নগর জনপদ কাকে বলে ?
প্রাথমিক নগরায়ণ কাকে বলে?
গতিশীল নগরায়ণ কাকে বলে?
মেট্রোপলিস কখন হয় ?


নগর জনপদ
নগর জনপদ নির্ধারণে দুটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রথমতঃ অধিবাসীদের উপজীবিকা এবং দ্বিতীয়তঃ
জনসংখ্যার আকার। যে সমস্ত জনপদের অধিবাসীরা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকে
সেই সমস্ত জনপদকে নগর জনপদ বলা হয়। অন্য কথায় বলা যায় নগর জনপদ সেই সমস্ত জনপদ যে সমস্ত
জনপদের অধিবাসীরা জীবিকার জন্য সরাসরি ভূমি অথবা প্রকৃতি নির্ভর নয়। জনসংখ্যার আকার ও ঘনত্ব নগর
জনপদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে বিভিন্ন দেশে নগর জনপদ নির্ধারণের ক্ষেত্রে
জনসংখ্যার আকার ও ঘনত্বের পরিমাপ বিভিন্ন রকম ধরা হয়। জনসংখ্যার আকার ও ঘনত্ব ছাড়াও জনপদের
অবিচ্ছিন্ন কাঠামো এবং কিছু নাগরিক সেবার উপস্থিতি নগর জনপদ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড কি ?
দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মকান্ড : প্রকৃতি থেকে উৎপাদিত কৃষিজ, খনিজ ইত্যাদি দ্রব্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ দ্বিতীয়
পর্যায়ের কর্মকান্ডে পড়ে। উদাহরণ হিসেবে তুলা থেকে সুতা ও কাপড়, আকরিক লোহা থেকে স্টীল ও অন্যান্য
লৌহজাত দ্রব্যাদি উৎপাদন শিল্প উল্লেখ করা যায়।
তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ড : ব্যবসা-বাণিজ্য, বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ড, ক্রয়-বিক্রয়, শিক্ষকতা, ডাক্তারী
ইত্যাদি।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. নগর জনপদ কাকে বলে?
২. নগর জনপদ নির্ধারণে কোন দুটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়?
নগর জনপদের প্রকার (ঞুঢ়বং ড়ভ টৎনধহ ঝবঃঃষবসবহঃং)
নগর হওয়ার প্রক্রিয়াকে নগরায়ণ বলে। হোসেলিজ (ঐড়ংবষরঃু, ১৯৫৫) দুই ধরনের নগরায়ণ প্রক্রিয়ার উল্লেখ
করেন।
ক. প্রাথমিক নগরায়ণ (চৎরসধৎু টৎনধহরুধঃরড়হ)
খ. দ্বিতীয় পর্যায়ের নগরায়ণ (ঝবপড়হফধৎু টৎনধহরুধঃরড়হ)
ক. প্রাথমিক নগরায়ণ : কম বেশি একই সংস্কৃতি বা গোষ্ঠী¯œারা যে নগর সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করে।
খ. দ্বিতীয় পর্যায়ের নগরায়ণ : এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সংস্পর্শে গোষ্ঠী স¤প্রদায় আরও
নগরায়িত হয়। কালক্রমে স্থানীয় বা ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি চাপা পড়ে যায় এবং মিশ্র সংস্কৃতির নগরায়ণ বিকাশ
লাভ করে।
নগর জনপদকে বিভিন্ন ভূগোলবিদ বিভিন্নভাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন।
রেডফিল্ড এবং সিঙ্গার (জবফভরবষফ ধহফ ঝরহমবৎ, ১৯৫৪) নগরকে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কেন্দ্র মনে করেন
এবং সংস্কৃতি পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী নগর জনপদকে প্রধান দুটি ভাগে বিভক্ত করেন।
ক. অরথোজেনেটিক (ঙৎঃযড়মবহবঃরপ) নগর বা একই বা সমসত্ত¡ সাংস্কৃতিক ধারায় বিকাশসম্পন্ন নগর;
খ. হেটারোজেনেটিক (ঐবঃবৎড়মবহবঃরপ) নগর বা বিভিন্ন বা অসমসত্ত¡ সংস্কৃতি সম্পন্ন নগর।
ক. অরথোজেনেটিক নগর : যে সমস্ত নগর পুরাতন শৃঙ্খলাবদ্ধ সাংস্কৃতিক গতিধারায় বিকাশমান ও পরিচালিত
সেই সমস্ত নগর এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এই শ্রেণীর নগরকে ‘ঐতিহ্যবাহী’ নগর বলা হয়ে থাকে যা গোষ্ঠিগত
সমাজব্যবস্থার উপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ যে সমস্ত নগরের বিকাশ একই সংস্কৃতিভুক্ত গোষ্ঠীভিত্তিক স¤প্রদায় থেকে
উদ্ভূত যা নগরের সংস্কৃতি বিকাশে মূখ্য ভূমিকা রাখে। এই সমস্ত শহরকে ‘নৈতিক অনুসারী’ শহরও বলা হতো।
খ. হেটারোজেনেটিক নগর : এই সমস্ত নগরে নতুন চিন্তাধারা ও সংস্কৃতি প্রাধান্য পায় যার প্রভাব নগরে ছড়িয়ে
যায়। এই শ্রেণীর নগর বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিলনকেন্দ্র। ‘প্রযুক্তি নগর’ হিসেবেও এই শ্রেণীর নগর
পরিচিত।
ডক্সিয়াডিস (উড়ীরধফরং, ১৯৬৮) নগরের বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে নগর জনপদকে মূলত দুটি শ্রেণীতে
বিভক্ত করেন।
ক. স্থিত নগর (ঝঃধঃরপ ঈরঃু)
খ. গতিশীল নগর (উুহধসরপ ঈরঃু)
ক. স্থিত নগর : শিল্প বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত অধিকাংশ নগর ছিল মূলত স্থিত। নগরের জনসংখ্যা ও অন্যান্য
বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হতো না বললেই চলে। নগর এলাকা পরিখা বা প্রাচীর¯œারা সুরক্ষিত থাকতো। নগর
পরিসীমা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে খুবই সুপরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হতো। এই জন্য এই ধরনের নগরকে স্থিত
নগর আখ্যা দেওয়া হয়েছে। স্থিত নগর স্বাভাবিক বা সতঃস্ফুর্ত ও পরিকল্পিত উভয় ধরনের ছিল। বিভিন্ন
ঐতিহাসিক যুগে সাম্রাজ্যের রাজধানী, প্রশাসনিক কেন্দ্র, দূর্গ শহর ইত্যাদি মূলত স্থিত নগর।
খ. গতিশীল নগর : শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ফলে বিভিন্ন প্রকারের শিল্পকারখানা বিকাশ লাভ করে। শিল্প-কারখানার প্রয়োজনে ও আর্কষণে বিভিন্ন অঞ্চল হতে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও
সংস্কৃতির লোকের শিল্পাঞ্চলগুলোতে আগমন ঘটে। ফলে জনসংখ্যা ও আয়তনে নগরগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকে
এবং গতিশীল নগরে পরিণত হয়। মূলত স্থিত নগরগুলোই শিল্প বিপ্লবের পরবর্তীতে গতিশীল নগরে পরিণত
হয়েছে। গতিশীল নগরের উপাদানসমূহ সর্বদাই পরিবর্তনশীল এবং সমন্বয়হীনভাবে বৃদ্ধি পায়।
উপরে উল্লিখিত নগরায়ণ ও নগর জনপদের শ্রেণীবিভাগগুলি অনুরূপ ও সমান্তরাল বলা চলে।
প্রাথমিক নগরায়ণ = অরথোজেনেটিক নগর = স্থিত নগর
দ্বিতীয় পর্যায়ের নগরায়ণ = হেটারোজেনেটিক নগর = গতিশীল নগর
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. রেডফিল্ড ও সিঙ্গার নগর জনপদকে কিসের উপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিভাগ করেন এবং কি কি?
২. অরথোজেনেটিক নগর কোনগুলি?
৩. হেটারোজেনেটিক নগর কোন গুলি?
৪. প্রাথমিক নগরায়ণ কাকে বলে?
৫. দ্বিতীয় পর্যায়ের নগরায়ণ কাকে বলে?
৬. স্থিত নগর কাকে বলে?
৭. গতিশীল নগর কাকে বলে?
ডক্সিয়াডিস (উড়ীরধফরং, ১৯৬৮) গতিশীল নগর জনপদকে জনসংখ্যার সম্ভাব্য আকার অনুযায়ী কয়েকটি
ক্রমধাপে বিভক্ত করেন। তিনি শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি ক্রমধাপকে ভবিষ্যতের নগর বলেছেন। তিনি প্রতিটি
নগর ধাপের সম্ভাব্য আয়তনও দেখান।
ডক্সিয়াডিসের নগর প্রকারনগরের প্রকার জনসংখ্যা আয়তন
ছোট টাউন (ঝসধষষ ঃড়হি) ৯,০০০ ১.২ কিমি২
টাউন (ঞড়হি) ৫০,০০০ ৭ কিমি২
বড় শহর (ইরম পরঃু) ৩,০০,০০০ ৪০ কিমি২
মেট্রোপলিস (গবঃৎড়ঢ়ড়ষরং) ২ মিলিয়ন ৩০০ কিমি২
কনারবেশন (ঈড়হঁৎনধঃরড়হ) ১৪ মিলিয়ন ৫০০০ কিমি২
মেগালোপলিস (গবমধষড়মঢ়ড়ষরং) ১০০ মিলিয়ন ৮০,০০০ কিমি২
নগর অঞ্চল (টৎনড়হ ৎবমরড়হ) ৭০০ মিলিয়ন ০.৮ মিলিয়ন কিমি২
নগরায়িত মহাদেশ (টৎনধহরুবফ পড়হঃরহবহঃ) ৫,০০০ মিলিয়ন ৬ মিলিয়ন কিমি২
ইকুমেনোপলিস (ঊপঁসবহড়ঢ়ড়ষরং) ৩০,০০০ মিলিয়ন ৪০ মিলিয়ন কিমি২
নিচে কয়েকটি নগর প্রকারের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো :
টাউন (ঞড়হি): ছোট শহরকে সাধারণভাবে টাউন বলা হয়। সাধারণত টাউনের ন্যূনতম প্রারম্ভিক লোকসংখ্যা
(ঞযৎবংযড়ষফ চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ) থাকে। তবে যে কোন ছোট আকারের শহরকেই টাউন বলে। টাউন গ্রামের চেয়ে
আকারে বড় এবং বসতি একটানাভাবে গড়ে উঠে। সংঘবদ্ধ গ্রামীণ জনপদ রূপান্তরিত হয়ে যে টাউন হয়েছে
তার সুষ্পষ্ট প্রমাণ অনেক ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। কাজেই গ্রামের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বড় সংঘবদ্ধ গৃহের
সমাবেশকে টাউন বলে। তবে টাউনে লোকজন এবং ঘরবাড়ি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র পরিসরে কেন্দ্রীভূত থাকে।
প্রধানত বাজার থেকে টাউনের উৎপত্তি। বাজার পণ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের ও বিক্রয়ের কেন্দ্রবিন্দু যেখানে পণ্যদ্রব্য
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিক্রয়ের জন্য আসে এবং স্থানীয় অঞ্চলের জন্য পণ্য সামগ্রী পুনর্বন্টিত হয় এবং দূরবর্তী
অঞ্চলে চাহিদা অনুযায়ী ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই টাউন এবং বাণিজ্য অঞ্চল অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। টাউনের
প্রারম্ভিক জনসংখ্যা, কিছু খুচরা ব্যবসা এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক কর্মকান্ড থাকে। খ্রিষ্টলারের কেন্দ্রীয় অবস্থান
তত্তে¡ টাউনের লোকসংখ্যা ২,৫০০ থেকে ২০,০০০ এবং গড় লোকসংখ্যা ১০,০০০ ধরা হয়েছে। টাউন
২৫,০০০ থেকে ১,০০,০০০ লোকসংখ্যাকে সেবা প্রদান করে থাকে। লোকসংখ্যা দিয়ে ছোট টাউন, বড় টাউন
ইত্যাদি পার্থক্য দেখানো হয়ে থাকে। কিছু কিছু দেশে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রে টাউনের স্থানীয় সরকারের প্রশাসনিক
কাঠামোয় একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে।
মেট্রোপলিস (গবঃৎড়ঢ়ড়ষরং) : সাধারণভাবে যে কোন বড় শহরকে মেট্রোপলিস বলে। তবে রাজধানী,
বাণিজ্যিক, গীর্জা বা যাযক প্রধান শহরগুলোই প্রধানত মেট্রোপলিস হয়। খ্রিষ্টলারের কেন্দ্রীয় অবস্থান তত্তে¡
মেট্রোপলিসকে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বলা হয়েছে যার লোকসংখ্যা ন্যূনতম ১ মিলিয়ন এবং এর প্রভাব
বলয়ের লোকসংখ্যা ৫ - ৩০ মিলিয়ন ধরা হয়েছে। আমেরিকায় সাধারণভাবে কোন বড় নগর জনপদকে
মেট্রোপলিটান এলাকা (গবঃৎড়ঢ়ড়ষরঃধহ অৎবধ) বলা হয়ে থাকে। ১৯৮০ সালে নির্দিষ্ট জনসংখ্যা, ঘনত্ব এবং
পেশার উপর ভিত্তি করে এক বা একাধিক কাউন্টি (বাংলাদেশের জেলা সমতুল্য) নিয়ে ঝগঝঅ (ঝঃধহফধৎফ
গবঃৎড়ঢ়ড়ষরঃধহ ঝঃধঃরংঃরপধষ অৎবধ) গঠন করা হয় যাকে নগরায়িত এলাকা বা অঞ্চল হিসেবে শনাক্ত করা
হয়। নগরায়িত এলাকাতে একটানা নগর বসতি থাকে। অন্যান্য অনেক দেশও পরবর্তীকালে মেট্রোপলিটান
এলাকা চিহ্নিত করেছে।
মেগালোপলিস (গবমধষড়ঢ়ড়ষরং) : মেগালোপলিস গ্রীক শব্দ যার অর্থ মস্তবড় শহর। জিন গ্যটম্যান (ঔবধহ
এড়ঃঃসধহ) যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকার নগর প্যাটার্ন বর্ণনা করতে গিয়ে এই শব্দটি ব্যবহার
করেন। তিনি নিউ হ্যাম্পাশায়ার (ঘবি ঐধসঢ়ংযরৎব) এর বোষ্টন (ইড়ংঃড়হ) এর উত্তর থেকে ভার্জিনিয়ার
নরফোক (ঘড়ৎভড়ষশ) পর্যন্ত ৯৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত বিশাল এলাকাটিকে মেগালোপলিস বলেছেন। এই
এলাকাটিতে তিনি কনারবেশন (ঈড়হঁৎনধঃরড়হ) এর মত একটানা নগর জনপদ চিহ্নিত করেন। তবে
এলাকাটিতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে নগরের কোন বৈশিষ্ট্য নেই। বেশ কয়েকটি পৃথক পৃথক
‘রিবন’ বা ফিতা আকারে স¤প্রসারণশীল শহর যখন একসাথে মিলিত হয়ে একটানা সন্নিবদ্ধ নগর জনপদ সৃষ্টি
করে তখন কনারবেশন বলা হয়। কনারবেশন শব্দটি প্যাট্রিক গেডেস (চধঃৎরপ এবফফবং) প্রথম ব্যবহার
করেন।
বর্তমানে মেগালোপলিসকে আরও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা হয়। অত্যধিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত যে কোন নগর অঞ্চল যা
বেশ কিছু সংখ্যক মেট্রোপলিস এবং শহর একীভূত হয়ে যখন বহুকেন্দ্রিক নগর হিসেবে বিকাশ লাভ করে
তখনই মেগালোপলিসে উন্নীত হয়। ডক্সিয়াডিসের মতে কোন নগরের লোকসংখ্যা ১০ মিলিয়ন অতিক্রম করলে
এবং একাধিক মেট্রোপলিস এর অধীনে থাকলে মেগালোপলিস হয়।
ইকুমেনোপলিস (ঊপঁসবহড়ঢ়ড়ষরং) : ইকুমেনোপলিস শব্দটা ‘ইকুমেন’ (ঊপঁসবহব) শব্দ থেকে এসেছে, যা
মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবীকে বোঝায়। ডক্সিয়াডিসের মতে ইকুমেনোপলিস ভবিষ্যতের নগর যা সমগ্র বাসযোগ্য
পৃথিবী জুড়ে একটানাভাবে একটি বিশ্বজনীন নগর জনপদ সৃষ্টি করবে। তাঁর ধারণায় বর্তমানের পৃথক নগর
অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি ব্যবহারিক যোগসূত্র স্থাপিত হবে এবং এই সমস্ত নগর অঞ্চলগুলো বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে
হতে একীভূত হয়ে ইকুমেনোপলিসে পরিণত হবে। সাধারণভাবে সমতল ভূমি এবং বসবাসের উপযোগী জলবায়ু
সম্পন্ন স্থান ইকুমেনোপলিসের সীমানা নির্ধারণ করবে।
নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন :
১. টাউন কাকে বলে?
২. মেট্রোপলিস কখন হয়?
৩. মেগালোপলিস শব্দের অর্থ কি?
৪. কনারবেশন কখন বলা হয়?
৫. ইকুমেনোপলিস বলতে কি বোঝায়?
৬. ইকুমেনোপলিস শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
নিচের সারাংশটি পড়ে নগর জনপদ সম্বন্ধে আপনার ধারণা পরিষ্কার করে নিন।
পাঠসংক্ষেপ :
যে সমস্ত জনপদের অধিবাসীরা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের কর্মকান্ডে নিয়োজিত সেই সমস্ত জনপদকে
নগর জনপদ বলে। অর্থাৎ নগর জনপদের অধিবাসীরা জীবিকার জন্য সরাসরি কৃষিনির্ভর বা প্রকৃতি নির্ভর নয়।
নগর জনপদকে প্রাথমিকভাবে অরথোজেনেটিক ও হেটারাজেনেটিক এই দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়।
অরথোজেনেটিক জনপদ একই সংস্কৃতি গোষ্ঠীভুক্ত সমাজ ব্যবস্থা¯œারা পরিচালিত এবং হেটারোজেনেটিক জনপদ
বিভিন্ন সংস্কৃতির গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত। অরথোজেনেটিক জনপদকে প্রাথমিক নগরায়ণ বলা হয় যা মূলত স্থির
বা অপরিবর্তনশীল নগর জনপদ। শিল্প বিপ্লবের পূর্ববর্তী নগর জনপদগুলো এই প্রকৃতির নগর জনপদ।
হেটারোজেনেটিক নগর জনপদগুলোকে দ্বিতীয় পর্যায়ের নগরায়ণ বলে। এই পর্যায়ের নগরায়ণে জনপদের
উপাদানগুলো সতত পরিবর্তনশীল। শিল্প বিপ্লবের পরবর্তীতে শিল্প বিকাশের ফলে শিল্প নগরী ও অন্যান্য প্রধান
নগরগুলোতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকের সমাগম হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ফলে
গতিশীল নগরে পরিণত হয়েছে। নগর জনপদ ক্রমধাপ অনুসারে ক্ষুদ্র টাউন থেকে ইকুমেনোপলিস - নগরায়িত
পৃথিবী পর্যন্ত বিস্তৃত।
অনুশীলনী :
১. নগর জনপদের সংজ্ঞা দিন। নগর জনপদের শ্রেণীবিভাগ করে বিভিন্ন প্রকার নগর জনপদের বৈশিষ্ট্য
আলোচনা করুন।
২. নগনায়ণ কাকে বলে? নগরায়ণ প্রক্রিয়া কত প্রকারের? প্রত্যেক প্রকার নগরায়ণের সংজ্ঞা দিন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন ( সময় ৩ মিনিট) :
১.১ নগর জনপদ নির্ধারণে কোন দুটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় ?
ক. জীবন, মান ও শিক্ষা খ. শিল্প ও অবকাঠামো গ. উপজীবিকা ও জনসংখ্যার আকার
১.২ হোসেলিজ কয় ধরনের নগরায়ণ প্রক্রিয়ার উল্লেখ করেন ?
ক. তিন খ. চার গ. দুই
১.৩ স্থিত নগর কখন ছিল ?
ক. শিল্প বিপ্লবের পূর্বে খ. শিল্প বিপ্লব পরবর্তী সময়ে গ. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে
২. শূন্যস্থান পূরণ করুন ( সময় ৫ মিনিট) :
২.১ .................. হওয়ার প্রক্রিয়াকে নগরায়ণ বলে।
২.২ অরথোজেনেটিক নগরকে .......................নগর বলা হয়ে থাকে।
২.৩ গতিশীল নগরের উপাদানসমূহ সর্বদাই ..................এবং ................বৃদ্ধি পায়।
২.৪ মেগালোপলিস গ্রীক শব্দ যার অর্থ........................শহর।
২.৫ ইকুমেনোপলিস শব্দটা .......................শব্দ থেকে এসেছে, যা মানুষের ...........পৃথিবীকে বোঝায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ( সময় ৪ মিনিট) :
১. নগর জনপদ কাকে বলে ?
২. প্রাথমিক নগরায়ণ কাকে বলে?
৩. গতিশীল নগরায়ণ কাকে বলে?
৪. মেট্রোপলিস কখন হয় ?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. নগর জনপদের সংজ্ঞা দিন। নগর জনপদের শ্রেণীবিভাগ করে বিভিন্ন প্রকার নগর জনপদের বৈশিষ্ট্য
আলোচনা করুন।
২. টাউন, মেট্রোপলিস, মেগালোপলিস ও ইকুমেনোপলিস এর বৈশিষ্ট্যাবলী আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]