শিকার সংগ্রহকরণের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠীর ভৌগোলিক বর্ণনা দিন।
পশুচারন কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিন।
মৎস্য আহরণ কর্মকান্ডের গুরুত্বসহ, উৎস ও ভৌগোলিক বিবরণ দিন।


মানুষের পেশা
মানুষের চারপাশের যাবতীয় দৃশ্যমান ও অদৃশ্য (যেমন বায়ু) বস্তুর সমন্বয়ে পরিবেশ গঠিত। জৈব ও অজৈব এ
দুই ধরণের হতে পারে। পরিবেশের ধরণ- যাই হউক না কেন মানুষ পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বস্তুত
মানুষ অজৈব পরিবেশ এর অনেক কিছুই পরিবর্তন করেছে এবং প্রয়োজনে বিরামহীন ভাবে পরিবর্তন করে
চলেছে। মানুষ সভ্যতার প্রথম থেকেই বিভিন্নভাবে পরিবেশের বিভিন্ন অংশকে ব্যবহার করেছে তার অস্তিত্বের
জন্য। তাই মানুষ ও পরিবেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান সর্বত্র সমান ভাবে না
থাকায় সব পরিবেশে মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে সম্ভব হয়না, এ অবস্থায় মানুষ পরিবেশ এর উপযোগী
কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়। আর এভাবেই পরিবেশ মানুষের পেশায় প্রভাব বিস্তার করে।
পরিবেশীয় উপাদানের প্রভাব :
প্রাকৃতিক পরিবেশ : প্রাকৃতিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান মানুষের পেশাগত ক্রিয়াকলাপের-ওপর বিভিন্ন
ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। তবে, প্রকৃতির এ প্রভাব কোন দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, শিক্ষার মান, সম্পদের
প্রাচুর্যতা ইত্যাদির ওপর বহুলাংশে নির্ভর করে। ভ‚মিরূপগত অবস্থা, জলবায়ু, সমুদ্র সান্নিধ্য, প্রভৃতির গুরুত্ব
মানুষের কর্মকান্ডে সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলে। কিছু উদাহরণ থেকে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।
ভ‚-প্রকৃতি : পার্বত্য ঢালু অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থার প্রসার ঘটান খুব কঠিন, কৃষিকাজের অনুক‚ল মৃত্তিকার অভাব
ফলে কৃষিকাজের সুযোগও সীমিত। পার্বত্য এলাকায় মানুষ বনজ উপকরণ সংগ্রহ, প্রাণী শিকার, পশু প্রতিপালন
ইত্যাদির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়া পার্বত্য খরস্রোতা নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা
সহজ বিধায় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান প্রভৃতি দেশের পার্বত্য এলাকায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মকান্ডে অনেক
লোক নিয়োজিত।
মালভ‚মি অঞ্চলে অনুর্বর মৃত্তিকা হলেও প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে। সে কারণে সেখানে কৃষিকাজের সাথে
লোকজন নিয়োজিত না থেকে বিভিন্ন খনিজ সম্পদ আহরণ, পশুচারণ প্রভৃতির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।
সমভ‚মি সাধারণত উর্বর এবং পরিবহণ যোগ্য। সুতরাং সেখানে কৃষি ও শিল্পের প্রসার ঘটে। এছাড়া সেখানে
নগর সৃষ্টি হয়। ফলে সেখানকার লোকজন কৃষিকাজে, শিল্পে, ব্যবসা বাণিজ্যে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে
জীবিকা নির্বাহ করে। এভাবে দেখা যায় ভ‚-প্রকৃতি মানুষের অর্থনৈতিক কর্মাকন্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
ভৌগোলিক অবস্থান : নরওয়ে, চিলি, মালদ্বীপ প্রভৃতি দেশ সমুদ্র বেষ্টিত হওয়ায় এখানে অধিকাংশ লোক
মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার সমুদ্র থেকে দুরে অবস্থিত মহাদেশীয় অংশে লোকজনের ব্যবসা
বাণিজ্যের সুযোগ কম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মধ্য এশিয়ার দেশসমূহ, নেপাল, ভ‚টান, মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি
দেশ বা এলাকার লোকজন ব্যবসা, বাণিজ্য প্রভৃতির পেশার সাথে তুলনামূলকভাবে কম জড়িত।
জলবায়ু : জলবায়ুগত অবস্থা যেমন - উষ্ণতা, আর্দ্রতা , বৃষ্টিপাত ইত্যাদি কৃষিকাজকে প্রভাবিত করে। আর্দ্র
মৌসুমী ভাবাপন্ন এশিয়ার কয়েকটি এলাকায় কৃষিকাজের ব্যাপক প্রসার ঘটায় সেখানকার অধিকাংশ মানুষ
কৃষিপেশার সাথে জড়িত। আবার, উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে ইক্ষু ও পাট ভালো হয় বিধায় সেখানে চিনি ও
চটকল শিল্প বিস্তারলাভ করে। ফলে সেখানে অনেক লোক এসব কলকারখানার কাজে নিয়োজিত থাকে।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আফ্রিকার কঙ্গো অববাহিকায় ও দক্ষিণ
আমেরিকার আমাজন - অববাহিকায়, ঘনঅরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সেখানকার লোকজনের একটি বিরাট অংশ
বনজ সামগ্রী আহরণ ও প্রক্রিয়াজাত করণ শিল্পের সাথে জড়িত।
উপক‚ল রেখা : খাড়া পর্বতবেষ্টিত উপক‚ল ভাগে বন্দর ও পোতাশ্রয় করা সম্ভব নয়। তুলনামূলকভাবে ভগ্ন ও
খাড়িযুক্ত এলাকায় ভাল পোতাশ্রয় ও বন্দর গড়ে উঠে। এর নিকটবর্তী অধিবাসিগণ, ভালো নাবিক ও মৎস্য
আহরণ পেশায় সহজেই উদ্বুদ্ধ হয়। যেমন, স্ক্যানডিনেভিয়ান জাতি ও জাপানী অধিবাসীগণ নৌ-পেশা ও মৎস্য
আহরন কর্মকান্ডে বিশেষভাবে জড়িত। তাছাড়া উপক‚ল রেখা এলাকায় জাহাজ নির্মান , জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প,
মেরামত প্রভৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট পেশার প্রসার ঘটে।
খনিজ সম্পদ : বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য এলাকার বেশিরভাগ মানুষ পশুপালন পেশার সাথে যুক্ত
ছিল। কিন্তু বর্তমানে সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত ইত্যাদি দেশে খনিজ তৈল আবিষ্কৃত হওয়ায় সেখানে
তৈল উত্তোলন, রপ্তানী টার্মিনাল স্থাপন, তেল শোধনাগার, পেট্রো-রসায়ন শিল্প প্রভৃতি প্রতিষ্ঠার ফলে মানুষের
পেশা ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ধরণে যথেষ্ট পরিবর্তন এসেছে।
আবার, আকরিক লৌহ, কয়লা, চুনাপাথর ইত্যাদি সম্পদে সমৃদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া প্রভৃতি দেশে বিভিন্ন ভারি
শিল্পের প্রসার ঘটেছে। ফলে সেখানে শিল্প উৎপাদনের সাথে জড়িত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।
সাংস্কৃতিক পরিবেশের ভ‚মিকা :
মানুষের জীবনযাত্রা ওপর অপ্রাকৃতিক পরিবেশেরও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এ অপ্রাকৃতিক পরিবেশ বলতে
সাংস্কৃতিক পরিবেশ যেমন-জাতি, ধর্ম, জনসংখ্যা, শিক্ষা, সরকার, নগরায়ন, পরিবহণ ও প্রযুক্তি প্রভৃতিকে
বুঝায়।
জনসংখ্যা : জনসংখ্যা অত্যাধিক বেশি বা কম হলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সুষ্ঠভাবে বিকাশলাভ ব্যাহত হয়।
যেমন, বাংলাদেশ ও ভারত ,চীন প্রভৃতি দেশে অত্যাধিক জনসংখ্যার কারণে বিভিন্ন ধরণের পেশার ক্ষেত্র
সীমিত। এছাড়া নির্জন প্রায় সাহারা মরু এলাকায় লোকজনের পেশা কম বৈচিত্রপূর্ণ ।
শিক্ষা : প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মেধা ও দক্ষতার বিকাশ ঘটে থাকে। শিক্ষা দীক্ষায় উন্নতিলাভ
করায় যুক্তরাষ্ট্র জাপান, রাশিয়া ও উত্তর পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো কৃষি, শিল্প ও ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতিলাভ
করেছে। ফলে সেখানকার অধিবাসিরা বিভিন্ন উন্নত পেশার সাথে জড়িত থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।
সরকার : শক্তিশালী স্থিতিশীল সরকার ব্যতীত শিল্প উন্নয়ন ব্যাহত হয়। আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ
দেশের সরকার দূর্বল, অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়ায় এসব দেশ সমূহে শিল্প ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটাতে
পারছেনা। ফলে নতুন নতুন পেশার ক্ষেত্রও সৃষ্টি হচ্ছে না।
নগরায়ন : নগর এলাকায় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুবিধা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সে কারণে যেসব
এলাকায় নগরের বেশি প্রসার ঘটেছে সে সব এলাকায় কর্মক্ষেত্র বি¯তৃতি এবং পেশার বৈচিত্রতা বেশি।
পরিবহণ : অনুন্নত পরিবহণ ব্যবস্থার কারণে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়া ও দ. আমেরিকার বেশিরভাগ
এলাকায় পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে।
মানুষের পেশায় পরিবেশের প্রভাব সম্পর্কে পরিশেষে বলা যায় যে, সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়ে এ প্রভাব যেমন
ছিল বর্তমানে তা নেই। আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অন্যান্য সুবিধা ব্যবহার করে মানুষ পরিবেশের অনেক বাধা
আয়ত্তে এনে নানা রকম সুবিধা/ সুযোগ সৃষ্টি করে নিয়েছে। ফলে মানুষের পেশায় এসেছে বৈচিত্র্য। তাই,
সুস্পষ্টভাবেই মানুষের পেশা বর্তমানে পুরোপুরি প্রকৃতি নির্ভর নয় একথা নির্দ্ধিধায় বলা যায়।
মানুষের চারপাশের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য বস্তুর সমন্বয়ে পরিবেশ গঠিত। প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ধরণের
পরিবেশই মানুষের কর্মকান্ডে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এর মধ্যে ভ‚প্রকৃতি, জলবায়ু,
ভৌগোলিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ এর মধ্যে সম্পদের পরিমাণ, শিক্ষা, জনসংখ্যা,
স্বাস্থ্য সেবার স্থিতিশীলতা, নগরায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য নিয়ামক। মানুষের পেশায়
প্রাকৃতিক ও আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক নিয়ামক সমূহে কখনই বিচ্ছিন্নভাবে প্রভাব ফেলে না বরং একাধিক
নিয়ামক একত্রে কাজ করে। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হলে মানুষের পেশায় প্রাকৃতিক পরিবেশ এর
গুরুত্বের ও পরিবর্তন হয়ে থাকে।
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন, (সময় ৩ মিনিট) :
১.১ পার্বত্য এলাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষিকাজের স¤প্রসারন-
ক) সহজ খ) কঠিন গ) এ কোন প্রভাব ফেলে না।
১.২. সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ পেশার জন্য কি ধরণের পরিবেশ প্রয়োজন ?
ক) উপক‚লীয় সান্নিধ্য খ) উপক‚ল থেকে দূরে অবস্থান গ) কোনটি ঠিক নয়।
১.৩. প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে মানুষের পেশায় প্রকৃতির প্রভাব-
ক) কমেছে খ) বেড়েছে গ) অপরিবর্তিত আছে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন (সময় ৬ মিনিট) :
১. পরিবেশ বলতে কি বুঝায়?
২. পরিবেশরে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক নিয়ামকগুলো কি ?
৩. প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রভাবিত মানুষের পেশার একটি তালিকা তৈরী করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. মানুষের পেশায় পরিবেশ এর প্রভাব উদাহরণ সহ বিস্তারিত লিখুন।

শিকার, সংগ্রহকরণ, পশুপালন ও মৎস্য আহরন
(ঐঁহঃরহম, এধঃযবৎরহম, চধংঃড়ৎধষরংস ্ ঋরংযরহম)
এই পাঠ পড়ে আপনি-
 শিকার সংগ্রহকরন বলতে কি বুঝায়? কি ধরণের জনগোষ্ঠী জড়িত ?
 পশুপালন কর্মকান্ডের ভৌগোলিক বণ্টন, জলবায়ুর সাথে এর সম্পর্ক; এবং
 মৎস্য আহরণের ধরন, উৎস ও ভৌগোলিক বিস্তার সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শিকার, পশুপালন ও মৎস্য আহরণ এ সবই প্রাথমিক কর্মকান্ড। তবে আধুনিক প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে
পশুপালন ও মৎস্য আহরণ কর্মকান্ড বর্তমানে বাণিজ্যকভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু আছে এবং এতে অত্যন্ত
সংঘটিত ২য় ও ৩য় পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড হিসাবে জড়িত (চিত্র ৫.২.১)। তবে, অনেক দেশেই এখন
ও কিছু কিছু জনগোষ্ঠি আছে যাদের শিকার, পশুপালন ও মৎস্য আহরণ এখন ও স্বয়ংভোগী পর্যায়ে আছে ।
এদের জন্য এ ধরণের কাজ পুরোপুরি প্রাথমিক কর্মকান্ড হিসাবে বিবেচিত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব খুবই
সীমিত। এসব কর্মকান্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো।
শিকার ও সংগ্রহকরণ : বিভিন্ন বন্য প্রাণী এবং পাখি ধরাকে শিকার বলে। নৃ-বিজ্ঞানে কৃষিকাজ, প্রাণী শিকার
এবং যে কোন খাদ্য সংগ্রহকে শিকার বা হান্টিং বলে। অনেক দেশেই ঝযড়ড়ঃরহম ্ ঃৎধঢ়ঢ়রহম উভয়কে
শিকারের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। তাছাড়া, তীর, বুমেরাংস, উধৎঃং, বন্দুক, বল্লম, বর্শা, সড়কি, প্রভৃতিকে অস্ত্র
হিসাবে শিকারের কাজে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন উপজাতীয় গোষ্ঠী ছাড়াও আধুনিককালেও কোন কোন দেশে
শিকার একটি খেলা হিসাবে প্রচলিত।
শিকার করার কারণ : আদিম কালে মানুষেরা বিভিন্ন হিংস্র জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচার জন্য পাহাড়ের গুহায়
বাস করত এবং পরবর্তীতে এসব প্রাণীকে বধ করার কৌশল রপ্ত করে। এছাড়া আদিম মানুষেরা তাদের ক্ষুধা
নিরসনের জন্য শিকার করত। তবে বর্তমানেও অনেক উপজাতী (যেমন -রেড ইন্ডিয়ান ও এস্কিমো প্রভৃতি)
শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে মানুষ শখের বশেও শিকার করে।
খাদ্য সংগ্রহ (ঋড়ড়ফ ঈড়ষষবপঃরড়হ) : শুধু মাত্র খাদ্য সংগ্রহের ওপর বেঁচে থাকে এ ধরণের জনগোষ্ঠীর
সংখ্যা বিশ্বে বর্তমানে সীমিত। পাপুয়া নিউগিনি, আমেরিকার পশ্চিম অংশের ইন্ডিয়ান উপজাতী, মধ্য দক্ষিণ
আমেরিকার গোয়াজিবো, এ্যাবিপোনস এবং বোটোকিউডো, আমেরিকার সর্ব দক্ষিণের ণধমযধহ, ঙহধ,
অষধপধষঁভ জাতি আবার আফ্রিকার কঙ্গোর পিগমী জাতি, কালাহারীর বুশম্যান প্রভৃতি জনগোষ্ঠি এ ধরণের
খাদ্য সংগ্রহের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উপজাতীয়রা বনভ‚মি এলাকায় বসবাস করে এবং বনজ সম্পদের ওপরই এদের খাবার
নির্ভর করে। আষ্ট্রেলিয়াও তাসমানিয়ায় শেতাঙ্গরা আসার আগে সেখানকার আদিবাসিরা খাদ্য সংগ্রহ করে
জীবিকা নির্বাহ করত। এখনও এদের কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠি আছে যারা খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। এশিয়া
ও আফ্রিকায় অনেক উপজাতীর পেশা খাদ্য সংগ্রহ করা। এ সকল জাতী তাদের পূর্ব পুরুষদের এ পেশা
এখনও ধরে রেখেছে। আবার ক্যালিফোর্নিয়ায় উপজাতীয়দের ফসল ফলাতে অতিরিক্ত শক্তি বা শ্রম ব্যয় করতে
হয়, সে কারণে তারা সংগ্রহ ও শিকার পেশায় পুনরায় উৎসাহী হচ্ছে। কারণ এখানকার পর্যাপ্ত ভ‚মি বা বনভ‚মি
থেকে এরা প্রচুর খাদ্য, যেমন- কন্দ, পেয়াঁজের ন্যায় গোলাকার মূল, বিভিন্ন ধরণের রসাল ফল ও অন্যান্য বন্য
ফলমূল প্রভৃতি সহজে সংগ্রহ করতে পারে। এরা এখানকার উপক‚ল থেকে বিভিন্ন ধরণের ঝিনুক, শামুক, হাঁস,
রাজহাস প্রভৃতি শিকার করে।
এছাড়া এরা সব ঋতুতে হরিণ, শশক জাতীয় প্রাণী, কাঠ বিড়াল, মেটে ইঁদুর প্রভৃতি শিকার ও সংগ্রহ করে।
এসব উপজাতী অন্য সভ্য জাতীর চেয়ে ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আচার আচরণে ভিন্ন বা পিছিয়ে থাকার কারণে
এখনও সংগ্রহ, শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।
মাছ ধরা : এ পেশায় নিয়োজিতদের মৎস্যজীবি বলে। বাংলাদেশে এখনও এ স¤প্রদায়ের লোক আছে। এরা
জেলে স¤প্রদায় হিসাবে পরিচিত। বর্তমানে শিল্পে অনুন্নত পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাব যে সমস্ত দেশে কম এবং,
সেখানে জেলে স¤প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক মৎস্য আহরণে নিয়োজিত আছে। আর্জেন্টিনা ও
উরুগুয়ের তৃণ আচছাদিত বৃহৎ ”পাম্পা” অঞ্চলে একই ধরণের প্রাকৃতিক পরিবেশ; ফলে উভয় অংশে একই
জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের অস্তিত্ব ছিল। এখানে বংশানুক্রমিকভাবে পায়ে হেঁটে শিকার করা হত। একসময়
সাদা মানুষের কাছে পরাজিত হয়ে তারা স্থানান্তরিত হতে থাকে। ফলে শিকারী পেশার লোকজন কমে যায়।
পশুপালন (চড়ংঃড়ৎধষরংস) :
মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেশা হচেছ পশু চারণ। প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের বেশিরভাগ
অঞ্চলের মানুষের প্রধান উপজীবিকা ছিল পশুচারণ। বিশেষ করে যে সকল অঞ্চলের জমি কৃষি উপযোগী ছিলনা
সেসব স্থানে পশুপালন প্রধান উপজীবিকা ছিল। বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে
পশুপালন করা হয়।
পশুপালন/ পশুচারণ পেশার বিকাশের কারণ :
পশুচারণের মাধ্যমে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ লোক তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্যই এ
পেশার বিকাশ লাভ করে। প্রাচীনকাল থেকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে হাতী, ঘোড়া, উট, গরু, মহিষ প্রভৃতি পশু
ও প্রাণী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে কৃষিকাজে গবাদী পশু ব্যবহার করা হয়। মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদনে বিশ্বের
বেশিরভাগ দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পশুচারণ করা হয়। পশুজাত দ্রব্যাদির মধ্যে চামড়ার ব্যাগ, জুতা, পশমী
কাপড় উল প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
চারনভ‚মি (চধংঃঁৎব) : বিভিন্ন গৃহপালিত পশু যেমন গরু, মেষ, ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া প্রভৃতি পশুকে চারন
করা হয় অর্থাৎ যেখান থেকে তাদের তৃণজাতীয় খাদ্য সংগৃহীত হয় তাহাই চারন ভ‚মি। কিন্তু তৃনজাতীয় গাছ
ছাড়াও সেখানে ত্রিপত্র জাতীয় গাছ থাকতে পারে। পশুরা নিজেদের খাদ্য নিজেরাই সংগ্রহ করতে পারে এমন
প্রাকৃতিক বনভ‚মি বা তৃণভ‚মিকে চারণভ‚মি বলে।
বিশ্বব্যাপী পশুপালন পেশার বিস্তার : গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ প্রভৃতি তৃণভোজী প্রাণীর জন্য পর্যাপ্ত
তৃণভ‚মির প্রয়োজন হয়। পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তৃণভ‚মি রয়েছে সেসব এলাকায় পশু পালন
পেশা ব্যাপকভাবে বিস্তারলাভ করেছে। যেমননাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল : এখানে পশুচারণ পেশা যথেষ্ট অগ্রগতী লাভ করেছে। কারণ এখানে বিস্তীর্ণ তৃণভ‚মি
পশুচারণের জন্য সহায়ক। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের প্রধান প্রধান পশুচরণ ক্ষেত্রসমূহ হলো১. উত্তর আমেরিকার প্রেইরী অঞ্চল - যেখানে গবাদিপশু ও মেষচারণ করা হয়। কারণ এখানকার ভ‚ট্রা পশু
খাদ্যের যোগান দেয়। এখানকার প্রতিপালিত পশুর মাংস শিকাগো বন্দরের মাধ্যমে ইউরোপে রপ্তানী হয়।
অসংখ্য পশু জবাই করা হয় বলে এ বন্দরকে বিশ্বের কসাইখানা বলা হয়।
২. দক্ষিণ আমেরিকার পম্পা তৃণভ‚মি অঞ্চল-এ অঞ্চলের উরুগুয়ে, ব্রাজিল ও আজেন্টিনার বির্স্তীণ ত‚ণভ‚মি
অঞ্চল পম্পা নামে বিখ্যাত। এখানে বহু লোক পশুচারণ পেশার সাথে জড়িত।
৩. অস্ট্রেলিয়ার ডাউন্স তৃণভ‚মি অঞ্চল-অষ্ট্রেলিয়ার পূর্বাংশের ডাউন্স তৃণভ‚মি অঞ্চল বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ
পশুচারণ ক্ষেত্র । তবে বেশির ভাগ লোক মেষচারণের সাথে জড়িত।
৪. আফ্রিকার ভেল্ট তৃণভ‚মি অঞ্চল- দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত ভেল্ট তৃণভ‚মি পশুচারণের জন্য বিখ্যাত।
বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে এ সব অঞ্চলে কৃষিকাজের সুযোগ সীমিত। ফলে এখানকার মানুষ পশুপালন
পেশার উপর অধিক নির্ভরশীল।
৫. ইউরোপের অঞ্চল-যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, হল্যান্ড প্রভৃতি দেশের তৃণভ‚মিতে বিভিন্ন ধরণের পশুপালন করা
হয়। এসব দেশে বাণিজ্যিকভাবে দুগ্ধ উৎপাদনের উপযোগী গরু প্রতিপালন করা হয়।
ক্রান্তীয় অঞ্চলের তৃণভ‚মি বৃষ্টিপাত বেশি হলেও অধিক তাপমাত্রার কারণে মাটি শুকিয়ে যায়। ফলে অতি ঘন
তৃণভ‚মি কম। তবে এখানে অনেক লোক এ পেশার সঙ্গে জড়িত।
ক্রান্তীয় অঞ্চলের প্রধান প্রধান পশুচারণক্ষেত্র সমুহ হলোআফ্রিকার সাভানা অঞ্চল
দ: আমেরিকার তৃণভ‚মি অঞ্চল
এশিয়ার ভারত
অস্ট্রেলিয়া
বাণিজ্যিক পশু প্রতিপালন :
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র গবাদি পশু প্রতিপালিত হয়। খাদ্য সরবরাহ এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য
গবাদি পশু পালন করা হয়।
যেমন- ১) মাংস উৎপাদন
২) দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য
শিল্পের কাঁচামাল, পশুর চামড়া, হাড়, পশম সংশ্লিষ্ট শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
মৎস্য উপজীবিকা :
প্রাচীন কাল থেকেই মৎস্য আহরণ পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসাবে বিবেচিত। পৃথিবীর খাদ্য চাহিদার
শতকরা তিনভাগ এ শিল্প থেকে পূরণ করা হয়।
পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ লোক মৎস্য আহরণ পেশার সাথে নিয়োজিত। প্রত্যক্ষভাবে মৎস্য শিকার ছাড়াও মাছ ধরার
জাহাজ, নৌকা ও যন্ত্রপাতি প্রভৃতি তৈরীতে বহু লোক নিয়োজিত। মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ
বাজারজাতকরণ ও প্রচুর লোক নিয়োজিত।
মৎস্য আহরণ একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। মৎস্য শিকারীকে অনেক সময় বৈরি পরিবেশের সাথে লড়াই করতে হয়।
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৎস্য আহরণের সময় মৎস্য শিকারীরা দলগতভাবে মৎস্য শিকার করে এবং মোট ধৃত মৎস্য
বা বিক্রিত মৎস্যের দ্বারা প্রাপ্ত অর্থ দলের প্রত্যেকেই সমান ভাগ করে নেয়।
বিশ্বব্যাপী মৎস্য আহরণের পরিমান :
সব থেকে বেশি মৎস্য আহরিত হয় উত্তর পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে, যার পরিমাণ ১০ মিলিয়ন
মেট্রিক টন। এরপর উত্তর পূর্ব আটলান্টিক (৮.৫ মি.মে. টন), পূর্ব মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষেত্রে (৫ মিলিয়ন
মে: টন)। মোট সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের পরিমান বছরে ৪০১৭৭৫০০ মে: টন।
মহাদেশীয় উৎস সমূহ থেকে বছরে ৪,৬৭০,মে: টন মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ৩.৩ মি: মে:টন
মৎস্য আসে এশিয়া থেকে। প্রধান মৎস্য আহরণ কারী দেশের মধ্যে জাপান (৬৭৫০০০০ টন) পেরু
(৬৭২০০০০ টন) , চীন (৪৯৪০০০০ মে.টন), রাশিয়া (৩৫৬০০০০ মে.টন), যুক্তরাষ্ট্র (২৮৬০০০০ মে.টন),
নরওয়ে (১৩২০০০০ মে.টন), কানাডা (১১০০০০০ মে.টন) উল্লেখযোগ্য।
পাঠ সংক্ষেপ :
শিকার সংগ্রহ করা, পশুচারণ ও মৎস্য আহরণ এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের কর্মকান্ড। সভ্যতার প্রাথমিক পর্যায়
থেকে এসব কর্মকা›ড চলে আসছে। শিকার সংগ্রহকরণের মত প্রাথমিক কান্ড বর্তমানে অত্যন্ত সীমিত আকারে
অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠির মধ্যে দেখা যায়। তবে উন্নত সভ্যতায় শিকার শুধুমাত্র বিনোদনমূলক কাজ
হিসাবে দেখা যায়। পশুপালন কর্মকান্ড সেই তুলনায় এখনও বিশ্বের বহু দেশে প্রচলিত আছে। বিশেষত: যে
সমস্ত দেশে জলবায়ু কিছুটা রুক্ষ/চরমভাবাপন্ন সেখানে প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন অলাভজনক। এ ধরণের
পরিবেশে পশুচারন ব্যাপকভাবে চালু আছে। সমুদ্র বেষ্টিত, কিংবা উপক‚লবর্তী জনগোষ্ঠি মৎস্য আহরণের কাজ
পেশা হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। তবে, মৎস্য আহরণ কর্মকান্ড ব্যক্তি পর্যায়ে না থেকে বহু দেশে
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অনেক পূর্ব থেকে চালু আছে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√)চিহ্ন দিন (সময় ৩ মিনিট) :
১.১. শিকার সংগ্রহকরণ একটি কোন পর্যায়ের কর্মকান্ড ?
ক) প্রাথমিক পর্যায়ের খ) ২য় পর্যায়ের গ) ৩য় পর্যায়ের
১.২. পশুচারণ কর্মকান্ড কি ধরণের জলবায়ুতে বেশী দেখা যায় ?
ক) নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় খ) বৃষ্টি বহুল অঞ্চলে গ) কম বৃষ্টিপাত সম্পন্ন অঞ্চলে ।
১.৩. মৎস্য আহরণ কোন পর্যায়ের কর্মকান্ড ?
ক) প্রাথমিক পর্যায়ের খ) ২য় পর্যায়ের কর্মকান্ড গ) ৩য় পর্যার্য়ের।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ( সময় ৩০ মিনিট) :
১. শিকার সংগ্রহকরণ বলতে কি বুঝায় ।
২. কোন ধরণের জনগোষ্ঠী শিকার সংগ্রহকরণ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত?
৩. পশুচারণের সাথে জলবায়ুর কি সম্পর্ক?
৪. অধিক মাত্রায় মৎস্য আহরণে জড়িত এমন ৪টি দেশের নাম দিন।
৫. সম্পদ হিসাবে মৎস্যের গুরুত্ব কি?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. শিকার সংগ্রহকরণের সাথে জড়িত জনগোষ্ঠীর ভৌগোলিক বর্ণনা দিন।
২. পশুচারন কর্মকান্ডের বিস্তারিত বিবরণ দিন।
৩. মৎস্য আহরণ কর্মকান্ডের গুরুত্বসহ, উৎস ও ভৌগোলিক বিবরণ দিন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]