স্কেলের প্রকারভেদদ
ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা এবং অংকন পদ্ধতির পার্থক্যের কারনে মানচিত্রে বিভিন্ন ধরণের স্কেলের উপস্থাপন লক্ষ্য করা
যায়। আবার কিছু স্কেল আছে যেগুলো সচরাচর মানচিত্রে ব্যবহৃত হয় না, তবে ভৌগোলিক তথ্য উপস্থাপন এবং
অনুধাবনে প্রয়োজনীয়। ব্যবহারিক দিক ও প্রয়োগের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে স্কেলকে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ
করা হয়েছে। বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এই প্রধান শ্রেণীগুলোর কোন কোনটি আবার কয়েকটি উপ-শ্রেণীতে বিভক্ত। নীচে
স্কেলের এই শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করা হল।
(ক) সরল স্কেল
কোন নির্দিষ্ট মাপ বা হিসাব অনুসারে একটি সরল রেখাকে কতিপয় ভাগে ভাগ করলে তাকে সরল স্কেল বলে। সরল
স্কেলের সাহায্যে মূখ্য ভাগে অপেক্ষাকৃত বৃহৎ এবং গৌণ ভাগে ক্ষুদ্র ইউনিটের মাপ নির্ণয় করা যায় (চিত্র ২.২.১)।
এ স্কেলের মাধ্যমে মানচিত্রের উপরিস্থিত দু’টি স্থানের মধ্যবর্তী দূরত্ব সহজে জানা যায়। তাছাড়া, এ স্কেল সাধারণ মানুষের
বুঝবার জন্য একটি সহজ পদ্ধতি। সরল স্কেলবিশিষ্ট মানচিত্র ফটোষ্ট্যাট মেশিন বা ক্যামেরার সাহায্যে ছোট বা বড় আকার
করলে স্কেল আনুপাতিক হারে ছোট বা বড় হয়। ফলে পরিবর্তিত মানচিত্রেও এই স্কেল কার্যকর থাকে। এ কারণে
মানচিত্রে এ ধরনের স্কেল বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। ২.৩ এবং ২.৪ নং পাঠে সরল স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে।
(খ) তুলনামূলক স্কেল
বিভিন্ন পরিমাপ এককের স্কেলের একটির সাথে অপরটির তুলনা করার জন্য পাশাপাশি একাধিক স্কেল অংকন করা হলে,
তাকে তুলনামূলক স্কেল বলে। সাধারণত এই ধরনের স্কেলের মাধ্যমে ভিন্ন এককে দূরত্বের সাথে দূরত্ব, দূরত্বের সাথে
সময়, দূরত্বের সাথে পদক্ষেপ বা দূরত্বের সাথে গাড়ির চাকার আবর্তন প্রভৃতির তুলনা দেখানো হয়। তুলনামূলক স্কেল এক
ধরনের সরল স্কেল। শুধুমাত্র ভিন্ন এককের একাধিক স্কেলের মধ্যে সম্পর্ক তুলনা করার জন্য এ স্কেলের ব্যবহৃত হয়। এ
ধরনের স্কেলের বিভিন্ন উপ শ্রেণী নীচে আলোচনা করা হল।
১. বিভিন্ন দৈর্ঘ্য এককের তুলনামূলক স্কেল (ঈড়সঢ়ধৎধঃরাব ঝপধষব ড়ভ উরভভবৎবহঃ টহরঃং)ঃ বিভিন্ন পরিমাপ এককের
স্কেলের একটির সাথে অপরটির তুলনা করার জন্য যখন একই মূলবিন্দু এবং প্রতিভূ অনুপাতে পাশাপাশি একাধিক স্কেল
অংকন করা হয়, তখন তাকে বিভিন্ন দৈর্ঘ্য এককের তুলনামূলক স্কেল বলে। এই ধরনের স্কেলের মাধ্যমে মাইলের সাথে
কিলোমিটার, ফুটের সাথে ডেসিমিটার, গজের সাথে মিটার, মাইল বা কিলোমিটারের সাথে ভার্স্ট প্রভৃতি এককের
মধ্যে তুলনা দেখানো হয় (চিত্র ২.২.২)।
এক দেশে প্রচলিত পরিমাপ এককে অভ্যস্ত মানুষের জন্য অন্য দেশে গিয়ে সে দেশের মানচিত্র ব্যবহার করার জন্য এটি
অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্কেল। এই বইয়ের ২.৭ নং পাঠে এ স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
২. টাইম স্কেল (ঞরসব ঝপধষব)ঃ সুষম গতিশীল বস্তু বা চলমান মানুষের গতিবেগ এবং অতিক্রান্ত দূরত্বের মধ্যে একটি
সম্পর্ক রয়েছে। যে স্কেলের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা দল অথবা যানবাহন নির্দিষ্ট সময়ে কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে তা
দেখানো হয় তাকে টাইম স্কেল বলে। টাইম স্কেল অংকনের সময় দু’টি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়- (১) যে এলাকার
উপর দিয়ে ব্যক্তি বা দল অথবা যানবাহন যাচ্ছে, সে এলাকার মানচিত্রের স্কেল এবং (২) চলমান ব্যক্তি বা দল অথবা
যানবাহনের গতিবেগ। নির্দিষ্ট প্রতিভূ অনুপাত অনুযায়ী একটি সরল স্কেল অংকন করে তার নীচের দিকে অতিক্রান্ত দূরত্ব
এবং উপরের দিকে ঐ দূরত্ব অতিক্রমে যে সময় ব্যয় হয় তা উপস্থাপন করা হয়।
মনে করা যাক, একজন স্কাউট ঘন্টায় তিন মাইল গতিতে মার্চ করছে। ঐ এলাকার মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাত হচ্ছে ১ ঃ
১২৬৭২০।
এখানে, মানচিত্রে দূরত্ব ১″ হলে ভূমিতে দূরত্ব ১২৬৭২০″ = ২ মাইল।
বা, ” ৬″ ” ” ” ৬ দ্ধ ২ = ১২ মাইল।
এখানে মার্চ করা গতি ঘন্টায় ৩ মাইল, সুতরাং ১২ মাইল দূরত্ব অতিক্রমে ১২ স্ট ৩ = ৪ ঘন্টা সময় প্রয়োজন হবে। এখন
৬″ একটি স্কেল অংকন করে তাকে প্রাথমিক ভাবে সমান ৪ ভাগে বিভক্ত করলে প্রতিটি ভাগ ১ ঘন্টায় অতিক্রান্ত দূরত্ব
দেখাবে। প্রথম প্রাথমিক ভাগটিকে সমান ৬ টি উপ ভাগে বিভক্ত করলে প্রতিটি উপভাগ ১০ মিনিটে অতিক্রান্ত দূরত্ব
দেখাবে (চিত্র ২.২.৩)।
৩. পদক্ষেপ স্কেল (চধপব ঝপধষব)ঃ দ্রæত জরিপের সময় সাধারণত সময় স্বল্পতার কারণে চেইন বা টেপ দিয়ে ভূমি বা
অতিক্রান্ত দূরত্ব পরিমাপ করা সম্ভব হয় না। এ ধরনের জরিপে পদক্ষেপের মাধ্যমে দূরত্ব পরিমাপ করা যায়। হেঁটে চলার
সময় মানুষের পদক্ষেপ সাধারণত একটি নিয়মিত ব্যবধানে পড়ে। সৈনিকদের পদক্ষেপ বিরতি অনুযায়ী সাধারনত প্রতি
পদক্ষেপের দূরত্ব ৩০″ বা ৭৫ সে.মি ধরা হয়। তবে ব্যক্তি বিশেষে পদক্ষেপের এই দৈর্ঘ্য পরিবর্তন হতে পারে, যে কারণে
জরিপের পূর্বে জরিপকর্মীর পদক্ষেপের দূরত্ব পরিমাপ করে নেয়া প্রয়োজন।
নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সংখ্যা দেখানোর উপযোগী স্কেলকে পদক্ষেপ স্কেল বলে। যে এলাকায় জরিপ
করা হয়েছে, সে এলাকার মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাত অনুযায়ী একটি সরল স্কেল অংকন করে তার উপরের দিকে
অতিক্রান্ত দূরত্ব এবং নীচের দিকে ঐ দূরত্ব অতিক্রমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়।
মাইল ৩ ২ ১ ০ ৩ ৬ ৯ মাইল
চিত্র ২.২.৩ টাইম স্কেল
মিনিট ৫০ ৪০ ২০ ০ ১ ২ ৩ ঘন্টা
ফালর্ং ৮ ৪ ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ মাইল
হেক্টোমিটার ১০ ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭
প্র.অ. ১ ঃ ৮০০০০
ধরা যাক, দ্রæত জরিপকৃত একটি এলাকার মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাত ১ ঃ ১৫,০০০ এবং জরিপকর্মীর পদক্ষেপে দূরত্ব ৭৫
সে.মি।
এখানে, মানচিত্রে দূরত্ব ১ সে.মি হলে ভূমিতে দূরত্ব ১৫,০০০ সে.মি = ১৫০ মিটার।
বা, মানচিত্রে দূরত্ব ১ সে.মি হলে ভূমিতে দূরত্ব
৭৫
১৫০০০ = ২০০ পদক্ষেপ।
সুতরাং ৭ সে.মি দীর্ঘ রেখার মাধ্যমে ৭ দ্ধ ১৫০ = ১০৫০ মিটার দূরত্ব এবং ৭ দ্ধ ২০০ = ১৪০০ পদক্ষেপ দেখানো
সম্ভব। এখন ৭ সে.মি একটি স্কেল অংকন করে তাকে প্রাথমিক ভাবে সমান ৭ ভাগে বিভক্ত করলে প্রতিটি ভাগ ১৫০
মিটার এবং ২০০ পদক্ষেপ দেখাবে। প্রথম প্রাথমিক ভাগটিকে সমান ৫ টি উপ ভাগে বিভক্ত করলে প্রতিটি উপ ভাগ ৩০
মিটার এবং ৪০ পদক্ষেপ দেখাবে (চিত্র ২.২.৪)।
৪. আবর্তন স্কেল (জবাড়ষঁঃরড়হ ঝপধষব)ঃ পদক্ষেপের মত সাইকেল বা গাড়ির চাকার আবর্তনের মাধ্যমেও অতিক্রান্ত দূরত্ব
পরিমাপ করা যায়। প্রথমে সাইকেল বা গাড়ির সামনের চাকার পরিধি বরাবর একটি পরিমাপক ফিতা জড়িয়ে এর পরিধি
নির্ণয় করা হয়। এই পরিধির দৈর্ঘ্য চাকার প্রতি আবর্তনে অতিক্রান্ত দূরত্ব নির্দেশ করে। এছাড়াও পরিধি = ২πৎ সূত্র
দিয়েও চাকার পরিধি নির্ণয় করা যায়। সূত্রে, π = ৩.১৪৩ এবং ৎ = চাকার ব্যাসার্ধ। সাইকেল চালিয়ে অগ্রসর হবার সময়
পরিধিকে মোট আবর্তনের সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে অতিক্রান্ত দূরত্ব পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রায় সকল গাড়িতে দূরত্ব
পরিমাপের জন্য স্বয়ংক্রিয় ওডোমিটার দেয়া থাকে ফলে গাড়িতে করে অতিক্রান্ত দূরত্ব পরিমাপ তুলনামূলক সহজ।
নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রমে প্রয়োজনীয় আবর্তন সংখ্যা দেখানোর উপযোগী স্কেলকে আবর্তন স্কেল বলে। যে এলাকায় জরিপ
করা হয়েছে, সে এলাকার মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাত অনুযায়ী একটি সরল স্কেল অংকন করে তার উপরের দিকে
অতিক্রান্ত দূরত্ব এবং নীচের দিকে ঐ দূরত্ব অতিক্রমে প্রয়োজনীয় আবর্তন সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়।
ধরা যাক, ৯০″ পরিধির চাকা বিশিষ্ট সাইকেল চালিয়ে জরিপকৃত একটি এলাকার মানচিত্রের প্রতিভূ অনুপাত ১ ঃ
২১,৬০০।
এখানে, মানচিত্রে দূরত্ব ১″ হলে ভূমিতে দূরত্ব ২১,৬০০″ =
৩৬
২১৬০০ = ৬০০ গজ।
বা, মানচিত্রে দূরত্ব ১″ হলে ভূমিতে দূরত্ব
৯০
২১৬০০ ইঞ্চি = ২৪০ আবর্তন।
সুতরাং ৩.৫″ দৈর্ঘ্য রেখার মাধ্যমে ৩.৫ দ্ধ ৬০০ = ২১০০ গজ দূরত্ব এবং ৩.৫ দ্ধ ২৪০ = ৮৪০ পদক্ষেপ দেখানো
সম্ভব। এখন ৩.৫″ একটি স্কেল অংকন করে তাকে প্রাথমিক ভাবে সমান ৭ ভাগে বিভক্ত করলে প্রতিটি ভাগ ৩০০ গজ
এবং ১২০ আবর্তন দেখাবে। প্রথম প্রাথমিক ভাগটিকে সমান ৫ টি উপ ভাগে বিভক্ত করলে প্রতিটি উপ ভাগ ২৪ গজ এবং
৬০ আবর্তন দেখাবে (চিত্র ২.২.৫)।
পদক্ষেপ ২০০ ০ ২০০ ৪০০ ৬০০ ৮০০ ১০০০ ১২০০ পদক্ষেপ
চিত্র ২.২.৪ পদক্ষেপ স্কেল
মিটার ১৫০ ০ ১৫০ ৩০০ ৪৫০ ৬০০ ৭৫০ ৯০০ ঘন্টা
আবর্তন ১২০ ০ ১২০ ২৪০ ৩৬০ ৪৮০ ৬০০ ৭২০ আবর্তন
চিত্র ২.২.৫ আবর্তন স্কেল
গজ ৩০০ ০ ৩০০ ৬০০ ৯০০ ১২০০ ১৫০০ ১৮০০ গজ
(গ) কর্ণীয় স্কেল
সূ² পরিমাপের জন্য আয়তক্ষেত্রের পরস্পর বিপরীত কোণদ্বয়ের সংযোজক সরল রেখার সাহায্যে যে স্কেল অংকন করা
হয়, তাকে কর্ণীয় স্কেল (উরধমড়হধষ ঝপধষব) বলে। প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পর এই স্কেলের মাধ্যমে তৃতীয় পর্যায়ের
ক্ষুদ্রতর দূরত্ব পরিমাপ করা যায় (চিত্র ২.২.৬)। ‘আয়তক্ষেত্রের কর্ণ দ্বারা একটি ক্ষুদ্র রেখাকে প্রয়োজন অনুযায়ী সমান
সংখ্যক ভাগে বিভক্ত করা যায়’ এই মূল নীতি হতেই কর্ণীয় স্কেলের উদ্ভব।
ভূমি জরিপসহ বিভিন্ন ধরনের সূ² দূরত্ব পরিমাপের জন্য কর্ণীয় স্কেল ব্যবহার করা হয়। সরল স্কেলের ভূমি রেখার উপর
সুবিধাজনক উচ্চতার আয়তক্ষেত্র অংকন করে দ্বিতীয় পর্যায়ের গৌণ অংশগুলোতে কর্ণ অংকন করা হয় অতঃপর
আয়তক্ষেত্রটিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমদূরবর্তী আনুভূমিক সমান্তরাল রেখার মাধ্যমে ভাগ করে তৃতীয় পর্যায়ে বিভক্ত করে
কর্ণীয় স্কেল অংকন করা হয়। এই ইউনিটের ২.৫ এবং ২.৬ নং পাঠে কর্ণীয় স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে।
(ঘ) ভার্নিয়ার স্কেল
সূ² পরিমাপের জন্য সরল স্কেলের পাশে সংযুক্ত যে ছোট চলনশীল স্কেল ব্যবহার করা হয় তাকে ভার্নিয়ার স্কেল বলে।
ভার্নিয়ার স্কেল একটি যান্ত্রিক স্কেল। এই স্কেলের দু’টি অংশ থাকে; চলমান ছোট স্কেলটি হচ্ছে ভার্নিয়ার স্কেল (ঠবৎহরবৎ
ঝপধষব) এবং যে মূল স্কেলের পাশে ভার্নিয়ার স্কেলটি সংযুক্ত থাকে তাকে প্রাথমিক (চৎরসধৎু ঝপধষব) স্কেল বলে। চিত্র
২.২.৭ এ ক খ স্কেলটি প্রাথমিক স্কেল এবং উপরের ছোট স্কেলটি ভার্নিয়ার স্কেল। অনেক সময় পাঠ গ্রহনের সুবিধার জন্য
ভার্নিয়ার স্কেলটি স্থির রেখে প্রধান স্কেলটি চলনশীল রাখা হয়। ফ্রান্সের বিখ্যাত গণিতবিদ পিঁয়েরে ভার্নিয়ার এই স্কেল
উদ্ভাবন করেন। এই স্কেলের সাহায্যে ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট রেখা বা বস্তুর সঠিক দৈর্ঘ্য সূ²ভাবে নির্ণয় করা যায়।
ভার্নিয়ার স্কেলের মূলনীতিঃ প্রধান স্কেলের নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্ষুদ্র ভাগের চেয়ে ভার্নিয়ার স্কেলের সমসংখ্যক ভাগ নির্দিষ্ট
পরিমানে কম বা বেশি হয়। সাধারণত প্রধান স্কেলের দাগের সংখ্যা ভার্নিয়ারের দাগের সংখ্যা থেকে এক কম বা বেশী
(হক্ট১) হয়। প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্রতম অংশ এবং ভার্নিয়ার অংশের মধ্যে দৈর্ঘ্যরে বিয়োগ ফলকে ভার্নিয়ার ধ্রুবক (ঠবৎহরবৎ
বলা হয়। কোন পাঠ নেয়ার সময় প্রধান স্কেলের ক্ষুদ্র ভাগের সাথে ভার্নিয়ারের যে পাঠ মিলে যায় তার সাথে
ভার্নিয়ার ধ্রুবক গুণ করে সূ² দূরত্বের মান নির্ণয় করা হয়।
ফুট ৩ ২ ১ ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ গজ
দ্বিতীয় পর্যায় প্রাথমিক পর্যায়
মানচিত্রের সাথে এই ধরনের যান্ত্রিক ও চলমান স্কেল সরবরাহ করা যায় না বিধায় মানচিত্র অনুধাবনে এই স্কেলের ব্যবহার
খুবই সীমিত। তবে জরিপ কাজে ব্যবহৃত লেভেলিং যন্ত্র এবং থিওডেলাইটের মত যন্ত্রে ভার্নিয়ার স্কেল সংযুক্ত থাকে।
তাছাড়া, সংগৃহীত ভৌগোলিক নমুনার আকার সূ²ভাবে পরিমাপের জন্য ভার্নিয়ার স্কেল প্রয়োজন হয়। জটিল পাঠ গ্রহণ
প্রক্রিয়া এবং গাণিতিক হিসাবের জন্য এই স্কেল সর্বসাধারণের নিকট জনপ্রিয় নয়।
(ঙ) বিশেষ ধরনের স্কেল
অক্ষাংশভেদে সরল স্কেলের পরিবর্তন দেখাতে এবং মানচিত্র বা নকশায় ভূমি বন্ধুরতা এবং পরিসংখ্যানিক উপাত্ত প্রদর্শণ
করতে কিছু বিশেষ ধরনের স্কেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে এগুলো নীচে আলোচনা করা হল।
১. পরিবর্তনশীল স্কেল বর্তুলাকার পৃথিবীর মানচিত্র সমতল কাগজে অংকন করলে সরল স্কেলের
মাধ্যমে সঠিক দূরত্ব পরিমাপ করা যায় না। কারণ অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে মানচিত্র ও ভূমির দূরত্বের অনুপাত
পরিবর্তিত হয়। অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাপেক্ষে সঠিক দূরত্ব পরিমাপের জন্য যে যৌগিক স্কেল অংকন করা হয় তাকে
পরিবর্তনশীল স্কেল বলে।
পরিবর্তনশীল স্কেল অংকনের সময় প্রথমে কতগুলো সমান্তরাল সরল স্কেলকে অক্ষাংশ বৃদ্ধির জন্য আলাদা প্রতিভূ
অনুপাতে একই দূরত্ব দেখিয়ে অংকন করা হয়। অতঃপর প্রতিটি স্কেলের ০ বিন্দু একটি উলম্ব রেখা বরাবর রেখে সমমান
বিশিষ্ট ভাগগুলোকে কার্ভের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয় (চিত্র ২.২.৮)। মার্কেটরের অভিক্ষেপ অনুযায়ী অংকিত মানচিত্রে
নিরক্ষরেখা হতে উচ্চ অক্ষাংশে দূরত্ব বৃদ্ধির পরিমান দেখাতে এই স্কেল ব্যবহার করা হয়।
২. ঢালের স্কেল (ঝষড়ঢ়ব ঝপধষব)ঃ সমোন্নতি মানচিত্রে বিভিন্ন সমোন্নতি রেখার মধ্যবর্তী ঢালের পরিমান পরিমাপ করার
জন্য যে স্কেল ব্যবহার করা হয় তাকে ঢালের স্কেল বলে। এতে নির্দিষ্ট উলম্ব বিরতিতে (সাধারণত ১০০ ফুট বা ৫০ ফুঠ)
প্রতি ডিগ্রী ঢালের পরিবর্তনের জন্য আনুভূমিক দূরত্বের পরিমান দেখানো হয়।
চিত্র ২.২.৯ এ একটি ঢালের স্কেল দেখানো হয়েছে। এখানে সমোন্নতি রেখার উলম্ব বিরতি ১০০ ফুট ধরা হয়েছে।
সমোন্নতি রেখা মানচিত্রে সমান উচ্চতা নির্দেশকারী রেখাগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব ঢালের তারতম্যের কারণে বৃদ্ধি বা হ্রাস
পায়। চিত্র ২.২.৯ অনুযায়ী ঢালের পরিমান ১ক্ক হলে মানচিত্রে পাশাপাশি দু’টি সমোন্নতি রেখার ভূমিতে প্রকৃত আনুভূমিক
দূরত্ব হবে ২০০০ গজ। একইভাবে ২ক্ক এবং ৫ক্ক ঢালের তারতম্যের কারণে এই আনুভূমিক দূরত্বের পরিমান হবে যথাক্রমে
১০০০ গজ এবং ৪০০ গজ। ঢালের পরিমান কম হলে আনুভূমিক দূরত্ব বেশী হয় এবং সমোন্নতি রেখাসমূহের পাস্পরিক
দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে ঢালের পরিমান বেশী হলে আনুভূমিক দূরত্ব কম হয় এবং সমোন্নতি রেখাসমূহের পাস্পরিক
দূরত্ব হ্রাস পায়।
৩. বর্গমূলের স্কেল (ঝয়ঁৎব জড়ড়ঃ ঝপধষব)ঃ মানচিত্রে পরিসংখ্যানিক উপাত্ত দেখানোর জন্য বিভিন্ন আনুপাতিক চিহ্ন
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন দেশ বা শহরের জনসংখ্যা, জমির পরিমান, উৎপাদন ইত্যাদি উপাত্তকে
আনুপাতিক বর্গক্ষেত্র, আয়তক্ষেত্র বা বৃত্তের ক্ষেত্রফলের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। উপাত্তসমূহের বর্গমূল নির্ণয় করে
বর্গক্ষেত্রের বাহুর দৈর্ঘ্য বা বৃত্তের ব্যসার্ধ নির্ধারণ করা হয়। উপাত্তের মানের হ্রাস-বৃদ্ধির সাথে সাথে বর্গক্ষেত্র বা বৃত্তের
আকারের আনুপাতিক হ্রাসবৃদ্ধির পরিমান সঠিকভাবে জানার জন্য এবং পরিসংখ্যান উপাত্ত সন্নিবেশিত মানচিত্র অনুধাবনে
বর্গমূলের স্কেল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ধরা যাক কোন দেশে ৬ টি প্রদেশের কৃষি ভূমির পরিমান দেয়া আছে।
আনুপাতিক বৃত্তের মাধ্যমে এই উপাত্ত মানচিত্রে দেখাতে হবে। প্রথমে সারণী ২.২.১ এ এই উপাত্ত উপস্থাপন করে ভূমির
পরিমানবাচক সংখ্যাসমূহের বর্গমূল নির্ণয় করতে হবে। এবার ২৫ মিলিয়ন একরের বর্গমূল ৫০০০ কে প্রতিনিধিত্বকারী
হিসেবে বৃত্তের ব্যাসার্ধ ১″ ধরে অন্যান্য মানসমূহের জন্য বৃত্তের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করে তা সারণীতে উপস্থাপন করতে হবে।
সারনী ২.২.১ বর্গমূলের স্কেল নির্ণয় সারণী
কৃষি ভূমির পরিমান (একরে) বর্গমূল বৃত্তের ব্যাসার্ধ (ইঞ্চিতে)
১০,০০০,০০০ ৩,১৬২ (১ স্ট ৫০০০ দ্ধ ৩১৬২) = ০.৬৩
১৫,০০০,০০০ ৩,৮৭৩ (১ স্ট ৫০০০ দ্ধ ৩৮৭৩) = ০.৭৭
২০,০০০,০০০ ৪,৪৭২ (১ স্ট ৫০০০ দ্ধ ৪৪৭২) = ০.৮৮
৩০,০০০,০০০ ৫,৪৭৭ (১ স্ট ৫০০০ দ্ধ ৫৪৭৭) = ১.১০
৪০,০০০,০০০ ৬,৩২৫ (১ স্ট ৫০০০ দ্ধ ৬৩২৫) = ১.২৬
৫০,০০০,০০০ ৭,০৭১ (১ স্ট ৫০০০ দ্ধ ৭০৭১) = ১.৪১
এবার এই ব্যাসার্ধ ব্যবহার করে বর্গমূলের স্কেল অংকন করতে হবে (চিত্র ২.২.১০)।
৪. ঘনমূলের স্কেল (ঈঁনব জড়ড়ঃ ঝপধষব)ঃ বর্গমূলের স্কেলের মতই অনেক সময় মানচিত্রে পরিসংখ্যানিক উপাত্তকে বিভিন্ন
আনুপাতিক ঘন (ঈঁনব) বা গোলকের আয়তনের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। এক্ষেত্রে উপাত্তসমূহের ঘণমূল নির্ণয় করে
কিউবের বাহুর দৈর্ঘ্য বা গোলকের ব্যাসার্ধ নির্ধারণ করা হয়। ধরা যাক কোন দেশে ৫ টি প্রদেশের জনসংখ্যা দেয়া আছে।
আনুপাতিক গোলকের মাধ্যমে এই উপাত্ত মানচিত্রে দেখাতে হবে। প্রথমে সারণী ২.২.২ এ এই উপাত্ত উপস্থাপন করে
জনসংখ্যার ঘনমূল নির্ণয় করতে হবে। এবার ৫ লক্ষ জনের ঘনমূল ৭৯.৪ কে প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে গোলকের ব্যাসার্ধ
১″ ধরে অন্যান্য মানসমূহের জন্য গোলকের ব্যাসার্ধ নির্ণয় করে তা সারণীতে উপস্থাপন করতে হবে।
সারনী ২.২.২ ঘনমূলের স্কেল নির্ণয় সারণী
জনসংখ্যা (জন) ঘনমূল গোলকের ব্যাসার্ধ (ইঞ্চিতে)
৫,০০,০০০ ৭৯.৪ (১ স্ট ৭৯.৪ দ্ধ ৭৯.৪) = ১.০০
৪,০০,০০০ ৭৩.৭ (১ স্ট ৭৯.৪ দ্ধ ৭৩.৭) = ০.৯২
৩,০০,০০০ ৬৬.৯ (১ স্ট ৭৯.৪ দ্ধ ৬৬.৯) = ০.৮৪
২,০০,০০০ ৫৮.৫ (১ স্ট ৭৯.৪ দ্ধ ৫৮.৫) = ০.৭৩
১,০০,০০০ ৪৬.৪ (১ স্ট ৭৯.৪ দ্ধ ৪৬.৪) = ০.৫৮
০ ১০ ১৫ ২০ ৩০ ৪০ ৫০ মিলিয়ন এক
চিত্র ২.২.১০ বর্গমূলের স্কেল
এবার এই ব্যাসার্ধ ব্যবহার করে ঘনমূলের স্কেল অংকন করতে হবে (চিত্র ২.২.১১)।
৫. চিত্রানুপাত স্কেল (চবৎংঢ়বপঃরাব ঝপধষব)ঃ বøক, অনুচিত্র, ভূমি ব্যবহারের প্রতিকী নকশা ইত্যাদি অংকনের সময়
বিষয়বস্তুকে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে ছোট বা বড় করতে হয়। একটি অপসারন বিন্দুর সাপেক্ষে রশ্মি টেনে এ ধরনের
আনুপাতিক হ্রাস বৃদ্ধি ঘটানো হয়। চিত্র ২.২.১২ তে দেখা যাচ্ছে যে, ক খ রেখাটির দৈর্ঘ গ ঘ এবং ঙ চ অবস্থানে কমে
গেলেও একই উচ্চতা প্রকাশ করছে।
৬. উলম্ব স্কেল কোন এলাকার ভৌগোলিক উপাত্তের মাধ্যমে মানচিত্র অংকন করার জন্য বর্তমানে
বিমান থেকে তোলা আকাশ চিত্র ব্যবহার করা হয়। উলম্ব
অবস্থান থেকে তোলা এ ধরনের চিত্র গুলোতে বিস্তারিত
তথ্য পাওয়া যায় বলে এর ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আকাশ চিত্রের স্কেল নির্ণয়ের জন্য মানচিত্রের স্কেল
নির্ধারনের পদ্ধতিই একটু অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়।
এই স্কেলের সাথে ক্যামেরার ফোকাল দৈর্ঘ্য এবং
বিমানের উড্ডয়ন উচ্চতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। এটি
হচ্ছে-
স্কেল =
আকাশ চিত্রের দু’টি বিন্দুর দূরত্ব
ভূমিতে ঐ দু’টি অবস্থানের দূরত্ব
=
ক্যামেরার ফোকাল দৈর্ঘ্য (ভ)
বিমানের উড্ডয়ন উচ্চতা (ঐ)
চিত্র ২.২.১৩ আকাশ চিত্রের উলম্ব স্কেল নির্ণয়ের মূলনীতি
পাঠসংক্ষেপ
ব্যবহারিক দিক ও প্রয়োগের ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে স্কেলকে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো
হচ্ছে- সরল স্কেল, তুলনামূলক স্কেল, কর্ণীয় স্কেল, ভার্নিয়ার স্কেল এবং বিশেষ ধরনের স্কেল। চার প্রকারের তুলনামূলক
স্কেল হচ্ছে- বিভিন্ন দৈর্ঘ্য এককের ত‚লনামূলক স্কেল, টাইম স্কেল, পদক্ষেপ স্কেল এবং আবর্তন স্কেল। অন্যদিকে বিভিন্ন
প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের স্কেলের মধ্যে পরিবর্তনশীল স্কেল, ঢালের স্কেল, বর্গমূলের স্কেল, ঘনমূলের স্কেল,
চিত্রানুপাত স্কেল এবং উলম্ব স্কেলের নাম উল্লেখযোগ্য।
চেইন ১০ ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ফার্লং
১. শূন্যস্থান পূরণ করুন ঃ
১.১. স্কেলকে প্রাথমিকভাবে ......... শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে।
১.২. চলমান মানুষের ......... এবং অতিক্রান্ত দূরত্বের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে।
১.৩. সৈনিকদের পদক্ষেপ বিরতি অনুযায়ী সাধারনত প্রতি পদক্ষেপের দূরত্ব ........... সে.মি ধরা হয়।
১.৪. ভার্নিয়ার স্কেল একটি ........... স্কেল।
১.৫. অক্ষাংশ পরিবর্তনের সাথে সাথে মানচিত্র ও ভূমির ......... অনুপাত পরিবর্তিত হয়।
২. সত্য হলে ‘স’ মিথ্যা হলে ‘মি’ লিখুন ঃ
২.১. পৃথিবীর মানচিত্র সমতল কাগজে অংকন করলে সরল স্কেলের মাধ্যমে সঠিক দূরত্ব পরিমাপ করা যায় না।
২.২. ঢালের পরিমান কম হলে আনুভূমিক দূরত্ব বেশী হয় এবং সমোন্নতি রেখাসমূহের পাস্পরিক দূরত্ব বৃদ্ধি পায়।
২.৩. মানচিত্রে পরিসংখ্যানিক উপাত্ত দেখানোর জন্য বিভিন্ন আনুপাতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
২.৪. আকাশ চিত্রের স্কেলের সাথে ক্যামেরার ফোকাল দৈর্ঘ্য এবং বিমানের উড্ডয়ন উচ্চতার একটি সম্পর্ক রয়েছে।
২.৫. পদক্ষেপের মাধ্যমে দূরত্ব পরিমাপ করা যায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. স্কেলের শ্রেণীবিভাগ একটি ছকের মাধ্যমে দেখান।
২. ভার্নিয়ার স্কেল সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
৩. টাইম স্কেল এর বর্ণনা দিন।
৪. পদক্ষেপ স্কেল এর বর্ণনা দিন।
৫. আবর্তন স্কেল এর বর্ণনা দিন।
রচনামূলক প্রশ্ন
১. উদাহরণসহ বিভিন্ন ধরনের তুলনামূলক স্কেলের বর্ণনা দিন।
২. উদাহরণসহ পাঁচটি বিশেষ ধরনের স্কেলের বর্ণনা দিন।
FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ