ক্ষয়কার্য কি? কি কি প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য হয়ে থাকে বর্ণনা করুন।


ভ‚-ত্বক সর্বত্র সমান নয়, কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু। আবার কোথাও সমতল। প্রাকৃতিক
শক্তিগুলির ক্রমাগত কার্যের জন্য ভ‚-ত্বকের এই নানারূপ পরিলক্ষিত হয়। ভ‚-পৃষ্ঠের উপরেও বিভিন্ন
প্রাকৃতিক শক্তি সর্বদা ক্রিয়াশীল। তার ফলেই কোন জায়গার ভ‚-ত্বক ক্ষয় হয়ে অন্যত্র সঞ্চয়ন
হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ভ‚-ত্বকের এই পরিবর্তন অর্থাৎ ক্ষয় ও সঞ্চয়ন পাশাপাশি চলতে থাকে।
কোথাও ক্ষয় হলে ঐ ক্ষয়িত পদার্থ অন্যত্র সঞ্চিত হয়।
বিচুর্নীভবনের সময় ভ‚-ত্বকের উপরের স্তরের শিলা ভেঙ্গেচুরে প্রস্তরখন্ড, নুড়ি, বালুকা, কাঁদা
প্রভৃতিতে পরিনত হয় কিন্তুঅপসৃত হয় না। এদের শিলাবরনী বলা হয় (জড়পশ গধহঃষব)। এসব
আলগা পদার্থ নানাবিধ প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা অপসারিত হলে তাকে অবক্ষয় (উবমৎধফধঃরড়হ)
বলে। যেসব প্রাকৃতিক শক্তির বলে এই ক্ষয়কার্য সমাধান হয় তাদের মধ্যে মাটির অধ:মুখী গতি,
বায়ু, বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ, সমুদ্র ও মানুষ প্রধান। এদের সম্পর্কে নিæে আলোচনা করা হলো।
শিলাবরণী এবং অবক্ষয় কি?
১. মাটির অধ:মুখী গতির সাহায্যে: কোন উঁচুস্থানের মাটি মাধ্যাকর্ষণ গতির টানে এবং বৃষ্টির ফলে
বা অন্য কোন কারণে যখন বৃহদাকার একটি খন্ড হঠাৎ নিচে নেমে আসে তখন নিচুএলাকায় ঐ
মাটি স্তুপ হয়ে জমা হয়।
চিত্র ৩.৮.১ : মাটির স্তুপায়ন (উৎস : চৎরহপরঢ়ষবং
ড়ভ এবড়ষড়মু, ঢ়ম. ১৮৩)
২. বায়ুর কার্য (অপঃরড়হ ড়ভ জধরহ): বায়ুর
ক্ষয়কার্য মরুভূমির এলাকায় বেশি দৃষ্ট হয়। মরু
এলাকা শুষ্ক, প্রায় বৃষ্টিহীন এবং গাছপালা শূন্য।
ভূ-পৃষ্ঠের কোন স্থানে গাছপালা থাকলে
সেখানকার মুত্তিকা ও প্রস্তরাদি গাছের শিকড় দ্বারা
দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে। ফলে ঐ সব এলাকায় বায়ু
দ্বারা মৃত্তিকার অপসারণ হয় না। কিন্তু মরু
এলাকায় বৃক্ষহীন বলে মৃত্তিকা, প্রস্তর প্রভৃতি দৃঢ়
সংলগ্ন থাকে না। এছাড়া দিনের প্রচন্ড উত্তাপে
এবং রাত্রের শীতলতায় এই অঞ্চলের শিলা
সংকোচন ও প্রসারণের ফলেও শিথিল হয়ে যায়।
ফলে বায়ুর ক্ষয়সাধনের ফলে ইয়ারডাঙ, জুগেন,
গৌর, পিডমোট প্রভৃতি ভূমিরূপ গঠিত হয়।
তাপের সংকোচন-প্রসারণে শিলার কি পরিণতি হয়?
ক্ষয় ও সঞ্চয়ন
পাশাপাশি
চলে।
মাধ্যাকর্ষণ, বৃষ্টির
ফলে বা অন্য
কারণে।

৩. বৃষ্টির কার্য (অপঃরড়হ ড়ভ জধরহ): বৃষ্টির পানি ভ‚-পৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময়
যান্ত্রিক ও রাসায়নিক উপায়ে ভ‚-পৃষ্ঠকে ব্যাপকভাবে ক্ষয় করে। প্রবাহিত হবার সময় ঐ পানি
শিলাকে আংশিকভাবে ক্ষয় ও আলগা করে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাকে অপসারিত করে। বৃষ্টির পানি
ভ‚-পৃষ্ঠের বালুকা ও মৃত্তিকা ধৌত করে নিয়ে যায়। বৃষ্টিবহুল অঞ্চলে কর্ষিত জমির সুক্ষè কণাগুলি
পানিস্রোতে ধৌত হয়ে যায়। আবার অনেক পর্বত বিভিন্ন জাতীয় স্তর দ্বারা গঠিত। এসব পর্বতের
কর্দমাস্তরের উপর অনেক ভারী শিলাস্তর হেলানো অবস্থায় থাকে। পর্বতের ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি
ঐ কর্দমাস্তরের উপর থাকতে না পেরে নিচে ধসে পড়ে। একে মৃত্তিকাপাত (খধহফ-ংষরফব) বলে।
মৃত্তিকাপাতের ফলে পাহাড়ের পাদদেশের শিলাও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
ভ‚-পৃষ্ঠে পতিত হবার সময় বৃষ্টির পানিতে বায়ুর কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অক্সিজেন গ্যাস দ্রবীভ‚ত
হয়। এই গ্যাস মিশ্রিত পানি ভ‚গর্ভে প্রবেশ করে অনেক শিলাকে বিশেষত: স্বচ্ছিদ্র চুনাপাথর,
মার্বেল পাথর প্রভৃতিকে দ্রবীভ‚ত করে শিলার ক্ষয়সাধন করে।
৪. নদীর কার্য (অপঃরড়হ ড়ভ জরাবৎ): যেসব প্রাকৃতিক শক্তি ভ‚-পৃষ্ঠের নিয়তই পরিবর্তন করছে,
নদী তাদের মধ্যে অন্যতম। নদীর দ্বারা ভ‚-পৃষ্ঠের পরিবর্তন হয় সবচেয়ে বেশি। নদীর ক্ষয়কার্য
রাসায়নিক ও যান্ত্রিক উপায়ে সাধিত হয়। নদীর প্রবল স্রোতের আঘাতে বাহিত পাথর, নুড়ি
প্রভৃতির আঘাতে বা ঘর্ষণে নদীগর্ভ ও নদীপার্শ্ব যান্ত্রিক উপায়ে ক্ষয় হয়। পার্বত্য অঞ্চলে জমি খুব
ঢালুহয় এবং উঁচু-নিচুহয়। সেজন্য নদী উচ্চস্থান হতে খাড়া পর্বতগাত্র বেয়ে দুর্বার গতিতে নিচের
দিকে ধাবিত হয়। প্রবল স্রোতের আঘাতে ভ‚ত্বক থেকে শিলাখন্ড ভেঙ্গে পড়ে এবং স্রোতের সাথে
নিচের দিকে গড়িয়ে অগ্রসর হতে থাকে। স্রোতের প্রবল আঘাতে নদীর খাদে কোন কিছুই সঞ্চিত
হতে পারে না। এই প্রকারে শিলাখন্ডগুলি পরস্পরের সাথে এবং নদীগর্ভের সাথে সংঘর্ষের ফলে
ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্রমশ মসৃণ, গোল, নুড়ি, বালু, কঙ্কর প্রভৃতিতে পরিণত হয়। এটাই নদীর যান্ত্রিক
ক্ষয়ীভবন। এছাড়া ভ‚-ত্বকের রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ নদীর পানির সাথে দ্রবীভ‚ত হয় এবং মৃত্তিকার
দ্রæত ক্ষয়সাধন করে। এটাই নদীর রাসায়নিক ক্ষয়সাধন। নদীর ক্ষয়কার্য জলবায়ু, নদী গর্ভের
শিলার উপাদান, বাহিত শিলার কঠিনতা, নদী-পানির গলানোর শক্তি, নদী গর্ভে ফাটল বা সন্ধির
অবস্থান প্রভৃতির উপর নির্ভরশীল। নদীর ক্ষয়ক্রিয়ার দরুন ভ‚-পৃষ্ঠে (ট) আকৃতির উপত্যকা,
গিরিখাত, খরস্রোত, জলপ্রপাত, নদীমঞ্চ, নদীগর্ভে বর্তুলাকার গর্ত (চড়ঃ-যড়ষবং) প্রভৃতির সৃষ্টি হয়।
যান্ত্রিক ক্ষয়ীভবন ও রাসায়নিক ক্ষয়ীভবন কি?
উত্তাপ ও শীতলতায়
শিলার সংকোচন ও
প্রসারণ হয়।
মৃত্তিকাপাত।
নদীর ক্ষরণ,
রাসায়নিক ও যান্ত্রিক
উপায়ে হয়।
রাসায়নিক
ক্ষয়সাধন।
রাসায়নিক
ক্ষয়সাধন।

চিত্র ৩.৮.২ : নদীর সাহায্যে ক্ষয়কার্য (উৎস- চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ মবড়ষড়মু ঢ়ধমব : ২২৬)
৫. হিমবাহের কার্য (অপঃরড়হ ড়ভ মষধপরবৎ): হিমবাহের দ্বারাও ভ‚পৃষ্ঠের কোন কোন অঞ্চলে
ব্যাপকভাবে ক্ষয় হয়ে থাকে। হিমবাহ প্রধানত: দুই প্রকারে ক্ষয়কার্য করে থাকে। প্রথমত:
প্রক্রিয়াটি হল হিমবাহের তলদেশের পর্বতগাত্রে যে সমস্ত প্রস্তরসমূহ থাকে তাহা হিমবাহের চাপে
পর্বতগাত্র হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহুদূরে নীত হয়। এই সব প্রস্তরসমূহের নিকট পর্বতগাত্রে যদি ছিদ্র বা
ফাঁটল থাকে তবে সে ছিদ্র বা ফাঁটলের ভিতর দিয়ে পানি প্রবেশ করে বরফে পরিণত হয়ে
প্রস্তগুলিকে আলাদা করে দেয় এবং হিমবাহের চাপে ইহা পর্বতগাত্র থেকে সহজেই আলাদা হয়ে
যায়। মোট কথা হিমবাহের ক্ষয়ক্রিয়া ঘর্ষণ, আঁচড়ান, মসৃণ করা, উৎপাটন প্রভৃতির উপর সম্পূর্ণ
নির্ভরশীল।
হিমবাহের গতি নদীর মত দ্রæত নয়। হিমবাহের চাপে এবং ঘর্ষণে এর গতিপথের পার্শ্ব এবং
তলদেশের শিলা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে হিমবাহ উপত্যকার সৃষ্টি করে। ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে হিমবাহ
উপত্যকা খাড়া ঢাল বিশিষ্ট হয়ে ইংরেজী ‘ইউ'
উপত্যকার আকৃতি ধারণ করে বলে হিমবাহ
উপত্যকাকে ‘ইউ' (ট) আকৃতির উপত্যকা বলে।
‘ইউ' (ট) আকৃতির উপত্যকার সাথে অনেক
উপত্যকা অবস্থান করে। মূল উপত্যকার সাথে
এদের ঝুলন্ত উপত্যকা (ঐধহমরহম াধষষবু)
বলে।
হিমবাহের ক্ষয়ক্রিয়ার ফলে সার্ক, সার্কহ্রদ,
এরিটি, পিরামিডাল শৃঙ, নানাট্যাক্স, শৈলময়
পর্বত প্রভৃতি সৃষ্টি হয়।
‘ইউ' উপত্যকা এবং ঝুলন্ত উপত্যকা কি?
চিত্র ৩.৮.৩ : হিমবাহের সাহায্যে ক্ষয়কার্য
(উৎস- চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ মবড়ষড়মু ঢ়ধমব : ২৫৫)
হিমবাহ দুই উপায়ে
ক্ষয়কার্য করে।
‘ইউ’ উপত্যকা,
ঝুলন্ত উপত্যকা।

৬. সমুদ্রের কার্য (অপঃরড়হ ড়ভ ঝবধ): সমুদ্র উপক‚লের
সাগর তরঙ্গ, জোয়ার ভাটা, সমুদ্র স্রোত প্রভৃতিও নিয়ত
শিলাকে ভেঙ্গে চুর্ণ-বিচুর্ণ করছে। সমুদ্র তরঙ্গ যখন
ভীষণ আকার ধারণ করে তখন এর ধাক্কায় উপকুলের
শিলা ভেঙ্গে পড়ে। এছাড়া জোয়ার ভাটা ও সমুদ্র
স্রোতের প্রভাবেও উপক‚লের শিলা ভেঙ্গে যায়। অনেক
সময় সমুদ্র উপক‚লের পাহাড় থেকে বড় বড় প্রস্তরখন্ড
সমুদ্রে ভেঙ্গে পড়ে। পরে এসব প্রস্তর খন্ড সমুদ্র স্রোত
ও সমুদ্র তরঙ্গ এবং জোয়ার ভাটার ফলে নুড়ি ও
বালুকাতে পরিণত হয়। আবার উপক‚লভাগের কোন
স্থান কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত হলে সমুদ্রের তরঙ্গ ও
সমুদ্রস্রোত তা চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে পারে না, অথচ এর
উভয় পার্শ্ব ক্ষয় করে ফেলে। এরূপ সমুদ্রোপক‚লে
অনেক অন্তরীপের (ঈধঢ়ব) সৃষ্টি করে। সমুদ্রের
উপক‚লবর্তী কঠিন শিলার চারদিকের নরম শিলার
ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বেষ্টিত হলে দ্বীপের সৃষ্টি হয়। এরূপে সৃষ্ট
দ্বীপকে মহাদেশীয় দ্বীপ (ঈড়হঃরহবহঃধষ ওংষধহফ) বলে।
এছাড়া সমুদ্রের ক্ষয়ক্রিয়ার ফলে সমুদ্রের উপর ঝুঁকে
পড়াতে উচ্চ খাড়া পাহাড় বা ভৃগু (পষরভভ) এবং তরঙ্গ
কবলিত মঞ্চের (ডধাব পঁঃ ঢ়ষধঃভড়ৎস) সৃষ্টি হয়।
৭. ভৃগু (ঈষরভভ): ধরা যাক একটি মসৃণ উচ্চ মূল ভ‚খন্ড
ক্রমশ: ঢালু হয়ে নিচে নেমে আসছে। এই উচ্চ
ভ‚মিটির উপর প্রথম দিকে সমুদ্র তরঙ্গ এসে আঘাত
করবে এবং ঢালুমসৃণ ভ‚মিভাগের উপর একটি খাঁজের
চিত্র ৩.৮.৪ : (ভূন্ড পষরভভ ) সমুদ্রের তরঙ্গের
ক্রিয়ায় সৃষ্ট ভ‚মিরূপ।
(উৎস- চৎরহপরঢ়ষবং ড়ভ মবড়ষড়মু ঢ়ধমব : ৩৪৭)
সৃষ্টি করবে। এই খাঁজ তরঙ্গের আঘাতে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে এবং এক সময়ে উপক‚লস্থ
উচ্চ ভ‚মিভাগের খানিকটা অংশ খাড়া পাহাড়রূপে সমুদ্রের দিকে ঝুলতে থাকবে এবং ভৃগু তার নিচে
অবস্থিত কর্তিত মঞ্চের উপর ঝুলতে থাকবে।
সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে উপকুলস্থ উচ্চ খাড়া পাহাড় বা ভৃগু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যতই পিছুহঠে যায় তরঙ্গ
কর্তিত মঞ্চ ততই গড়ে উঠতে থাকে।
৮. মানুষের কার্য (অপঃরড়হ ড়ভ গধহ): সভ্যতার উন্নতি সাধন এবং আধুনিকিকরণের জন্য মানুষ
প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে থাকে। নানাভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারের ফলে তা
ক্ষয় হয়। পরিবর্তিত হয় এবং নানা বিচিত্র রূপ লাভ করে। শহর, বন্দর, রাস্তাÑঘাট, বিমানবন্দর,
ইমারত নির্মাণে মৃত্তিকা, পাহাড়, বন-জঙ্গল প্রভৃতি নির্বিচারে অবক্ষয়ের শিকার হয়। এই ধরনের
অবক্ষয় নিশ্চিতভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করছে। কিন্তুমানুষের দুর্ণিবার প্রয়োজন এই
নিশ্চিত আতœহত্যা থেকে বাঁচাতে পারছে না।
ভ‚-পৃষ্ঠের এই অবক্ষয় ক্রমাগত দিবা নিশি চলছে। তবে কোথাও ক্ষয় হচ্ছে আবার কোথাও গঠন
প্রক্রিয়া চলছে। পৃথিবীর এই ভাঙ্গা-গড়ার বিচিত্র খেলাই তার অজানা রহস্য।
অন্তরীপ, মাহাদেশীয়
দ্বীপ।
খাঁজের সৃষ্টি করে।
প্রাকৃতিক
ভারসাম্যহীনতা।

ভ‚-ত্বক পুরোপুরি সমতল একটি স্থান নয়। এর কোথাও উঁচুকোথাও নিচুআবার কোথাও
সমতল। প্রাকৃতিক শক্তির অবিশ্রান্ত ক্রিয়াকলাপের ফলেই এইরূপ পরিবর্তন এর জন্য দায়ী।
এই প্রাকৃতিক শক্তির কারণে ভ‚-ত্বকের কোথাও ক্ষয় হয় আবার কোথাও এই সকল ক্ষয়িত
পদার্থ সঞ্চিত হয়ে এই সকল ভ‚মি রূপের ভিন্নতার সৃষ্টি করে। এই ক্ষয় ও সঞ্চয়ন কার্য
একটি পাশাপাশি চলতে থাকা প্রক্রিয়া। সাধারণত: বিচূর্ণীভবনের সময় ভ‚-ত্বকের উপরের
স্তরের শিলা ভেঙ্গে-চুরে ধীরে ধীরে বড় আকার থেকে ক্রমান¦য়ে নানা প্রভাবকের সহায়তায়
ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়। এই প্রাকৃতিক প্রভাবকগুলো হল- মাটির অধ:মুখীগতি, বায়ু,
বৃষ্টিপাত, নদী, হিমবাহ, সমুদ্র ও মানুষ। ভ‚-পৃষ্ঠের এই গঠন ও ক্ষয়কার্য ক্রমাগত চলছে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.৮
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. এক কথায় উত্তর দিন (সময় ৬ী১=৬ মিনিট) ঃ
১.১ ক্ষয় এবং সঞ্চয়ন কি ক্রমাগত চলে?
১.২ মাটির নি¤œগতি কেন হয়?
১.৩ বায়ুর সাহায্যে ক্ষয় কোথায় বেশি হয়?
১.৪ পর্বতের কর্দম নিচে নেমে আসাকে কি বলে?
১.৫ ভ‚-পৃষ্ঠের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়সাধন হয় কিসের দ্বারা?
১.৬ ঝুলন্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয় কোথায়?
২. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন (সময় ৫ মিনিট) ঃ
২.১ বিচূর্ণীভবনে বিচূর্ণীত পদার্থ
ক. স্থানান্তরিত হয় খ. হয় না
গ. সামান্য হয় ঘ. হারিয়েযায়
২.২ বৃষ্টির সাহায্যে শিলা কিভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়?
ক. যান্ত্রিক উপায়ে খ. রাসায়নিক উপায়ে
গ. উভয় উপায়ে ঘ. কোনটাই নয়
২.৩ বায়ুর ক্ষয়সাধনে
ক. পিডমোট খ. ভৃগু
গ. বর্তুলাকার গর্ত ঘ. ‘ইউ' উপত্যকা

২.৪ ঝুলন্ত উপত্যকা সৃষ্টি হয়Ñ
ক. হিমবাহ খ. নদী
গ. সমুদ্র ঘ. মানুষের ক্ষয়কার্য
২.৫ হিমবাহ উপত্যকাকে কি আকৃতির উপত্যকা বলে?
ক. ‘ভি' খ. ‘ইউ'
গ. ডবিøউ ঘ. ‘এল' (খ)
সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন (সময় ২ী৭=১৪ মিনিট) ঃ
১. ক্ষয়কার্য ও সঞ্চয়ন বলতে কি বুঝায়?
২. মাটির গতির অধ:মুখির সাহায্যে কিভাবে ক্ষয়কার্য হয়?
৩. মৃত্তিকা পাত (ষধহফ ংষরফব) কাকে বলে?
৪. বায়ুর ক্ষয়কার্যে কি কি ভ‚মিরূপ তৈরি হয়?
৫. নদীর ক্ষয়ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট ভ‚মিরূপ কি কি?
৬. হিমবাহের ক্ষয়ক্রিয়া সৃষ্ট ভ‚মিরূপ কি কি?
৭. ‘ভৃগু' কোন ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট ভ‚মিরূপ?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. ক্ষয়কার্য কি? কি কি প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য হয়ে থাকে বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]