বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যের সমস্যাবলি ও রপ্তানী বৃদ্ধির উপায়সমূহ লিখুন।


আধুনিক যুগে পৃথিবীতে সভ্যতা বিস্তার ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে যাতায়াত ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা
পালন করে। যাতায়াত ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে সভ্যজগতে কাজকর্ম চালানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। সহজ
কথায়, যাতায়াত ব্যবস্থা বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগের মাধ্যমে এবং মালপত্র ও লোক
চলাচলের মাধ্যমে। বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: যথা- স্থল পরিবহন, জল
পরিবহন এবং আকাশ পরিবহন। স্থল পরিবহন আবার দুই প্রকার, যথা- রেলপথ ও সড়ক পথ। তবে
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হবার কারণে অসংখ্য খাল-বিল ও নদ-নদী জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে।
বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থা
স্থল পথ জল পথ আকাশ পথ
রেল পথ সড়ক পথ
নি¤েœ বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থার বিবরণ দেয়া হল:
১. স্থল পথ:
স্থল পথে যাতায়াত বলতে বোঝায় সড়ক পথ ও রেল পথে যাতায়াত। সড়ক পথে যাতায়াতের যানবাহন হলবাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি, মোটর সাইকেল, রিক্সা, সাইকেল, অটোরিক্সা প্রভৃতি। রেল পথে রেলগাড়ি যানবাহন
হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ক. সড়ক পথ:
অসংখ্যা নদীনালা, খালবিল, বৃষ্টি পাতের আধিক্য, ভ‚-প্রাকৃতিক গঠন এবং আর্থিক অসুবিধা প্রভৃতির কারণে
বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণ ও মেরামত অত্যš ব্যয় সাপেক্ষ। ১৯৪৭ সালে দেশে পাকা রাস্তার পরিমাণ ছিল
মাত্র ১,৯৩১.১৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে সব ঋতুতে চলাচলের উপযোগী সড়ক পথ ছিল মাত্র ২৮৬.২৩
কিলোমিটার। নি¤েœর সারনীতে সড়ক ও পরিবহন অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে বিভিন্ন ধরনের সড়কের উপাত্ত
(১৯৯৪-২০০৩) পর্যন্ত তুলে ধরা হল:
৩.৯.১. সারনী বিভিন্ন প্রকার সড়ক পথের দৈর্ঘ্য (কি. মি.) : (১৯৯৪-২০০৩)
সাল (জুন ৩০ পর্যন্ত) জাতীয় সড়ক (কি. মি) আঞ্চলিক সড়ক (কি. মি) সংযোগ সড়ক এ ধরণ (কি. মি) মোট (কি. মি.)
১৯৯৪ ২৯২০ ১৬৮৭ ১১০৬৩ ১৫৬৭০
১৯৯৫ ২৯২০ ১৭০০ ১১৪৫০ ১৫৬৭০
১৯৯৬ ২৯২০ ১৭০০ ১২৯৩৪ ১৭৫৫৪
১৯৯৭ ২৯২০ ১৭০০ ১৫৫৬ ২৬২৭৬
১৯৯৮ ৩১৪৪ ১৭৪৬ ১৫৯৬৪ ২০৮৫৪
১৯৯৯ ৩০৯০ ১৭৪২ ১৬১১৬ ২০৯৫৮
২০০০ ৩০৮৬ ১৭৫১ ১৫৯৬২ ২০৭৯৯
২০০১ ৩০৮৬ ১৭৫১ ১৫৯৬২ ২০৭৯৯
২০০২ ৩০৮৬ ১৭৫১ ১৫৯৬২ ২০৭৯৯
২০০৩ ৩৪২০ ৪২৪১ ১৬১৩৮ ২০৭৯৯
উৎস: সড়ক ও পরিবহন অধিদপ্তর, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করলে লক্ষ্য করা যায় যে, সড়ক পথে যাšি ক
যানবাহনের পাশাপাশি বহু সংখ্যক পুরাতন যানবাহন যথা-রিক্সা, গরুর গাড়ি, ঠেলাগাড়ি প্রভৃাতির প্রচলন
রয়েছে। আমাদের দেশের সড়কপথের একটি বৈশিস্ট্য হলো-নদীর কারণে সড়ক পথগুলো বহু জায়গায়
বিচিছন্ন। এর জন্য সড়কপথে সংযোগ রাখার জন্য ফেরী সার্ভিসের প্রবর্তন করা হয়েছে। যমুনা বহুমুখী সেতুর
মাধ্যমে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে সংযোগ করা হয়েছে। দেশের সড়ক পথের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ
সড়ক পরিবহন সংস্থা (ইজঞঈ) নামে একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। সড়কগুলো জাতীয় জনপথ, জেলা রাস্তা,
পৌরসভার রাস্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা নামে বিভক্ত।
খ. রেলপথ:
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের সময় বাংলাদেশ রেলপথের পরিমাণ ছিল প্রায় ২,৮৫৭ কিলোমিটার। ১৯৯৫-৯৬
সালে বাংলাদেশে ২,৭০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ ছিল। ২০০১-০২ সালে বাংলাদেশে ২,৭৬৮.৩৭
কিলোমিটার রেলপথ ছিল। (উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০০৩, সারনী ৩৭, পৃষ্ঠা-২০১)। এটি
বাংলাদেশ রেলপথ নামে পরিচিত। এ রেলপথ দুই ধরনের। যথা-ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ।
বাংলাদেশ ১৯৯৫-৯৬ সালে প্রায় ৮৮৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯৩৬.২৫
কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ আছে। এ ধরনের রেলপথ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে অবস্থিত। এছাড়া ঢাকা
বিভাগের ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় সামান্য ব্রডগেজ রেলপথ আছে। ১৯৯৫-৯৬ সালে বাংলাদেশে প্রায়
১,৮২২ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ ছিল এবং বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িযেছে ১,৮৩২,১২ কিলোমিটার
মিটারগেজ। এর অধিকাংশ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অবস্থিত, বাংলাদেশে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ
রেলপথ যমুনা নদী দ্বারা দুই ভাগে বিভক্ত। পূর্বভাগে স¤পূর্ণ মিটারগেজ রেলপথ, পশ্চিম ভাগে ৯৩৬.২৫
কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং অবশিষ্টাংশ মিটারগেজ। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং বরিশাল, পটুয়াখালি,
বরগুনা ব্যতীত দেশের সব জেলাতেই রেলপথ রয়েছে। বাংলাদেশে রেলপথে সর্বমোট ৪৫৯টি রেলস্টেশন
আছে। (উৎস: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান পকেট বুক-২০০১, সারনি ৮.০১)। এর মধ্যে লাকসাম, আখাউড়া,
ময়মনসিংহ, ভৈরববাজার, ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, সান্তাহার এবং ঢাকার কমলাপুর জংশনের নাম উল্লেখ যোগ্য।
রাজধানী ঢাকা থেকে রেলপথ যোগে দেশের প্রায় সব গুরূত্বপূর্ণ শহরে যাতায়াত করা যায়।
সারণীঃ ৩.৯.২: বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকান্ড
বিষয় সমূহ ৯৮-৯৯ ৯৯-০০ ০০-০১ ০১-০২ ০২-০৩
যাত্রী পরিবহন (মিলিয়ন) ৩৬৭৫.০০ ৩৯৪০.৬৯ ৪২০৯.০১ ৩৯৭২.০০ ৪০২৪.২১
পন্য পরিবহন টন কি.মি. (মিলিয়ন) ৪৯৬.৪০ ৭৭৭.১০ ৯০৭.৮৮ ৯৫১.৮২ ৯৫১.৯৯
রেলইঞ্জিনের সংখ্যা ২৭৯ ২৬৮ ২৭৭ ২৭৭ ২৭৫
পন্য পরিবহনের ওয়াগনের সংখ্যা ১২৮৭ ১২৮২ ১২৭৫ ১২৭২ ১২৭৩
করআদায় (কোটি টাকা) ১১১৫২ ৪০৯২ ১০৭৭৮ ১০৬৩১ ১০৬০৫
অন্যান্য কোচ সমূহের সংখ্যা ১৩৯ ১৩৭ ১৩৬ ১৩৫ ১৩৭
করের জন্য ব্যয় (কোটি টাকা) ৪১৬.১৫ ৪৬৯.৮৬ ৫২৩.৮৮ ৫৩৫.৪৮ ৪২০.১০
উৎস: বাংলাদেশ রেলওয়ে, যোগাযোগ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০০৩
২. জলপথ:
নদীপথে সাধারনত নৌকা, লঞ্জ, স্টিমার এবং সমুদ্র পথে জাহাজ চলাচল করে।
ক. নদীপথ:
এদেশে রয়েছে অসংখ্য নদী-খাল-বিল। কিন্তু দেশের সব গুলো নদীই নাব্য নয়। বাংলাদেশে প্রায় ৮৪০০
কিলোমিটার দীর্ঘ আভ্যš রীন নাব্য জলপথ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০০ কিলোমিটার সারা বছর নৌ পলাচলের
জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার শুধু বর্ষাকালে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন
নদীপথে ছোট ছোট নৌকা থেকে শুরু করে লঞ্জ, স্টীমার, সী-ট্রাক, ফেরী, ট্যাঙ্কার, কোস্টার প্রভৃতি যানবাহন
যাতায়াত করে। সাধারনত দেশের দক্ষিন ও পূর্বাঞ্চলের নদীগুলো নৌ-চলাচলের জন্য বেশি উপযোগী। তাই
গুরূত্বপুর্ন নদী বন্দরগুলো এ অঞ্চলে অবস্থিত। এর মধ্যে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠী ও
খুলনা অন্যতম। অন্যান্য নদীবন্দরের মধ্যে ভৈরববাজার, আশুগঞ্জ, মীরকাদিম, আরিচা ও সিরাজগঞ্জের নাম
উল্লেখযোগ্য।
খ. সমুদ্র পথ:
সমুদ্রপথ ব্যবসা বানিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এ পথে সাধারনত ভারী ওজনের ও বৃহৎ আকারের পণ্য
সামগ্রী বহন করা হয়। সমুদ্রপথে একদেশ থেকে অন্যদেশের সঙ্গে ব্যবসা বানিজ্য করা হয়। বাংলাদেশে ব্যবসা
বানিজ্যের সুবিধার জন্য রয়েছে দুইটি সমুদ্রবন্দর। একটি হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং অন্যটি মংলা
সমুদ্রবন্দর। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কর্নফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার বলা
হয়। এ বন্দরের সঙ্গে রেল ও সড়ক পথের যোগাযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে অনেকগুলো জেটি রয়েছে এবং
প্রায় ২৪ টির মতো জাহাজ এক সঙ্গে ভিড়তে পারে। বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ বানিজ্য এ বন্দরের মাধ্যমেই
স¤পন্ন হয়। মংলা সমুদ্রবন্দর খুলনা শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিনে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত। এ
বন্দরের সঙ্গে নদীপথ ও সড়কপথের যোগযোগ রয়েছে।
৩. বিমানপথকে আকাশপথও বলা হয়। আধুনিক যুগে বিমানে যাতায়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। দ্রুত যাত্রী ও পন্য
চলাচলের জন্য বিমানই সবচেয়ে ভাল মাধ্যম। বিমানপথ বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান
দখল করে আছে। বাংলাদেশ দুই ধরনের বিমান সার্ভিস দেখা যায়। যথা- অভ্যন্তরীন বিমান সার্ভিস ও
আন্তর্জাতিক বিমান সার্ভিস। দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেলায় বিমান চলাচল করার নামই হলো অভ্যন্তরীন
বিমান সার্ভিস। অভ্যন্তরীন বিমান ব্যবস্থায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, সৈয়দপুর,
কক্সবাজার, ঠাকুরগাঁও, বরিশাল, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম থেকে যশোর, কক্সবাজার, সিলেট, কুমিল্লা প্রভৃতি স্থানে
যাওয়া যায়। অপরপক্ষে, বাংলাদেশ বিমান যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে চলাচল করে তখন তাকে
বাংলাদেশ বিমানের আন্তর্জাতিক সার্ভিস বলা হয়। আন্তর্জাতিক রুটে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে বিশ্বের
বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করা যায়। ঢাকার কুর্মিটোলা একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর নাম জিয়া
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর। এর পরেই রয়েছে চট্টগ্রাম শাহ্
আমানত এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাংলাদেশ বিমান সংস্থার নাম বিমান বাংলাদেশ
এয়ারলাইন্স।
বাণিজ্য (ঞৎধফব)
মানুষের অভাব ও চাহিদা মিটানোর উদ্দেশ্যে পন্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় এবং এর আনুষঙ্গিক কার্যাবলীকে বাণিজ্য
বলে। প্রাচীনকাল থেকে শুরূ করে বর্তমানকাল পর্যন্ত বাণিজ্য দেশের অর্থনীতিতে গুরূত্বপূর্ন ভ‚মিকা রাখছে।
প্রাচীনকালে মুদ্রা ব্যবস্থা চালু না থাকার কারনে পন্য বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্যের সূচনা হয় পণ্য-দ্রব্যের
আদান-প্রদানের নামই হলো বাণিজ্য। বানিজ্যের ধরন ও প্রকৃতির উপর নির্ভরকরে বাণিজ্যকে দুই ভাগেভাগ
করা যায়। যথা:- ১) অভ্যন্তরীন বাণিজ্য ও ২) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য।
১. অভ্যন্তরীন বানিজ্য:
দেশের ভেতর বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যখন পন্য ক্রয়-বিক্রয়, আদান-প্রদান হয় তখন তাকে অভ্যন্তরীন বাণিজ্য
বলে।
২. আন্তর্জাতিক বাণিজ্য:
এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের পন্য যখন ক্রয়-বিক্রয় বা আদান প্রদান হয় তখন তাকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
বলে। আন্তর্জাতিক বানিজ্য আবার দুই ধরনের: যথা- ক) আমদানি বানিজ্য ও খ) রপ্তানি বানিজ্য।
আমদানি বানিজ্য:
দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য যখন অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোন পন্য সামগ্রী আনা হয় তখন তাকে আমদানি
বানিজ্য বলে। উদাহরন স্বরূপ উল্লেখ করা যায় যে- বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিশু খাদ্য,
কলকব্জা, খাদ্যসামগ্রী, শিল্পের কাঁচামাল, শিল্পজাত দ্রব্য, ওষুধপত্র, রাসায়নিক দ্রব্য, ভোগ্যপন্য প্রভৃতি আমদানি
করে দেশের ঘাটতি পূরন করতে হয়। নি¤েœ বাংলাদেশের প্রধান আমদানি দ্রব্য সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো:-
অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপন্য:
খাদ্য দ্রব্যের ঘাটতি পূরনের জন্য চাল, গম, ভোজ্য তেল, শিশু খাদ্য, তেলবীজ প্রভৃতি আমদানি করতে হয়।
শিল্পজাত দ্রব্যাদি:
শিল্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, কলকব্জা, কয়লা, সিমেন্ট, ডিজেল, পেট্রোল, তুলা, সুতা, বৈদ্যুতিক
সরঞ্জাম, লোহা, ই¯পাত ইত্যাদি প্রধান আমদানি দ্রব্য।
যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল:
কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও বাংলাদেশ কৃষিক্ষেত্রে অনুন্নত। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি যন্ত্রাতি,
কীটনাশক ওষুধ, উন্নত বীজ ও সার প্রভৃতির প্রয়োজন। অন্যদিকে শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে উন্নত
ধরনের যন্ত্রপাতি, কলকব্জা, কাঁচামাল প্রভৃতি দরকার। সে জন্য এ সব দ্রব্যাদি আমদানি করা হয়।
এগুলো ছাড়াও বাংলাদেশ ওষুধপত্র, কাঁচ, মোটরগাড়ি, সাইকেল, রেডিও, ঘড়ি, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর,
বাস, ট্রাকের চেসিস, রবারজাত দ্রব্য প্রভৃতি পন্য সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করে। বাংলাদেশ পৃথিবীর যে
সকল দেশ থেকে সাধারনত পন্য আমদানি করে থাকে সেগুলো হলো- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য,
ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, চীন, তাইওয়ান প্রভৃতি।
রপ্তানী বাণিজ্য:
স্বদেশের কোন পন্য যখন অন্য কোন দেশে পাঠানো হয় তখন তাকে রপ্তানি বাণিজ্য বলে। উদাহরন হিসেবে
বলা যায়- বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, পাট, পাটজাত দ্রব্য, চামড়া ও চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়।
নিচে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানী দ্রব্যাদির বর্ণনা দেওয়া হলো:
তৈরী পোশাক:
বর্তমানে তৈরী পোশাক রপ্তানী করে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। ১৯৯৭-৯৮ সালে
১২,৯২৪ কোটি টাকার এবং ২০০১-২০০২ সালে ১৭,৯৪৭ কোটি টাকার তৈরী পোশাক রপ্তানি করা হয়।
কাঁচাপাট:
বিশ্বের মোট উৎপাদিত পাটের শতকরা ৭৫ ভাগ এক সময় বাংলাদেশ উৎপন্ন হত। যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন,
জাপান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া প্রভৃতি দেশ বাংলাদেশের কাঁচাপাটের প্রধান ক্রেতা।
পাটজাত দ্রব্য:
বাংলাদেশের পাটকলে উৎপাদিত চট, থলে, বস্তা, গালিচা, প্রভৃতি বিভিন্ন পাটজাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী করে
প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানী আয়ের শতকরা ৩৫ ভাগ পাটজাত দ্রব্য থেকে
অর্জিত হয়। জাপান, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালি, ভারত, চীন প্রভৃতি দেশে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী
হয়।
চা:
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চা এর স্থান ষষ্ঠ। বাংলাদেশে মোট ১৫৮টি চা বাগান আছে। যুক্তরাজ্য,
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, জাপান, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে বাংলাদেশের চা রপ্তানী করে থাকে।
চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য:
বাংলাদেশ প্রতি বছর গরু, মহিষ ও ছাগলের চামড়া রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। রপ্তানী
দ্রব্যের মধ্যে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য চতুর্থ স্থানের অধিকারী। প্রধানত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র,
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, বেলজিয়াম, প্রভৃতি দেশের বাংলাদেশের চামড়াজাত দ্রব্য রপ্তানী করে।
মাছ ও হিমায়িত খাদ্য:
বাংলাদেশ থেকে টাটকা ও শুকনা মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য হিমায়িত খাদ্যসামগ্রী রপ্তানী করা হয়।
সারনীঃ ৩.৯.৩: বাংলাদেশের রপ্তানীর মাধ্যমে আয় (১৯৯৮-২০০২) (মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার)
পন্য দ্রব্যাদি ৯৭-৯৮ ৯৮-৯৯ ৯৯-০০ ০০-০১ ০১-০২
১) তৈরী পোশাক ২৮৪৩ ২৯৮৫ ৩০৮৩ ৩৩৬৪ ৩১২৫
২) পাট ও পাটজাত দ্রব্য ৩৮৯ ৩৭৬ ৩৩৮ ২৯৭ ৩০৫
৩) হিমায়িত খাদ্য ২৯৪ ২৭৪ ৩৪৪ ৩৬৩ ২৭৬
৪) চামড়া ১৯০ ১৬৮ ১৯৫ ২৫৪ ২০৭
৫) রাসায়নিক দ্রব্য ৭৪ ৭৯ ৯৪ ৯৭ ৬৭
৬) চা ৪৭ ৩৯ ১৮ ২২ ১৭
৭) হস্তশিল্পজাত দ্রব্য ৬ ৮ ৫ ৭ ৬
৮) কাগজ ও পহজত দ্রব্য - - - ১ -
৯) অন্যান্য ১৩২৯ ১৩৯৫ ১৬৭৫ ২০৬২ ১৯৮৩
মোট ৫১২৭ ৫৩২৪ ৫৭৫২ ৬৪৬৭ ৫৯৮৬
উৎস : বাংলাদেশ অর্থনেতিক সমীক্ষা, ২০০৩, সারনী ৪২ এবং রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো, বানিজ্য মন্ত্রনালয়।
কাগজ ও নিউজপ্রিন্ট:
দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ প্রতিবছর কাগজ ও নিউজপ্রিন্ট রপ্তানী করে থাকে।
অন্যান্য:
অন্যান্য রপ্তানী দ্রব্যগুলো হলো ফার্নেস তেল, হস্তশিল্পজাত ও কৃষিজাত দ্রব্য প্রভৃতি। নি¤েœ সারণীতে
বাংলাদেশের আমদানী খাতে অর্থব্যয় এবং রপ্তানী খাতে অর্থ উপার্জনের একটি তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করা
হলো:
সারনীঃ ৩.৯.৪ : বাংলাদেশের আমদানী ও রপ্তানী ১৯৯৫-২০০৩ (মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার)
সাল আমদানী ব্যয় রপ্তানী আয়
১৯৯৫-৯৬ ৬৯৪৭ ৩৮৮৪
১৯৯৬-৯৭ ৭১৫২ ৪৪২৭
১৯৯৭-৯৮ ৭৫২০ ৫১৭২
১৯৯৮-৯৯ ৮০০৬ ৫৩২৪
১৯৯৯-২০০০ ৮৩৭৪ ৫৭৫২
২০০০-২০০১ ৯৩৩৫ ৬৪৬৭
২০০১-২০০২ ৮৫৪০ ৫৯৮৬
২০০২-২০০৩ ৯৬৫৮ ৬৫৪৮.৪৪
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনেতিক সমীক্ষা, ২০০৩, সারনী ৪২ ও ৪৩
আমাদের পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক স¤পদ রয়েছে। কিন্তু মূলধন ও প্রযুক্তিবিদ্যার অভাবে প্রাকৃতিক স¤পদের সুষ্ঠ
ব্যবহার হচ্ছেনা। এর ফলে আমদানী ও রপ্তানীর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হচেছ। বৈদেশিক বানিজ্যে রপ্তানী বৃদ্ধি
করে আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, রপ্তানী শুল্ক হ্রাস, পরিবহন ব্যবস্থার
উন্নয়ন, রপ্তানীযোগ্য পন্যের ব্যাপক ব্রাপক প্রচার প্রভৃতি অপরিহার্য।
বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যের সমস্যাবলী:
বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যের যে সকল সমস্যা রয়েছে তা সংক্ষেপে নি¤েœ তুলে ধরা হলো:
১. সুষ্ঠ রপ্তানী নীতির অভাব:
বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যের অন্যতম সমস্যা হলো সুষ্ঠু বাণিজ্য নীতির অভাব। স্বল্পমেয়াদী বাণিজ্য চুক্তি
বিদ্যমান থাকায় বাণিজ্য নীতি প্রায়ই পরিবর্তিত হয়। যার ফলস্বরূপ রপ্তানীকারকদের বিশেষ অসুবিধা হয়।
২. স্বল্পসংখ্যক রপ্তানী দ্রব্য:
বাংলাদেশের রপ্তানী পন্যের সংখ্যা কম বলে রপ্তানী বানিজ্যের আয় খুবই কম। এ রপ্তানী পন্যের মধ্যে কেবল
পাট, পাটজাত দ্রব্য, চা, চামড়া, তৈরী পোশাক, অপ্রচলিত পন্য প্রভৃতি প্রধান। তাই রপ্তানীর ব্যবস্থা করতে
হবে।
৩. নি¤œমানের রপ্তানী পন্য:
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাপূর্ন বাজারে পন্যের ভাল বাজার পেতে হলে পন্যের মান উন্নত হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু
বাংলাদেশের পন্য অত্যন্ত নি¤œমনের হবার কারনে বিশ্ববাজারে এই পন্যের চাহিদা বেশ কম।
৪. উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি:
শ্রমিক অসন্তোষ, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, মুদ্রাস্ফীতি প্রভৃতি কারণে বাংলাদেশী পন্যের উৎপাদন ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর ফলে প্রতিযোগিতাপূর্ন বাজারে বাংলাদেশী পন্য টিকে থাকতে পারছে না।
৫. প্রচারের অভাব:
প্রচারের মাধ্যমে পন্যের বাজার সৃষ্টি করতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশী পন্যের প্রচার অত্যন্ত সীমিত।
৬. জাহাজের অভাব:
পন্য রপ্তানীর জন্য বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় জাহাজের খুবই অভাব। ফলে বিদেশী জাহাজের উপর সর্বদা
নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। এতে একদিকে যেমন পরিবহন খরচ বেশী পড়ে, অন্য দিকে সময়মত মালপত্র
যথাস্থানে প্রেরন করা সম্ভব হয় না। ফলে রপ্তানী বাণিজ্য ব্যাহত হয়।
বাংলাদেশের রপ্তানী বৃদ্ধির উপায়সমূহ:
বাংলাদেশের রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য নি¤œলিখিত ব্যবস্থা বা পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. রপ্তানী যোগ্য পন্যের উৎপাদন বৃদ্ধি:
রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য সর্বপ্রথম রপ্তানীযোগ্য পন্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এরজন্য পাট, চা, তামাক, প্রভৃতি
কৃষিজাত দ্রব্যের এবং কলকারখানায় শিল্পজাত দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
২. উৎপাদন ব্যয় হ্রাস:
রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করা প্রয়োজন। উৎপাদন খরচ কম হলে কম মূল্যে বিদেশে পন্য রপ্তানী
করা যায়। ফলে বিদেশে দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং বাজার প্রসারিত হয়। সাধারণত উন্নত ও আধুনিক
যন্ত্রপাতির সাহায্যে বিভিন্ন পন্যের উৎপাদন খরচ হ্রাস করা যায়।
৩. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নুতি:
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে অল্প সময়ে কম খরচে পন্যদ্রব্যাদি বিদেশে রপ্তানী করা যায়। এর
ফলে রপ্তানীর পরিমান বৃদ্ধি পায়।
৪). বাণিজ্য চুক্তি স¤পাদন:
সর্বোপরি বাংলাদেশের রপ্তানী বৃুিদ্ধর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে দীর্ঘ মেয়াদী ও স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি স¤পাদন
করা উচিত।
পাঠ সংক্ষেপ:
আধুনিক যুগে পৃথিবীতে সভ্যতা বিস্তার ও অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে যাতায়াত ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা
গ্রহন করে। দেশের সড়ক পথের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (ইজঞঈ) নামে একটি
সংস্থা গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশে রেলপথে মোট ৪৫৯টি রেলস্টেশন আছে। বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ
বাণিজ্য চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে স¤পন্ন হয়। বাণিজ্যের ধরন ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বাণিজ্যকে
দুই ভাগে ভাগ করা যায়। শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হলে উন্নত ধরনের যন্ত্রপাতি, কলকব্জা, কাঁচামাল
প্রভৃতি দরকার। রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য সর্বপ্রথম রপ্তানীযোগ্য পন্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে।
বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থাকে তিন
ভাগে ভাগ করা যায়।
বাংলাদেশের রেলপথে সর্বমোট
৪৫৯টি রেলস্টেশন আছে।
বাংলাদেশের প্রায় ৮৪০০ কি.মি. দীর্ঘ
অভ্যন্তরীন নাব্য জলপথ রয়েছে।
বাংলাদেশে মোট ২৫৮টি চা বাগান
আছে।
রপ্তানী বৃদ্ধির জন্য পন্যের উৎপাদন
ব্যয় হ্রাস করা প্রয়োজন।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নঃ
১. শূণ্যস্থান পূরণ করুনঃ
১.১ যাতায়াত ব্যবস্থা বলতে আমরা বুঝি বিভিন্ন স্থানে ................ মাধ্যম এবং ............... চলাচলের
মাধ্যম।
১.২ বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থাকে ............... ভাগে বিভক্ত করা যায়।
১.৩ স্থলপথে যাতায়াত বলতে বুঝায় ............... ও ............... যাতায়াত।
১.৪ দেশের সড়কপথের উন্নয়নের জন্য ............... নামে একটি সংস্থা আছে।
১.৫ বাংলাদেশের রেলপথে সর্বমোট ............... টি রেলস্টেশন আছে।
১.৬ বাংলাদেশে প্রায় ............... কিলোমিটার দীর্ঘ অভ্যন্তরীন নাব্য জলপথ রয়েছে।
১.৭ চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের ............... বলা হয়।
১.৮ বাণিজ্যের ধরণ ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বানিজ্যকে ............... ভাগে ভাগ করা যায়।
১.৯ স্বদেশের পন্য যখন অন্যকোন দেশে পাঠানো হয় তখন তাকে ............... বলে।
১.১০বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চা এর স্থান ...............।
১.১১ বাংলাদেশের রপ্তানী বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে ............বানিজ্য চুক্তি স¤পাদন করা
উচিত।
২. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিনঃ
২.১ বাংলাদেশের যাতায়াত/পরিবহন ব্যবস্থাকে কত ভাগে বিভক্ত করা যায়?
ক. চার ভাগে খ. পাঁচ ভাগে গ. দুই ভাগে ঘ. তিন ভাগে
২.২ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
ক. সুরমা নদী খ. সাঙ্গু নদী গ. মেঘনা নদী ঘ. কর্নফুলী নদী
২.৩ বানিজ্যের ধরন ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বানিজ্যকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. দুই ভাগে খ. তিন ভাগে গ. চার ভাগে ঘ. কোনটিই নয়
২.৪ দেশের চাহিদা মিটানোর জন্য অন্য দেশ থেকে স্বদেশে কোনো পন্য সামগ্রী আনা হয় তখন তাকে কি
বলে?
ক. রপ্তানী বানিজ্য খ. আমদানি বানিজ্য গ. রপ্তানী ও আমদানি বানিজ্য ঘ. কোনটিই নয়
২.৫ বাংলাদেশে মোট কতটি চা বাগান আছে?
ক. ১৫৫টি খ. ১৫৯টি গ. ১৫৮টি ঘ. ১৮০টি ২.৬
বাংলাদেশের রপ্তানীবৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে কি ধরনের বানিজ্য চুক্তি স¤পাদন করা উচিত?
ক. সল্পমেয়াদী খ. দীর্ঘ মেয়াদী গ. উভয় ঘ. কোনটিই নয়
সংক্ষিপ্ত উত্ত দিন:
১. বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থার শ্রেনীবিভাগ করুন।
২. সংক্ষেপে বাংলাদেশের রেলপথের বিবরন দিন।
৩. বানিজ্য কি? বানিজ্যের শ্রেনীবিভাগ করে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
৪. বাংলাদেশের আমদানি পন্য ও পপ্তানী দ্রব্যের নাম লিখুন।
রচনামূলক প্রশ্ন:
১. বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার শ্রেনীবিভাগ উল্লেখ পূর্বক বিবরন দিন।
২. বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যের সমস্যাবলি ও রপ্তানী বৃদ্ধির উপায়সমূহ লিখুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]