মৌজা ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করুন। গ্রামের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন।


গ্রামীণ জনপদ
(জঁৎধষ ঝবঃঃষবসবহঃং)
এই পাঠ পড়ে আপনি-
 গ্রামীণ জনপদ; এবং
 গ্রামীণ জনপদের প্রকার ও বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে জানতে পারবেন।
গ্রামীণ জনপদ (জঁৎধষ ঝবঃঃষবসবহঃং)
ভূমি নির্ভর বা ভূমির সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত উপজীবিকায়, যেমন কৃষি, মৎস্য শিকার, পশু পালন, খনিজ
উত্তোলন ইত্যাদি প্রাথমিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত অধিবাসী অধ্যুষিত জনপদকে গ্রামীণ জনপদ বলে। কোন
অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ গ্রামীণ অধিবাসীদের উপজীবিকা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পৃথিবীর অধিকাংশ
গ্রামীণ জনপদ প্রধানত কৃষি প্রধান। গ্রামীণ জনপদের ভূমি ব্যবহার অধিবাসীদের উপজীবিকার সাথে সম্পর্কিত
যা গ্রামীণ জনপদের সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্য বিকাশে প্রভাব রাখে। কাজেই কোন বিশেষ অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের
প্রকৃতি ও বিন্যাস সেই অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও অধিবাসীদের মিথস্ক্রিয়ার ফলস্বরূপ বিকাশ লাভ করে
এবং বাহ্যিক রূপ কোন বিশেষ সময়ের সংস্কৃতি ও স্থাপত্যশৈলী নির্দেশ করে। তবে গ্রামীণ জনপদ প্রধানত
প্রাকৃতিক পরিবেশে অনাড়ম্বর ও ক্ষুদ্রাকার গৃহের সমাবেশ।
গ্রামীণ জনপদের প্রকার (ঞুঢ়বং ড়ভ জঁৎধষ ঝবঃঃষবসবহঃং) :
গ্রামীণ জনপদ মূলত পাঁচ প্রকারের ঃ
১। যাযাবর বা অস্থায়ী (ঘড়সধফরপ ড়ৎ ঞবসঢ়ড়ৎধৎু)
২। প্রায়-যাযাবর বা প্রায়-স্থায়ী (ঝবসর-হড়সধফরপ ড়ৎ ঝবসর-ঢ়বৎসধহবহঃ)
৩। স্থায়ী কৃষিভিত্তিক একক পরিবার বা খামারবাড়ী (ঝরহমষব ঋধসরষু অমৎরপঁষঃঁৎব ইধংবফ চবৎসধহবহঃ
ঝবঃঃষবসবহঃং ড়ৎ ঋধৎসংঃবধফ)
৪। স্থায়ী সংঘবদ্ধ গ্রামীণ জনপদ (ঈড়সঢ়ড়ংরঃব চবৎসধহবহঃ জঁৎধষ ঝবঃঃষবসবহঃং–ঐধসষবঃং, ঠরষষধমবং)
৫। আংশিক গ্রাম ও আংশিক শহর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদ (ঝবসর-ৎঁৎধষ, ঝবসর-ঁৎনধহ
ঝবঃঃষবসবহঃং রিঃয গরীবফ জঁৎধষ-টৎনধহ ঈযধৎধপঃবৎরংঃরবং)
১। যাযাবর বা অস্থায়ী জনপদ (ঘড়সধফরপ ড়ৎ ঞবসঢ়ড়ৎধৎু) :
যাযাবর জনপদ আকারে খুব ছোট হয়। এই জনপদে খুম কম ক্ষেত্রেই একশত পরিবার বা কয়েকশত জনসংখ্যা
থাকে। যাযাবররা ভ্রাম্যমান জনগোষ্ঠী। এদের স্থায়ী কোন আবাস থাকে না। এরা গবাদি পশুপালন করে জীবিকা
নির্বাহ করে। এরা নিজেদের খাদ্য এবং গবাদিপশুর পালের জন্য চারণভূমির খোঁজে স্থান থেকে
স্থানান্তরে বিচরণ করে।
যাযাবর জনপদ প্রধানত শুষ্ক বা প্রায়-শুষ্ক অঞ্চলে দেখা যায়, যেখানে ভূমি স্থায়ী কৃষিকাজের অনপযুক্ত। এই
সমস্ত অঞ্চলে ভূমি এতই অনুর্বর যে ১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাও একজন লোকের যাযাবর জীবন যাপনের জন্য
যথেষ্ট নয়। ফলে যাযাবর জনপদে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১ বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১ জন। ফলে যাযাবরদের
বৎসরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে গবাদি পশুর জন্য চারণভূমি এবং নিজেদের খাদ্যের খোঁজে বিচরণ করতে
হয়। এই বিচরণ যেমন পরিবার পোষণ এবং গবাদি-পশু পালনের জন্য হয়ে থাকে তেমনি জলবায়ু,
বাস্তব্যজনিত অথবা রাজনৈতিক চাপের পরিপেক্ষিতেও হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে যাযাবরদের এই বিচরণ একটি
স্বয়ংস্পূর্ণ পদ্ধতি যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি চক্রাকার প্যাটার্নে হয়। যাযাবররা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে গোষ্ঠীভিত্তিক বা
স¤প্রসারিত পরিবারভিত্তিক পরিভ্রমণ করে। যাযাবরদের অস্থায়ী আবাসের কেন্দ্রীয় স্থান বা সীমানা বেষ্টিত স্থানে
(ঘঁষবঁং/ইঁরষঃ-ঁঢ় চধৎঃ) প্রতি হেক্টরে ১০০ বা কিছু অধিক জনসংখ্যা থাকে।
প্রকৃত যাযাবররা কোন প্রকার বাড়িঘর তৈরি করে না বা কোন কৃষিকাজ করে না। গবাদি-পশু পালনই
যাযাবরদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এরা অস্থায়ীভাবে তাবুতে বাস করে এবং তাবু সহকারে পরিভ্রমণ করে। কিছু
কিছু যাযাবর শ্রেণী স্থানীয় উপকরণ দিয়ে অস্থায়ী কুঁড়েঘর তৈরি করে। ভূমি মালিকানা না থাকার কারণে এই
প্রকার জনপদের কোন চিহ্নিত সীমানা থাকে না। স্থান ত্যাগের পর এই সমস্ত কুঁড়ে ঘর অচিরেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে নিজেদের এবং পশু সম্পদ রক্ষার জন্য যাযাবর জনপদ অস্থায়ী উপকরণে তৈরি একটি
প্রতিরক্ষা দেয়াল তৈরি করে। তবে আইনত এই সীমানার কোন মূল্য নেই। যাযাবর জনপদ অস্থায়ী উপকরণে
তৈরি হয় বলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর কোন প্রকার প্রভাব পড়ে না বললেই চলে।
এদের সমাজ ব্যবস্থা অনেকটা আদিম প্রকৃতির। ফলে ‘ক্যমুনিটি’ সেবাও আদিম পর্যায়ের। এদের আইন কানুন,
সামাজিক ব্যবস্থাপনা সমাজ¯œারা পরিচালিত হয়। তবে কিছু কিছু যাযাবর গোষ্ঠী রয়েছে যারা অপেক্ষাকৃত
সংস্কৃতি সম্পন্ন। সাধারণভাবে যাযাবর জনগোষ্ঠী প্রযুক্তির দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
আরবের বেদুঈন, সাহারা মরুভূমির উট পশুপালকরা প্রকৃত অর্থেই যাযাবর শ্রেণীর। তবে সংশ্লিষ্ট দেশের
সরকার এদের স্থায়ীভাবে বসবাসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. যাযাবর জনপদ কাকে বলে ও কেন বলা হয়?
২. যাযাবর জনপদ প্রধানত কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
৩. যাযাবর জনপদের অধিবাসীদের পেশা কি?
৪. যাযাবর জনপদে ঘরবাড়ি কেমন হয়?
৫. যাযাবর জনগোষ্ঠীর ভূসম্পত্তিতে অধিকার আছে কি?
২। প্রায়-যাযাবর বা প্রায়-স্থায়ী জনপদ (ঝবসর-হড়সধফরপ ড়ৎ ঝবসর-চবৎসধহবহঃ ঝবঃঃষবসবহঃং):
প্রায়-যাযাবর জনপদের অধিবাসীদের স্থায়ী আবাস থাকে কিন্তু ঋতুভিত্তিক বা বৎসরের উল্লেখযোগ্য সময়
জীবিকা উপার্জনের জন্য স্থানান্তরে গমন করে। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে বা যখন কোন কাজ থাকে না, এরা
জীবিকার সন্ধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিচরণ করে। এদের মধ্যে সংগ্রহকারীও আছে, যেমন অষ্ট্রেলিয়ার
আদিবাসী। কোন কোন প্রায়-যাযাবর স¤প্রদায় বিশেষ শিল্পে দক্ষ হয়, যেমন ইউরোপের জিপসী স¤প্রদায়। পূর্ব
আফ্রিকার মাসাই (গধংধর) স¤প্রদায় প্রায়-যাযাবর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এরা শুষ্ক মৌসুমে জীবিকার সন্ধানে ঘুরে
বেড়ায় এবং বর্ষাকালে স্থায়ী কৃষিকাজ করে। বাংলাদেশের বেদে স¤প্রদায়, সুন্দরবনের জঙ্গলে মধু
সংগ্রহকারীদেরকে প্রায়-যাযাবর শ্রেণীভুক্ত করা যায়।
স্থায়ীভাবে বসবাসকারী চারণভিত্তিক কৃষক স¤প্রদায়ের মধ্যে পশুচারণের জন্য গবাদি পশুর পালনসহ ঋতুভিত্তিক
বিভিন্ন চারণভূমিতে বিচরণের প্রচলন আছে। এই ধরনের বিচরণ পার্বত্য অঞ্চলের পশুচারণভিত্তিক কৃষক
স¤প্রদায়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। চারণক্ষেত্র পশুপালকদের স্থায়ী বাসস্থান থেকে কিছু দূরত্বে সমতলে বা পাহাড়ে
অবস্থিত হয় অথবা পশুচারণের জন্য রাখাল এবং প্রায়শই সঙ্গে যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্থানীয় অধিবাসী থাকে
তাদের পাহাড় এবং উপত্যকায় উভয় স্থানেই বাসস্থান থাকে। আবার কেউ কেউ পশুচারণের সময় স্থানীয়
উপকরণ দিয়ে অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে নেয়। শীতকালে এরা পশুর পালকে পাহাড় থেকে উপত্যকায় নামিয়ে
আনে। আবার গ্রীষ্মকালে পাহাড়ের চারণভূমিতে নিয়ে যায়। আলপাইন ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে এই ধরনের
প্রায়-যাযাবর জনপদ আছে।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. প্রায়-যাযাবর বা প্রায়-স্থায়ী জনপদ কেন বলা হয়?
২. প্রায়-যাযাবর জনপদ সাধারণত কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
৩. প্রায়-যাযাবর জনপদের অধিবাসীদের পেশা কি?
৪. পশু চারণের জন্য গ্রীষ্মকালে এরা কোথায় গমন করে?
৫. শীতকালে এদের পশু পালনকে কোথায় নিয়ে যায়?
৬. প্রায়-যাযাবর জনপদে কি ধরনের ঘরবাড়ি থাকে?
৩। স্থায়ী কৃষিভিত্তিক একক পরিবার বা খামারবাড়ি (ঝরহমষব ঋধসরষু অমৎরপঁষঃঁৎব ইধংবফ
চবৎসধহবহঃ ঝবঃঃষবসবহঃং ড়ৎ ঋধৎসংঃবধফ) :
এটি কৃষি নির্ভর গ্রামীণ জনপদের ক্ষুদ্রতম একক। একটি খামারবাড়ি কয়েকটি ঘর ও কৃষি জমির সমন্বয়ে গঠিত
হয়। ঘরগুলোর মধ্যে কৃষকের বাসগৃহ, শস্য রাখার গোলাঘর, হাঁস-মুরগি ও গৃহপালিত পশুর ঘর ও পশু খাদ্যের
ঘর, কৃষি সারঞ্জাম রাখার ঘর ইত্যাদি থাকে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির কারণে খামারবাড়ি স্থায়ী হয়ে থাকে।
খামারবাড়ির জমির আকার ও প্রকৃতির মধ্যে অঞ্চলভিত্তিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। উন্নত বিশ্বে খামারবাড়ি
কৃষকের বাসগৃহ এবং কৃষিকাজ পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ঘরের সমন্বয়ে গঠিত হয়। উন্নত বিশ্বে যে
সমস্ত অঞ্চলে বাণিজ্য কৃষি প্রচলিত, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়ায় খামারবাড়ি নিজস্ব মালিকানায় অথবা ভাড়া
উভয় প্রকারেরই হতে পারে। তবে প্রধানত একক পরিবার অথবা বর্ধিত পরিবারের ব্যবস্থাপনায় থাকে এবং
জমি খাদ্য উৎপাদন অথবা পশুচারণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. খামার বাড়ি কাকে বলে ?
২. খামার বাড়ি কি নিয়ে গঠিত হয় ?
৩. খামার বাড়ির অর্থনীতি কি ?
৪. বাণিজ্যিক কৃষিভিত্তিক খামার বাড়ি প্রধানত কোন কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
৫. খামার বাড়ি কি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ?
৪। স্থায়ী সংঘবদ্ধ গ্রামীণ জনপদ-হ্যামলেট, গ্রাম (ঈড়সঢ়ড়ংরঃব চবৎসধহবহঃ জঁৎধষ
ঝবঃঃষবসবহঃং – ঐধসষবঃং ঠরষষধমবং) :
হ্যামলেট ও গ্রাম স্থায়ী সংঘবদ্ধ গ্রামীণ জনপদের অন্তর্ভুক্ত।
হ্যামলেট (ঐধসষবঃং) : ক্ষুদ্র গ্রামকে সাধারণভাবে হ্যামলেট বলা হয়। তবে হ্যামলেট গ্রাম প্রশাসনের একটি
অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। কোন বিশেষ পর্যায় বা স্থান থেকে হ্যামলেট গ্রাম হবে তা নির্ধারণ করা কঠিন।
কারণ গ্রাম নির্ধারণের জন্য নির্দিষ্ট ন্যূনতম বাড়িঘরের সংখ্যা বা জনসংখ্যা নেই। তবে হ্যামলেটে বাড়িঘরের
সংখ্যা কম থাকে এবং ঘরবাড়ি ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সেবা ন্যূনতম পর্যায়ের হয়। একটি
বড় গ্রামের অধীনে কোন হ্যামলেটের লোকসংখ্যা ৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। আবার প্রতিকূল অঞ্চলে লোকসংখ্যা
মাত্র ১০ জনও হতে পারে।
ইউরোপে সাধারণত গীর্জাবিহীন গুটিকয়েক গৃহের সমষ্টিকে হ্যামলেট বলা হয়। গৃহের সংখ্যা এত কম থাকে যে
এই ধরনের জনপদে সাধারণত গীর্জা, মসজিদ বা মন্দির থাকে না এবং আকার এত ক্ষুদ্র হয় যে গ্রাম বলা চলে
না। বাংলাদেশের গ্রামের একটি পাড়াকে হ্যামলেটের সাথে তুলনা করা চলে। কাজেই হ্যামলেট ও ক্ষুদ্র গ্রামের
মধ্যে খুব সহজে পার্থক্য নির্ণয় করা যায় না। তবে হ্যামলেটের তিনটি প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার সাহায্যে
হ্যামলেটকে চিহ্নিত করা যেতে পারে:
ক. হ্যামলেট গ্রাম অপেক্ষা ক্ষুদ্র জনপদ;
খ. অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হ্যামলেট প্রশাসনিকভাবে অন্যান্য বৃহত্তর জনপদের সাথে যুক্ত ও নির্ভরশীল থাকে; এবং
গ. গ্রামের তুলনায় হ্যামলেটে নিæ পর্যায়ের সেবা ব্যবস্থা থাকে।
তবে হ্যামলেটের এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য কোন অঞ্চলের জনপদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত।
গ্রাম (ঠরষষধমব): গুচ্ছবদ্ধ বাসস্থানের সমাবেশকে সাধারণ অর্থে গ্রাম বলে। পূর্বে গ্রামের অধিবাসীরা মূলত
প্রাথমিক কর্মকান্ড-নির্ভর ছিল, যেমন কৃষিকাজ, মৎস্য শিকার, খনিজ উত্তোলন ইত্যাদি, তবে বর্তমানে বিভিন্ন
ধরনের শিল্প নির্ভর জনপদকেও গ্রাম হিসেবে অভিহিত করা হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামের অধিবাসীদের কৃষিই
প্রধানতম উপজীবিকা। কোন কোন ক্ষেত্রে ‘গ্রাম’ শব্দটির বাণিজ্যিক ব্যবহারও লক্ষ্য করা যায়। গৃহ নির্মাণ ও
নগর উন্নয়ন সংস্থাগুলো ‘হাউজিং এস্টেটকে’ অনেক ক্ষেত্রে গ্রাম নামে অভিহিত করে ক্রেতা সাধারণকে প্রলব্ধ
করার লক্ষ্যে গ্রামের পরিবেশের সাথে তুলনা করে। গ্রামের সর্বসম্মত স্বীকৃত কোন সংজ্ঞা নেই। বিভিন্ন দেশে
গ্রামকে বিভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়। তবে জনসংখ্যার আকার ও অধিবাসীদের উপজীবিকা গ্রামকে
চিহ্নিতকরণের অন্যতম প্রধান উপায়।
অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা ও বৃটেনে জনসংখ্যার ভিত্তিতে গ্রাম ও হ্যামলেটের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা হয়। অষ্ট্রেলিয়া
এবং কানাডায় ১০০০ এর নিচে জনসংখ্যা অধ্যুষিত জনপদকে গ্রামীণ বা গ্রাম বলা হয় (১৯৭১ সালের আদম
শুমারী)। আবার যুক্তরাষ্ট্রে গ্রাম ২৫০০ অধ্যুষিত জনসংখ্যার বিচ্ছিন্ন জনপদ একককে গ্রাম বলা হয় (১৯৭১)।
ভারতে গ্রামকে ১৯৬১ সালের পরিসংখ্যানে রাজস্ব একক মৌজা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এখানে গ্রামের
একটি রাজস্ব সীমানা আছে যার স্বতন্ত্র প্রশাসন ও তহবিল আছে এবং একটি বিশেষ নামে পরিচিত। কাজেই
ভারতে গ্রাম হলো রাজস্ব আদায়ের জন্য সীমানা¯œারা চিহ্নিত একটি একক- যেখানে লোকসংখ্যার কোন ভূমিকা
নেই।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে সমস্ত জনপদের জনসংখ্যা ৫০০০ এর নিচে এবং অধিবাসীরা জীবিকা নির্বাহের
জন্য ভূমির উপর নির্ভরশীল তাকে গ্রামীণ জনপদ বলেছে এবং গ্রামীণ জনপদ চিহ্নিত করতে গ্রাম ও মৌজা
উভয়কেই সমানভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে গ্রাম কিছুসংখ্যক বাসগৃহের সমষ্টি এবং কৃষি জমি গ্রামের অপরিহার্য অঙ্গ। গ্রামের একটি ভৌগোলিক
অথবা কৃত্রিম সীমানা রয়েছে যা গ্রামের অধিবাসীরা স্বীকার করে এবং মানে, ব্যবহারিক এবং ঐতিহ্যগতভাবে যা
গ্রামবাসীদের স্থায়ী নিবাস। অন্যদিকে মৌজা হলো রাজস্ব একক। বৃটিশ আমলে বাংলাদেশে গ্রামীণ এলাকাকে
মৌজা জরিপের (ঈধফধংঃৎধষ ঝঁৎাবু) মাধ্যমে বিভিন্ন এককে বিভক্ত করে সীমানা চিহ্নিত করা হয়। এই
এককগুলোই মৌজা নামে পরিচিত। রাজস্ব সংগ্রহ করাই ছিল এই মৌজা সীমানা চিহ্নিতকরণের মূল উদ্দেশ্য।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাম ও মৌজার ভৌগোলিক সীমানা অভিন্ন। ফলে সাধারণত গ্রাম ও মৌজা উভয়কেই
সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যেই সমার্থক অর্থে গ্রাহ্য করা হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে একটি মৌজায় কয়েকটি বিভিন্ন
আকারের সংলগ্ন গ্রাম থাকতে পারে।
গ্রাম সবক্ষেত্রেই গোষ্ঠিবদ্ধ জনসমষ্টি হয়। গ্রাম কোন না কোন সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার কারণে সৃষ্টি হয় যা
লোকজনকে একত্রিত করে। অনেক লোক একত্রে কাজ করলে উৎপাদনের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়ে যা একার
পক্ষে সম্ভব নয়। আদিম অবস্থায় মানুষ একত্রিত হয়েছে কৃষিকাজ এবং অন্যান্য কর্মকান্ডের প্রয়োজনে যখন
মানুষের অভীষ্ঠ চাহিদা পূরণের জন্য বহু ঘন্টার শ্রমের প্রয়োজন হতো। কাজেই গ্রামকে সংঘবদ্ধ কৃষি উৎপাদন
একক বলা চলে। গ্রামগুলো এবং তাদের সংশ্লিষ্ট চাষ পদ্ধতি শ্রমিক চাহিদার কারণে একসঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
গ্রাম সৃষ্টির পিছনে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও কারিগরী চাপ ছাড়াও সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপ কাজ করেছে।
মানুষের মধ্যে সামাজিকভাবে একত্রে বসবাসের প্রবণতা রয়েছে। আবার কোন শক্তিশালী ভূস্বামী বা সরকার
বিভিন্ন কারণে মানুষকে একত্রে বসবাসে বাধ্য করে। ইউরোপের সামন্ত প্রথা শ্রমিকদেরকে অনেকক্ষেত্রে একত্রে
বসবাসে বাধ্য করেছিল।
একটি গ্রাম একই স্থানে কয়েক হাজার বছর ধরে টিকে থাকতে পারে। মিশরের নীলপদ উপত্যকার গ্রামগুলোর
অধিকাংশই ৬০০০ হাজার বছরেরও প্রাচীন। চীনে ৪০০০ বছরেরও পুরনো গ্রাম রয়েছে।
গ্রাম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয় এবং ঘরবাড়ি ও ভূমি ব্যবহার ভূপ্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিকাশ লাভ
করে। কৃষি প্রধান গ্রামে কেন্দ্রীয় বসতি বা ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা কৃষি অনুপযুক্ত অনুর্বর স্থানে অবস্থিত হয়।
গ্রামের কেন্দ্রীয় বসতিতে ঘরবাড়ি অত্যন্ত ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে। গ্রামে ভূসম্পত্তিতে অধিকাংশ দেশে ব্যক্তিগত
মালিকানা স্বীকৃত। ফলে বাড়িঘর স্থায়ীভাবে স্থানীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. হ্যামলেট কাকে বলে ? হ্যামলেটের সংজ্ঞা কি?
২. হ্যামলেটে ঘরবাড়ির সংখ্যা কত থাকে ?
৩. হ্যামলেটে লোকসংখ্যা কত থাকে?
৪. হ্যামলেটের তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
৫. গ্রাম কাকে বলে?
৬. বাংলাদেশের গ্রাম ও মৌজার মধ্যে পার্থক্য আছে কি?
৭. গ্রাম কি কি কারণে সৃষ্টি হয়?
৮. গ্রামে ঘরবাড়িগুলো কেমন হয়?
৯. হ্যামলেট ও গ্রামের অধিবাসীদের কি ভূসম্পত্তিতে অধিকার আছে ?
আংশিক গ্রাম, আংশিক শহর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদ (ঝবসর-ৎঁৎধষ, ঝবসর-ঁৎনধহ
ঝবঃঃষবসবহঃং রিঃয গরীবফ জঁৎধষ-ঁৎনধহ ঈযধৎধপঃবৎরংঃরপং) : গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদ প্রধানত
কয়েকটি কৃষি নির্ভর গ্রামের মধ্যস্থলে একটি ক্ষুদ্র সেবা কেন্দ্রের সমন্বয়ে গঠিত হয়। চারপাশের গ্রামীণ এলাকার
আকার এত বড় নয় যে একটি পরিপূর্ণ টাউনের কার্যক্রম বহন করতে সক্ষম। গ্রামগুলোর মধ্যস্থলে একটি কৃষি
প্রধান গ্রামে চারপাশের গ্রামগুলোকে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ন্যূনতম কিছু সেবা থাকে বা সংযোজন করা হয়। যার
ফলে গ্রাম-শহর মিশ্র বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি জনপদের সৃষ্টি হয়। এই সেবা কেন্দ্রটির জনসংখ্যা চারপাশের
গ্রামগুলো থেকে অনেক বেশি হয়। মানুষ ও সমাজ কিছুটা গ্রামীণ ও কিছুটা শহুরে হলেও গ্রামীণ প্রাধান্যতার
কারণে শহর কেন্দ্রটির অধিবাসীদের মধ্যে গ্রামের প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা যায়। গ্রামগুলোর স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের খুব
একটা পরিবর্তন হয় না। গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদে প্রাথমিক, দ্বিতীয়, তৃতীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের
সংমিশ্রণ দেখা যায়। কেন্দ্রে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কিছু কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক
কর্মকান্ড গড়ে উঠে এবং কেন্দ্রীয় স্থান হিসেবে চতুর্পার্শ্বের গ্রামগুলোকে সেবা প্রদান করে। জনপদটি বিপণন
কেন্দ্র হিসাবে চতুর্পার্শে¦র গ্রামগুলির সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সমন্বয় রেখে এই প্রকারের জনপদ বিকাশ লাভ করে, ফলে প্রকৃতির স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
নষ্ট হয় না। জনপদটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত - কেন্দ্রীয় অংশ এবং কেন্দ্রীয় অংশ পরিবেষ্টন করে কৃষি প্রধান
অংশ। কেন্দ্রীয় অংশটিতে সমস্ত নগরীয় কার্যক্রম অবস্থিত হয় এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক হয়। চারপাশের
কৃষি প্রধান অংশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অপেক্ষাকৃত কম থাকে। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় অংশের ভূমি ব্যবহার
অপেক্ষাকৃত নিবিড়, ঘরবাড়িগুলো সুনির্মিত ও কিছুটা ব্যয়বহুল। অঞ্চলভেদে এই প্রকারের জনপদের
লোকসংখ্যা, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশে থানা বা উপজেলা কেন্দ্র গুলিকে গ্রাম-শহর মিশ্র
জনপদ বলা যেতে পারে।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদ কিভাবে গঠিত ?
২. গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদে কি কি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে থাকে ?
৩. গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদের কয়টি অংশ এবং কি কি ?
৪. কেন্দ্রীয় অংশটির বৈশিষ্ট্য কি ?
৫. গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদের সাথে বাংলাদেশের কোন প্রকারের জনপদের সাথে তুলনা করা চলে?
পাঠসংক্ষেপ :
ভূমির সাথে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এমন উপজীবিকায় নিয়োজিত অধিবাসী অধ্যুষিত জনপদকে গ্রামীণ জনপদ
বলে। গ্রামীণ জনপদ প্রধানত পাঁচ প্রকারের: যাযাবর, প্রায়-যাযাবর, স্থায়ী একক কৃষিভিত্তিক পরিবার বা
খামারবাড়ি, সংঘবদ্ধ জনপদ-হ্যামলেট ও গ্রাম এবং গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদ। যাযাবর জনপদ অস্থায়ী। কোন
ঘরবাড়ি তৈরি করেনা, উপজীবিকা পশু চারণ। প্রায়-যাযাবর জনপদের অধিবাসীদের স্থায়ী আবাস থাকে,
জীবিকার সন্ধানে ঋতু ভিত্তিক বিচরণ করে। স্থায়ী একক কৃষি ভিত্তিক পরিবার বা খামারবাড়ি কৃষি নির্ভর গ্রামীণ
জনপদের ক্ষুদ্রতম একক। খামারবাড়ি একটি পরিবারের বা একটি বর্ধিত পরিবারের কয়েকটি ঘর ও কৃষি জমির
সমন্বয়ে গঠিত হয়। খামারবাড়ি স্থায়ী হয়। গ্রাম ও হ্যামলেট সংঘবদ্ধ গ্রামীণ জনপদের একক। গ্রাম ও
হ্যামলেটের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা খুবই কঠিন। হ্যামলেটে বাড়িঘরের সংখ্যা কম এবং ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে।
গ্রামীণ পরিবেশে গুচ্ছবদ্ধ বাড়িঘরের সমাবেশকে গ্রাম বলে যা সাধারণত জনসংখ্যার আকার ও উপজীবিকা
দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদ কয়েকটি কৃষি প্রধান গ্রামের মধ্যস্থলে একটি সেবা কেন্দ্র নিয়ে
গঠিত হয়।
অনুশীলনী :
১. গ্রামীণ জনপদ কাকে বলে এবং কত প্রকার? প্রত্যেক প্রকার গ্রামীণ জনপদের পাঁচটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লিখুন।
২. যাযাবর জনপদ কাকে বলে? যাযাবর জনপদের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন।
৩. হ্যামলেট বলতে কি বোঝায়? হ্যামলেট চিহ্নিতকরণের তিনটি বৈশিষ্ট্য লিখুন।
৪. মৌজা কাকে বলে? মৌজা ও গ্রামের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি? গ্রামের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন।
৫. গ্রাম-শহর মিশ্র জনপদের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করুন।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন : ৪.২
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন ( সময় ৪ মিনিট) :
১.১ গ্রামীণ অধিবাসীদের উপজীবিকা বিকাশে কি বিশেষ ভ‚মিকা রাখে ?
ক. সাংস্কৃতিক পরিবেশ খ. প্রাকৃতিক পরিবেশ গ. অর্থনৈতিক পরিবেশ
১.২ গ্রামীণ জনপদ কত প্রকারের ?
ক. দুই খ. তিন গ. পাঁচ
১.৩ যাযাবর বা অস্থায়ী জনপদ কোন অঞ্চলে দেখা যায়?
ক. বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে খ. শুষ্ক বা প্রায় -শুষ্ক অঞ্চলে গ. পাহাড়ী অঞ্চলে
১.৪ বাংলাদেশে হ্যামলেটকে কিসের সাথে তুলনা করা চলে ?
ক. শহরের একটি পাড়া খ. গ্রামের একটি পাড়া গ. বড় গ্রাম
২. শূন্যস্থান পূরণ করুন (সময় ৪ মিনিট) :
২.১ পৃথিবীর অধিকাংশ গ্রামীণ জনপদ প্রধানত ..................... .....................
২.২ যাযাবর জনপদ আকারে খুব .....................হয়।
২.৩ পূর্ব আফ্রিকার .....................স¤প্রদায় প্রায়-যাযাবর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।
২.৪ একটি খামার বাড়ী কয়েকটি ................ও...................জমির সমন্বয়ে গঠিত হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (সময় ৮ মিনিট) :
১. যাযাবর জনপদ কেন বলা হয় ?
২. ঋতুভিত্তিক চারণভ‚মিতে বিচরণ কোন অঞ্চলের কৃষকদের বৈশিষ্ট্য ?
৩. খামারবাড়ী কি কারণে স্থায়ী হয়?
৪. হ্যামলেট কি ?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. গ্রামীণ জনপদ কাকে বলে এবং কত প্রকারের ? প্রত্যেক প্রকার গ্রামীণ জনপদের পাঁচটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য
লিখুন।
২. মৌজা ও গ্রামের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করুন। গ্রামের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]