সাধারণত বৃক্ষরাজির সমারোহকে বনভূমি বা অরণ্য হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। বনভূমি থেকে যে সম্পদ
উৎপাদিত হয় বা পাওয়া যায় তাকে বনজ সম্পদ বলে। একটি দেশের সামগ্রিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিকভাবে
উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে দেশের মোট জমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশের
বনভূমির পরিমান হলো প্রায় ২৫,০০০ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ ৬২ লক্ষ একর বনভূমি রয়েছে বাংলাদেশে যা
দেশের মোট আয়তনের শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ। দেশের মোট জনশক্তির শতকরা প্রায় ২ ভাগ এই খাতে
নিয়োজিত রয়েছে। বাংলাদেশের বনভূমি প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অপ্রতুল। জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত কারনে
গৃহনির্মান সামগ্রী ও অন্যাান্য প্রয়োজনীয় কাজে গাছপালার অধিক ব্যবহারের ফলে বনভূমির পরিমান দিন দিন
হ্রাস পাচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বনভূমির পরিমান নিম্নের সারণীতে উল্লেখ করা
হলো:
সারণী: ৩.৬.১: মোট ভূ-ভাগের শতকরা হার হিসেবে অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা (বাংলাদেশের বনভূমি)
দেশ বনভ‚মি (%) দেশ বনভ‚মি (%)
ফিনল্যান্ড ৭৪ কানাডা ৪৫
মায়ানমার ৬৭ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ৩৪
জাপান ৬৩ ভারত ২২
সুইডেন ৫৫ বাংলাদেশ ১৭
রাশিয়া ৫১ - -
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, ২০০৩ পৃ: ৬৩
বিভিন্ন প্রকার বনভূমি:
জলবায়ু ও মৃত্তিকার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে পৃথিবীর বিভিন্ন বনাঞ্চল পর্যালোচনার সাপেক্ষে বলা যায় যে,
বাংলাদেশের বনভূমি ক্রান্তীয় চিরহরিৎ পর্নমোচী বৃক্ষের অন্তর্গত। তবে এদেশে সরল বর্গীয় বৃক্ষের বনভূমি ও
পরিলক্ষিত হয়। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। যার ফলে এদেশের
বনভূমির বন্টন অনেকটা অহয় ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। যার ফলে
এদেশের বনভ‚মির বন্টন অনেকটা ক্রান্তীয় জলবায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সামান্য উচ্চভূমি ব্যতিত সমগ্র
দেশ এক বিস্তীর্ন বৈচিত্রহীন সমভূমি। উচ্চভূমির পরিমান সীমিত হলেও দেশের অধিকাংশ বনভ‚মি এ উচ্চ
ভ‚মিতেই অবস্থিত।
নি¤েœ বাংলাদেশের বিভিন্ন বনভ‚মির বিবরণ দেয়া হলোঃ
মাটি ও জলবায়ু জনিত পার্থক্য বিরাজমান থাকার কারণে বাংলাদেশের সর্বত্র এক ধরনের উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা
যায় না। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উদ্ভিদ জন্মে। নি¤েœ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশের
বনভ‚মির শ্রেণী বিভাগ করা হলোঃ
১. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা বৃক্ষের বনভূমি।৪
২. ক্রান্তীয় পাতাঝরা বৃক্ষের বনভূমি।
৩. স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন।
নিম্নে এদের বর্ণনা দেয়া হলো:
ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং পাতাঝরা বৃক্ষের বনভূমি
যে সকল গাছের পাতা একসঙ্গে ঝরে যায় না এবং পাতাগুলো চিরসবুজ থাকে তাদেরকে চিরহরিৎ গাছ কিন্তু যে
সকল পাতাগুলো ঋতু বিশেষে একসঙ্গে ঝরে পড়ে সেগুলোকে পাতাঝরা বৃক্ষ বলা হয়। বাংলাদেশে এ দুই
শ্রেণীর বনভূমি দেখতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও সুন্দরবনের প্রায় সব অংশে এবং
সিলেট জেলার কিছু অংশে এবং চট্টগ্রামে এ বনভূমি বিস্তৃত। এর আয়তন ১৪,১০২ বর্গ কিলোমিটার। অতিবৃষ্টির
জন্য এ সব বনভূমিতে চিরহরিৎ বৃক্ষের সৃষ্টি হয়েছে।
চিরহরিৎ গাছের মধ্যে চাপালিশ, ময়না, তেলসুর ইত্যাদি এ বনে রয়েছে। পাতাঝরার মধ্যে এ বনভূমিতে
রয়েছে গামার, শিমুল, কড়ই, সেগুন, জারুল প্রভৃতি গাছ । এ ছাড়া বাঁশ, বেত, মোম, মধু ও ঔষধি গাছ ও এ
বনভূমি থেকে সংগ্রহ করা হয়।
ক্রান্তীয় পাতাঝরা গাছের বনভূমি:
ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে সব গাছের পাতা বছরে একবার স¤পূর্ণ ঝরে যায় সেগুলোকে ক্রান্তীয় পাতাঝরা উদ্ভিদ বলা
হয়। বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিন কালের সোপান সমূহে এ বনভ‚মি রয়েছে। এ জাতীয় বনভ‚মি বাংলাদেশের
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ও গাজীপুর, রংপুর ও দিনাজপুরে দেখা যায়। এ বনভ‚মিকে দুইভাগে বিভক্ত করা
হয়েছে।
১. ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার বনভ‚মিকে মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভুমি এবং
২. দিনাজপুর জেলার বনভূমিকে বরেন্দ্র অঞ্চলের বনভূমি বলা হয়। উভয় অঞ্চলের বনভূমিতে শাল
গাছের প্রাধান্য রয়েছে। মধুপুর ও ভাওয়ালের বনভূমির গাছগুলো স্থানীয়ভাবে গজারী নামে পরিচিত।
এ বনভূমিতে কড়ই, হিজল, বহেরা, হরিতকী, কাঁঠাল, নিম প্রভৃতি গাছ দেখা যায়। বরেন্দ্র অঞ্চলের
বনভূমির শতকরা ৯৫ ভাগ গাছই শাল।
স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন:
এ বনভূমির আয়তন ৬,৪৭৪ বর্গ কি.মি.। খুলনা , সাতক্ষীরা, বাগের হাট ও বরগুনা জেলায় এ বনাঞ্চল
অবস্থিত। সুন্দরী ও গরান এ বনভূমির প্রধান গাছ। অন্যান্য গাছের মধ্যে গেওয়া, পশুর, ধুন্দল, কেওড়া, বায়েন
প্রভৃতি প্রধান। সুন্দরবনে প্রচুর গোলপাতা জন্মে।
বনজ সম্পদের গুরুত্ব:
বনজ সম্পদ যে কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের বনজ সম্পদের
পরিমান সীমিত তবুও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বনভূমির ভূমিকা উপেক্ষা করা যায় না। বাংলাদেশের
বনভূমির দেশের উন্নয়নে মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ৫% অবদান রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে
বনজ সম্পদের ভূমিকা নি¤েœ বর্ণনা করা হলো:
১. পন্য সামগ্রী সংগ্রহ:
মানুষ তার দৈনন্দিন প্রয়োজনে কাঠ, বাঁশ, বেত, মধু, মোম প্রভৃতি বন থেকে সংগ্রহ করে থাকে। এ ছাড়া
জীবজন্তুর চামড়া ও ভেষজ দ্রব্য বনভূমি থেকে আহরিত হয়ে থাকে।
২. নির্মান সামগ্রীর উপকরণ সমূহ:
মানুষ বনভূমি থেকে তার ঘরবাড়ি ও আসবাব পত্র নির্মানের জন্য কাঠ, বাঁশ , বেত, প্রভৃতি যাবতীয় উপকরন
সংগ্রহ করে। বাড়িঘর ও আসবাব পত্র নির্মানের জন্য মানুষ বনভূমি থেকে সাল, সেগুন, মেহগনি, গর্জন, গামার,
কড়ই গাছের মূল্যবান কাঠ সংগ্রহ করে।
৩. কৃষি উন্নয়ন:
এ দেশের বনভূমি দেশের আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখে। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে যা কৃষি উন্নয়নে সহায়ক। এ
ছাড়া বনভূমি মাটির ক্ষয়রোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
৪. শিল্পের উন্নতি:
বাংলাদেশে কাগজ, রেয়ন, দিয়াশলাই, ফাইবার বোর্ড, খেলনার সরঞ্জাম প্রভৃতির উৎপাদন কাজে বনজ সম্পদ
ব্যবহৃত হয়ে শিল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। কর্নফুলী কাগজকল, খুলনা নিউজ প্রিন্ট কারখানা বনজ সম্পদের
উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
৫. পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা:
বনভূমি থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তা দিয়ে রেললাইনের ¯ি- পার, মোটরগাড়ি , নৌকা, লঞ্চ, জাহাজ প্রভৃতির
কাঠামো, বৈদ্যুতিক খুঁটি, রাস্তার পুল প্রভৃতি নির্মান করা হয়।
৬. সরকারের আয়ের উৎস:
বনজ সম্পদের সরকারের আয়ের একটি উৎস। যেমন: বনজ সম্পদ বিক্রি ও এর উপর কর ধার্য করে সরকার
রাজস্ব আয় বাড়িয়ে থাকে।
৭. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন:
বনের বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া, দাঁত, শিং, পশম এবং জীবন্ত বন্য জন্তু রপ্তানি করে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা
অর্জন করছে।
বাংলাদেশের বৃক্ষরোপন ও বনসংরক্ষণ:
বনায়ন হচ্ছে মানুষের তৈরী বন। প্রাকৃতিক বন বিভিন্ন কারণে নিঃশেষ হলে বা হওয়ার উপক্রম হলে বনায়নের
প্রয়োজন হয়। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ স্বাধীনতা
অর্জনের পর থেকেই বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে বনায়ন কর্মসূচী শুরু করে। দেশে প্রধানত সরকারী পর্যায়েই বনায়ন
কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকটা বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল। তাই
বৈজ্ঞানিক উপায়ে বৃক্ষরোপন এবং বনসংরক্ষণের প্রতি সচেষ্ট হওয়া দরকার। বনভূমির পরিমান প্রয়োজনের
তুলনায় অপ্রতুল থাকায় এর বৃদ্ধি সাধন করা প্রয়োজন। এ জন্য দেশের পানি সেচযোগ্য কিছু অংশে এবং
পতিত জমিতে বৃক্ষাদির চারা রোপন করে বনভূমি সৃষ্টি করা দরকার। নিম্নের সারণীতে বাংলাদেশের
বৃক্ষরোপনের অবস্থা তুলে ধরা হলো:
সারণী: ৩.৬.২ :বৃক্ষরোপনের পরিমান ( একরে)
শ্রেণী বিভাগ ১৯৯১-৯২ ১৯৯২৯৩ ১৯৯৩-৯৪ ১৯৯৪-৯৫ ১৯৯৫-৯৬ ১৯৯৬-৯৭
উপক‚লীয় বনভ‚মি/সুন্দরবন ৮৮১০ ১০৬৮৭ ১২৩২৮ ৯৫০৯ ৬৭৪৩ ৬৯১৬
পাহাড়ী বনভ‚মি ৮৯৬৫ ১০৪৬৫ ১০৪৭৫ ১০৪৭২ ১০৩০১ ১২৭৩৩
শ্রেণী বহির্ভুত বনভ‚মি - ৩৩৩০ ১৯২১৫ ১২৭৮০ ৩২৯০ ৩৯৩২
সামাজিক বনভ‚মি -
ক. কাঠ নির্ভর ৭০৫০ ৯৩৯০ ১১৪২৬ ৬৮৬৯ ৩৩ ১২০২
খ. কৃষি বনভ‚মি ১১০৩ ১৮৫৩ ১৯৭৭ ২৫৫৮ ২৪৭ ৪৩৯০
গ. রাস্তা, রেল, বাধ প্রভৃতি নির্মাণ ৪৩৮ ৩৫৭৮ ৫৪৭৬ ৩৯৩৩ ১৬৬৬ ৩৩৩০
ঘ. প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্ত বনভ‚মি - ১৮ ২৯ ৩২ ৮ ৪০
উৎস: বাংলাদেশ সরকার, ১৯৯৯, ১৯৯৭ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ঢাকা, (পরিবেশ পরিসংখ্যান)।
এবং বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট, ২০০১, সংখ্যা-২ ( তথ্য সারণী নির্ভর), দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড।
বনভূমির স¤প্রসারন ও এর উন্নয়নের জন্য সরকারী খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। তাই আশা করা যায় যে,
অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বনজ সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হবে। নিম্নে
বনজ সম্পদ উন্নয়নে কতিপয় সুপাারিশ মালা দেয়া হলো:
১. বনজ সম্পদের সংরক্ষন ব্যবস্থা সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে আরো জোরদার করতে হবে।
২. ধ্বংস হয়ে যাওয়া বনাঞ্চল পূর্ণবনায়ন করতে হবে এবং অপরিকল্পিতভাবে বন নিধন বন্ধ করতে হবে।
৩. বনভূমির মূল্যবান গাছ অপরিপক্ক অবস্থায় যাতে না কেটে ফেলা হয় তার ব্যবস্থা করা।
৪. পাহাড়ের ঢালে, সমুদ্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করতে হবে।
৫. পরিকল্পিত উপায়ে মূল্যবান বৃক্ষ রোপন করতে হবে।
৬. বন গবেষণা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করা।
৭. বন্য প্রাণী রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
৮. সর্বোপরি বনভূমির অপব্যবহার ও অপচয় রোধ করতে হবে।
দেশে ব্যাপক বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, বনজসম্পদের ঘাটতি পূরণ; কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানার কাঁচামাল
সরবরাহ নিশ্চিত করণ, জীববৈচিত্র্য পরিবেশ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও উন্নয়ন তথা সার্বিক বন উন্নয়নের লক্ষ্যে
সরকার এক ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। এ লক্ষে ২০ বছর ব্যাপী (১৯৯৫ - ২০১৫) বন মহাপরিকল্পনা
অনুমোদিত হয়েছে। বন মহাপরিকল্পনার তিনটি মূল অঙ্গ যথা- উৎপাদনমুখী, অংশীদারিত্বমূলক এবং
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধাদির জোরদার করণ কর্মসূচী।
যেকোন দেশের মোট জমির ২৫ শতাংশ বনভূমি
থাকা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের অধিকাংশ বনভূমি উচ্চ ভূমিতে
অবস্থিত।
বনজ সম্পদ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে
গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
বাংলাদেশের বনভূমি ক্রান্তীয় চিরহরিৎ পর্ণমোচী
বৃক্ষের অন্তর্গত।
পাঠ সংক্ষেপঃ
বনভূমি থেকে যে স¤পদ উৎপাদিত হয় তাকে বনজ স¤পদ নামে আখ্যায়িত করা হয়। একটি দেশের সামগ্রিক
ভারসাম্য ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের পূর্বশর্থ হচেছ দেশের মোট জমির ২৫ শতাংশ বনভ‚মি। বাংলাদেশের
বনভ‚মি ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বর্ণমোচী বৃক্ষের অন্তগর্ত। উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বনভ‚মিকে ৩ ভাগে
ভাগ করা যায়। যথা১. ক্রান্তীয় চিরহরিৎ ও পাতাঝরা বৃক্ষের বনভূমি
২. ক্রান্তীয় পাতাঝরা
৩. স্রোতজ বনভূমি বা সুন্দরবন।
বনজসম্পদ যেকোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বনজ সম্পদের সংরক্ষণ ব্যবস্থা
সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে জোরদার করতে হবে। পাহাড়ের ঢালে; সমুদ্রের উপক‚লবর্তী অঞ্চলে এবং নদীতীরবর্তী এলাকায় নতুন বনভূমি সৃষ্টি করতে হবে।
১. শূন্যস্থান পূরন করুনঃ
১.১ একটি দেশে কমপক্ষে ------ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন।
১.২ বাংলাদেশে মোট আয়তনের ------ ভাগ বনভূমি রয়েছে।
১.৩ ------ বৃদ্ধিজনিত কারণে বনভূমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
১.৪ বাংলাদেশের বনভূমি ক্রান্তীয় ------ বৃক্ষের অন্তর্গত।
১.৫ সুন্দরবনে প্রচুর ------ জন্মে।
১.৬ বনভূমি মাটির ------ প্রতিরোধ করে।
২. সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিনঃ
২.১ বাংলাদেশের মোট আয়তনের কতভাগ বনভূমি?
ক) প্রায় ১৫ ভাগ খ) প্রায় ১৭ ভাগ
গ) প্রায় ২০ ভাগ ঘ) প্রায় ২৫ ভাগ
২.২ যে সকল গাছের পাতা একসঙ্গে ঝরে যায় না এবং সবুজ থাকে তাদেরকে কি বৃক্ষ বলা হয়?
ক) চিরহরিৎ বৃক্ষ খ) পাতাঝরা বৃক্ষ
গ) স্রোতজ বৃক্ষ ঘ) পত্রপতনশীল বৃক্ষ
২.৩ ক্রান্তীয় পাতাঝরা বৃক্ষের বনভুমি কোথায় দেখা যায়?
ক) টারশিয়ারী পাহাড় এলাকায় খ) প াইষ্টোসিন চত্বর এলাকায় -
গ) নোনাভূমি এলাকায় ঘ) পাবন সমভূমি এলাকায়
২.৪ ক্রান্তীয় পাতাঝরা বৃক্ষের বনভূমির প্রধান বৃক্ষ কোনটি?
ক) চাপালিশ খ) সুন্দরী
গ) শাল ঘ) ময়না
২.৫ কর্ণফুলী কাগজ কলের প্রধান কাঁচামাল কি?
ক) বেত খ) সেগুন কাঠ
গ) বাঁশ ঘ) সুন্দরী কাঠ
সংক্ষিপ্ত উত্তর দিনঃ
১. বনভূমি কাকে বলে?
২. বাংলাদেশের স্রোতজ বনভূমি কোথায় দেখা যায়?
৩. বনজ সম্পদসমূহ কি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে?
৪. বনজ সম্পদ উন্নয়নে আমাদের কি কি পদক্ষেপ নেয়া দরকার?
রচনামূলক প্রশ্নঃ
১. বাংলাদেশের বনভূমির শ্রেণী বিভাগ করুন।
২. বাংলাদেশের বনভূমির উন্নয়নে আপনার মতামত সমূহ সংক্ষেপে তুলে ধরুন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ