লেখচিত্র কাকে বলে?
রৈখিক লেখচিত্র কাকে বলে?
স্তম্ভ লেখচিত্র কি?
বৃত্ত লেখচিত্র কি?
চিত্র লেখচিত্র কি?


মানচিত্রে ভৌগোলিক উপাত্ত প্রদর্শনের যৌক্তিকতা এবং ভৌগোলিক উপাত্ত প্রদর্শনের বিভিন্ন পদ্ধতির উপর সাধারণ
আলোচনা।
ভ‚গোলবিদরা স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যে মানচিত্র তৈরী করে থাকেন। কিন্তু শুধুমাত্র মানচিত্র তৈরীই নয় বিভিন্ন
ভৌগোলিক উপাত্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে মানচিত্রে প্রদর্শন করাই মানচিত্র তৈরীর মূল উদ্দেশ্য। এই উপাত্ত বিভিন্ন রকম হতে
পারে যেমন-কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানের বা স্থানসমূহের ভিন্নতায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানী-রপ্তানির হিসাব, বিভিন্ন
উৎপাদনের পরিমাণ, জন্ম-মৃত‚্যর হার, লোকসংখ্যা, নারী-পুরুষ, জাতি ধর্ম বিন্যাসের হার, বাজেটের বিভিন্ন খাতে আয়ব্যয়ের পরিমাণ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি নানা বিষয় মানচিত্রে দেখান হয়।
অর্থনীতি বা পরিসংখ্যান ছাড়াও ভ‚গোলেও পরিসংখ্যানগত উপাত্তের ব্যবহার হয়। পরিসংখ্যাগত উপাত্ত ভ‚গোলে দৎধি
সধঃবৎরধষং’ হিসেবে কাজ করে। এই পরিসংখ্যানগত উপাত্ত ব্যবহার করে (ফরধমৎধস) ভিত্তিক চিত্র (ফরধমৎধসসধঃরপ
সধঢ়ং), লেখচিত্র/মানচিত্র (এৎধঢ়য), এবং বিস্তরণ মানচিত্র (ফরংঃৎরনঁঃরড়হ সধঢ়ং) ইত্যাদি অঙ্কন করা যায়।
উপাত্তের প্রকৃতিগত ভিন্নতায় এই ভৌগোলিক উপাত্তের চিত্ররূপের উপস্থাপনও বিভিন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ- আবহাওয়াগত
উপাত্তঃ এক্ষেত্রে তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতি ক্ষেত্রে যথাক্রমে সামোঞ্চ (রংড়ঃযবৎস), সমতাপ (রংড়নধৎ), এবং
সমোচ্চ রেখা (রংড়যুবঃ) প্রভৃতি চিত্ররূপ দেয়া যায়।
আবার কৃষি এবং শিল্প উপাত্ত অন্যভাবে উপস্থাপন করা হয়। এই উপাত্তসমূহ বিন্দু, প্রতীক চিহ্ন, রং এবং ছায়াপাত (ংধফব)
এর মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। এই সমস্ত উপাত্ত ভিত্তিক মানচিত্র উপাত্তের প্রকৃতির বিভিন্নতা ভেদে নানা উপায়ে
উপস্থাপিত হয়। এ ক্ষেত্রে যে কোন একটি নির্দিষ্ট উপাদানের প্রকৃতি ভেদেও চিত্ররূপ প্রকাশের পদ্ধতির ভিন্নতা হতে
পারে। কোন উপাত্তের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট চিত্ররূপ প্রকাশ পদ্ধতি বেছে নেয়া হবে তা বিবেচনায় আনতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ- জনসংখ্যার বিন্দু পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়। আবার বিভিন্ন রং বা ছায়াপাত এর মাধ্যমে কোন এলাকার
জনসংখ্যার ঘনত্ব দেখান যায়। কিন্তু যখন বৎসর বা সময় ভেদে জনসংখ্যার পরিমাণ দেখানোর বিষয়টি আসে সে ক্ষেত্রে
সবচেয়ে ভাল উপস্থাপনের উপায় হচেছ লেখচিত্র। এভাবে বিভিন্ন উপাত্তের প্রকৃতিগত বিভিন্নতায় মানচিত্রাংকনবিদরা
বিভিন্ন উপস্থাপন পদ্ধতি ও নকশা ব্যবহার করেন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই সকল নকশা বা ফরধমৎধস এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি
গুরূত্বপূর্ণ দেখতে পাব। স্থানভেদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের একই জিনিসের পরিসংখ্যান উপাত্ত এক হয় না। এই উপাত্তের
সংখ্যা দেখে এদের তাৎপর্য উপলব্ধি করা বা তুলনামূলক ¯পষ্ট ধারণা পাওয়া সহজ নয়। এছাড়া, বিভিন্ন জিনিসের পরিমাণ
জ্ঞাপক বড় বড় সংখ্যা মনে রাখাও সহজ নয়। কোন বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে চিত্ররূপ প্রদান করলে এক নজরে এদের
তাৎপর্য বোধগম্য হয় । এবং বিষয়টি পরিষ্কার রূপে বুঝতে অনেক প্রশ্নের সমাধান হয় ও সময় বাঁচে।
মানচিত্রে বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত পরিষ্কার ও সুন্দরভাবে প্রদর্শনের জন্য সাধারণত যে সব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাদের
মধ্যে নি¤œলিখিতগুলো বিশেষ উল্লেখযোগ্য। যেমনঃ
(ক) লেখচিত্র (এৎধঢ়য)
(খ) ছায়াপাত (ঈযড়ৎড়ঢ়ষবঃয ড়ৎ ংযধফব)
(গ) বিন্দু (উড়ঃ)
(ঘ) সমরেখ (ওংড়ঢ়ষবঃয)
(ক) লেখচিত্র পদ্ধতিঃ পরিসংখ্যানমূলক বিভিন্ন উপাত্তকে কোন নির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী চিত্রের সাহায্যে অত্যন্ত সহজ ও
সুন্দরভাবে প্রদর্শন করাকেই লেখচিত্র বলে। মানচিত্রে বিভিন্ন ধরণের উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য যে সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা
হয় তাদের মধ্যে লেখচিত্র হল একটি প্রধান ও অন্যতম পদ্ধতি।
(খ) ছায়াপাতঃ মানচিত্রে যখন ছায়াপাত ব্যবহার করে কোন উপাত্তকে প্রদর্শন করা হয় তখন তাকে ছায়াপাত পদ্ধতি বলে।
এ পদ্ধতি দ্বারা গড় বন্টনমূলক উপাত্ত প্রদর্শনই বিশেষ সুবিধাজনক।
(গ) বিন্দু পদ্ধতিঃ যখন মানচিত্রে বিন্দুর সাহায্যে কোন উপাত্তের বিস্তরণ প্রদর্শন করা হয় তখন তাকে বিন্দু পদ্ধতি বলে।
(ঘ) সমরেখ পদ্ধতিঃ সমমান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানকে মানচিত্রের উপর যে রেখা দ্বারা যোগ করা হয় সে রেখাকে সমমান
রেখা বা আইসোপে থ বলে। প্রাকৃতিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য এ পদ্ধতি -
ব্যবহার করা হয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন ৩.১
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নঃ
১.শূন্যস্থান পূরন করুনঃ
১.১ স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যে মানচিত্র ...............গণ তৈরী করে থাকেন।
১.২ মানচিত্র তৈরীর মূল উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ............... সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে মানচিত্র প্রদর্শন।
১.৩ মানচিত্রে উপাত্তের .................. বিভিন্নতা ভেদে নানা উপায়ে উপস্থাপিত করা।
১.৪ জনসংখ্যার বিস্তরণ পদ্ধতির জন্য ব্যবহার করা যায়।
১.৫ বৎসর বা সময় ভেদে জনসংখ্যার পরিমাণ দেখানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল উপায় হচেছ ............. এর মাধ্যম।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১. মানচিত্রে বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত পরিষ্কার ও সুন্দর ভাবে প্রদর্শনের জন্য সাধারণত যে সব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়
সেগুলো কি কি?
২. লেখচিত্র পদ্ধতি কি?
৩. ছায়াপাত পদ্ধতি কি?
৪. বিন্দু পদ্ধতি কি?
৫. সমরেখ পদ্ধতি কি?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১. মানচিত্রে ভৌগোলিক উপাত্ত প্রদর্শনের যৌক্তিকাতা কি? ভৌগোলিক উপাত্ত প্রদর্শনের বিভিন্ন পদ্ধতির ওপর সাধারণ
রেখার সাহায্যে অঙ্কিত পরিসংখ্যান উপাত্তের চিত্ররূপই লেখচিত্র। এক্ষেত্রে উপাত্তসমূহ নির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী চিত্রের
সাহায্যে অত্যন্ত সহজ ও সুন্দরভাবে প্রদর্শন করা হয়।
লেখচিত্রের শ্রেণীবিভাগ
লেখচিত্রকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। যেমন১। রৈখিক লেখচিত্র (খরহব এৎধঢ়য)
২। স্তম্ভ লেখচিত্র (ইধৎ এৎধঢ়য)
৩। বৃত্ত বা চক্র লেখচিত্র (ঈরৎপঁষধৎ ড়ৎ ঢ়রব এৎধঢ়য)
৪। চিত্রের মাধ্যমে লেখচিত্র (চরপঃড়ৎধষ উরধমৎধসং বা চরপঃড়মৎধসং)
১। রৈখিক লেখচিত্র ঃ যখন রেখার সাহায্যে লেখচিত্র অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে রৈখিক লেখচিত্র বলে। সাধারণত
পর¯পর স¤পর্কযুক্ত তথ্যগুলোর চিত্রগুলোর চিত্ররূপ প্রদান করার জন্য এ ধরণের লেখচিত্র ব্যবহৃত হয়। জলবায়ু সংক্রান্ত
পরিসংখ্যান (যেমন-উপাত্ত), কৃষিপণ্যের উৎপাদন, শিল্পোৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি প্রভৃতি এ পদ্ধতিতে দেখান যায়।
সুবিধা ঃ
(ক) রেখচিত্রের সাহায্যে যে কোন উৎপাদনের হ্রাসবৃদ্ধির প্রবণতা অতি সহজেই দেখান যায়।
(খ) এর দ্বারা একটি তথ্যের সাথে অপরটির তুলনামূলক স¤পর্ক সম্বন্ধে সু¯পষ্ট ধারণা করা যায়।
অসুবিধা ঃ
(ক) অন্যান্য লেখচিত্রের ন্যায় এটি অধিক চিত্তাকর্ষক নয়।
(খ) সুবিধার মন্তব্যের সাথে পর®পর বিরোধী
২। স্তম্ভ লেখচিত্র ঃ তুলনামূলক কোন উপাত্তকে যখন স্তম্ভের সাহায্যে প্রদর্শন করা হয়, তখন তাকে স্তম্ভ লেখচিত্র বলা হয়।
সুবিধা ঃ
(ক) স্তম্ভ লেখচিত্র দ্বারা একই প্রকার উপাত্তের বিভিন্ন অথবা বিভিন্ন স্থান বা সময়ের দেশের তুলনামূলক রূপ সহজেই
প্রকাশ করা যায়।
(খ) এটি অঙ্কন করা সহজ, গণনার জটিলতা নেই এবং দেখতে বেশ চিত্রাকর্ষক।
(গ) এতে পরিসংখ্যানের মান সহজেই বুঝা যায়।
৩। বৃত্ত লেখচিত্র ঃ বৃত্তের সাহায্যে উপাত্তকে উপস্থাপন করাকে বৃত্ত বা পাই লেখচিত্র বলে। এ ধরনের লেখচিত্রে আয়তন
বৃত্ত অঙ্কন করে দেখান হয়। স্কেল অনুসারে বৃত্তটিকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে বিভিন্ন উপাত্তের দেখান হয়।
সুবিধা ঃ
(ক) বৃত্ত লেখচিত্রের দ্বারা একটি উৎপাদনের বা উপাত্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগুলোর আনুপাতিক বি¯তৃতিকে চিত্রের মাধ্যমে
প্রদর্শন করা সহজ।
(খ) কতিপয় তথ্যের পর¯পরের মধ্যে এবং ঐ তথ্যগুলোর সমষ্টির সাথে প্রতিটি তথ্যের স¤পর্ক বুঝান সহজ।
(গ) এটি দেখতে চিত্তাকর্ষক।
অসুবিধা ঃ এটি দেখা মাত্র সঠিক তথ্য বুঝা যায় না।
৪। চিত্রের মাধ্যমে লেখচিত্র ঃ উপাত্ত সমূহকে চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপনকে লেখচিত্র বলে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপাত্তের
সাপেক্ষে এক একটি চিত্রকে প্রতীক হিসেবে ধরে উপস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় স¤পর্ক সচেতন থাকা
আবশ্যক। যেমনপ্রতীক ঃ প্রতীক চিহৃটি যেন নির্দিষ্ট উপাত্ত বিষয়ক অর্থ প্রকাশ করে। বিভিন্ন দেশের গাড়ির সংখ্যা বুঝাতে মানুষের চিত্র
দিলে হবে না। আবার শহরের জনসংখ্যা বুঝাতে মানুষের চিত্রই প্রতীক রূপে ব্যবহার করতে হবে।
প্রতীক চিহৃগুলো সহজবোধ্য ও সরল হতে হবে।
সুবিধা ঃ চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করায় এটি অত্যন্ত সহজবোধ্য। একজন অজ্ঞ ব্যক্তিও ঐ চিত্ররূপ দেখে উপাত্তগুলো
স¤পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
অসুবিধা ঃ চিত্র লেখচিত্রের উপস্থাপনে মোটামুটি বা সামগ্রিক অবস্থা বুঝায়, সু² পরিমান বোঝায় না। উপাত্তগুলোকে
সঠিকভাবে না দেখিয়ে প্রায় কাছাকাছি অবস্থা দেখান হয়।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন :
১.সত্য হলে ‘স’ মিথ্যা হলে ‘মি’ উত্তর দিনঃ
১.১. ছায়াপাত পদ্ধতিতে অঙ্কিত পরিসংখ্যান উপাত্তের চিত্ররূপই লেখচিত্র।
১.২. রৈখিক লেখচিত্র অন্যান্য রেখচিত্রের ন্যায় অধিক চিত্তাকর্ষক নয়।
১.৩. বৃত্ত লেখচিত্রে আয়তন বৃত্ত অঙ্কন করে দেখান হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
১. লেখচিত্র কাকে বলে?
২. রৈখিক লেখচিত্র কাকে বলে?
৩. স্তম্ভ লেখচিত্র কি?
৪. বৃত্ত লেখচিত্র কি?
৫. চিত্র লেখচিত্র কি?
রচনামূলক প্রশ্ন :
১। বিভিন্ন প্রকার লেখচিত্র এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধা বর্ণনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]