এই পাঠে আমরা পৃথিবীর পাতলা বহিরাবরণ, যা ভ‚-ত্বক নামে পরিচিত তার গঠনকারী উপাদান
খনিজ এবং তার ভৌত ও রাসায়নিক গুনাবলী এবং ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।
ভ‚-ত্বক বিভিন্ন প্রকার খনিজের সংমিশ্রণে গঠিত। বিভিন্ন প্রকার খনিজের সংমিশ্রণে শিলা গঠিত।
ভ‚-পৃষ্ঠে নানা রকম রাসায়নিক মৌলিক উপাদান রয়েছে। এদের কয়েকটি একত্রে মিলিত হয়ে
যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে এবং এগুলোই খনিজ। তবে কিছুকিছুখনিজ পদার্থ আছে যারা শুধুমাত্র
একটি রাসায়নিক উপাদান দ্বারা গঠিত। যেমন: সোনা, রূপা, হীরা, তামা, গন্ধক প্রভৃতি। প্রত্যেকটি
খনিজ রাসায়নিক উপাদান দ্বারা এমনভবে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে যে উহাদের দ্বারা গঠিত
খনিজ পদার্থের ধর্ম ভিন্ন থাকে।
শিলা খনিজ দ্বারা তৈরী না খনিজ শিলা দ্বারা তৈরী?
খনিজের গঠন
অধিকাংশ খনিজ পদার্থই দুই বা ততোধিক উপাদানের রাসায়নিক সংমিশ্রণে গঠিত। কতকগুলি
খনিজ পদার্থের গঠন প্রণালী সম্পূর্ণ নির্দিষ্ট বা স্থির। যেমন- কোয়ার্টজ।
সিলিকনের একটি পরমাণুর সঙ্গে অক্সিজেনের দুইটি পরমাণুর রাসায়নিক সংমিশ্রণে কোয়ার্টজ
(ঝর০২
) এর একটি অণুগঠিত হয়। তবে বেশীর ভাগ খনিজের গঠন পরিবর্তনশীল।
খনিজের গুরুত্ব
ভ‚-পৃষ্ঠে এ পর্যন্ত ১০৫টি মৌলিক পদার্থ আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম উপাদানবহুল
পরিচিত ও বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে ১০৫ টি মৌলিক
উপাদানের মধ্যে মাত্র ১৫ টি উপাদান দ্বারা ভ‚-পৃষ্ঠের ৯৯ শতাংশেরও বেশী অংশ গঠিত হয়েছে।
সারণি ৩.৩.১-তে এই উপাদানগুলোর তালিকা দেয়া হল।
রাসায়নিক মৌলিক
উপাদান, যৌগিক
পদার্থ।
১০৫ টি মৌলিক
পদার্থ।
সারণি ৩.৩.১ : ভ‚-পৃষ্ঠের ৯৯ শতাংশ গঠনকারী উপাদানসমূহ
ক্রমিক নং মৌলিক উপাদান সাংকেতিক চিহ্ন ভ‚-পৃষ্ঠের শতাংশ
১. অক্সিজেন (ঙীুমবহ) ঙ২ ৪৬.৪৬
২. সিলিকন (ংরষরপড়হ) ঝর ২৭.৬১
৩. এলুমিনিয়াম (অষঁসরহরঁস) অষ ৮.০৭
৪. লৌহ (ওৎড়হ) ঋব ৫.০৬
৫. ক্যালসিয়াম (ঈধষপরঁস) ঈধ ৩.৬৪
৬. সোডিয়াম (ঝড়ফরঁস) ঘধ ২.৭৫
৭. পটাসিয়াম (চড়ঃধংরঁস) শ ২.৫৮
৮. ম্যাগনেসিয়াম (গধমহবংরঁস) গম ২.০৭
৯. টিটানিয়াম (ঞরঃধহরঁস) ঞর ০.৬২
১০. হাইড্রোজেন (ঐুফৎড়ুবহ) ঐ ০.১৪
১১. ফসফরাস (চযড়ংঢ়যড়ৎঁং) চ ০.১২
১২. ম্যাঙ্গানিজ (গধহমধহবংব) গহ ০.১০
১৩. কার্বন (ঈধৎনড়হ) ঈ ০.০৯
১৪. সালফার (ঝঁষঢ়যঁৎ) ঝ ০.০৬
১৫. ক্লোরিন (ঈযষড়ৎরহব) পষ ০.০৫
মোট ৯৯.৪২
উপরোক্ত মৌলিক উপাদানসমূহের মধ্যে প্রথম দু‘টি অর্থাৎ অক্সিজেন ও সিলিকন দ্বারা ভ‚-পৃষ্ঠের
৭৪.০৭% বা চার ভাগের তিনভাগ গঠিত হয়েছে। মোট ১০৫ টি উপাদানের মধ্যে ১৫টি উপাদান
দিয়ে ভ‚-পৃষ্ঠের ৯৯.৪২% ভাগ গঠিত এবং বাকী ৯২টি উপাদানের মোট পরিমাণ হল মাত্র
০.৫৮%।
ভ‚-পৃষ্ঠ গঠনকারী মূখ্য উপাদান কয়টি?
ভ‚-পৃষ্ঠে খনিজের প্রায় দেড় হাজারের মত প্রজাতি রয়েছে। সোনা, রূপা, তামা, হীরা, নিকেল, দস্তা
প্রভৃতি খনিজের পরিমাণ খুব কম। আবার তেজষ্ক্রিয় খনিজের পরিমাণ এতই কম যে তা খুঁজে বের
করা খুব কঠিন। এদের মধ্যে রেডিয়াম, থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম, জিরকন, প্লাটিনাম প্রভ‚তি বহু
ভারী পদার্থ রয়েছে। বিভিন্ন পারমানবিক ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তেজষ্ক্রিয় খনিজের মূল্য
অপরিসীম।
ভ‚-ত্বক গঠনকারী এ খনিজ পদার্থ বিভিন্ন অবস্থায় থাকে যেমন: বায়বীয়, তরল ও কঠিন। খনিজ
আমাদের বর্তমান সভ্যতার বেশ কিছুচাহিদা মিটিয়ে থাকে তার বিভিন্ন রূপে। যেমন: ভারি খনিজ
ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, প্লুটোনিয়াম পারমানবিক চুল্লীতে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও
বিভিন্ন খনিজের অর্থনৈতিক ব্যবহার আছে। এদের তালিকা দেয়া হল।
অক্সিজেন ও সিলিকন।
খনিজের দেড়
হাজারের মত
প্রজাতি রয়েছে।
বায়বীয় তরল ও কঠিন।
সারণী ৩.৩.২ : উল্লেখযোগ্য খনিজের অর্থনৈতিক ব্যবহার:
খনিজের নাম সংকেত অর্থনৈতিক ব্যবহার
হেমাটাইট ঋব২
০৩ লোহার আকরিক
মেগনেটাইট ঋব৩
০৪ লোহার আকরিক
কোরানডাম অষ২
০৩ জেমস্টোন, ঘর্ষণ
গেলেনা চনং সীসার আকরিক
স্ফেলেরাইট তহং দস্তার আকরিক
পাইরাইট ঋবঝ২ সালফিউরিক এসিড উৎপাদন
চেলকোপাইরাইট ঈঁঋবঝ২ তামার আকরিক
জিপসাম ঈধঝড়৪-২ঐ২
০ প্লাস্টার
এনহাইড্রাইট ঈধঝড়৪ প্লাষ্টার
সোনা অঁ বাণিজ্যিক কাজও গহনা
তামা ঈঁ তড়িৎ পরিবাহী
হীরা ঈ জেমন্টোন, ঘর্ষন
সালফার ঝ সালফা জাতীয় ঔষধ, রাসায়নিক
গ্রাফাইট ঈ পেনসিলের সীস, শুষ্ক লুব্রিকেন্ট
ফ্লোরোইট ঈধঋ২ স্টীল তৈরি, রাসায়নিক
কেলসাইট ঈধষড়৩ পোর্ট ল্যান্ড সিমেন্ট
ডোলোমাইট ঈধগম(পড়৩)২ কৃষির জন্য চুন জাতীয় সার
কোয়ার্টজ ঝরড়২ গøাস তৈরির প্রধান উপাদান
খনিজের গুণাবলী
১. এটি কঠিন স্ফটিকাকার হবে।
২. এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট।
৩. এটি এক, দুই বা ততোধিক মৌলের সমন¦য়ে গঠিত।
৪. এটি অজৈব হবে।
৫. এর নির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন থাকবে।
৬. এর সুনির্দিষ্ট ভৌত ধর্ম থাকবে।
খনিজের কি কি গুণাবলী থাকতে হবে?
খনিজের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্ম
প্রত্যেকটি খনিজের রাসায়নিক ও ভৌত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে
খনিজ চিনতে পারা যায়। একটি খনিজের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মসমূহ এর রাসায়নিক গঠন ও
আণবিক কাঠামোর খনিজের যে কোন অংশের গুণাবলী সমবৈশিষ্ট পূর্ণ হবে। যেমন: আফ্রিকার
কোন খনি থেকে পাওয়া লোহা আকরিক হেমাটাইট-এর গুণাবলী ভারতের কোন খনি থেকে
আহরিত হেমাটাইটের মতই অনুরূপ রাসায়নিক ও ভৌত গুণাবলী সম্পন্ন হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে
যে খনিজ ও তার গঠিত শিলা যে প্রাকৃতিক অবস্থায়ই সৃষ্টি হউক না কেন, এদের প্রকৃতি আণবিক
কাঠামোর ওপর নির্ভরশীল।
রাসায়নিক ও ভৌত
বৈশিষ্ট্য।
খনিজ কঠিন, প্রাকৃতিক,
মৌল, অজৈব, রাসায়নিক
গঠন, ভৌত ধর্ম।
একটি নির্দিষ্ট খনিজের প্রতিটি অংশের গুণাবলী কি এক?
খনিজের আণবিক গঠন
যেকোন মৌলর ক্ষুদ্রতম একক পরমাণু। এই ক্ষুদ্রতম পরমাণুদুটি মৌলের সংযুক্তিতে সহায়তা
করে থাকে। একটি পরমাণুর সংলিকৃত কাঠামো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এর কেন্দ্রে আছে
নিউক্লিয়াস (ঘঁপষবঁং)। নিউক্লিয়াস ধণাÍক চার্জবাহী প্রোটন ও নিরপেক্ষ নিউট্রন নামক পদার্থ ধারণ
করে আছে। এর চারদিকে ঋণাত্বক চার্জবাহী ইলেকট্রন নামক পদার্থ ঘুরছে। পরমাণুর কেন্দ্রে
ধারণকৃত প্রোটনের সংখ্যা দ্বারা পারমানবিক সংখ্যা ও মৌলের নাম নির্ধারিত হয়। যেমন: ৬টি
প্রোটন বিশিষ্ট সব পরমাণুকার্বন এবং ৮টি প্রোটন বিশিস্ট সব পরমাণুঅক্সিজেন।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় গ্রানাইট শিলা গঠনকারী কোয়ার্টিজ (ঝর০২
) খনিজের কথা। এখানে
সিলিকন ও অক্সিজেন রাসায়নিক ভাবে সংযুক্ত হয়ে সিলিকন ডাইঅক্সাইড নামে খনিজ উৎপন্ন
করে। এই খনিজ এর ধর্ম উক্ত উভয় মৌল থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ধর্ম বিশিষ্ট।
দুটি ভিন্ন মৌল হতে উৎপন্ন একটি খনিজের ধর্ম ঐ মৌল দুটির ধর্ম হতে স্বতন্ত্র। (হ্যা অথবা
না)
নিচের ছকের মাধ্যমে গ্রানাইট শিলা গঠনকারী কোয়ার্টজ খনিজের গঠন কাঠামো দেখানো হলো:
সিলিকন
কোয়ার্টিজ
অক্সিজেন
মাসকোভাইট
গ্রানাইট মাইকা
বাইয়োটাইট
সোডিয়াম
অ্যালুমিনিয়াম
ফেল্ডসপার সিলিকন
অক্সিজেন
চিত্র ৩.৩.১: শিলা ও খনিজের গঠন কাঠামো।
এখানে একটি জিনিস উল্লেখ্য যে ম্যাগনেটাইট শিলার খনিজ উপাদান শুধুমাত্র তখনই দৃশ্যমান হয়
যখন ঐ শিলা তীব্রভাবে চৌম্বত্ব প্রাপ্ত হয়।
খনিজের ভৌত ধর্ম
প্রত্যেকটি খনিজের নিজস্ব ভৌত বৈশিষ্ট্য থাকে, এই বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে একটি খনিজ থেকে
সহজেই অন্য খনিজকে পৃথক করা যায়। এ সমস্ত বৈশিষ্ট্য নি¤œরূপ:
কেলাসরূপ (ঈৎুংঃধষ ভড়ৎস)
দ্যুতি (খঁংঃৎব)
বর্ণ (ঈড়ষড়ঁৎ)
কষ (ঝঃৎবধশ)
নিউক্লিয়াস
ইলেকট্রন, প্রোটিন,
নিউট্রন।
খনিজের নিজস্ব ভৌত ধর্ম
থাকে।
বি.এ/বি.এস.এস. প্রোগ্রাম এস.এস.এইচ.এল
ইউনিট - ৩ পৃষ্ঠা # ৭০
কাঠিণ্যতা (ঐধৎফহবংং)
চিড় (ঈষবধাধমব)
ফাঁটল (ঋৎধপঃঁৎব) ও
আপেক্ষিক গুরুত্ব (ঝঢ়বপরভরপ এৎধারঃু)।
কেলাস
এটি খনিজের বাহ্যিক রূপ। এটি মূলত: পরমাণুর ভিতরের সুবিন্যস্ত আয়োজন প্রকাশ করে। একটি
খনিজকে বাধাহীন বাড়তে দিলে, আলাদা আলাদাভাবে পূর্ণ কেলাস প্রকাশিত হয়।
দ্যুতি: খনিজের পৃষ্ঠ থেকে আলোর প্রতিফলন মাত্রার ওপর দ্যুতি নির্ভর করে। দ্যুতি দু'ধরনের
ধাতব এবং অধাতব, অধাতব দ্যুতি বিভিন্ন বিশেষণে প্রকাশ করা হয়। যেমন: কাঁচিক, মুক্তার মত,
রেশমি, মেটে, অনুজ্জ্বল, মসৃন ইত্যাদি।
বর্ণ: খনিজের বর্ণ একটি বৈশিষ্ট হলেও বর্ণের সাথে অন্যান্য ধর্মাবলী ও খনিজ নির্ধারনে ব্যবহার
করা উচিত। যেমন: কোয়ার্টজ খনিজে স্বল্প মাত্রার অন্যান্য পদার্থের সংমিশ্রণ ভেদে তা গোলাপী,
বেগুনী, সাদা, এমনকি কালোও হতে পারে।
কষ: খনিজ পাউডার অবস্থায় যে বর্ণ প্রকাশ করে তাকে কষ বলে। কষ্টি পাথরের সঙ্গে খনিজ
ঘষলে এ পাউডার পাওয়া যায়। কষ দেখে ধাতব এবং অধাতব দ্যুতি সহজে আলাদা করা যায়।
কাঠিন্যতা: এটি খনিজের গায়ের আঁচড় বা দাগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খনিজের কাঠিণ্যতা একটি
আপেক্ষিক ধর্ম। কাঠিণ্যতা জানা আছে এমন একটি খনিজের সঙ্গে ঘর্ষণের মাধ্যমে অজানা
খনিজের কাঠিন্যতা জানা যায়। শিলার কাঠিন্যতা পরিমাপের মাপনীকে ‘মোহ' কাঠিন্যতা মাপনী
নামে পরিচিত। মোহ একজন বিজ্ঞানীর নাম। এ মাপনীতে সবচেয়ে নরম (১) থেকে কঠিনতম
(১০) মোট ১০টি খনিজ ব্যবহৃত হয়।
নিচে এ সমস্ত খনিজের একটি তালিকা দেওয়া হল:
সারণী ৩.৩.৩ : খনিজের কাঠিন্যতা
কাঠিন্যতা খনিজের নাম সমকাঠিন্যতা সম্পন্ন বস্তু
১ টেল্ক
২ জিপসাম আঙুলের নখ
৩ ক্যালসাইট তামা মুদ্রা
৪ ফ্লোরাইট চাকুর বেøড
৫ এপাটাইট গøাস প্লেট
৬ অর্থক্লেজ --
৭ কোয়ার্টজ স্টীল ফাইল
৮ টোপাজ --
৯ কোরানডাম --
১০ হীরা --
ফাঁটল: খনিজের ফাঁটলের ভিন্নতা দেখে খনিজ নির্ণয় করা যায়। প্রধান ফাঁটল বৈশিষ্টগুলো হল
শাংখিক, সুষম, অসম, দাঁতাল ও বন্ধুর।
দ্যুতি, বর্ণ, কষ
কাঠিন্যতা, ফাঁটল
আপেক্ষিক গুরুত্ব।
আপেক্ষিক ধর্ম, মোহ
কাঠিন্যতা মাপনী।
এস.এস.এইচ.এল বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি পৃষ্ঠা # ৭১
আপেক্ষিক গুরুত্ব: এটি খনিজের ওজনের তুলনায় একই আয়তনের পানির ওজনের অনুপাত।
যেমন: কোন খনিজের ওজন সম আয়তন পানির ওজনের চেয়ে ২গুণ বেশি হলে উক্ত খনিজের
আপেক্ষিক গুরুত্ব হবে ২ (এছাড়াও খনিজের স্বাদ, ঘ্রাণ, স্থিতিস্থাপকতা, অনুভুমি, চৌম্বকীয়
বৈশিষ্ট্য, দ্বৈত প্রতিসরণ এবং হইড্রোক্লোরিক এসিডের বিক্রিয়া প্রভৃতি দ্বারা সনাক্ত করা যায়।
পাঠ সংক্ষেপ
পৃথিবীর পাতলা বহিরাবরণ যা ভ‚-ত্বক নামে পরিচিত তা গঠনকারী উপাদান খনিজ নামে
পরিচিত। এই সকল খনিজের মিশ্রণে শিলা গঠিত। খনিজ পদার্থ তরল বায়বীয় ও কঠিন
অবস্থায় পাওয়া যায়। ভ‚-ত্বক গঠনকারী উপাদান ছাড়াও খনিজ মানুষের নানা রূপ অর্থনৈতিক
কাজে এবং বর্তমান সভ্যতার বেশ কিছুচাহিদা মিটিয়ে থাকে। খনিজের নির্দিষ্ট রাসায়নিক ও
ভৌত ধর্ম রয়েছে। এই ধর্ম দ্বারা খনিজকে আলাদা করা যায় পরস্পর থেকে। এছাড়া প্রতিটি
খনিজের আলাদা আণবিক গঠন কাঠামো আছে। এটা রাসায়নিক ধর্ম। ভৌত ধর্ম ও খনিজের
পার্থক্য বা একটি খনিজ থেকে অন্য খনিজ এর পার্থক্য সনাক্ত করণে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা
রাখে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.৩
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
১.১ খনিজ উপাদানের মিশ্রণকে বলেক. শিলা খ. অণু
গ. মৌল ঘ. পরমাণু
১.২ পারমানবিক চুল্লীতে ব্যবহৃত হয় কোন খনিজক. দস্তা, তামা, নিকেল খ. হেমাটাইট, ম্যাগনেটাইট, জিধ
গ. ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, প্লুটোনিয়াম ঘ. অক্সিজেন, টিটানিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ
১.৩ ভ‚-পৃষ্ঠ গঠনকারী মূখ্য উপাদান কয়টি?
ক. ১৫টি খ. ১০টি
গ. ১৬টি ঘ. ৮৮টি
১.৪ সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন হয় যে খনিজ হতেক. জিপসাম খ. পাইরাইট
গ. গেলেনা ঘ. তামা
১.৫ ৭ কাঠিন্যতা কোন খনিজেরক. টেল্ক খ. কোর্য়াটজ
গ. হীরা ঘ. টোপাজ
২. শূন্যস্থান পূরণ করুন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
২.১ সিলিকনের একটি পরমাণুর সঙ্গে অক্সিজেনের দুইটি পরমাণুর রাসায়নিক সংমিশ্রনে ... ... ...
... এর একটি অণুগঠিত হয়।
২.২ ভ‚-পৃষ্ঠে এ পর্যন্ত ... ... ... ...টি মৌলিক পদার্থ আবিস্কৃত হয়েছে।
২.৩ খনিজের পৃষ্ঠ থেকে আলোর প্রতিফলন মাত্রার ওপর ... ... ... ... নির্ভর করে।
২.৪ খনিজ পাউডার অবস্থায় যে বর্ণ প্রকাশ করে তাকে ... ... ... ... বলে।
২.৫ ... ... ... ... একটি খনিজের গাঁয়ের আঁচড় বা দাগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী (সময় ৫ী২ = ১০ মিনিট) ঃ
১. খনিজ বলতে কি বুঝেন?
২. খনিজের গুরুত্ব কি?
৩. খনিজের গুণাবলী কি?
৪. খনিজের ভৌত গুণাবলী কি?
৫. খনিজের কাঠিন্যতা মাপনী কি?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. খনিজের গুরুত্ব ও খনিজের রাসায়নিক ভৌত ধর্ম বর্ণনা করুন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ