৪৪ বয়:শ্রেণীতে নারীদের মধ্যে তালাকপ্রাপ্তাদের হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ (তাহা, ১৯৮৯)। ১৯৯৫
সালে তা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। ১৯৯৫ সালে ২৫Ñ২৯ বয়:শ্রেণীতে নারীদের মধ্যে ১৪ শতাংশ
তালাকপ্রাপ্তা ছিল। বিকাশশীল দেশে এই দুই অবস্থার বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। বিবাহের বয়সগত
পরিবর্তন ও সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত বিশ্বে বর্তমানের তুলনায় ১০০ বৎসর পূর্বে পুরুষ ও নারীর
উভয়েরই বিবাহ বয়স যথেষ্ট বেশী ছিল। ১৯২৬ সালে আয়ারল্যান্ডে নারী ও পুরুষদের বিবাহের মধ্যমা
বয়স ছিল যথাক্রমে ২৭ ও ৩১ বৎসর। ১৯৩০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এই বয়স ছিল যথাক্রমে ২১ ও ২৪
বৎসর। ইউরোপে নারীদের উচ্চ মধ্যমা বিবাহ বয়স (২৫-৩০ বৎসর) হাঙ্গেরী, অষ্ট্রিয়া, সুইডেন,
সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং ইংল্যান্ডে দেখা যায়। সাম্প্রতিক দশকসমূহে এই বয়স প্রায় সমগ্র উন্নত
বিশ্বে হ্রাস পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৪১ সালে হাঙ্গেরীতে নারীদের প্রথম বিবাহ বয়স ছিল ২৭ বৎসর
১৯৬০ সালে এই বয়স ছিল ২০ বৎসর, এবং ১৯৯৫ সালে ১৯.৫ বৎসর। ১৯০০ সালে সুইডেনে এবং
অস্ট্রিয়ায় নারীদের প্রথম বিবাহ বয়স ছিল যথাক্রমে ২৬ ও ২৬.২ বৎসর; ১৯৯৫ সালে অস্ট্রিয়ায় এই
বয়স ছিল ২২ এবং সুইডেন ২২.৫ বৎসর।
বিকাশশীল দেশসমূহে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নি¤œ বিবাহ বয়স নারীদের জন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল। তবে
পুরুষদের বিবাহ বয়সও যথেষ্ট কম ছিল। উদাহরণ স্বরূপ, শ্রীলংকা এবং মিশরে ১৯০১ সালে নারীদের
প্রথম বিবাহ বয়স ছিল ১৬.৪ বৎসর, ১৯৯৫ সালে প্রায় ২০ বৎসরে বৃদ্ধি পায়। মিসরে ১৯৪৭ সালে
নারীদের প্রথম বিবাহ বয়স ছিল ১৮ বৎসর, ১৯৬০ সালে ১৯ এবং ২০১০ সালে ২০ বৎসরে দাঁড়ায়।
বিকাশশীল প্রায় দেশে এরূপ ধারা লক্ষ্য করা যায়।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতে ১৯০১ সালে নারীদের প্রথম বিবাহ বয়স ছিল ১৭ বৎসর, ১৯৬১ এই বয়স ছিল
১৭.৫ বৎসর এবং বর্তমানে প্রায় ১৮ বৎসর। বর্তমানে পুরুষদের এই বয়স ২৩.৮ বৎসর। বাংলাদেশেও
অনুরূপ বিবাহ বয়সের ধারা লক্ষ্য করা যায়।
সারণী ৩.১১.১: বাংলাদেশের বৈবাহিক কাঠামো
বাংলাদেশে বৈবাহিক কাঠামো, ১৯২১-২০০৮
সাল অবিবাহিত বিবাহিত বিধবা তালাক প্রাপ্ত/
বিপতœীক
গড় বিবাহ বয়স
(বৎসর)
পুরুষ মহিলা পুরুষ মহিলা পুরুষ মহিলা পুরুষ মহিলা
১৯২১ ৫১.৮০ ৩৪.৩০ ৪৪.৪০ ৪৬.০০ ৩.৮০ ১৯.৭০ ২১.৯০ ১২.৩০
১৯৩১ ৪৬.৯০ ৩১.০০ ৪৯.৮০ ৫১.৪০ ৩.৩০ ১৭.৬০ ১৮.৭০ ১০.৮০
১৯৪১ ৪৭.৯৬ ৩৯.৪৮ ৪৯.৩২ ৪৩.৮২ ৩.৭২ ১৬.৭০ ২১.৭০ ১৩.৪০
১৯.৫১ ৫৪.৯৬ ৪০.৬৯ ৪২.০০ ৪৬.৫৮ ৩.০৩ ১২.৭২ ২২.৪০ ১৪.৪০
১৯৬১ ৫৭.৩৪ ৪৪.৬৪ ৪০.৪১ ৪৩.৬৯ ২.২৪ ১১.৬৭ ২২.৬০ ১৪.৯০
১৯৭৪ ৪৩.৩০ ২৩.৪০ ৫৩.৯০ ৬১.২০ ২.৮০ ১৪.৪০ ২৪.০০ ১৫.০০
১৯৮১ ৪২.৮০ ২৩.৭০ ৫৫.৯০ ৬৩.৪০ ১.৩০ ১২.৭০ ২৫.৮০ ১৭.৮০
১৯৯১ ৪২.১০ ২৫.২০ ৫৭.২০ ৬৪.৮০ ০.৭০ ১০.০০ ২৫.২০ ১৮.১০
২০০১ ২৯.৪০ ১৪.৪০ ৬৯.৯০ ৯৩.০০ - - ২৫.২০ ১৯.০০
২০০৮ ৩১.৫৯ ৫.৮৬ ৬৭.৬৭ ৯১.৫৬ - - ২৩.৮০ ১৮.৭০
উৎস: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান পকেট বই ২০০৯
উন্নত বিশ্বে গড় বিবাহ বয়সের হ্রাসের কারণ হচ্ছে অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে অর্থনৈতিকভাবে
আতœনির্ভরশীলতা এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার ব্যাপক উন্নয়ন। একই সাথে নারী শিক্ষার প্রসারের
ফলে লিঙ্গ সমতা (এবহফবৎ ঊয়ঁরঃু), বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে নারীদের স্বকীয় ভ‚মিকার প্রভাব বিশেষ
গুরুত্ববহ মনে করা হয়। অর্থনৈতিক আত্মনির্ভরশীলতা এবং পেশাগত ক্ষেত্রে লিঙ্গ-সমতা পাশ্চাত্য
সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং নারী-পুরুষ উভয়ের বৈবাহিক বন্ধনের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব
বিস্তারকারী উপাদান। অপরদিকে, বিবাহের প্রতিক‚ল অবস্থা থেকে পরিত্রাণের ক্ষেত্রে জন্ম নিরোধক
ব্যবস্থার ইতিবাচক ভ‚মিকা রয়েছে। বিকাশশীল কতিপয় দেশে বিবাহের বয়স বৃদ্ধির কারণ সুষ্পষ্ট নয়
তবে শিক্ষার বিস্তার, সনাতন পরিবার গঠনের ক্রম পরিবর্তন, নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, লিঙ্গ বৈষম্য
সচেতনতায় থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশে নারীদের গড় বিবাহ বয়স বৃদ্ধিতে
প্রভাব রেখেছে। বাংলাদেশেও এধরণের চিত্র দেখা যাচ্ছে। তবে পুরুষদের গড় বিবাহ বয়সের তেমন
গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে না।
পাঠসংক্ষেপ:
বিবাহ নারী ও পুরুষের মধ্যে আইনগতভাবে সম্পর্কীয় ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে স্বীকৃত একটি
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জনমিতিক অবস্থা। যেহেতু কোন পরিবারের বা জনগোষ্ঠীর প্রজননশীলতা বিবাহের মাধ্যমে
প্রকাশিত হয়, সেহেতু জন্ম হারের পর্যায় নির্ণয়ে বৈবাহিক অবস্থা বা কাঠামোর বিন্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়। এই পাঠে জনসংখ্যার কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত বৈবাহিক কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন: ৩.১১
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন:
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন:
১.১. বিবাহ নারী ও পুরুষের মধ্যে আইনগতভাবে সম্পর্কীয় ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে স্বীকৃত
একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ------- ।
১.২. বৈবাহিক বৈশিষ্ট্য প্রধানত ------- ধরনের নারী-পুরুষ সম্পর্কের সাথে যুক্ত।
১.৩. সাধারণভাবে ১৫ থেকে ------- বৎসর বয়সের মধ্যেই নারীদের প্রজননকাল সীমিত।
১.৪. ২০ থেকে ৩০ বৎসরের মধ্যে নারীদের সন্তান জন্ম দানের হার সর্বাধিক এবং মোট সন্তান
জন্মদানের ৭০ শতাংশ সন্তান এই বয়স সীমার মধ্যে জন্মগ্রহণ করে থাকে।
১.৫. বিকাশশীল দেশসমূহে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ------- বিবাহ বয়স নারীদের জন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ
ছিল।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
১. জনমিতিক পরিবৃদ্ধিকাল তত্ত¡ বা ধারা কাকে বলা হয়?
২. জনমিতিক পরিবৃদ্ধিকাল তত্ত¡ পর্যায় সমূহের বৈশিষ্ট্য কি কি?
রচনামূলক প্রশ্ন:
১. বৈবাহিক কাঠামোর বিভিন্ন প্রকরণগুলি কি? বৈবাহিক অবস্থার জনমিতিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
২. বিশ্ব জনসংখ্যার বৈবাহিক অবস্থা বর্ণনা কর।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]