পাললিক শিলা কি? পাললিক শিলার প্রকৃতি, উৎপত্তি ও গুরুত্ব বর্ণনা করুন।

আগ্নেয় শিলার শ্রেণীবিভাগ উদাহরণসহ দিন।

পাললিক শিলা কি?
ভ‚-পৃষ্টের প্রাথমিক শিলাগুলি ক্রমে রৌদ্র, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ, প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে
নদী, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ বা কোন নি¤œভ‚মিতে
স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে থাকে। এভাবে সঞ্চিত শিলাসমূহ উপরের স্তরের চাপে, ভ‚-গর্ভের চাপে এবং
রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। পলি দ্বারা গঠিত
বলে একে পাললিক শিলা বলে।
পাললিক শিলার প্রকৃতি
পলি সুদৃঢ় বা জমাটবদ্ধ হয়ে যে কঠিন শিলা গঠন করে তাকেই পাললিক শিলা বলে। পলি
পাললিক শিলার বিশেষ উপাদান। এটি বিভিন্ন পর্যায়ের সংমিশ্রণ হতে পারে। যেমন,
১. অন্য শিলা বা খনিজের টুকরা, যেমন-নদীবাহিত নুড়ি,
২. রাসায়নিক অধ:ক্ষেপ, যেমন- লবন, হ্রদের লবন, চুন ইত্যাদি,
৩. জৈব পদার্থ, যেমন-প্রবাল, জলজ উদ্ভিদ।
এ সমস্ত পদার্থ সবই পলি দ্বারা গঠিত এবং পাললিক শিলায় পরিণত হতে পারে।
পাললিক শিলার পুরোনো পলি সর্ব নি¤œ স্তরে থাকে এবং উপরের দিকের স্তরের বয়স ক্রমান¦য়ে
কমতে থাকে। এই স্তর লক্ষ্য করলে দেখা যায়চিত্র ৩.৬.১ : পাললিক শিলার স্তরায়ণ
স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়।
সুদূর অতীত কালের প্রাকৃতিক
পরিবেশ।

১. পাললিকশিলা বিভিন্ন স্তরে সজ্জিত।
২. প্রতিটি স্তর কি পরিবেশে গঠিত তা প্রতিফলিত হয়।
৩. প্রতিটি স্তরের পলি ভিন্নধর্মী।
পাললিক শিলা স্তরে সুদূর অতীতকালের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিশেষত: জলবায়ু, ক্ষয় প্রক্রিয়া এবং
প্রাচীনরূপের ভ‚মির চিহ্ন সংরক্ষিত থাকে, যা জীবাশ্ম নামে পরিচিত। এ সমস্ত জীবাশ্ম বিশ্লেষণের
মাধ্যমে অতীতের প্রাণী ও উদ্ভিদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
পাললিক শিলার স্তর গুলিতে কি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়?
পাললিক শিলার শ্রেনীবিভাগ
পাললিক শিলা গঠনকারী উপাদানের আকৃতি, আকার, এবং গঠনগত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে তিন ভাগে
ভাগ করা যায়। যথা -
১. যান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঞ্চিত পলি, যেমন-বেলেপাথর;
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সঞ্চিত পলি, যেমন-চুনাপাথর;
৩. জৈব পলি।
১. যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সঞ্চিত পলি: এই পলি দুই ধরনের হতে পারে। যেমন-আগ্নেয় শিলার
লাভাজাত এবং পূর্ববর্তী পাললিক বা রূপান্তরিত শিলার ক্ষয়িতচূর্ন। এ জাতীয় পলিসমূহের
আকার ও শিলা গঠনকারী খনিজে অনেক তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সঞ্চিত পলি: রাসায়নিক বিচুর্ণীভবন প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি পলি অধ:ক্ষেপ থেকে
এ শিলার উদ্ভব হয়।
এ প্রক্রিয়ার পানিতে দ্রবিভ‚ত অবস্থায় থাকা পদার্থসমূহ বিভিন্ন অজৈব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরাসরি
তলায় থিতায় এবং
সারণি ৩.৬.১ : যান্ত্রিক প্রক্রিয়াজাত পলির শ্রেণীবিভাগ
পলি পলির নাম আকার সে:মি: শিলা
গ্রাবেল বড় পাথর ২৫৬
মাঝারি পাথর ৬৪
নুড়ি পাথর ৪ কংগেøামারেট
পাথুরে দানা/কুচি ২
অত্যন্ত মোটা বালি ১
পাথুরে দানা/কুচি ২
বালি মোটাবালি ০.৫
মধ্যম বালি ০.২৫ বেলেপাথর
মিহি বালি ০.১২৫
অত্যন্ত মিহি বালি ০.৬২৫
সিল্ট পলিপাথর
কর্দম কাঁদা ০.০০৩১ শেল
স্তরে সজ্জিত,
পরিবেশে ভিন্নধর্মী
যান্ত্রিক, রাসায়িক
লাভজাত ক্ষয়িতচ‚র্ণ।
পলি অধ:ক্ষেপ।

সারণি ৩.৬.২ : রাসায়নিক অধ:ক্ষেপজনিত ও জৈব পলিজাত খনিজ উপাদান ও শিলা
পলির ধরন প্রধান খনিজ উপাদান শিলার নাম
রাসায়নিক ক্যালসাইট ক্যালসিয়াম
কার্বনেট
চুনাপাথর
অধ:ক্ষেপজনিত পলি ডলোমাইট
জিপসাম
হেলাইট
ক্যালসিয়াম
ম্যাগনেসিয়াম
কার্বনেট
হাইড্রাস-ক্যালসিয়াম
সালফেট
সেডিয়াম ফ্লোরাইড
ডলোমাইট
জিপসাম
পাথুরে লবণ
জৈব পলি চার্ট
চুন
উদ্ভিজ্জ পদার্থ
সিলিকনডাই অক্সাইড
ক্যালসিয়াম কার্বনেট
কার্বন, হাইড্রোজেন

অক্সিজেন
ডায়াটম
চুনাপাথর,চক,কোকিনা
কয়লা
জমাটবদ্ধ হয়। যেমন কোথাও আটকে পড়া পানি বাস্পায়িত হয়ে গেলে এর সাথে দ্রবিভ‚ত লবন
থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে বাস্পায়ন একটি অজৈব পক্রিয়া এবং থিতানো লবনকে পলি হিসাবে ধরা
হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে পানিতে বসবাস কারী বিভিন্ন প্রাণীর দেহাবশেষ জৈব পলি হিসাবে জমা
হয় এবং শেষে জমাটবদ্ধ হয়ে রাসায়নিক অধ:ক্ষেপজাত পাললিক শিলায় রূপ নেয়। যেমন,
চুনাপাথর, ক্যালসাইট, ডোলোমাইট, জিপসাম ইত্যাদি।
৩. জৈব পলি (ঙৎমধহরপ ঝবফরসবহঃং): উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ জাত পলি থেকে এ শিলার
উৎপত্তি হয়। কয়লা ও চুনাপাথর এ জাতীয় পাললিক শিলার উদাহরণ। জলজ পরিবেশে
অতীতে যে গাছপালা ছিল তা ভ‚-প্রাকৃতিক কারণে ভ‚অভ্যন্তরে চাপা পরে যায় এবং ওপরের
পলির প্রচন্ড চাপে এর পরিবর্তন হয় এবং কালক্রমে কয়লায় পরিণত হয়। বাংলাদেশের
জামালগঞ্জের কয়লা এবং গোপালগঞ্জের পিট কয়লা এ জাতীয় শিলার উদাহরণ।
পাললিক শিলার উৎপত্তি (ঙৎরমরহ ড়ভ ঝবফরসবহঃধু জড়পশং)
ভ‚-পৃষ্ঠে ক্রিয়ারত বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াই পাললিক শিলার উৎপত্তির জন্য দায়ী। যে সমস্ত
প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে তা হলো:
১. বিচুর্ণীভবন (ডবধঃযবৎরহম): সৌরতাপ যে প্রক্রিয়ায় ভ‚-ত্বকের উš§ুক্ত শিলার উপর কাজ করে
শিলা চুর্ণবিচুর্ণ বা রাসায়নিকভাবে গলিয়ে দেয় তাকেই বিচুর্ণীভবন বলে। বিচুর্ণীত শিলা পানি
প্রবাহ, বায়ু, হিমবাহ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিবাহিত হয়ে অন্যত্র সঞ্চিত হয়।
২. পরিবহন (ঞৎধহংঢ়ড়ৎঃধঃরড়হ): বর্ষায় নদীর উর্ধ্ব অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, এর ফলে শিলা
ক্ষয়ে বিপুল পরিমানে পলির সৃষ্টি হয়। আবার বিচুর্ণীভবন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়প্রাপ্ত নদীর একপাড়ের
পলি পানির স্রোতে অন্য পাড়ে সঞ্চিত হয়। নদীর স্রোতের সাহায্যে পরিবাহিত পলি বিভিন্ন
স্থানে সঞ্চিত হয় এবং পাললিক শিলা গঠিত হয়।
৩. সঞ্চয়ন (উবঢ়ড়ংরঃরড়হ): পলি সঞ্চয়ন প্রক্রিয়া পাললিক শিলার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলোর
অন্যতম। পলি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক, রাসায়নিক ও জৈব পরিবেশে স্থল ও জলভাগে সঞ্চিত
হয়। এ সমস্ত পরিবেশের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট প্রাকৃতিক পাললিক শিলার
রাসায়নিক অধঃক্ষেপজাত
পাললিক শিলা।
উদ্ভিদ ও প্রাণীর
ভ‚পৃষ্ঠে ক্রিয়ারত
বিভিন্ন প্রাকৃতিক
প্রক্রিয়া।
বিচুর্ণীভবন, পরিবহন
সঞ্চয়ন, সুদৃঢ়করণ ও
জোড়ন।

ভ‚মি গড়ে উঠে। যেমন, পাহাড়ের পাদদেশে পলল পাখা, নদীর মাঝে চর, প্লাবনভ‚মি, সমুদ্র
মোহনায় দ্বীপ, উপকুলীয় সমভ‚মি ও বালিয়াড়ি।
চিত্র ৩.৬.৪ : পলল পাখা, চর, সমুদ্র মোহনায় দ্বীপ।
৪. সুদৃঢ়করণ ও জোড়ন (ঈড়সঢ়ধপঃরড়হ ধহফ ঈবসবহঃধঃরড়হ): সুদৃঢ়করণ প্রক্রিয়ায় আলগা ও
অসংহত পলিকণা সমূহ ওপরে সঞ্চিত পলির ওজনের চাপে সুসংহত এবং পলি কণার ফাঁকে
আটকে পড়া পানি ধীরে ধীরে বের হয়ে যায়। জোড়ন প্রক্রিয়ায় চুয়ানো পানির মাধ্যমে পলি
কণার ফাঁকে চুন-সিলিকা, লোহা-অক্সাইড কণা সঞ্চিত হয়ে ফাঁকা জায়গা ভরাট করে এবং
কণাসমূহ দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত হয়। বেশীর ভাগ পাললিক শিলা গঠনের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া
আলাদাভাবে কাজ করে। তবে কখনও উভয় প্রক্রিয়া একত্রেও শিলা গঠন সম্পন্ন করে থাকে।
পাললিক শিলার গুরুত্ব
পাললিক শিলা আমাদের শিল্প, সমাজ ও সংস্কৃতির উন্নয়নে একটি নিয়ন্ত্রনকারী নিয়ামক হিসাবে
কাজ করে। আদি মানব জাতির অস্তিত্তে¡র জন্য পাললিক শিলা থেকে প্রাপ্ত উপাদান দ্বারা বিভিন্ন
হাতিয়ার তৈরী করেছে। বর্তমান সভ্যতার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছুখনিজ পদার্থ পাললিক শিলা
থেকে পাওয়া যায়। যেমন-কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম। তা ছাড়া দালান-ইমারত,
রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রীজ ইত্যাদি নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মার্বেল, ইট, বালি, সিমেন্ট সবই আসে
পাললিক শিলা থেকে। কোয়ার্টজ বালি দ্বারা গøাস শিট তৈরী করা হয়। শিশা, দস্তা, লোহা এ শিলায়
পাওয়া যায় যা বহুবিধ শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুনাপাথর দিয়ে গ্রীকরা,
রোমানরা ভাষ্কর্য তৈরী করেছে যা এখনও দর্শনীয় বস্তু হিসাবে স্বীকৃত।
পাললিক শিলা কি কি কাজে লাগে?
পাঠ সংক্ষেপ
পলি দ্বারা যে শিলা গঠিত হয় তাকে পাললিক শিলা বলে। নানা প্রাকৃতিক মাধ্যমের সাহায্যে
পলি সুদৃঢ় বা জমাট বাঁধার ফলে এই শিলায় সৃষ্টি হয়। বেলে পাথর, চূনাপাথর প্রভৃতি
পাললিক শিলার উদাহরণ। কতগুলি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেমন- বিচূর্ণীভবন, পরিবহন, সঞ্চয়ন,
সুদৃঢ়করণ ও জোড়ন প্রভৃতির ধারাবাহিক পরিবর্তনের ফলেই এই শিলার উৎপত্তি হয়।
বর্তমান সভ্যতার
অত্যন্ত প্রয়োজনীয়
খনিজ পদার্থের উৎস
পাললিক শিলা।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
১.১ পাললিক শিলা -
ক) সম্পূর্ণ শিলা খ) শিলা বা খনিজের টুকরা গ) কোনটি নয়
১.২ পাললিক শিলা -
ক) স্তরিভ‚ত খ) দানাদার গ) শীটের ন্যায়
১.৩ পাললিক শিলায়ক) জীবাশ্ম পাওয়া যায় খ) তেল পাওয়া যায় গ) কয়লা পাওয়া যায়
১.৪ পাললিক শিলার উৎপত্তি হয় -
ক) বিচুর্ণীভবনে খ) কেলাসনে গ) বাস্পায়নের মাধ্যমে
১.৫ কোয়ার্টজ বালি দ্বারা তৈরী হয়ক) প্লাষ্টিক শিট খ) গøাস শিট গ) সিমেন্টের শিট
২. সত্য হলে ‘স' মিথ্যা হলে ‘মি' লিখুন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
২.১ পলি পাললিক শিলার বিশেষ উপাদান।
২.২ যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সঞ্চিত পলির উদাহরণ চুনাপাথর।
২.৩ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সঞ্চিত পলির উদাহরণ বেলে পাথর।
২.৪ অধ:ক্ষেপ জনিত পলির উদাহরণ ডলোমাইট।
২.৫ জৈব পলির উদাহরণ চুন।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন (সময় ৩ী২ = ৬ মিনিট) ঃ
১. সুদৃঢ়করণ ও জোড়ন বলতে কি বুঝেন?
২. পাললিক শিলার শ্রেণীবিভাগ লিখুন?
৩. পাললিক শিলার সংজ্ঞা লিখুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. পাললিক শিলা কি? পাললিক শিলার প্রকৃতি, উৎপত্তি ও গুরুত্ব বর্ণনা করুন।
২. পাললিক শিলা কি? এর শ্রেণীবিভাগ করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]