আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক সমূহ কি কি?
জলবায়ুর উপর সমুদ্র দূরত্বের ভ‚মিকা কি?


আবহাওয়া ও জলবায়ু(ডবধঃযবৎ ধহফ ঈষরসধঃব)
কোন স্থানের বায়ুর চাপ, আর্দ্রতা, আলোর ব্যবস্থা ও বৃষ্টিপাতের তাৎক্ষনিক (মিনিট/মাসাধিক)
পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে সেই অঞ্চলের আবহাওয়া বলে। জলবায়ু হচ্ছে আবহাওয়াগত অবস্থার
কয়েক বৎসরের গড়। যত বেশী সময়ের গড় হয় অসামঞ্জস্য অবস্থার তত বেশী সরলীকরণ হয়। এ
জন্য বেশী সময় ব্যাপী অবস্থার গড় জলবায়ুবিশ্লেষনে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। সাধারনত
কোন স্থানের ৩০/৩৫ বছরের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ুবলা হয়। জলবায়ুতে গড় ফল হিসাব
করা হয় বলে সর্বোচ্চ বা সর্বনি¤œ অবস্থা থেকে অনেক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কোনো স্থানের
জৈববিন্যাসে, জলবায়ুপর্যবেক্ষনে আবহাওয়ার চরম ও নি¤œ অবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
জলবায়ুজৈব বিন্যাসের শক্তি ও জল প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে।
জলবায়ুগত পরিবর্তন বায়ুমন্ডলের নি¤œস্তরে বা ট্রপোমন্ডল (ঞৎড়ঢ়ড়ংঢ়যবৎব) এ সংগঠিত হয়।
স্ট্রাটোমন্ডলের নি¤œভাগ কদাচিৎ এতে অংশগ্রহন করে। ওজোন স্তরে হ্রাসবৃদ্ধির ফলে
তাপমাত্রাজনিত পরিবর্তন জলবায়ুর উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ুকাকে বলে?
জলবায়ুর উপাদান (চৎড়ঢ়বৎঃরবং ড়ভ ঈষরসধঃব)
কোন স্থানের আবহাওয়ার অবস্থা থেকে সেই স্থানের জলবায়ুর ভিত্তি তৈরী হয়। দৈনন্দিন
আবহাওয়া মূলত: চারটি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত উপাদানের মিথষ্ক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়। এ সমস্ত উপাদান
গুলো হচ্ছেক. সূর্যালোক (ঝঁহষরমযঃ) খ. উষ্ণতা (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব)
গ. আর্দ্রতা (ঐঁসরফরঃু) ঘ. বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ (অরৎ ঢ়ৎবংংঁৎব ধহফ রিহফ
ফরৎবপঃরড়হ)।
সূর্যালোক তাপমাত্রাকে সরাসরি নিয়ন্ত্রন ও প্রভাবিত করে। তাপমাত্রা আবার বায়ুপ্রবাহ, স্থল ও জল
ভাগের বন্টনের উপর নির্ভর করে আর্দ্রতার উপর প্রভাব রাখে। ভ‚মিরূপের বন্ধুরতা সরাসরি
আবহাওয়াগত প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক। এ পারস্পরিক সম্পর্ক পৃথিবীর উপর সকল উপাদানের বন্টন
দ্বারা পরিচালিত হয়। নিরক্ষ রেখার সন্নিবেশিত বা দূরবর্তী অবস্থানের জন্য জলবায়ুর তারতম্য
কোন স্থানের ৩০-৩৫
বৎসরের আবহাওয়ার গড়কে
জলবায়ু বলে।
আবহাওয়ার প্রধান উপাদানঃ
সূর্যালোক, উষ্ণতা, আর্দ্রতা,
বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ।

পরিলক্ষিত হয়। জলবায়ুঅঞ্চল ভাগে ও প্রকৃতি নির্ধারনে কয়েকটি উপাদানের ভিত্তি আলোচনা
করা হলো।
উষ্ণতা
উষ্ণতার উপর ভিত্তি করে জলবায়ুর বিভাজন সরাসরি সূর্যালোকের সাথে সম্পর্কিত। নি¤œলিখিত
সারণিতে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
সারণি ৩.১২.১ ঃ উষ্ণ দিনের সাথে জলবায়ুর সম্পর্ক
অঞ্চল উষ্ণ দিনের সংখ্যা
উপমেরু অঞ্চল (ঝঁনধৎপঃরপ) ১-৬০
উচ্চ অক্ষাংশ (ঐরময ষধঃরঃঁফব) ৬১-১২০
মধ্য অক্ষাংশ (গরফ খধঃরঃঁষব) ১২১-১৮০
উষ্ণভাবাপন্ন (ঝঁনঃৎড়ঢ়রপধষ) ১৮১-২৪০
উষ্ণ মন্ডল (ঞৎড়ঢ়রপধষ) ২৪১-৩০০
আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত
বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতা তাপমাত্রার সাথে সম্পর্ক যুক্ত। বায়ুর স্থানিক আর্দ্রতার উপর বৃষ্টিপাতের
পরিমাণ নির্ভর করে না। নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুআর্দ্র হলেও বায়ুতাড়িত হয়ে অনেক সময় অনত্র
বারিপাত হয় ফলে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে; আবার বাস্পীভবন দ্রæত হয় বলে শুষ্কতার
মাত্রাও বাড়ে। বৃষ্টিপাতের উপর ভিত্তি করে জলবায়ুকে নি¤œলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়:
১. শুষ্ক; ২. শুষ্ক ভাবাপন্ন; ৩. আর্দ্র ভাবাপন্ন; ৪. আর্দ্র; ৫. অতিসিক্ত।
এ সমস্ত জলবায়ুঅঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণগত তারতম্য সারণি ৩.১২.২ দেখানো হলো।
সারণী ৩.১২.২ বৃষ্টিপাতের সাথে জলবায়ুর সম্পর্ক
জলবায়ুর ধরন বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত (সে. মি.)
শুষ্ক (অৎরফ) ০-২৫
শুষ্কভাবাপন্ন (ঝবসর-ধৎরফ) ২৬-৫০
আর্দ্রভাবাপন্ন (ঝবসর-যঁসরফ) ৫১-১০০
আর্দ্র (ঐঁসরফ) ১০১-২০০
অতিসিক্ত (ঠবৎু ডবঃ) ২০১ বা তার বেশী
আবহাওয়া ও জলবায়ুর পার্থক্য কি ?
জলবায়ুর প্রধান উপাদানগুলি কি কি ?
বনভ‚মি হচ্ছে জলবায়ুর উপাদানের মধ্যে উষ্ণতা ও বারিপাতের ঋতুকালীন পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ
স্বাক্ষর, এর উপর ভিত্তি করে জলবায়ুর যে বিশেষ প্রকারভেদ করা যায় তা নি¤œরূপ:
উষ্ণতা ভিত্তিক জলবায়ু
বিভাজন সূর্যালোকের সাথে
সম্পর্কিত।
আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত তাপমাত্রার
সাথে সম্পর্কিত।
উষ্ণতা ও বারিপাত।

১. ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ু(ঞৎড়ঢ়রপধষ সড়রংঃ ঈষরসধঃব) ঃ সব ঋতুতেই উষ্ণ;
২. শুষ্ক জলবায়ু(উৎু ঈষরসধঃব) ঃ শুষ্ক থেকে প্রায় শুষ্কভাবাপন্ন, যেখানে বাস্পীভবন বারিপাতের
চেয়ে বেশী মাত্রায় সংগঠিত হয়;
৩. আর্দ্র মাঝারি উষ্ণতার জলবায়ু(ঐঁসরফ গবংড়ঃযবৎসধষ) ঃ মৃদুশীত কিন্তুমাঝারি গ্রীষ্মকাল;
৪. আর্দ্র সু² উষ্ণতার জলবায়ু(ঐঁসরফ গরপৎড়ঃযবৎসধষ) ঃ তীব্র শীত কিন্তুনমনীয় গ্রীষ্মকাল;
৫. মেরু দেশীয় জলবায়ু(চড়ষধৎ ঈষরসধঃবং) ঃ চির তুষার রাজ্য, উষ্ণতা সারা বছর হিমাঙ্কের
নীচে থাকে।
শক্তি ও আর্দ্রতা (ঊহবৎমু ধহফ গড়রংঃঁৎব)
শক্তি ও আর্দ্রতার উপর ভিত্তি করে জলবায়ুমন্ডল ভাগে দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। প্রথমত:
বারিপাত ও বাস্পীয় ভবনের সূচক (চৎবপরঢ়রঃধঃরড়হ/ঊাধঢ়ড়ৎধঃরড়হ ওহফবী) তৈরী করা হয় এবং
তাপমাত্রার সাথে বাস্পীয় ভবনের অনুপাত করে (ঞ/ঊ) তাপমাত্রার কার্যকারিতা (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব
ঊভভরপরবহপু) পরিমাপ করা হয়। সেই ক্ষেত্রে ভাগগুলি নি¤œরূপ দেখানো যায়:
সারণি ৩.১২.৩ ঃ বারিপাত, আর্দ্রতা, বনভ‚মি ও তাপ বলয়ের বিন্যাস
বারিপাত/বাস্পীভবন (চ/ঊ) এবং
তাপমাত্রা ও বাস্পীভবন (ঞ/ঊ)
আর্দ্রতা
অঞ্চল উদ্ভিদের ধরন তাপ বলয় (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব জবধষস)
সূচক (১২ মাসের গড় অনুপাত)
> ১২৭ অ নিবিঢ় বন (জধরহ
ঋড়ৎবংঃ)
ক্রান্তীয় (ঞৎড়ঢ়রপধষ)
৬৪-১২৭ ই বনভ‚মি (ঋড়ৎবংঃ) মধ্য তাপীয় (গবংড়ঃযবৎসধষ)
৩২-৬৩ ঈ সাভানা (ঝধাধহধ) মৃদু তাপীয় (গরপৎড়ঃযবৎসধষ)
১৬-৩১ উ স্তেপ (ঝঃবঢ়ঢ়ব) তইগা (ঞধরমধ)
< ১৬ ঊ মরুজ (উবংবৎঃ) তুন্দ্রা (ঞঁহফৎধ)
০ ঋ মেরুজ (চড়ষধৎ) মেরুদেশীয় (চড়ষধৎ)
পাঠ সংক্ষেপ
কোন স্থানের স্বল্প সময়ের বায়ু চাপ, উষ্ণতা, আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাত এর গড় অবস্থাকে
আবহাওয়া বলে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী গড় অবস্থাই জলবায়ু। দৈনন্দিন আবহাওয়া মূলত:
চারটি পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত উপাদানের মিথষ্ক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়। এ সমস্ত উপাদান গুলো হচ্ছে
-
ক. সূর্যালোক (ঝঁহষরমযঃ) খ. উষ্ণতা (ঞবসঢ়বৎধঃঁৎব)
গ. আর্দ্রতা (ঐঁসরফরঃু) ঘ. বায়ুচাপ ও বায়ুপ্রবাহ (অরৎ ঢ়ৎবংংঁৎব ধহফ রিহফ ফরৎবপঃরড়হ)
বারিপাত ও বাষ্পীয় ভবনের
সূচক এবং তাপমাত্রার সাথে
বাষ্পী ভবনের অনুপাত।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (√) চিহ্ন দিনÑ (সময় ৪ মিনিট) ঃ
১.১ কোনটি জলবায়ুর উপাদান নয় -
ক. উষ্ণতা খ. আর্দ্রতা
গ. সমুদ্র স্রোত ঘ. বায়ুপ্রবাহ
১.২ জলবায়ুর উপাদান হিসাবে কাজ করে না -
ক. সমুদ্র সান্নিধ্য খ. অক্ষাংশ
গ. দ্রাঘিমাংশ ঘ. উচ্চতা
১.৩ আর্দ্রভাবাপন্ন জলবায়ুঅঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত সেন্টিমিটার -
ক. ৪০-১০০ খ. ৫১-১০০
গ. ৫১-১১০ ঘ. ৪০-১১০
১.৪ উষ্ণতার উপর ভিত্তি করে জলবায়ুর বিভাজন সরাসরি সম্পর্কেতক. সূর্যালোকের খ. উষ্ণতার ওপর
গ. আর্দ্রতার ওপর ঘ. বায়ুর ওপর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (সময় ২ ঢ ৩ = ৬ মিনিট) ঃ
১. আবহাওয়া ও জলবায়ুকাকে বলে?
২. জলবায়ুর উপাদান কি কি?
৩. বনভ‚মির উপর ভিত্তি করে জলবায়ুর প্রকারভেদ করুন।
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. আবহাওয়া ও জলবায়ুকি? জলবায়ুর উপাদান সম্পর্কে আলোচনা করুন।
এস.এস.এইচ.এল বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি পৃষ্ঠা # ১১৯
পাঠ ৩.১৩ ঃ আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক
(ঋধপঃড়ৎং ড়ভ ডবধঃযবৎ ধহফ ঈষরসধঃব)
এ পাঠ শেষে যা জানতে পারবেন –
 আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক, তাদের কার্যপ্রণালী ও প্রভাব সম্পর্কে।
আবহাওয়া উপাদান সমূহ অনেকগুলো ভ‚-প্রাকৃতিক নিয়ামক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এগুলো নি¤œরূপ:
১. অক্ষাংশ ভিত্তিক সূর্যালোকের আপতন মাত্রা ও দিবা ভাগের স্থায়িত্ব
২. স্থল ভাগ ও জলভাগের বন্টন
৩. বায়ুপ্রবাহ
৪. উচ্চতা
৫. ভ‚-প্রকৃতি
৬. ভ‚মির ঢাল
৭. আধা স্থায়ী নি¤œ ও উচ্চচাপ বলয়সমূহ
৮. সমুদ্রস্রোত
৯. বনভ‚মির অবস্থান
১০. সমুদ্র থেকে দূরত্ব।
এসব নিয়ামক সর্বত্র সমানভাবে কাজ করে না, বরং স্থানভেদে বিভিন্ন নিয়ামকের সংমিশ্রনে একটি
স্থানের আবহাওয়ার সৃষ্টি করে। নিæে নিয়ামকসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
চিত্র ৩.১৩.১ : সূর্যরশ্মির আপতনে অক্ষাংশের প্রভাব।
অক্ষাংশ (খধঃরঃঁফব)
সূর্যের কিরণমাত্রা অক্ষাংশভেদে বিভিন্ন রকম
হয়। যেমন, নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে
কিরণ দেয়, ফলে অল্প স্থানে সূর্যালোক
আপতিত হয় বলে বায়ু সহজেই উত্তপ্ত হয়।
তাছাড়া লম্বভাবে পতিত হওয়ায় স্বল্প দূরত্ব
অতিক্রম করে। ফলে শোষিত বা প্রতিফলিত
হওয়ার সম্ভাবনা তুলনা মূলক ভাবে কম থাকে।
অপরদিকে উচ্চ অক্ষাংশে সূর্য তীর্যকভাবে
কিরণ দেয়, ফলে বায়ুর তাপমাত্রা কম।
অক্ষাশভেদে সূর্যরশ্মিও এ আপতন বৈশিষ্ট্য চিত্র
৩.১৩.১ এর সাহায্যে দেখানো হল। চিত্রে লক্ষ
করুন মেরু এলাকায় আপতিত রশ্মি
অনেকখানি কৌনিকভাবে পতিত হওয়ায়
আলোকরশ্মি বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
সেই তুলনায়, নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি
খাড়াভাবে পতিত হওয়ায় স্বল্প স্থান জুড়ে কিরণ
দেয় এবং দূরত্বও কম।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে লম্বভাবে
সূর্যকিরণ দেয়।

চিত্র ৩.১৩.২ : উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে উচ্চতার প্রভাব।
উচ্চতা (অষঃরঃঁফব)
ভৌগোলিক অবস্থান সমুদ্র সমতল থেকে কত
উঁচু তা ঐ এলাকায় তাপ, চাপ ও আর্দ্রতার
উপর প্রভাব বিস্তার করে। চিত্র ৩.১৩.২ এ
উচ্চতা বৃদ্ধিও সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্ক দেখানো
হলো। উষ্ণতা হ্রাসের হার প্রতি হাজার মিটাওে
৬ সেলসিয়াস। এ উচ্চতার পার্থক্যের কারণে
দুই জায়গা একই অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়া
সত্তেও একটি অপরটির চেয়ে ভিন্ন জলবায়ু
সম্পন্ন হয়। যেমন, দিনাজপুর একই অক্ষাংশে
অবস্থিত হওয়া সত্তে¡ও শিলং এর উচ্চতা বেশী
হওয়ায় তা দিনাজপুরের চেয়ে অনেক বেশী
বৃষ্টিবহুল ও ঠান্ডা।
চিত্রটি সূর্যালোকের আপতন সম্পর্কে কি ধারণা দিচ্ছে ?
চিত্র ৩.১৩.৩ : বায়ুর উষ্ণতার ক্ষেত্রে সমুদ্র থেকে দূরত্বের প্রভাব
সমুদ্র থেকে দূরত্ব (উরংঃধহপব ভৎড়স
ঃযব ঝবধ)
জলভাগের অবস্থান কোন এলাকার
জলবায়ুকে মৃদুভাবাপন্ন করে। যেমন,
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী সমুদ্র
উপকুলে অবস্থিত হওয়ার কারণে
এখানকার জলবাষু রাজশাহী, বগুড়া,
রংপুর বা জামালপুরের তুলনায় বেশ
মৃদুভাবাপন্ন। সমুদ্র নিকটবর্তী এলাকায়
শীত-গ্রীষ্ম এবং দিন রাত্রির তাপমাত্রার
তেমন কোন পার্থক্য হয় না।
এ ধরনের জলবায়ুকে সমভাবাপন্ন জলবায়ুবলে। সমুদ্র উপকুল থেকে দূরে অবস্থিত রাজশাহী
কিংবা বগুড়ায় শীত-গ্রীষ্ম উভয়ই চরম হয়। স্থলভাগের তুলনায় জলভাগ অনেক ধীরে উত্তপ্ত হয়।
কারণ, প্রথমত, পানির আপেক্ষিক তাপ ধারন ক্ষমতা বেশী। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সমুদ্রের
পানি উত্তপ্ত হতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয় তার সমপরিমাণ মাটি উত্তপ্ত হতে এর চেয়ে কম
তাপের প্রয়োজন হয় (চিত্র ৩.১৩.৩)।
উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা
হ্রাস পায়।
শীত-গ্রীষ্ম এবং দিন-রাত্রির
তাপমাত্রায় তেমন
উল্লেখযোগ্য তারতম্য বিহীন
অবস্থাকে সমভাবাপন্ন জলবায়ু
বলে।

দ্বিতীয়ত: সৌরতাপ ভ‚মির চেয়ে অনেক গভীরে প্রবেশ করায় তাপ বিস্তৃত জায়গায় ছড়ায়। ফলে,
সমুদ্র উত্তপ্ত হতে অনেক সময় লাগে। আবার, সমুদ্র ভ‚মির তুলনায় আস্তে আস্তে পুন:বিকিরনের
মাধ্যমে তাপমাত্রা হারায়, তাই ঠান্ডা হতেও অনেক সময় নেয়। মোটকথা, ভ‚মির ন্যায় সমুদ্রের
তাপমাত্রার দ্রæত পরিবর্তন হয় না। তাই, গ্রীষ্মকালে উপকূলীয় এলাকা ভ‚-ভাগের অভ্যন্তর এলাকার
তুলনায় শীতল এবং শীতকালে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ থাকে।
জলবায়ুর উপর সমুদ্র দুরত্বের ভ‚মিকা কি?
বায়ুপ্রবাহ (ডরহফ গড়াবসবহঃ)
বায়ুপ্রবাহ কোন জায়গায় জলবায়ুর উপরে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে। যেমন, ভ‚-ভাগ থেকে প্রবাহিত
নিয়ত বায়ুপ্রবাহের কারনে উচ্চ-অক্ষাংশে শীতকালীন তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং গ্রীষ্মকালীন
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে, সমুদ্র থেকে প্রবাহিত নিয়ত বায়ুশীতকালীন তাপমাত্রা বাড়িয়ে
দেয় এবং গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা কমায়। তাছাড়া, জলীয়বাস্পপূর্ণ বায়ুকোন এলাকার উপর দিয়ে
প্রবাহিত হলে সে এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যেমন, বাংলাদেশে বর্ষাকালে সামুদ্রিক মৌসুমি
বায়ুর কারনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। অপরদিকে, শীতকালে মহাদেশীয় বায়ুর কারনে তেমন বৃষ্টিপাত
হয় না এবং তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
সমুদ্রস্রোত (ঙপবধহ ঈঁৎৎবহঃং)
সমুদ্রস্রোত জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। কারণ, এটি বায়ুর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে,
শীতল ও উষ্ণ স্রোতের প্রভাবে উপক‚ল সংলগ্ন এলাকার বায়ুশীতল বা উষ্ণ হয়।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় শীতকালে উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে পশ্চিম ইউরোপীয় এলাকার
উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে, শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপক‚লকে শীতল
রাখে। শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত ও উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোতের প্রভাবে একই অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়া
সত্তে¡ও উত্তর আমেরিকার পূর্ব-উপক‚ল ও পশ্চিম ইউরোপীয় উপকূলের তাপমাত্রায় ব্যাপক তারতম্য
বিদ্যমান। একই অক্ষাংশে অবস্থিত কানাডার নাইনে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২১ক্ক সেলসিয়াসের নিচে
অথচ স্কটল্যান্ডের গøাসগো শহরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩.৯ক্ক সেলসিয়াসের ওপরে থাকে (চিত্র
৩.১৩.৪)।
চিত্র : ৩.১৩.৪ আবহাওয়া ও জলবায়ুনিয়ন্ত্রণে সমুদ্র স্রোতের প্রভাব
উচ্চ অক্ষাংশে শীতকালীন
তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
সমুদ্র¯্রােত বায়ুর তাপমাত্রার
নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।

ভ‚মি ঢালের অবস্থান (অংঢ়বপঃং ড়ভ খধহফ ঝষড়ঢ়ব)
কোনো এলাকার ভ‚মি ঢালের অবস্থান সূর্যালোক প্রাপ্তিতে বিশেষ ভ‚মিকা রাখে। যেমন, উত্তর
গোলার্ধে কর্কটক্রান্তির উত্তরে দক্ষিনমূখী ঢাল সব সময় দ্বিপ্রহরের সূর্যালোক পায়। অপরদিকে
দক্ষিণ গোলার্ধে মকরক্রান্তির দক্ষিনে উত্তরমূখী ঢাল সব সময় দ্বিপ্রহরের সূর্যালোক পায়।
নিরক্ষরেখা এবং কর্কটক্রান্তির মাঝে দক্ষিনমূখী ঢাল বিশিষ্ট এলাকাসমূহ উত্তরমূখী এলাকার চেয়ে
দীর্ঘ সময় ব্যাপী দ্বিপ্রহরের আলো পায়। একই ভাবে নিরক্ষরেখা এবং মকরক্রান্তির মাঝে উত্তরমূখী
ঢাল বেশি সময়ব্যাপী সূর্যালোক পায়।
চিত্র ৩.১৩.৫ : আবহাওয়া ও জলবায়ুনিয়ন্ত্রনে ভ‚মির ঢালের অবস্থানের প্রভাব।
সূর্যালোক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ভ‚মির ঢালের অবস্থানের বিষয়টি চিত্র ৩.১৩.৫ এ দেখানো হয়েছে। উত্তর
গোলার্ধের একটি পাহাড়ী এলাকার সূর্যালোক প্রাপ্তির সুবিধার জন্য সমস্ত ঘরবাড়ী দক্ষিণমূখী ঢালের
পাদদেশে গড়ে উঠেছে।
ভূ-প্রকৃতি (উরংঃধহপব ভৎড়স ঃযব ঝবধ)
উচ্চ পার্বত্যময় এলাকায় বায়ুপ্রবাহ
বাধাপ্রাপ্ত হলে তার প্রভাব জলবায়ুর
ওপর পরিলক্ষিত হয়। যেমন, হিমালয়
পর্বতের অবস্থানের কারনে দক্ষিণ
এশিয়ার জলবায়ু মৌসুমি বায়ু দ্বারা
প্রভাবিত হয়। গ্রীষ্মকালে, দক্ষিণ পশ্চিম
মৌসুমি বায়ু হিমালয় পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত
হওয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপালে
প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, কিন্তু এ বায়ু
হিমালয় অতিক্রম করতে
কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি।
পর্বতে বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়।

না পারায় উত্তর ঢালে এই সময় বৃষ্টিপাত তেমন হয় না বললেই চলে। আবার শীতকালে শীতল
সাইবেরীয় বায়ুউচ্চ হিমালয় পর্বত অতিক্রম করতে না পারায় হিমালয়ের দক্ষিণে ইউরোপের চেয়ে
শীতের তীব্রতা অনেক কম (চিত্র- ৩.১৩.৬)।
শীতল সাইবেরীয় বায়ুর প্রভাবে হিমালয়ের উত্তরাংশের চীন ভ‚খন্ডে উষ্ণতা -১০ক্ক সেলসিয়াস থেকে
-৫ক্ক সেলসিয়াস এবং এর দক্ষিণে ভারতীয় উপমহাদেশে ২০ক্ক সেলসিয়াস থেকে ২৫ক্ক
সেলসিয়াস। হিমালয় পর্বতের অবস্থানই এ তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য দায়ী।
হিমালয় পর্বতমালা কিভাবে জলবায়ুনিয়ন্ত্রন করে?
বনভ‚মির অবস্থান
গাছপালা বাস্পীভবন প্রস্বেদনের (ঊাধঢ়ড়-ঃৎধহংঢ়রৎধঃরড়হ) সাহায্যে বায়ুজলীয়বাস্পপূর্ণ হয় এবং
ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায় এবং স্থানীয় আবহাওয়া শীতল রাখে। তাছাড়া, বনভ‚মি, ঝড়-তুফান,
সাইক্লোন এর গতিপথে বাধা দিয়ে এর শক্তি কমিয়ে দেয়। ভ‚-আচ্ছাদন বিহীন এলাকা দিনের
সূর্যতাপে দ্রæত উত্তপ্ত হয় এবং তাপ বিকিরণের কারণে আবার দ্রæত শীতল হয়ে যায়। মরুময়
এলাকায় এই ধরনের অবস্থা হয়।
স্থলভাগ ও জলভাগের বন্টন (উরংঃৎরনঁঃরড়হ ড়ভ খধহফ ধহফ ডধঃবৎসধংং)
ভ‚-পৃষ্ঠের প্রায় ৭১ শতাংশ জলভাগ এবং বাকী ২৯ শতাংশ স্থলভাগে গঠিত। জল ও স্থলভাগের এ
অসম বন্টন ও এদের ভৌত গুনাবলীর বিভিন্নতা আবহাওয়ার উপাদানগত তারতম্যে প্রভাব বিস্তার
করে।
ক. জলের চেয়ে স্থলের আপেক্ষিক তাপ (ঝঢ়বপরভরপ যবধঃ) কম হওয়ায় স্থলভাগ, জলভাগের
তুলনায় দ্রæত উত্তপ্ত ও শীতল হয়।
খ. জলভাগের প্রধান অংশ সমুদ্র গঠিত। সমুদ্রের পানি স্রোতে জোয়ার-ভাটা এবং ঢেউ এর মাধ্যমে
অনবরত স্থানান্তরিত হয়। ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উত্তাপ ও পুনঃবন্টিত হয়।
গ. জলভাগের ওপর আপতিত সূর্যরশ্মির ৭০-৯০ শতাংশই বাস্পীভবন (ঊাধঢ়ড়ৎধঃরড়হ) এর কাজে
ব্যবহৃত হয়। সেই তুলনায় স্থলভাগের ওপর আপতিত সূর্যরশ্মির ৫.৫ শতাংশ মাত্র বাস্পীভবনের
কাজে ব্যবহৃত হয়। বাকী অংশ ভ‚মি ও এর উপরস্থ বায়ুমন্ডলের উত্তাপের কাজে ব্যবহৃত হয়। এ
কারনে স্থলভাগ তুলনামূলকভাবে জলভাগের চেয়ে দ্রæত উত্তপ্ত হয়। তাছাড়া জলভাগের তুলনায়
স্থলভাগে অধিকহারে সূর্যরশ্মির প্রতিফলনের (জবঃষবপঃরারঃু) কারণেও এর উপরস্থ বায়ুঅপেক্ষাকৃত
দ্রæত উত্তপ্ত হয়। জল ও স্থলভাগের এই সমস্ত ভৌত গুনাবলীর তারতম্যের কারণে জলভাগের
আবহাওয়া স্থলভাগের তুলনায় মৃদুভাবাপন্ন। শীতকালে জলভাগের চেয়ে স্থলভাগ বেশি শীতল
থাকে এবং গ্রীষ্মকালে স্থলভাগ বেশি গরম থাকে।
স্থল ও জলভাগের বন্টন আবহাওয়ার উপাদানগত তারতম্য কি প্রভাব রাখে ?
নি¤œ ও উচ্চচাপ বলয়সমূহ (খড়ি ধহফ ঐরময চৎবংংঁৎব ইবষঃং)
সাইবেরীয় বায়ু হিমালয়
পর্বত।
বাষ্পীভবন, প্রস্বেদন।
’৭১ শতাংশ জলভাগ এবং
২৯ শতাংশ স্থলভাগ।
সূর্যরশ্মির প্রতিফলন, ভৌত
গুণাবলী।

নি¤œচাপ বলয়ের উত্তপ্ত বায়ুপ্রবাহ উচ্চচাপ বলয়ের দিকে প্রবাহিত হওয়ায় উচ্চচাপ বিশিষ্ট শীতল
অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আবার শীতল অঞ্চলের ঠান্ডা বায়ুপ্রবাহের কারণে নি¤œচাপ বিশিষ্ট
উষ্ণ অঞ্চলের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। এভাবে তাপমাত্রা বন্টন ও জলবায়ুর ক্রমাবর্তন হয়।
পাঠ সংক্ষেপ
আবহাওয়া উপাদান সমূহ অনেকগুলো ভ‚-প্রাকৃতিক নিয়ামক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এগুলো
নি¤œরূপ:
১. অক্ষাংশ ভিত্তিক সূর্যালোকের আপতন মাত্রা ও দিবা ভাগের স্থায়িত্ব
২. স্থল ভাগ ও জলভাগের বন্টন
৩. বায়ুপ্রবাহ
৪. উচ্চতা
৫. ভ‚-প্রকৃতি
৬. ভ‚মির ঢাল
৭. আধা স্থায়ী নি¤œ ও উচ্চচাপ বলয়সমূহ
৮. সমুদ্রস্রোত
৯. বনভ‚মির অবস্থান
১০. সমুদ্র থেকে দূরত্ব।
ভ‚-পৃষ্ঠের প্রায় ৭১ শতাংশ জলভাগ এবং বাকী ২৯ শতাংশ স্থলভাগে গঠিত। জল ও স্থলভাগের
এ অসম বন্টন ও এদের ভৌত গুনাবলীর বিভিন্নতা আবহাওয়ার উপাদানগত তারতম্যে প্রভাব
বিস্তার করে।
তাপমাত্রার বন্টন ও জলবায়ুর
ক্রমবর্তন।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ঃ
১. ‘হ্যাঁ' অথবা ‘না' উত্তর দিনÑ (সময় ৫ মিনিট) ঃ
১.১ সূর্যের কিরণমাত্রা অক্ষাংশ ভেদে একই হয়।
১.২ ভৌগোলিক অবস্থান সমুদ্র সমতল থেকে কত উঁচুতা ঐ এলাকায় তাপ, চাপ ও আর্দ্রতার
উপর প্রভাব বিস্তার করে।
১.৩ জলভাগের অবস্থান কোন এলাকার জলবায়ুকে মৃদুভাবাপন্ন করে।
১.৪. বায়ুপ্রবাহ কোন জায়গায় জলবায়ুর উপরে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে না।
১.৫ স্থলভাগ ও জলভাগের অনুপাত ২৯ঃ৭১।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন (সময় ২ী ৩ = ৬ মিনিট) ঃ
১. আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক সমূহ কি কি?
২. জলবায়ুর উপর সমুদ্র দূরত্বের ভ‚মিকা কি?
৩. হিমালয় পর্বতমালা কিভাবে জলবায়ুনিয়ন্ত্রন করে?
রচনামূলক প্রশ্ন ঃ
১. আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক ও তাদের প্রভাব ব্যাখ্যা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]