সরল স্কেলকে কত প্রকারে প্রকাশ কর যায় ? সরল স্কেলের অংকন পদ্ধতি বর্ণনা করুন।


সংজ্ঞা
যখন কোন নির্দিষ্ট মাপ বা হিসাব অনুসারে একটি সরল রেখাকে কতিপয় ভাগে ভাগ করা হয়, তখন তাকে সরল স্কেল
(ঝরসঢ়ষব ঝপধষব) বলে। সরল স্কেল অংকন করার সময় সাধারণত দু’টি পদ্ধতি অনুসরন করা হয়। প্রতিভূ অনুপাত
অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যরে সরল রেখা নিয়ে এককের পূর্ণ সংখ্যায় প্রকাশের জন্য প্রাথমিকভাবে একে কয়েকটি সমান
ভাগে ভাগ করা হয়। তারপর পূর্ণ বিভক্তিকরণ (ঋঁষষু উরারফবফ) নিয়ম অনুযায়ী এর সবগুলো প্রাথমিক ভাগকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র
অংশে বিভক্ত করা যেতে পারে (চিত্র ২.৩.১); অথবা, অংকনের সুবিধা এবং ব্যবহার সহজ করার জন্য শুধুমাত্র সর্ববামের
প্রাথমিক অংশটিকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিমাপের জন্য ক্ষুদ্র উপভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে (চিত্র ২.৩.২)। দ্বিতীয়
পদ্ধতিটি মুক্ত বিভক্তিকরণ (ঙঢ়বহ উরারফবফ) পদ্ধতি নামে পরিচিত এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত।
এই পাঠে এবং পরবর্তী পাঠসমূহে আমরা মুক্ত বিভক্তিকরন পদ্ধতিতেই স্কেল অংকন করব। এ ধরনের স্কেলের সাহায্যে
মূখ্য ভাগে অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং গৌণ ভাগে ক্ষুদ্র ইউনিটের মাপ নির্ণয় করা যায়। মূলতঃ সরল স্কেল একটি রেখার উপর
অংকন করা গেলেও এর সুন্দর উপস্থাপন এবং দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূখ্য ও গৌন ভাগগুলোকে অনেক সময় ছোট ছোট
আয়তক্ষেত্রের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় এই আয়তক্ষেত্রগুলোকে সুবিধাজনক ছায়াপাতের
মাধ্যমেও চিহ্নিত করা হয়। সরল স্কেল অংকনের কিছু সাধারণ নিয়মাবলী রয়েছে নীচে এগুলো দেয়া হল।
সরল স্কেল অংকনের সাধারণ নিয়মাবলী
১. যে কোন সুবিধাজনক দৈর্ঘ্যের রেখা নিয়ে স্কেল অংকন করা সম্ভব তবে সাধারণত ৪.৫ ইঞ্চি হতে ৬ ইঞ্চি (১০ সে.মি
হতে ১৫ সে.মি) আকারের মধ্যে স্কেলের দৈর্ঘ্য সীমাবদ্ধ থাকলে ভাল হয়।
২. সরল স্কেলের প্রস্থ ০.২ ইঞ্চি হতে ০.৩ ইঞ্চির বেশী হওয়া উচিত নয়।
৩. বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে, রেখার পাশে দূরত্ব জ্ঞাপক যে সংখ্যামান লেখা হয় তা যেন যথাসম্ভব পূর্ণসংখ্যা
হয়। ২.১, ৮.২ বা ১১, ২৩ ইত্যাদি সংখ্যামানের পরিবর্তে ২, ১০, ১৫, ২০ বা ১০০, ৩০০ ইত্যাদি সংখ্যামান
ব্যবহার করা উচিত।
চিত্র ২.৩.১ : পূর্ণ বিভক্তিকরণ পদ্ধতির সরল স্কেল
চিত্র ২.৩.২ : মুক্ত বিভক্তিকরণ পদ্ধতির সরল স্কেল
পাঠ-২.৩
সরল স্কেলের সুবিধা ও অসুবিধা
সরল স্কেল ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এ স্কেলের মাধ্যমে মানচিত্রের উপরিস্থিত দু’টি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব
সহজে জানা যায়। তাছাড়া, এ স্কেল সাধারণ মানুষের বুঝবার জন্য একটি সহজ পদ্ধতি। সরল স্কেলবিশিষ্ট মানচিত্র
ফটোষ্ট্যাট মেশিন বা ক্যামেরার সাহায্যে ছোট বা বড় আকার করলে স্কেল আনুপাতিক হারে ছোট বা বড় হয়। ফলে
পরিবর্তিত মানচিত্রেও এই স্কেল কার্যকর থাকে। এই স্কেলের অসুবিধা হচ্ছে, এর সাহায্যে সু² মাপগুলো নেয়া সম্ভব হয়
না এবং এতে ব্যবহৃত পরিমাপের একক যে দেশে অপ্রচলিত, সেখানে এর কার্যকারিতা কমে যায়। এ কারনে বর্তমানে
সরল স্কেল অংকন করে তার নীচে এর প্রতিভূ অনুপাত দিয়ে দেয়া হয়।
সরল স্কেল অংকনের পদ্ধতি
যে কোন স্কেল অংকনের জন্য প্রথমে কিছু গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে স্কেলের দৈর্ঘ্য এবং মূখ্য ও গৌণ ভাগের সংখ্যা
নির্ণয় করা হয়। তারপর জ্যামিতিক বা গানিতিক পদ্ধতিতে মূল রেখাটিকে মূুখ্য ও গৌণ ভাগে বিভক্ত করে সংখ্যামান দ্বারা
চিহ্নিত করা হয়। অতঃপর দৃষ্টিনন্দন করার জন্য মূুখ্য ও গৌণ অংশগুলোকে আয়তক্ষেত্র আকারে উপস্থাপন করা হয়।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, সরল স্কেলকে আয়তাকারে উপস্থাপন এবং তার নীচে প্রতিভূ অনুপাত দেয়া এখন একটি
সাধারণ নিয়মে পরিনত হয়েছে। সরল স্কেল অংকনের পুরো প্রণালীটি নীচে একটি উদাহরণের মাধ্যমে উপস্থাপন করা
হলো।
মনেকরি, একটি মানচিত্রে দু’টি স্থানের দূরত্ব ১০ ইঞ্চি এবং ভূপৃষ্ঠে ঐ দু’টি স্থানের প্রকৃত দূরত্ব ৮ মাইল। একটি সরল
স্কেল অংকন করতে হবে।
প্রাথমিক গণনা: আলোচ্য মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাত (জ.ঋ) হচ্ছে,
প্রতিভূ অনুপাত (জ.ঋ) =
মানচিত্রে দূরত্ব
ভূমির দূরত্ব
=
১০″
৮ মাইল
=
১০″
(৬৩৩৬০″ তে ১ মাইল)
৮দ্ধ৬৩৩৬০″
=

৫০৬৮৮
∴ নির্ণেয় প্রতিভূ অনুপাত (জ.ঋ) ১ ঃ ৫০৬৮৮।
মানচিত্রে দূরত্ব ১″ হলে ভূমিতে দূরত্ব ৫০৬৮৮″ বা ৮০
৬৩৩৬০
৫০৬৮৮
= . মাইল। এই ০.৮ মাইল সংখ্যাটি হচ্ছে পূর্ণসংখ্যায়
স্কেলের দৈর্ঘ্য নির্ধারণের ফ্যাক্টর। যদি আমরা স্কেলের দৈর্ঘ্য ৬″ নিতে চাই তাহলে দেখা যায় ৬দ্ধ০.৮ = ৪.৮ মাইল একটি
পূর্ণ সংখ্যা নয়। তবে, ৫দ্ধ০.৮ = ৪ মাইল একটি সরাসরি পূর্ণ সংখ্যা; যে কারনে একে আর পূুর্ণ সংখ্যায় রূপান্তরের
প্রয়োজন নেই। সুতরাং স্কেলের দৈর্ঘ্য ৫″ নির্ধারণ করা হলো।
এখন ৫″ রেখাকে সমান ৪ টি মূখ্য ভাগে বিভক্ত করে প্রতি ভাগের সংখ্যামান ১ মাইল এবং সর্ব বামের মূখ্য ভাগকে সমান
৮ টি গৌণ ভাগে বিভক্ত করে সংখ্যামান ১ ফার্লং নির্ধারণ করি। এখন প্রথমে জ্যামিতিক এবং পরে গানিতিক পদ্ধতিতে
স্কেলটি অংকন করি।
১। জ্যামিতিক পদ্ধতি ঃ ৪ মাইল জ্ঞাপক ৫″ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি সরল রেখা অই নেই (চিত্র ২.৩.৩)। এই রেখাটিকে
প্রাথমিক পর্যায়ে ৪ ভাগ করে দ্বিতীয় পর্যায়ে সর্ববাম অংশকে আবার ৮ ভাগ করতে হবে। অ বিন্দুতে একটি সূ² কোন
∠ইঅঈ (২০ক্ক হতে ৩০ক্ক এর মধ্যে) অংকন করি। এখন অঈ রেখাটিকে ফ, ব, এবং ভ বিন্দুর মাধ্যমে সমান চারটি ভাগে
বিভক্ত করি। এবার ইঈ যোগ করি এবং অঈ রেখার ফ, ব, এবং ভ বিন্দুসমূহে ইঈ রেখার সমান্তরাল রেখা অংকন করে তা
অই রেখা পর্যন্ত বর্ধিত করলে অই রেখা সমান চার ভাগে বিভক্ত হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য বামে একটি ঘর ছেড়ে দিয়ে
যথাক্রমে ডানদিকে ০, ১, ২ এবং ৩ লিখে সবশেষে মাইল লিখি।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ ভাগ করার জন্য বাম পাশের ঘরটির শেষ প্রান্তে অ থেকে নীচের দিকে একটি এবং ০ থেকে উপরের
দিকে অপর একটি ছোট রেখা নিয়ে উভয়কে সমান ব্যবধানে ৮ ভাগে ভাগ করতে হবে। অতঃপর উপরের দিকের রেখাটির
সমকৌনিক ৮, ৭, ৬, ৫, ৪, ৩, ২, ১ ও ০ বিন্দুর সাথে যথাক্রমে নীচের দিকের রেখাটির ৮, ৭, ৬, ৫, ৪, ৩, ২, ১ ও ০
বিন্দুসমূহ যোগ করলে অই রেখার বাম পাশের অংশটি সমান ৮ ভাগে বিভক্ত হবে। এখন ০ থেকে বাম দিকে যথাক্রমে ১,
২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ এবং ৮ লিখে তার পাশে ফার্লং লিখলে কাংঙ্খিত স্কেলটি পাওয়া যাবে (চিত্র ২.৩.৪)।
২। গাণিতিক পদ্ধতি ঃ প্রথমে ৫″ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি সরল রেখা অঙ্কন করে উক্ত মাপকে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪ ভাগে ভাগ
করি। ফলে প্রতিটি ভাগের দুরত্ব ৫স্ট৪ = ১.২৫″ এবং মান ১ মাইল হবে। তারপর উক্ত রেখার বাম পার্শ্বের ১.২৫″
ভাগকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ ভাগে ভাগ করলে প্রতি ভাগের দুরত্ব ১.২৫স্ট৮ = ০.১৬″ এবং মান ১ ফার্লং করে হবে। এখন
কর্ণীয় স্কেল হতে এই মান কাঁটা কম্পাসের সাহায্যে পরিমাপ করে স্কেলটি সহজেই অংকন করা যাবে।
উপরে আলোচিত দু’টি পদ্ধতিতেই স্কেল অংকন করা যায়। তবে ভাল অংকনযন্ত্র ব্যবহার করে যতœ সহকারে আঁকলে যে
কোন পদ্ধতিতেই সঠিক ও দৃষ্টিনন্দন স্কেল অংকন করা সম্ভব।
সরল স্কেলের মাধ্যমে দূরত্ব পরিমাপ পদ্ধতি
দূরত্ব পরিমাপের জন্য সরল স্কেলকে দু’টি উপায়ে ব্যবহার করা যায়। প্রথমতঃ মানচিত্রে অবস্থিত নির্দিষ্ট দু’টি অবস্থান বা
বিন্দুর মধ্যবর্তী প্রকৃত দূরত্ব নির্ণয়ে; দ্বিতীয়তঃ ভূপৃষ্টের একটি নির্দিষ্ট দূরত্বকে স্কেল হতে অনুধাবন করতে। সরল স্কেলের
মাধমে এই দুই ধরনের দূরত্ব পরিমাপ পদ্ধতি এখানে আলোচনা করা হল।
১। মানচিত্রের দু’টি অবস্থানের দুরত্ব পরিমাপঃ মানচিত্রে দু’টি অবস্থানের মধ্যে প্রকৃত দূরত্ব পরিমাপের জন্য, প্রথমে
একটুকরো কাগজ নিয়ে মানচিত্রে প্রদর্শিত অবস্থান দু’টির উপর স্থাপন করতে হবে এবং কাগজের প্রান্তে ঐ অবস্থান বরাবর
ছোট দুটি দাগ দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে (চিত্র ২.৩.৫)। মনেকরা যাক এই দু’টি দাগ হচ্ছে যথাক্রমে ‘ক’ এবং ‘খ’। এখন
এই কাগজের টুকরোটিকে স্কেলের উপর স্থাপন করে প্রথমে প্রাথমিক পর্যায়ের এবং পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের দৈর্ঘ্যরে পাঠ
নিতে হবে। দুই পর্যায়ের পাঠের যোগফল হবে ভূমিতে ‘ক’ ও ‘খ’ এর মধ্যবর্তী প্রকৃত দূরত্ব।
প্র.অ ১ ঃ ৫০৬৮৮
চিত্র ২.৩.৩: সরল স্কেলের ভাগ অংকন পদ্ধতি
ফার্লং ৮ ৭ ৬ ৫ ৪ ৩ ২ ১ ০ ১ ২ ৩ মাইল
প্র.অ ১ ঃ ৫০৬৮৮
চিত্র ২.৩.৪: সরল স্কেল
প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ নেয়ার জন্য কাগজের ‘ক’ চিহ্নিত দাগটিকে স্কেলের ০ বরাবর রেখে ‘খ’ কে ডান দিকে প্রলম্বিত
করতে হবে (চিত্র ২.৩.৬.ক)। এতে দেখা যায় যে, এই দূরত্ব প্রাথমিক পর্যায়ে ১ মাইলের কিছু বেশী। অর্থাৎ, প্রাথমিক
পর্যায়ের পাঠ হচ্ছে- ১ মাইল।
দ্বিতীয় পর্যায়ের পাঠ গ্রহনের জন্য কাগজের ‘খ’ চিহ্নিত দাগটিকে স্কেলের ১ মাইল বরাবর রেখে ‘ক’ কে বাম দিকে
প্রলম্বিত করতে হবে (চিত্র ২.৩.৬.খ)। এতে দেখা যায় যে, এই দূরত্ব দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬ ফার্লং। অর্থাৎ, দ্বিতীয় পর্যায়ের
পাঠ হচ্ছে- ৬ ফার্লং। সুতরাং মানচিত্রে ‘ক’ এবং ‘খ’ এর মধ্যবর্তী প্রকৃত দূরত্ব ভূমিতে হচ্ছে- ১ মাইল ৬ ফার্লং।
২। একটি নির্দিষ্ট দূরত্বকে স্কেল হতে পরিমাপ করাঃ ধরা যাক ২ মাইল ৪ ফার্লং দুরত্বকে চিহ্নিত করতে হবে। এক্ষেত্রে
একটি কাগজের প্রান্ত স্কেলের সমান্তরালে রেখে প্রাথমিক অংশে ২ মাইল বরাবর একটি এবং দ্বিতীয় অংশে ৪ ফার্লং বরাবর
আরেকটি দাগ দিলে এই দুই দাগের মধ্যবর্তী দূরত্ব হবে ২ মাইল ৪ ফার্লং। ডিভাইডার বা কাঁটা কম্পাসের মাধ্যমে এই
দূরত্ব গ্রহণ করতে হলে একটি কাঁটা ২ মাইল চিহ্নিত দাগে রেখে অপর কাঁটা ৪ ফার্লং চিহ্নিত দাগে রাখতে হবে। অতঃপর
এই দূরত্বকে পরবর্তীতে কোন মানচিত্র অনুধাবনে ব্যবহার করা যাবে।
ফার্লং ৮ ৭ ৬ ৫ ৪ ৩ ২ ১ ০ ১ ২ ৩ মাইল
প্র.অ ১ ঃ ৫০৬৮৮
চিত্র ২.৩.৬ (ক): সরল স্কেল হতে প্রাথমিক পর্যায়ের দূরত্ব নির্ণয়
ক খ
ফার্লং ৮ ৭ ৬ ৫ ৪ ৩ ২ ১ ০ ১ ২ ৩ মাইল
প্র.অ ১ ঃ ৫০৬৮৮
চিত্র ২.৩.৬ (খ): সরল স্কেল হতে দ্বিতীয় পর্যায়ের দূরত্ব নির্ণয়
ক খ
চিত্র ২.৩.৫: মানচিত্রে দু’টি অবস্থানের দূরত্ব নির্ণয়
চিত্র ২.৩.৭ : নির্দিষ্ট দূরত্বকে স্কেল হতে পরিমাপের পদ্ধতি
পাঠ সংক্ষেপ
কোন নির্দিষ্ট মাপ বা হিসাব অনুসারে একটি সরল রেখাকে কতিপয় ভাগে ভাগ করলে তাকে সরল স্কেল বলে। সরল স্কেল
অংকন করার দু’টি পদ্ধতি রয়েছে; এগুলো হচ্ছে- পূর্ণ বিভক্তিকরণ পদ্ধতি এবং মুক্ত বিভক্তিকরণ পদ্ধতি। মুক্ত বিভক্তিকরন
পদ্ধতির সরল স্কেলের সাহায্যে মূখ্য ভাগে অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং গৌণ ভাগে ক্ষুদ্র ইউনিটের মাপ নির্ণয় করা যায়। সরল
স্কেলের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৪.৫ হতে ৬ ইঞ্চি, প্রস্থ ০.২ হতে ০.৩ ইঞ্চি এবং এতে ব্যবহৃত সংখ্যারাশি যথা সম্ভব পূর্ণ
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এ স্কেল সাধারণ মানুষের জন্য সহজবোধ্য তবে এর সাহায্যে সু² মাপগুলো নেয়া যায় না।
জ্যামিতিক বা গানিতিক পদ্ধতিতে সরল স্কেল অংকন করা যায়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-২.৩
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন ঃ
১.১. সরল স্কেলের প্রস্থ ........... হতে ........... বেশী হওয়া উচিত নয়।
১.২. দূরত্ব পরিমাপের জন্য সরল স্কেলকে ............. উপায়ে ব্যবহার করা যায়।
১.৩. সরল স্কেলকে ..... উপস্থাপন এবং তার নীচে ...... দেয়া এখন একটি সাধারণ নিয়মে পরিনত হয়েছে।
২. সত্য হলে ‘স’ মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন ঃ
২.১. পূর্ণ বিভক্তিকরণ নিয়ম অনুযায়ী সরল স্কেলের সবগুলো প্রাথমিক ভাগকেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয়।
২.২. সরল স্কেলে দূরত্ব জ্ঞাপক যে কোন রাশিমালা ব্যবহার করা যায়।
২.৩. সরল স্কেলের সাহায্যে সু² মাপগুলো নেয়া সম্ভব।
৩. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) দিন ঃ
৩.১. কোনটি সরল স্কেল অংকনের সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি ?
(ক) রৈখিক পদ্ধতি (খ) পূর্ণ বিভক্তিকরণ পদ্ধতি
(গ) মূক্ত বিভক্তিকরণ পদ্ধতি (ঘ) কর্ণীয় পদ্ধতি
৩.২. সরল স্কেলের আদর্শ দৈর্ঘ্য হচ্ছে-
(ক) ৪.৫″ হতে ৬″ (খ) ১০ সে.মি হতে ১৫ সে.মি
(গ) কোনটিই সঠিক নয় (ঘ) ‘ক’ এবং ‘খ’ উভয়েই সঠিক
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. সরল স্কেলের সংগা দিন।
২. সরল স্কেল ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধাসমূহ কি কি?
৩. সরল স্কেলের মাধ্যমে দূরত্ব পরিমাপের পদ্ধতি বর্ণনা করুন।
৪. সরল স্কেল অংকনের সাধারণ নিয়মাবলী কি কি ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. সরল স্কেলকে কত প্রকারে প্রকাশ কর যায় ? সরল স্কেলের অংকন পদ্ধতি বর্ণনা করুন।
২. ভূমিতে ৫ মাইল দূরত্বকে মানচিত্রে ২″ দেখানো হয়েছে। একটি সরল স্কেল অংকন করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]