ভ‚মির অবস্থান ও মালিকানা নির্ধারণ; পূর্বে জরিপকৃত ভ‚মির সীমানা নির্ধারণ;

পৃথিবীর বুকে উত্তর রেখা সাপেক্ষে কোন বস্তুর আপেক্ষিক অবস্থান নির্ধারণের জন্য জরিপ প্রয়োজন। বিভিন্ন জরিপ পদ্ধতি
অবলম্বনে বিভিন্ন প্রকার মানচিত্র যথা মৌজা মানচিত্র, ভ‚-সংস্থানিক মানচিত্র, নগর মানচিত্র ইত্যাদি বা নকশা প্রস্তুত করা
হয়। শিকল ও ফিতা জরিপ এই ধরনের একটি জরিপ পদ্ধতি। সাধারণতঃ ভ‚মি বা জরিপ সীমানা এবং ভ‚মির মালিকানা
নির্ধারণের জন্য শিকল ও ফিতা জরিপ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ধরুন আপনার সঙ্গে আপনার প্রতিবেশীর জমির সীমানা নিয়ে
বিরোধ দেখা দিয়েছে তখন শিকল জরিপের মাধ্যমে অতি সহজে এই বিরোধ নি¯পতি করতে পারেন। অতএব এই
জরিপের ব্যবহার জানলে ভবিষ্যতে আপনি নিজের বা আপনার আত্মীয়-স্বজনের জমি সংক্রান্ত বা অনুরূপ কোন সমস্যা
দেখা দিলে তা অনায়াসে সমাধানে সক্ষম হবেন। এই জরিপ পদ্ধতি অত্যন্ত নিখুত না হলেও স্থাবর স¤পত্তি বিশেষ করে
ভ‚মি পরিমাপের বা মৌজা নকশা তৈরী করতে এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমিণগণ (ঝঁৎাবুড়ৎং) ভ‚মি পরিমাপের জন্য
শিকল জরিপ ব্যবহার করে থাকেন। জরিপ পদ্ধতিগুলির মধ্যে শিকল ও ফিতা জরিপ খুবই সাধারণ এবং ধীর পদ্ধতি।
সংজ্ঞা ঃ
শিকল ও ফিতা দ্বারা শুধুমাত্র রৈখিক পরিমাপের মাধ্যমে যে জরিপকার্য পরিচালনা করা হয় তাকে শিকল ও ফিতা জরিপ
বলে। এই জরিপের কৌণিক পরিমাপের প্রয়োজন হয় না। আবার জরিপ সামগ্রীর মধ্যে শিকল ও ফিতা মুখ্য তাই এইরূপ
নামকরণ করা হয়েছে।
গুরুত্ব ঃ
এই জরিপ পদ্ধতি সাধারণ হলেও নি¤œলিখিত বিষয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১. কোন ভ‚মি খন্ড বা বিস্তৃত ভ‚মির সীমানা স¤পর্কীয় তথ্য সংগ্রহ;
২. ভ‚মির ক্ষেত্রফল বা আয়তন নির্ণয়;
৩. কোন এলাকায় নকশা প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ;
৪. ভ‚মির অবস্থান ও মালিকানা নির্ধারণ;
৫. পূর্বে জরিপকৃত ভ‚মির সীমানা নির্ধারণ;
৬. ভ‚মি বিভক্তিকরণ;
৭. প্রয়োজনীয় কোন এলাকার ভ‚মি স¤পর্কীয় তথ্যাদি বড় স্কেলে অঙ্কন;
৮. সমতল বা ঢাল বিশিষ্ট ভ‚মির উপর দূরত্ব পরিমাপ ছাড়াও স্বল্প বিস্তৃত বাঁধামুক্ত সমতল ভ‚মির জন্য এই জরিপ পদ্ধতি
সুবিধাজনক।
অতএব, কি কি কারণে এই জরিপ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা আপনারা পেয়েছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
মূল তত্ত¡ ঃ
শিকল জরিপের মূল ধারণা হল জরিপকৃত এলাকার মধ্যে শিকলের সাহায্যে কতকগুলি ত্রিভূজ তৈরী করা অর্থাৎ স¤পূর্ণ
অবকাঠামোই ত্রিভুজের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা। কেন না আপনারা জানেন যে, ত্রিভূজ হল জ্যামিতিক সাধারণ চিত্র
যার বাহুর দৈর্ঘ্য জানা থাকলে অতি সহজেই স্কেলের মাধ্যমে সমতল কাগজের উপর সংশ্লিষ্ট এলাকার নকশা অঙ্কন সহজ
হয়। এই কারণে শিকলের সাহায্যে জরিপ করার সময় সংশ্লিষ্ট এলাকাকে কতিপয় ত্রিভূজে বিভক্ত করা হয়ে থাকে যার
বাহুগুলি পরবর্তীতে শিকলের অবস্থান নির্দেশ করবে (চিত্র ঃ ৫.৩.১)। কিন্তু উন্মুক্ত পথ গমন পদ্ধতিতে ত্রিভূজিকরণের
প্রয়োজন হয় না। ত্রিভুজের সংখ্যা ও প্রকৃত অবস্থান এলাকার পরিস্থিতি ও পরিবেশের উপর নির্ভর করবে। ত্রিভূজগুলি
পারতপক্ষে সমদ্বিবাহু হলে অঙ্কন ও হিসাবের সুবিধা হয়। কম সংখ্যক ত্রিভূজ মঙ্গলকর।
চিত্র ঃ ৫.৩.১ ঃ শিকল ত্রিভূজিকরণ
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঃ
শিকল ও ফিতা জরিপ পরিচালনার জন্য নি¤œলিখিত যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়।
১. শিকল
২. ফিতা
৩. রেনজিং রড বা পোল ;
৪. অফসেট ষ্টাফ
৫. ট্রাফ ক¤পাস
৬. ক্রস ষ্টাফ অথবা অফটিক্যাল স্কোয়ার
৭. এ্যারো বা পিন
৮. কাঠের খুঁটি
এছাড়াও মাঠে সংগৃহীত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করার জন্য একটি ফিল্ড বহি (ঋরবষফ ইড়ড়শ), সূ² পেন্সিল, রবার এবং
অঙ্কনের জন্য অন্যান্য যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। আসুন আমরা যন্ত্রপাতির সাথে পরিচিত হই।
শিকল (
দূরত্ব পরিমাপক যন্ত্র যা খন্ড খন্ড শক্ত ই¯পাতের তার দিয়ে তৈরী (চিত্র ঃ ৫.৩.২) শিকলের উভয় প্রান্তে ধরার জন্য
ত্রিকোণী হাতল থাকে যেন দুই প্রান্ত হতে টেনে প্রয়োজন মত শিকলকে সমতল ভ‚মির উপর সোজা করে বিছানো যায়।
চিত্র ঃ ৫.৩.২ঃ ইঞ্জিনিয়ারিং শিকল
শিকলের খন্ড খন্ড অংশকে লিংক (ষরহশ) বলে। ই¯পাতের আংটি বা বালা দিয়ে একটি শলাকা অপর একটি শলাকার
সাথে যুক্ত থাকে। প্রতি খন্ডের উভয় দিকে তিনটি করে বালা বা আংটি থাকে। মধ্য আংটির মধ্য বিন্দু হতে অপর প্রান্তে
আর একটি মধ্য আংটির মধ্য বিন্দু পর্যন্ত ১ লিংক (চিত্র ঃ ৫.৩.২)। যাইহোক, জরিপকার্য পরিচালনার জন্য পাঁচ ধরনের
শিকল ব্যবহৃত হয়। যথা- ইঞ্জিনিয়ার এর শিকল, গান্টার এর শিকল, মিটার শিকল, রাজস্ব শিকল এবং ই¯পাত বন্ধনী
শিকল। নি¤েœ প্রত্যেকটির বিবরণ দেওয়া হল।
ইঞ্জিনিয়ারের শিকল
বিভিন্ন দৈর্ঘ্যরে শিকল ব্যবহৃত হলেও ভ‚গোলবিদ ও প্রকৌশলীগণ শত ফুট বা শত লিংকে ইঞ্জিনিয়ারিং শিকল ব্যবহার করে
থাকেন। এই শিকল ১০০ ফুট লম্বা ও ১০০ লিংকে বিভক্ত অর্থাৎ ১ লিংক = ১ ফুট। শিকলের এক প্রান্ত হতে দূরত্ব
পরিমাপের জন্য প্রতি ১০ লিংক অন্তর অন্তর দাঁত বিশিষ্ট ধাতব ফলক থাকে যাকে ট্যাগ (ঞধম) বা টেলার (ঞবষষবৎ)
বলে। ১ দাঁত বিশিষ্ট ফলক ১০ লিংক, ২ দাঁত ২০ লিংক, ৩ দাঁত ৩০ লিংক ৪ দাঁত ৪০ লিংক নির্দেশ করে। কিন্তু ৫০
লিংক ফলকটি লকেটের মত গোলাকার (চিত্র- ৫.৩.২)। শিকলের ৫০ লিংক এর পর হতে পর্যায়ক্রমে আবার ৪০, ৩০,
২০ এবং ১০ লিংকের ফলক থাকে যেন শিকলের উভয় প্রান্ত হতে দূরত্ব পরিমাপ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে
পারে যে, শিকলের এক প্রান্তে ১০ লিংক হলে অন্য প্রান্ত হতে দূরত্ব হবে ৯০ লিংক। শিকলের উভয় প্রান্ত হতে দূরত্ব
পরিমাপের সুবিধার্থে শিকলের মধ্যস্থল হতে অর্থাৎ ৫০ লিংক হতে ফলকের মান ১০ লিংক করে কমান হয়েছে।
গান্টার এর শিকল
আবিষ্কারক গ্যান্টার এর নামানুসারে এই শিকলের নাম গান্টার এর শিকল। এই শিকল ২২ গজ বা ৬৬ ফুট লম্বা এবং
১০০ লিংকে বিভক্ত অর্থাৎ ১ লিংক = ০.৬৬ ফুট বা ৭.৯২ ইঞ্চি। জমি-জমা বা বিষয় স¤পত্তি একর ও শতকে এবং
রেখিক দৈর্ঘ্য মাইল ও ফার্লং এব পরিমাপের জন্য এই শিকল বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কেন না প্রচলিত এককের
(টহরঃ) সাথে এই শিকলের একটা স¤পর্ক আছে। এই জন্য আমিণগণ (ঝঁৎাবুড়ৎং) এই শিকল বেশী ব্যবহার করেন।
সুতরাং ১ ইঞ্জিনিয়ার শিকল = ১.৫১৫১ গান্টার শিকল (১.৫১৫দ্ধ৬৬′)।
মিটার শিকল (গবঃবৎ ঈযধরহ) ঃ
মিটার শিকলের দৈর্ঘ্য ৫, ১০, ২০ এবং ৩০ মিটার হয়ে থাকে। তবে সচরাচর ব্যবহৃত মিটার শিকলের দৈর্ঘ্য ২০ মিটার
(চিত্র ঃ ৫.৩.৩) হয়। প্রতি ৫ মিটার অন্তর অন্তর পিতলের ফলক আটকানো আছে যার মাধ্যমে আমরা দূরত্ব গণনা করতে
পারি।
চিত্র ঃ ৫.৩.৩ ঃ মিটার শিকল
শিকলের প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে ফলকের স্থান বাদে একটি করে পিতলের আংটি আটকানো থাকে। শিকলের হাতলে শিকলের
দৈর্ঘ্য খোদাই করে লেখা থাকে। ফলকে ৫ মিঃ, ১০ মিঃ, ১৫ মিঃ ইত্যাদি দূরত্ব ¯পষ্ট করে লেখা থাকে।
রাজস্ব শিকল
এই শিকল ৩৩ ফুট লম্বা এবং ১৬ লিংকে বিভক্ত। ১ লিংক =
১৬

২ ফুট = ২.০৬ ফুট। এই শিকল সাধারণতঃ মৌজা
মানচিত্র প্রস্তুত করতে জমি পরিমাপ করা হয়। ছোট বলে বহনে সুবিধা।
ই¯পাত বন্ধনী শিকল
১২ মিমিঃ থেকে ১৬ মিমিঃ এমনকি এর থেকেও কম প্রস্থ ই¯পাতের তৈরী ফিতা ই¯পাত বেড়ীর মধ্যে জড়ান থাকে (চিত্র
ঃ ৫.৩.৪) এবং সঠিক দৈর্ঘ্য পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই শিকল সাধারণতঃ ২০ মিটার হতে ৩০ মিটার পর্যন্ত
লম্বা হয়।
চিত্র ঃ ৫.৩.৪ ঃ ইস্পাত বন্ধনী শিকল
২০ সেঃ মিঃ অন্তর অন্তর দাগ কাটা এবং প্রতি মিটারে দূরত্ব সংখ্যায় লেখা থাকে। অন্যান্য শিকল সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য
দৈর্ঘ্য বেড়ে যায় বা লিংকগুলো বাঁকা হলে দৈর্ঘ্য কমে যায় যার কারণে উল্লেখিত শিকলগুলো ব্যবহারের পূর্বে দৈর্ঘ্য যাচাই করে
নিতে হয়। কিন্তু ই¯পাত শিকলে এ ধরনের সম্ভাবনা কম। ফলে নির্ভুলতার সাথে দূরত্ব পরিমাপ সম্ভব (
সার্বক্ষণিক ব্যবহারের ফলে শিকলের দৈর্ঘ্যরে পরিবর্তন হতে পারে যেমন লিংকগুলো বাঁকা হলে দৈর্ঘ্য কমে যাবে আবার
শিকলের আংটি বা বালাগুলোর মুখ টানাটানির কারণে খুলে গেলে শিকলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে। এমতাবস্থায়, শিকল
ব্যবহারের পূর্বে সঠিক পরিমাপ পাবার লক্ষ্যে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বনে ইস্পাত শিকলের সাহায্যে দৈর্ঘ্য যাচাই করা
প্রয়োজন। সমতল ভ‚মিতে শিকলটি সোজা করে পাতুন এবং শিকলের উভয় প্রান্তে এ্যারো বা পিন দিয়ে আটকিয়ে রাখুন।
এই শিকলের পার্শ্বে আর একটি স্ট্যান্ডার্ড শিকল বা ই¯পাত ফিতা পাতুন। এই শিকলের সাথে দৈর্ঘ্য মিলিয়ে নিন। যদি
পরিক্ষিত শিকলটি প্রকৃত দৈর্ঘ্যরে চেয়ে বড় হয় তাহলে নি¤œ পদ্ধতিতে সংশোধন করুন।
১. শিকলের আংটি বা বালার মুখ খোলা থাকলে চাপ দিয়ে মুখগুলো বন্ধ করুন;
২. স¤প্রসারিত আংটি বা বালাগুলিকে ঠিক অবস্থানে আনুন;
৩. প্রয়োজন হলে ২/১টি আংটি বা বালা খুলে ফেলুন;
৪. ক্ষয় প্রাপ্ত আংটি থাকলে তা পরিবর্তন করুন;
৫. লিংক প্রান্তের বাঁকগুলো প্রয়োজনে ঠিক করুন;
যদি পরীক্ষিত শিকলটি দৈর্ঘ্যরে তুলনায় কম হয় তাহলে নি¤œ পদ্ধতিতে সংশোধন করুন ঃ
১. লিংকগুলো বাঁকা থাকলে পিটিয়ে সোজা করুন;
২. শিকলের আংটি বা বালাগুলোকে ঠিক অবস্থানে আনুন;
৩. ২/১টি আংটি প্রয়োজন হলে বড় আংটি বা বালা দিয়ে পরিবর্তন করুন;
৪. প্রয়োজনে ২/১টি আংটি বা বালা সংযোগ করুন;
৫. লিংক প্রান্তের বাঁকগুলি প্রয়োজনে ঠিক করুন।
যাহোক, শিকল সংশোধনের পর ব্যবহার করা উচিৎ নতুবা সঠিক তথ্য বা পরিমাপ পাওয়া যাবে না। সংশোধনের
সহনশীলতার মাত্রা) নি¤œরূপ ঃ
২০ মিটার শিকলের জন্য ক্ট ৫ মিঃ মিঃ
৩০ মিটার শিকলের জন্য ক্ট ৮ মিঃ মিঃ
অর্থাৎ ২০ মিটার ও ৩০ মিটার শিকলের জন্য প্রকৃত দৈর্ঘ্যরে চেয়ে যথাক্রমে ৫ মিঃ মিঃ এবং ৮ মিঃ মিঃ কম বেশী হতে
পারে। এই মাত্রা গ্রহণযোগ্য।
শিকল ও ফিতা জরিপ-২
এ পাঠ শেষে আপনি-
◆ বিভিন্ন প্রকার ফিতা এবং
◆ জরিপ কার্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ফিতা
রৈখিক পরিমাপের জন্য সচরাচর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। জরিপ কার্যে সাধারণতঃ দুই প্রকারের ফিতা ব্যবহৃত হয়। যথা১) ধাতব ফিতা
২) ই¯পাত ফিতা
ধাতব ফিতা ঃ
কাপড়ের সুতা ও ধাতব জাতীয় সরু তারের সংমিশ্রনে এই ফিতা তৈরী হয়। এই ফিতা সাধারণতঃ ৩০ মিঃ (১০০′), ১৫
মিঃ (৫০′) দৈর্ঘ্যরে হয়। ফিতাটি একটি গোলাকার চামড়ার বামে জড়ানো থাকে (চিত্র ঃ ৫.৪.১)। এই ফিতা হাল্কা এবং
বহনে সুবিধা ফলে জরিপের কাজে এই ফিতা ব্যবহার করা হয়। এই ফিতার এক দিকে ফুট এবং অপরদিকে মিটার একক
চিহ্নিত করা থাকে। উত্তাপে আবহাওয়ার প্রভাবে এই ফিতা খুব একটা বাড়ে বা কমে না। ফলে এই ফিতা ব্যবহারে সঠিক
পরিমাপ পাওয়া যায়।

চিত্র ঃ ৫.৪.১ঃ ধাতব ফিতা
ই¯পাত ফিতা ঃ
স¤পূর্ণভাবে ই¯পাতের তৈরী। ই¯পাত ফিতা সাধারণতঃ ২, ১০, ২০, ৩০ এবং ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে হয়ে থাকে।
আবহাওয়ার প্রভাবে এই ফিতা স¤প্রসারিত ও সঙ্কুচিত হলেও ঠিক পরিমাপ পাওয়া সম্ভব কেন না স¤প্রসারণ ও সঙ্কোচন
খুবই নগণ্য। ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরী এই ফিতা ষ্টীল খাপের মধ্যে গচিছত থাকে (চিত্র ঃ ৫.৪.২)।
চিত্রঃ ৫.৪.২ঃ ইস্পাত ফিতা
স্বল্প দৈর্ঘ্যরে জন্য এই ফিতা ব্যবহার উপযোগী। খুব সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হয়।
রেনজিং রড বা পোল (জধহমরহম জড়ফ ড়ৎ চড়ষব) ঃ
সাধারণতঃ কাঠ বা ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরী ২ অথবা ৩ মিটার লম্বা একটি সরল দন্ড। এই দন্ডটি পোল নামেও পরিচিত
(চিত্র ঃ ৫.৪.৩)। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ২ মিটার দন্ডই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই পোলের এক প্রান্তে লোহার তৈরী সুচাগ্র
বিশিষ্ট খাপ লাগানো থাকে। দূর হতে দেখা ও কোন বস্তুকে সনাক্ত করার সুবিধার্থে দন্ডগুলো ৩০ সেঃ মিঃ অন্তর অন্তর
পর্যায়ক্রমে সাদা-কালো বা লাল-সাদা বা লাল-কালো রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। জরিপ কার্যে ষ্টেশন চিহ্নিত, দূরের
বস্তু দৃষ্টিগোচরে আনা, শিকল রেখা সোজা করে স্থাপন বা কখনও কখনও স্বল্প দূরত্ব পরিমাপের জন্য এই পোল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
চিত্র ঃ ৫.৪.৩ঃ রেনজিং রড বা পোল
অফসেট ষ্টাফ
৩ মিটার লম্বা গোলাকার বা ষড়ভ‚জাকৃতি কাঠের দন্ড। প্রতি ৩০ সেঃ মিঃ অন্তর অন্তর পর্যায়ক্রমে সাদা-কালো, লাল-সাদা
বা লাল-কালো রং দিয়ে রঞ্জিত। এই দন্ডের এক প্রান্তে একটি তী² লৌহ ফলক আটকানো থাকে (চিত্র ঃ ৫.৪.৩) বন
জঙ্গলে বা প্রতিক‚ল স্থানের মধ্যে দিয়ে শিকল টেনে নেবার সুবিধার্থে এই দন্ডের মধ্যখানে একটি আঁকশী (যড়ড়শ) যুক্ত
করা থাকে। উপরন্ত, স্বল্প দূরত্ব পরিমাপের কাজেও এটি ব্যবহৃত হয়।
ট্রাফ ক¤পাস
চুম্বক উত্তর নির্ণয়ের জন্য জরিপকার্যে ব্যবহৃত হয়। এই যন্ত্রটি একটি আয়তাকার ই¯পাত বাক্স যার মধ্যে চুম্বক শলাকা
মধ্যখানে একটি ই¯পাত পিনের উপর অবস্থান করে (চিত্র ঃ ৫.৪.৪) এবং মুক্তভাবে বামে ও ডানে ঘোরে। এই চুম্বক
শলাকার উত্তর দিক নির্দেশক প্রান্তটি বুঝবার সুবিধার্থে একটি সরু পাতলা ই¯পাত মোড়কে ঢাকা অথবা ‘ঘ’ অক্ষর শব্দটি
লেখা থাকে। এই ক¤পাস বাক্সের উভয় প্রান্তে মধ্য রেখা হতে উভয় দিকে ৫০
পর্যন্ত একটি স্কেল আছে। বাক্সটি কাঁচ দিয়ে
ঢাকা।
চিত্র ঃ ৫.৪.৪ঃ ট্রাফ কম্পাস
ক্রস ষ্টাফ
শিকল রেখা হতে কোন বস্তুর সমকৌণিক অবস্থান নির্ণয়ে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। ক্রস ষ্টাফ বহু ধরনের হয়ে থাকে
তন্মধ্যে মুক্ত ক্রস্ ষ্টাফ ) ব্যবহার সুবিধাজনক (চিত্র ঃ ৫.৪.৫)। ১০ সেঃ মিঃ থেকে ১৫ সেঃ মিঃ
দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট্য দুইটি ই¯পাত আড়াআড়িভাবে একে অপরের সাথে সমকোণে একটি ছোট কাঠের দন্ডের উপর স্থাপিত যেটি
আবার প্রয়োজনে মাটিতে খাড়া করে রাখা আর একটি দন্ডের উপর বসান যায়। পাতের উভয় প্রান্তে খাড়া আরো ২টি করে
৪টি পাত আটকানো আছে যার মধ্যস্থানে আই (ও) অক্ষরের ন্যায় লম্বালম্বিভাবে সংকীর্ণ চিড় (ঝষরঃ) আছে যার কারণে
একটি দৃষ্টি রেখা আর একটি দৃষ্টি রেখার সাথে সমকোণে অবস্থিত। একটি দৃষ্টিপাত শিকল রেখা বরাবর রেখে অন্য
পাতের বিপরীতমুখী চিড়ের সাথে কোন বস্তু একই রেখায় অবস্থান নিলে ঐ বস্তু শিকল রেখার সাথে সমকোণে অবস্থিত হবে।
চিত্র ঃ ৫.৪.৫ঃ ক্রস ষ্টফ চিত্র ঃ ৫.৪.৬ঃ অপটিক্যাল স্কয়ার
অপটিক্যাল স্কয়ার (
ক্রস ষ্টাফের তুলনায় এটি ব্যবহারে বেশী সুবিধাজনক এবং নির্ভুল ফলাফল নির্ণয়ে সক্ষম। শিকল রেখার সাথে বস্তুর
সমকৌণিক অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জরিপকারকগণ সচরাচর এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে থাকেন। এটি একটি ধাতব তিন
কোণা বা গোলাকার বাক্স যার একদিক খোলা এবং অন্য দুই পার্শে¦র পাতে যথাক্রমে ৩ সেমিঃ ও ৫ সেমিঃ চওড়া বিশিষ্ট
দুইটি আয়না ৪৫০
কোণে লাগান এবং স¤পূর্ণ বাক্সটি একটি ধাতব হাতলের উপর বসান (চিত্র ঃ ৫.৪.৬) এবং আয়নার
উপরে কিছু অংশ খোলা থাকে যার মধ্য দিয়ে দৃষ্টি দেওয়া যায়।

চিত্র ঃ ৫.৪.৭ঃ অপসেট পরিমাপ পদ্ধতি
যে বস্তুর অফসেট পরিমাপ করতে হবে সেই বস্তুর (ক) উপর একটি পোল খাড়া রাখুন। আয়নার উপর খোলা অংশ দিয়ে
শিকল বরাবর অপর প্রান্তে রাখা পোলের (খ) উপর দৃষ্টি রাখুন। এখন আয়নার মধ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে অন্য আয়নাটিকে
বস্তুর (ক) দিকে ফিরান এবং শিকলের উপর দিয়ে ধীরে ধীরে পিছনে ও সম্মুখে হাঁটতে থাকুন। কোন এক পর্যায়ে বস্তু (ক)
ও শিকলের উপর রাখা পোল (খ) এক উলম্ব রেখায় অবস্থান নিবে (চিত্র ঃ ৫.৪.৭)। ঠিক তখনই শিকলের উপর আপনার
অবস্থানই হবে বস্তুর সমকৌণিক অবস্থান। শিকলের উপর অবস্থিত এই বিন্দু ও বস্তুর মধ্যে দূরত্বই হবে অফসেট।
এ্যারো বা পিন ঃ
৪০০ মিঃ মিঃ দৈর্ঘ্য ও ৪ মিঃ মিঃ ব্যাস বিশিষ্ট লৌহ বা ই¯পাতের তৈরী দন্ড এ্যারো বা পিন নামে পরিচিত। এই পিনের
দন্ড এক প্রান্ত সুচালো ও অপর প্রান্তটি ধরা বা বহনের সুবিধার্থে ৫০ মিঃ মিঃ ব্যাসের আংটি করা (চিত্র ঃ ৫.৪.৮)।
পিনগুলি সাধারণতঃ কালো রং দিয়ে রঞ্জিত থাকে। তবে রং ছাড়াও পাওয়া যায়। দূর হতে দেখার জন্য প্রতিটি পিনের
মাথায় সাদা বা লাল রং এর আঠালো টেপ দিয়ে জড়িয়ে দিতে হবে। শিকলকে সমভ‚মিতে সোজা করে আটকাতে, দীর্ঘ
রেখা শিকল দিয়ে পরিমাপের সময় দূরত্ব গণনায়, ভ‚মিতে কোন ছোট বস্তুকে দৃষ্টিগোচরে আনা ইত্যাদি কাজে পিনের ব্যবহার হয়ে থাকে।

চিত্র ঃ ৫.৪.৮ঃ এ্যারো বা পিন চিত্র ঃ ৫.৪.৯: কাঠের খুঁটি
কাঠের খুঁটি ঃ
জরিপকার্য পরিচালনার সময় জরিপকারক মাঠে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বস্তুর দূরত্ব ও অবস্থান স্থাপন করে পরবর্তীতে এইসব
বস্তুর অবস্থান প্রয়োজন হতে পারে মনে করে জরিপকারক ঐ সব চিহ্নিত স্থানে কাঠের খুঁটি (চিত্র ঃ ৫.৪.৯) স্থাপন করেন।
এ ছাড়াও অনেক সময় জরিপ ষ্টেশনও কাঠের খুঁটি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়।
ফিল্ড বুক ঃ
উল্লেখিত যন্ত্রপাতি ছাড়াও জরিপ পরিচালনাকালে সংগৃহীত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করার জন্য ফিল্ড বহির (ঋরবষফ ইড়ড়শ)
প্রয়োজন। যে বহিতে শিকল ও অফসেটের পরিমাপ একটি বিশেষ রীতি অনুসরণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে ফিল্ড বুক/
বহি বলে। এই বহিতে খুব সাবধানতার সাথে পরিমাপগুলো তুলতে হবে, তা না হলে এইসব তথ্যনির্ভর মানচিত্র বা নকশা
ভুল হবে বা ঠিক হবে না। ২০ সেঃ মিঃ দ্ধ ১২ সেঃ মিঃ পরিমাপের আয়তাকার একটি বহি। এটি লম্বালম্বি খোলে। প্রতি
পৃষ্ঠার মধ্যখানে ২টি নীল বা লাল রং এর রেখা লম্বালম্বিভাবে আঁকা থাকে। এই রেখাদ্বয়ের মধ্যে শিকল দূরত্ব এবং
শিকলের বামে ও ডানে অবস্থিত বস্তুর অফসেট দূরত্ব পর্যায়ক্রমে রেখাদ্বয়ের বামে ও ডানে লিখতে হয় (চিত্র ঃ ৫.৪.১০)।
চিত্র ঃ ৫.৪.১০ঃ ফিল্ড বুক
একটি শিকল রেখার তথ্য একটি পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। ধরুন যদি ৪টি শিকল রেখা থাকে তাহলে জরিপকার্য প্রতি
শিকলের জন্য ১ পৃষ্ঠা হিসাবে ৪ পৃষ্ঠায় শেষ হবে। অর্থাৎ কোন ক্রমেই এক শিকল রেখার পরিমাপ ২য় পৃষ্ঠায় লেখা যাবে
না। প্রতি পৃষ্ঠার নীচের দিক হতে শিকল রেখা শুরু হয়ে উপরের দিকে শেষ হবে।
জরিপকার্য শুরু করার পূর্বে ফিল্ড বহিতে নি¤œলিখিত তথ্যাদি সন্নিবেশিত করতে হবে ঃ
১. জরিপকার্য শুরু করার তারিখ ও সময়;
২. জরিপকৃত এলাকার নাম ও ঠিকানা;
৩. জরিপকারক বা দলীয় নেতার নামসহ অন্যান্য সদস্যের নাম;
৪. আবহাওয়া;
৫. জরিপকার্য শুরু করার সময়;
৬. জরিপকার্য শেষ করার সময়;
৭. জরিপকারকের স্বাক্ষর।
জরিপকালে প্রাপ্ত তথ্যাদি ফিল্ড বহিতে লিপিবদ্ধ করার সময় নি¤œলিখিত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে।
১. প্রতি শিকল রেখার তথ্যাদি প্রতি পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করতে হবে;
২. প্রাপ্ত তথ্যাদি সঙ্গে সঙ্গে অতি সাবধানতা এবং বিচক্ষণতার সাথে পরিষ্কার ও ¯পষ্ট ভাষায় লিখতে হবে যেন নকশা
অঙ্কনের সময় কোন অসুবিধা বা ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়;
৩. কোন বস্তুর অবস্থান বা তার পরিচিতি লিখে রাখতে হবে যেন ভবিষ্যতে বস্তুর পরিচয় পাওয়া যায়;
৪. নোট বা ফিল্ড বহিতে যে স্কেচ আঁকা হবে তা যেন পরিস্কার ও ¯পষ্ট হয়। নকশার জন্য যদি কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন
হয় তাও লিখে রাখতে হবে এবং
৫. ফিল্ড বইয়ে তথ্যাদি পেন্সিল দিয়ে তুলতে হবে। কালি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
শিকল ও ফিতা জরিপ-৩ঃ পরিচালনা পদ্ধতি
এ পাঠ শেষে আপনি-
◆ শিকল ও ফিতা জরিপ পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শিকল ও ফিতা জরিপ পরিচালনা পদ্ধতি (চৎড়পবফঁৎব ঃড় পড়হফঁপঃ ঈযধরহ ধহফ ঞধঢ়ব ঝঁৎাবু)ঃ
শিকল ও ফিতা জরিপ বহুলাংশে জরিপকারকের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, বিচক্ষণতা, পারদর্শিতার উপর নির্ভর করলেও সুষ্ঠু ও
নির্ভুল ফলাফলের জন্য নি¤œলিখিত রীতিনীতির মধ্যে পরিচালনা করা হয়।
ক) পর্যবেক্ষণ জরিপ
খ) জরিপ ষ্টেশন নির্ধারণ
গ) ত্রিভূজ নির্দিষ্ট করণ
ঘ) শিকল বা ভ‚মি রেখা নির্বাচন
পর্যবেক্ষণ জরিপ ঃ
যে কোন জরিপকার্য পরিচালনার পূর্বে মূল তত্ত¡ হিসেবে এলাকা পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করা হয় যাকে আমরা প্রাথমিক
জরিপ বলতে পারি। এ ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। জরিপের প্রথম পদক্ষেপেই হল পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ জরিপ। এই
জরিপের মূল উদ্দেশ্য হল কোথায় কিভাবে জরিপ ষ্টেশন স্থাপন করতে হবে, কিভাবে শিকল দিয়ে ত্রিভূজ স্থাপন করলে
অফসেটগুলি শিকল রেখা হতে স্বল্প দূরত্বে থাকবে, কোথায় শিকল বা ভ‚মি রেখা স্থাপন করলে সুবিধা হবে, জরিপ ষ্টেশন
নির্বাচনের সময় পরিদৃশ্যমানতার দিকে নজর রাখা, কি কি সমস্যার উদ্ভব হতে পারে এবং তা দূরীকরণের উপায় ইত্যাদি
স¤পর্কে চিন্তা ভাবনা করে সুষ্ঠুভাবে শিকল জরিপকার্য পরিচালনা করা। সুতরাং জরিপকারক পায়ে হেঁটে অঞ্চলটি ঘুরে
উল্লেখিত বিষয়গুলি দেখবেন ও এ স¤পর্কে চিন্তা ভাবনা করবেন। পর্যবেক্ষণকালে তিনি স¤পূর্ণ এলাকা স¤পর্কে সম্যক
ধারণা অর্জন করবেন এবং নোট বইয়ে এলাকার একটি খসড়া নকশা অঙ্কন করবেন যা পরবর্তীতে জরিপকার্যে সহায়ক
হবে। অতএব, পর্যবেক্ষণ জরিপই হল যে কোন জরিপের ভিত্তি, যার উপর নির্ভর করে স¤পূর্ণ জরিপকার্যের অবকাঠামো বা
পরিকল্পনা (চষধহ) বা নকশা তৈরী করা হয়। তাহলে এই আলোচনা হতে জানতে পারলেন যে, নির্ভুল, নিখুঁত ও সুষ্ঠু
জরিপের জন্য প্রাথমিক বা পর্যবেক্ষণ জরিপ একান্ত প্রয়োজন।
জরিপ ষ্টেশন নির্ধারণ
পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের পর গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সাধারণ জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি দিয়ে জরিপ ষ্টেশন নির্ধারণ
করা। শিকল রেখার উভয় প্রান্তের বিন্দুকে জরিপ ষ্টেশন বলে। আবার জরিপ ষ্টেশনদ্বয় সংযোগ করলে শিকল রেখা পাওয়া
যায়। জরিপ ষ্টেশন নির্বাচনকালে নি¤œলিখিত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি রাখা একান্ত প্রয়োজন।
১. প্রাথমিক পর্যায়ে শিকল রেখা স্থাপনের জন্য জরিপ ষ্টেশন কোথায় কোথায় স্থাপন করলে জরিপের সুবিধা হবে সেই
বিন্দুগুলি ভ‚মিতে কাঠের খুঁটি দিয়ে চিহ্নিত করুন যেন পারস্পরিক দৃশ্যমানতা বজায় থাকে। শিকল রেখা স্থাপনে এবং
অফসেট পরিমাপে কোন অসুবিধার সৃষ্টি না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রত্যেকটি ষ্টেশন ক, খ, গ, ঘ ইত্যাদি
অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
২. যদি কোন কারণে জরিপ ষ্টেশনগুলো দীর্ঘ দিনের জন্য ব্যবহার করতে হয় তাহলে স্থায়ীভাবে চিহ্নিত করে রাখতে
হবে, সম্ভব হলে দুই বা ততোধিক স্থায়ী বস্তুর সাপেক্ষে নির্বাচন করতে হবে (চিত্রঃ ৫.৫.১) যেন ভবিষ্যতে এগুলো
চিহ্নিত করতে কোন অসুবিধা না হয় এবং ভবিষ্যতে অসুবিধা এড়ানোর জন্য মোট বইয়ে নকশা অঙ্কন করে রাখতে হবে।

চিত্র ঃ ৫.৫.১ঃ খুঁটি নির্দিষ্টকরণ
ত্রিভূজ নির্দিষ্টকরণ
আমরা ইতিপূর্বে জেনেছি যে, শিকল জরিপের মূল ধারণা হল জরিপ এলাকাকে কতকগুলি ত্রিভূজে ভাগ করা। অতএব এই
ধারণাকে মনে রেখে ভ‚মিতে খুঁটি পুঁতে কতিপয় ত্রিভ‚জ তৈরী করতে হবে (চিত্রঃ ৫.৫.২)। ত্রিভূজের বাহুগুলি হবে শিকল
রেখা, শিকল রেখার উভয় প্রান্তে অবস্থিত বিন্দু হবে জরিপ ষ্টেশন বা মূল ষ্টেশন। চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে- ক, খ, গ, ঘ এবং
ঙ জরিপ বা মূল ষ্টেশন এবং শিকল রেখার উপর নির্দিষ্ট কোন বিন্দুকে উপ-ষ্টেশন বা টাই ষ্টেশন বলে। চ, ছ, জ, ঝ হল
উপ বা টাই ষ্টেশন। আবার উপ-ষ্টেশন বা টাই ষ্টেশনকে মুক্ত করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে টাই বা বন্ধনী রেখা (ঞরব
ষরহব) বলে। যেমন- ছজ, জঝ হল টাই রেখা। দুই মূল ষ্টেশন বা জরিপ ষ্টেশনকে যুক্ত করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে
শিকল রেখা বলে। যথা- কখ, খগ, গঘ, ঘক এবং গঙ হল শিকল রেখা। এই সব শিকল রেখার মধ্যে বড়
শিকল রেখাকে ভ‚মি রেখা ) বলে। কগ হল ভ‚মি রেখা। সাধারণতঃ অক্ষ দিয়ে মূল ষ্টেশন ও উপ-ষ্টেশনগুলি
চিহ্নিত করতে হবে। শিকল রেখা বলতে কি বুঝায় সে সম্পর্কে আমরা জানলাম। শিকল ও ফিতা জরিপের শিকল রেখা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা সম্পূর্ণ জরিপকার্যকে শিকল রেখা নিয়ন্ত্রণ করে। অতএব, শিকল রেখা নির্বাচনে নি¤œলিখিত
বিষয়গুলি আমাদের বিবেচনা করতে হবে।৮
চিত্র ঃ ৫.৫.২ঃ ত্রিভূজ নির্দিষ্টকরণ
১। শিকল রেখার প্রাণ কেন্দ্র হল জরিপ ষ্টেশন। সুতরাং জরিপ ষ্টেশনগুলি যেন পারস্পরিক দৃশ্য হয় এবং একটি ষ্টেশন
হতে যেন ন্যুনতম দুইটি ষ্টেশন দেখা যায়;
২। শিকল রেখা সব সময় প্রতিবন্ধক এড়িয়ে যেন সমতল ভ‚মির উপর স্থাপন করা হয়;
৩। জরিপকৃত এলাকায় যত কম শিকল রেখা স্থাপন করা যায় ততই মঙ্গল কেন না এতে জরিপের সময় কম লাগবে এবং
নকশা অঙ্কনেও সুবিধা হবে;
৪। জরিপকৃত এলাকায় স্থাপিত ত্রিভ‚জের যেন পরিমাণমত পরীক্ষণ রেখা থাকে;
৫। শিকল রেখার ভিতরে ও বাইরে বিস্তারিত পরিমাপ এবং দূরবর্তী অফসেট গ্রহণের সুবিধার্থে কিছু সংখ্যক টাই বা
অতিরিক্ত রেখা থাকা বাঞ্চনীয়;
৬। শিকল রেখা এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে যেন তারা সুন্দর ও সুষম ত্রিভ‚জ তৈরী করে। তবে সমদ্বিবাহু ত্রিভূজ হলে
ভাল;
৭। অফসেটগুলি যেন শিকল রেখার কাছাকাছি হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে শিকল রেখা স্থাপন করতে হবে;
৮। সাধারণতঃ শিকল রেখা যেন জরিপকৃত এলাকার সীমানার কাছাকাছি এবং যতদুর সম্ভব রাস্তা, দালান ইত্যাদির
সমান্তরাল হয় এবং
৯। শিকল রেখা যেন খুব দীর্ঘ না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
ভ‚মি রেখা নির্বাচন
শিকল রেখা স্থাপনের সাথে সাথে ভ‚মি রেখা স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে। শিকল রেখার মধ্যে দীর্ঘ রেখাই হল ভ‚মি
রেখা (চিত্রঃ ৫.৫.২)। ত্রিকোণমিতি জরিপে ) ভ‚মি রেখার ব্যবহার বেশী এবং সেই
ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু শিকল জরিপে খুব একটা ব্যবহৃত হয় না। তবুও নকশা অংকনে এই রেখা সাহায্য
করে থাকে।
যাই হোক জরিপ ষ্টেশন, শিকল ও ভ‚মি রেখা, টাই বা পরীক্ষণ রেখা স্থাপনের পর অফসেট পরিমাপের মাধ্যমে শিকল ও
ফিতা জরিপ সম্পন্ন হবে। আমরা জানি যে শিকল হতে কোন বস্তুর সমকৌণিক দূরত্ব হল অফসেট। শিকল রেখা বরাবর
পর্যায়ক্রমে শিকল দূরত্ব ও অফসেট পরিমাপ করতে হবে। অফসেট পরিমাপের মাধ্যমে জরিপকার্য পরিপূর্ণতা অর্জন
করবে। গুরুত্বপূর্ণ অফসেট যেন বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যতগুলি অফসেট প্রয়োজন সবগুলি পরিমাপ
বাঞ্চনীয়। অফসেট পরিমাপে নি¤œলিখিত রীতিনীতি অনুসরণ করতে হবে।
অফসেট দুই প্রকার যথা১. সমকৌণিক অফসেট
২. তির্যক অফসেট।
১. সমকৌণিক অফসেট ঃ যে বস্তু শিকল রেখার সাথে সমকোণে অবস্থান করে তাকে সমকৌণিক অফসেট বলে (চিত্রঃ
৫.৫.৩)। শিকল জরিপে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সমকৌণিক অফসেট পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
চিত্র ঃ ৫.৫.৩ঃ সমকৌণিক অফসেট
২. তির্যক অফসেট ঃ যে বস্তুর সমকৌণিক অবস্থান নির্ণয় করা হয় না তাকে তির্যক অফসেট বলে (চিত্রঃ ৫.৫.৩)।
সমকৌণিক অফসেট পরিমাপে যন্ত্র বা ফিতার প্রয়োজন হয় কিন্তু তির্যক অফসেট পরিমাপে ফিতা ছাড়া অন্য কোন
যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না।
যান্ত্রিক পদ্ধতি অর্থাৎ ক্রস স্টাফ বা অপটিক্যাল স্কয়ার ব্যবহার করে যে কোন বস্তুর সমকৌণিক অবস্থান নির্ণয় করা যায়
(পূর্বে পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে) অথবা ফিতার সাহায্যে সমকৌণিক অবস্থান নিরূপণ সম্ভব (চিত্র ঃ ৫.৫.৩)। কোন বস্তু
শিকল রেখা হতে ১৫ মিটারের মধ্যে অবস্থান করলে তাকে স্বল্প দূরত্ব অফসেট এবং ১৫ মিটারের অধিক হলে তাকে
দূরবর্তী অফসেট বলে। স্বল্প দূরত্ব অফসেট ফিতার সাহায্যে এবং দূরবর্তী অফসেট ক্রস স্টাফ বা অপটিক্যাল স্কয়ারের
মাধ্যমে পরিমাপ করা বাঞ্চনীয়। মনে করি কয়েকটি স্বল্প দূরত্ব বিন্দু যার অফসেট পরিমাপ প্রয়োজন (চিত্রঃ ৫.৫.৩)।
একজন জরিপকারক ফিতা “০” (শূন্য) ‘ক’ বিন্দুতে এবং আর একজন ফিতাকে শিকলের উপর দিয়ে ডানে ও বামে ধীরে
ধীরে সরাতে থাকবেন। কোন এক পর্যায়ে ন্যূনতম দূরত্বই হবে ‘ক’ বিন্দুতে অবস্থিত বস্তুর অফসেট (চিত্র ঃ ৫.৫.৩)।
অফসেট পরিমাপ
অফসেট পরিমাপের সময় নি¤œলিখিত বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
১. যদি কোন বস্তু গোলাকার হয় তাহলে বস্তুর কেন্দ্র হতে অফসেট পরিমাপ করতে হবে। অর্থাৎ বাহির দিক হতে পরিমাপ
করে তার সঙ্গে ব্যাসার্ধ যোগ করলেই কেন্দ্র হতে অফসেট দূরত্ব পাওয়া যাবে।
২. যদি কোন বস্তুর আকৃতি ষড়ভুজ বা অষ্টভুজ হয় তাহলে শিকলের দিকে অবস্থিত বাহু হতে অফসেট পরিমাপ করতে হবে।
৩. যদি কোন ভ‚মির সীমানা বা সীমানা দেওয়াল, রাস্তা, রেল লাইন ইত্যাদি সোজা হয় তাহলে সোজা বস্তুর উভয় প্রান্তে
অফসেট পরিমাপ করলেই হবে তবে যদি এগুলো খুব দীর্ঘ হয় তাহলে নিখুত ও সঠিক জরিপের জন্য অতিরিক্ত আরো
২/১টি অফসেট নেওয়া প্রয়োজন (চিত্রঃ ৫.৫.৪)।
চিত্র ঃ ৫.৫.৪. অতিরিক্ত অফসেট
১. কোন সীমারেখা যদি দিক পরিবর্তন করে তাহলে প্রতি দিক পরিবর্তনের বিন্দুতে অফসেট পরিমাপ করতে হবে (চিত্র ঃ
৫.৫.৫)।
চিত্র ঃ ৫.৫.৫ দিক পরিবর্তনে অফসেট গ্রহণ
২. যদি কোন সীমারেখা খুবই অনিয়মিত (ওৎৎবমঁষধৎ) হয় তাহলে ঘন ঘন অফসেট নিতে হবে যেন সীমারেখার গতি ও
অবস্থানের কোন পরিবর্তন না ঘটে (চিত্র ঃ ৫.৫.৬)।

৩. যদি কোন সীমারেখা সুষমভাবে (জবমঁষধৎ) বক্র হয় যেমন- রেল লাইন, তাহলে সমান দূরত্ব অন্তর অন্তর অফসেট
নিতে হবে (চিত্রঃ ৫.৫.৭)।

চিত্র ঃ ৫.৫.৭ঃ সমদূরত্বে অপসেট
অথবা যদি ফুটপাত বা রাস্তা হয় তাহলে শুরুতে, মাঝখানে এবং শেষ প্রান্তে অফসেট পরিমাপ করলেই হবে।
৪. যদি কোন রাস্তা, হেজ গাছের বেড়া ইত্যাদি শিকল রেখা অতিক্রম করে তাহলে ছেদ বিন্দুর উভয় দিকে অফসেট
পরিমাপ করতে হবে (চিত্র ঃ ৫.৫.৮)।

চিত্র ঃ ৫.৫,৮ঃ ছেদ বিন্দুতে অফসেট
৮. যদি কোন দূর্গ, সীমানা দেওয়াল, মাঠ প্রান্তের বেড়া বা অন্য কোন বস্তু শিকল রেখার একদিকে বা উভয় দিকে অবস্থান
করে তাহলে শিকল রেখা হতে স্বাভাবিকভাবে প্রতিটি বিন্দুর অফসেট গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই সব বস্তুর সঠিক
অবস্থান যাচাই করার জন্য পরীক্ষণ বা টাই রেখা গ্রহণ বাঞ্চনীয় (চিত্র ঃ ৫.৫.৯)। লক্ষ্য করুন যে, বিশাল মাঠ প্রান্তর
ও কোন ভবনের সীমানা দেওয়াল অবস্থান করছে। স্বাভাবিকভাবে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘ঘ’ বিন্দুতে অফসেট নেওয়া হয়েছে
কিন্তু এদের অবস্থান আরও সঠিকভাবে নিশ্চিত হবার জন্য অতিরিক্ত পরীক্ষণ বা টাই রেখা যথাক্রমে কঙ, খছ, ঘঠ গ্রহণ করা হয়েছে।২
চিত্র ঃ ৫.৫.৯ঃ টাই রেখা বা পরীক্ষণ রেখা
অফসেট গ্রহণের সঠিকতা নিরূপনের মাত্রা (উবমৎবব ড়ভ অপপঁৎধপু ড়ভ ঞধশরহম ঙভভংবঃং) ঃ
সঠিক অফসেট পরিমাপের সীমাবদ্ধতা সাধারণতঃ (১) নকশা অংকনের স্কেল, (২) অফসেট দূরত্ব এবং (৩) যার অফসেট
পরিমাপ করা হচ্ছে তার গুরুত্বের উপর নির্ভর করছে। জরিপকার্য শুরু করার পূর্বে অফসেট দূরত্ব ন্যূনতম কতটুকু হবে তা
নির্ধারণ করা প্রয়োজন যা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে গৃহীত বা নির্ধারিত স্কেলের উপর। ধরুন যদি নকশার স্কেল ১ সেঃ মিঃ
= ৬ মিটার হয় তাহলে১ সেঃ মিঃ = ৬ মিটার = ৬০০ সেঃ মিঃ
১ সেঃ মিঃ কাগজে = ৬০০ সেঃ মিঃ ভ‚মিতে
১০ মিঃ মিঃ কাগজে = ৬০০ সেঃ মিঃ ভ‚মিতে
১ “ “ “ = ১০
৬০০ সেঃ মিঃ
০.২৫ “ “ “ = ১০
৬০০দ্ধ০.২৫ সেঃ মিঃ = ১৫ সেঃ মিঃ
(* ০.২৫ মিঃ মিঃ হল ন্যূনতম দূরত্ব যা কম্পাসে পরিমাপ করা সম্ভব)।
অর্থাৎ কোন অফসেট যেন ১৫ সেঃ মিঃ (বর্তমান স্কেল অনুযায়ী) এর কম না হয়। অতএব এই নিয়মের মাধ্যমে আমরা
অফসেটের ন্যূনতম দূরত্ব পরিমাপের বিষয়ে জানতে পারলাম।
আপনারা শিকল ও ফিতা জরিপ সম্পর্কে (ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, জরিপ ষ্টেশন ও শিকল রেখা স্থাপন, অফসেট নির্ধারণ ও
পরিমাপ, ফিল্ড বইয়ে তথ্যাদি লিপিবদ্ধকরণ ইত্যাদি) বিশদ জ্ঞান লাভ করেছেন। আমরা আশা করব আপনারা এখন
এককভাবে যে কোন এলাকার শিকল ও ফিতা জরিপ পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।
শিকল ও ফিতা জরিপ-৪: পরিচালনা পদ্ধতি
◆ শিকল ও ফিতা জরিপ পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
প্রকল্পিত এলাকায় শিকল জরিপ পরিচালনা
এবার আপনার একটি প্রকল্পিত এলাকায় (চিত্র ঃ ৫.৬.১) শিকল ও ফিতা জরিপ অর্জিত জ্ঞানের আলোকে পরিচালনা
করুন। প্রথমে আলোচ্য এলাকাটি পায়ে হেঁটে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ জরিপ এর মাধ্যমে খসড়া নক্সা তৈরী করুন।
এলাকাটিকে ২টি ত্রিভ‚জ যথা- কখগ ও কগঘ দ্বারা বিভক্ত করুন। ত্রিভ‚জের শীর্ষ বিন্দুগুলি যথাক্রমে ক, খ, গ ও ঘ কে
জরিপ ষ্টেশন হিসেবে খুটি দিয়ে চিহ্নিত করে শিকল রেখা যথা- কখ, খগ, গঘ ও ঘক এবং টাই রেখা চছ ও জঝ স্থাপন
করুন। কগ এখানে ভ‚মি রেখা। প্রাথমিক কাজ শেষ করার পর এখন পর্যায়ক্রমে ‘ক’ ষ্টেশন হতে শুরু করে ‘কখ’ শিকল
রেখার উপর পর্যায়ক্রমে শিকল দূরত্ব এবং শিকলের বামে ও ডানে প্রতিটি বস্তুর অফসেট পরিমাপ করে ফিল্ড বইয়ে
লিপিবদ্ধ করুন (লিপিবদ্ধ পদ্ধতি পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে)। এই প্রক্রিয়ায় সব শিকল রেখার বামে ও ডানে অবস্থিত
অফসেটগুলি পরিমাপ করার কাজ শেষ করুন। পরবর্তীতে টাই রেখার জন্য জরিপ ষ্টেশন হতে শিকল দূরত্ব ও টাই রেখার
দৈর্ঘ্য পরিমাপ নোট করুন। এই ভাবে মাঠের কাজ শেষ করে ঘরে বসে একটি পছন্দনীয় স্কেল নির্বাচন করে ফিল্ড বইয়ে
লিপিবদ্ধ করা তথ্যাদি পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত স্কেল সাপেক্ষে কাগজে নকশাটি অঙ্গন করুন। এই অঙ্কিত নকশাটি হবে
সারাদিন ধরে পরিচালিত জরিপ কার্যের ফল। এই অঙ্কিত নকশায় উত্তর রেখা সংযোজন করতে হবে।

চিত্র ঃ ৫.৬.১ঃ কল্পিত এলাকায় শিকল জরিপ
অংকন পদ্ধতি ঃ
মাঠে কাজ শেষে সংগৃহীত তথ্যের সাহায্যে একটি পছন্দনীয় স্কেলের মাধ্যমে সমতল কাগজের উপর নকশা অংকন করা
প্রয়োজন। নকশা অংকনের পূর্বে একটি সুবিধাজনক স্কেল নির্বাচন করতে হবে যেন সম্পূর্ণ জরিপকৃত এলাকাটি নির্ধারিত
কাগজে আসে। স্কেল নির্বাচনের পর বিম কম্পাস বা অন্য কোন কম্পাসের সাহায্যে নির্বাচিত স্কেল অনুযায়ী শিকল দ্বারা
আবদ্ধ ত্রিভূজ যথা- “কখগ” এবং “কগঘ” ও টাই বা পরীক্ষণ রেখা অংকন করতে হবে। তাহলে জরিপকার্যের সম্পূর্ণ
অবকাঠামো পাওয়া যাবে। এরপর শিকল রেখা ‘কখ’, ‘খগ’, ‘গঘ’ এবং ‘ঘক’ এর বামে ও ডানে অবস্থিত প্রতিটি বস্তুর
অফসেট স্কেল অনুযায়ী হিসেব করতে হবে। ফিল্ড বুক অনুসারে দেখা যাচ্ছে যে, (চিত্রঃ ৫.৩.২৪ক) ‘কখ’ শিকল রেখার
বামে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং ডানে একটি গাছ ও একটি কুঁড়ে ঘর রয়েছে যার পরিমাপ ‘ক’ জরিপ ষ্টেশন হতে
যথাক্রমে বৈদ্যুতিক খুঁটির জন্য শিকল দূরত্ব ৮০ লিংক এবং অফসেট ৩০′, গাছের জন্য শিকল দূরত্ব ১৫০ লিংক ও গাছের
অফসেট ৭০′ এবং কুঁড়ে ঘর ১ এর জন্য শিকল দূরত্ব ২২০ লিংক ও অফসেট ১০১′ এবং কুঁড়ে ঘর ২ এর জন্য শিকল
দূরত্ব ২৫০ লিংক ও অফসেট ১০০′ (চিত্র ঃ ৫.৬.২ক)। লক্ষণীয় যে, সীমারেখার সব অফসেট শিকল রেখার বাম পার্শ্বে
অবস্থিত। একই ভাবে সীমারেখার শিকল দূরত্ব ও অফসেট ফিল্ড বইয়ে লিপিবদ্ধ করা আছে। একই নিয়ম অনুসরণ করে
অন্যান্য শিকল রেখা যথা- ‘খগ’, ‘গঘ’ এবং ‘ঘক’ এর বামে ও ডানে অবস্থিত বস্তুসমূহের শিকল দূরত্ব ও অফসেট ফিল্ড
বইয়ে নোট করা আছে। সারণী-১ এ শিকল রেখা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বাহুর দৈর্ঘ্য ও স্কেল অনুযায়ী পরিমাপ প্রকাশ
করা হল। এখানে স্কেল ১″=১০০′ নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিত্র ঃ ৫.৬.২ ঃ অংকন পদ্ধতি
(নোট ঃ চিত্র ৫.৬.১-এ উল্লেখিত খসড়া নকশার জন্য কল্পিত শিকল দূরত্ব ও অফসেট সম্বলিত তথ্যসহ ফিল্ড বুক। শুধু
বুঝানোর জন্য একটি নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করা হল।)
এখন অংকনের কাজ শুরু করা যেতে পারে। শীটের বাম পার্শ্বে ‘ক’ একটি বিন্দু নিন এবং ‘কখ’ রেখা টানুন ও এই রেখা
হতে স্কেল অনুযায়ী ‘কখ’ শিকল রেখায় ৩০০ লিংক বা ফুটের জন্য ৩.০০″ কেটে নিন তাহলে ‘কখ’ হবে ত্রিভূজের একটি
বাহু ও শিকল রেখা। এবার ‘খ’ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ৩৭৫ লিংক বা ফুটের জন্য ৩.৭৫″ ব্যাসার্ধ নিয়ে ‘খগ’ একটি বৃত্তচাপ
অংকন করুন। আবার ‘ক’ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ‘কগ’ ভ‚মি রেখায় ৪০০ লিংক বা ফুটের জন্য ৪.০০″ ব্যাসার্ধ নিয়ে ‘কগ’
বৃত্তচাপ অংকন করুন। উভয় বৃত্তচাপ ‘গ’ বিন্দুকে ছেদ করবে। ‘খগ’ ও ‘কগ’ যুক্ত করুন। তাহলে ‘কখগ’ ত্রিভূজ
পেলেন। অনুরূপভাবে ‘ক’ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ‘কঘ’ এর জন্য ৩.৫০″ ব্যাসার্ধ নিয়ে ‘কঘ’ বৃত্তচাপ অংকন করুন। আবার
‘গ’ বিন্দুকে কেন্দ্র করে ১.৫০″ ব্যাসার্ধ নিয়ে ‘গঘ’ বৃত্তচাপ আঁকুন। তাহলে ‘কগঘ’ ত্রিভূজ অংকনের মাধ্যমে শিকল রেখা,
টাই রেখা, জরিপ ষ্টেশন পাওয়া গেল। এখন পর্যায়ক্রমে ‘কখ’ শিকল রেখার বামে ও ডানে অবস্থিত বস্তুসমূহের জন্য
শিকল ও অফসেট দূরত্ব স্কেল অনুযায়ী হিসেব করুন (সারণী- ২)। একই নিয়ম অনুসরণ করে অন্যান্য শিকল রেখার হিসেব শেষ করুন।
নিন। এটি বাম দিকে সীমারেখার প্রথম বিন্দু। শিকল রেখার ‘ক’ জরিপ ষ্টেশন হতে ৭০ লিংকের জন্য শিকল রেখার উপর
০.৭০″ চিহ্নিত করুন। এই বিন্দুতে শিকল রেখার উপর বাম দিকে একটি পূর্বের ন্যায় লম্ব অংকন করুন এবং এই লম্ব
হতে ২৭′ এর জন্য ০.২৭″ কেঁটে নিন। এটি হবে সীমারেখার দ্বিতীয় বিন্দু। এই নিয়ম অনুসরণ করে ‘ক’ শিকল রেখার
সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিন্দুর অবস্থান শিকল রেখার দূরত্ব ও অফসেট পরিমাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করুন। প্রবহমান বিন্দুগুলি
(যেমন- সীমারেখা, দালান, ভবন, রাস্তা, নদী, পুকুর ইত্যাদি) সংযুক্ত করুন। এই নিয়ম অনুসরণ করে অন্যান্য শিকল
রেখা (খগ, গঘ ও ঘক) সংশ্লিষ্ট বিন্দুগুলির অবস্থান চিহ্নিত করুন। এই ভাবে অংকন কাজ শেষ হলে জরিপকৃত এলাকার
একটি পরিস্ফুট চিত্র বা নকশা পাওয়া যাবে। এখন এই নকশায় উত্তর দিক (ঘড়ৎঃয খরহব) সংযোগ করতে হবে।
উত্তর রেখা নির্ধারণ
যে নকশাটি আপনারা স্কেলের সাহায্যে তৈরী করলেন তাতে “উত্তর রেখা” সংযোজন করতে হবে। নি¤েœর নিয়ম অনুসরণ
করে আলোচ্য নকশাটিতে উত্তর রেখা সংযোজন করতে পারেন। এমন একটি শিকল রেখা বেছে নিন যেটি উত্তর রেখার
সাথে এক নয় এবং ২৩ক্ক এর বেশী কোণ উৎপন্ন করে। এখানে ‘কখ’ শিকল রেখার উপর ‘ক’ জরিপ ষ্টেশন হতে ধরুন
২৫ লিংক দূরে ‘ঘ’ বিন্দুতে চুম্বক কম্পাসটি হাতের তালুতে বা কোন সমতল বস্তুর উপর এমন ভাবে রাখুন যেন চুম্বক
শলাকা মুক্তভাবে ঘুরতে পারে (চিত্র ঃ ৫.৬.৩ ক)। যখন চুম্বক শলাকাটি ০ক্ক রেখা বরাবর স্থির হবে তখন আপনার দলের
একজনকে চুম্বক উত্তর বরাবর একটি পোল ‘ঙ’ বিন্দুতে স্থাপন করতে বলুন। তাহলে ‘ঘঙ’ রেখাটি উত্তর দিক নির্দেশ
করবে। ‘ঘঙ’ রেখার দৈর্ঘ্য (১৪′) পরিমাপ করুন। আবার ‘ঙ’ বিন্দু হতে অফসেট (১০′) পরিমাপ করুন ও শিকল দূরত্ব
(২০ লিংক) নোট করুন। অথবা কম্পাসটিকে শিকল রেখার কাছাকাছি সমতল ভ‚মিতে উত্তর দিক বরাবর স্থাপন করুন।
এখন ক¤ াসের গাঁ ঘেঁষে একটি পোল রাখুন এবং পোলের দুই প্রান্ত হতে অফসেট পরিমাপ করুন (চিত্র ঃ ৫.৩৬.৩ খ)।
নকশা অংকনের সময় নির্ধারিত স্কেল প্রয়োগ করে উত্তর দিক স্থাপন করুন।


শিকল জরিপের ত্রæটিসমূহ
সাধারণতঃ যে কোন জরিপের ত্রæটি তিনটি কারণের অন্তর্ভূক্ত। যথা১। প্রাকৃতিক কারণ;
২। যান্ত্রিক কারণ;
৩। ব্যক্তিগত কারণ।
প্রাকৃতিক কারণ ঃ
আবহাওয়াজনিত কারণই প্রাকৃতিক কারণের মূল উৎস। উত্তাপের ব্যতিক্রম হলে শিকল বেড়ে যায় এবং সঠিক পরিমাপ
পাওয়া সম্ভব হয় না। এছাড়াও উচু নীচু স্থান দিয়ে শিকল চালনা করলে সঠিক পাঠ পাওয়া যাবে না।
যান্ত্রিক কারণ ঃ
শিকল ও ফিতা জরিপে যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোতে গঠনগত ত্রæটি থাকলে জরিপ ঠিক হবে না।
অনবরত ব্যবহারে লিংকগুলো বাঁকা হয়ে যায় এমনকি মাঝে মধ্যে আংটি বা বালাগুলি ঠিক অবস্থানে থাকে না। সুতরাং
শিকল ব্যবহারের পূর্বে দৈর্ঘ্য যাচাই করে নিতে হবে।
ব্যক্তিগত কারণ ঃ
অনেক সময় কাজের মধ্যে অন্যমনস্ক হলে যে কোন ধরনের পাঠ নিতে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। দীর্ঘ শিকল রেখা পরিমাপের
সময় এ্যারো বা পিন ব্যবহার না করলে ভুল হতে পারে।
এছাড়া নানান কারণে ত্রæটি হতে পারে১. দীর্ঘ শিকল মাঠে পাতার সময় রেনজিং লাইন ঠিক না হলে;
২. পোল বা এ্যারো বাঁকা করে পুঁতলে;
৩. লিংক বেঁকে গেলে বা বালাগুলো জড়িয়ে গেলে এবং
৪. ট্যাগের মান পড়তে ভুল হলে ইত্যাদি।
বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম
অনেক সময় শিকল নিয়ে জরিপ করতে করতে শিকলের সামনে পুকুর, ঢিবি, নদীনালা ইত্যাদি এসে পড়লে বিকল্প
পদ্ধতিতে জরিপকার্য পরিচালনা করা হয়। কতিপয় পদ্ধতি এখানে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচিত হল।
যখন উভয় বিন্দুতে গমন করা যায় ঃ
প্রথম পদ্ধতি ঃ
সমকৌণিকরণ
শিকল রেখা “ক′ক” এর “ক” বিন্দুতে ৯০ক্ক কোণ অংকন করে “কগ” রেখা টানা হল যেন পুকুরের সীমানা ছাড়িয়ে যায়
(চিত্র ঃ ৫.৬.৪. ক)। অনুরূপভাবে “গ” বিন্দুতে ৯০ক্ক কোণ অংকন করে “গঘ” রেখা টানা হল। আবার “ঘ” বিন্দুতে
৯০ক্ক কোণ এঁকে “ঘখ” রেখা টানা হল যা “খ” বিন্দুতে ৯০ক্ক কোণে স্পর্শ করে যেন ঘখ = কগ হয়। এখন “ক′ক”
শিকল রেখা “খখ′” শিকল রেখা বরাবর হবে। খখ′ শিকল রেখাকে প্রসারিত করে জরিপকার্য পরিচালনা করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি ঃ
এই পদ্ধতিতে পুকুরের সীমানা পেরিয়ে ‘গ’ একটি বিন্দু নিন (চিত্র ঃ ৫.৬.৪.খ)। “কগ” যুক্ত করুন এবং “খ′” পর্যন্ত
বর্ধিত করুন যেন কগ = গখ′ হয়। অনুরূপভাবে, ‘খগ’ যোগ করে ক′ পর্যন্ত বর্ধিত করুন যেন খগ = গক′ হয়। এখন
ক′খ′ = কখ হবে। অতএব, শিকল রেখাকে বরাবর করে জরিপ কার্য পরিচালনা করা সম্ভব।
শিকল রেখার ‘ক’ বিন্দুতে “কগ” লম্ব অংকন করুন এবং পুকুরের অপর পাড়ে ‘খ’ একটি বিন্দু নির্বাচন করুন যেন ‘গ’
বিন্দু দৃষ্টিগোচর (চিত্র ঃ ৫.৬.৪ গ) হয়। “কগ” এবং “খগ” পরিমাপ করুন। এখন, কখ = ( ) ( )২ কগ ২
খগ − ।
অতএব, ‘খ’ বিন্দু হতে পূর্বের শিকল বরাবর করে জরিপের কাজ করা যেতে পারে।
চিত্র ঃ ৫.৬.৪ ঃ বাঁধা অতিক্রম
যখন একটি বিন্দুতে গমন করা যায় ঃ
নদী, খাল ও বড় বড় বিলের ক্ষেত্রে শিকল নিয়ে পার হওয়া সম্ভব নয় তখন শিকল জরিপ কার্য পরিচালনার জন্য
নি¤œলিখিত পদ্ধতিগুলির যে কোন একটি পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে।
প্রথম পদ্ধতি ঃ
নদীর অপর পাড়ে ‘খ’ বিন্দু নিন যেন “কখ” একই শিকল রেখায় অবস্থান করে (চিত্র ঃ ৫.৬.৫)। এখন ‘ক’ বিন্দুতে
একটি সমকৌণিক রেখা “কগ” অংকন করুন এবং ‘ঙ’ পর্যন্ত বর্ধিত করুন যেন কগ = গঙ হয়। আবার “কঙ” রেখার ‘ঙ’
বিন্দুতে “ঘঙ” রেখা সমকোণে অংকন করুন। ‘খগ’ রেখাকে বর্ধিত করুন যেন ‘ঙঘ’ রেখার ‘ঘ’ বিন্দুতে মিলিত হয়।
এখন ঘঙ = কখ হবে কেননা “কখগ” এবং “গঘঙ” অভিন্ন ত্রিভূজ। অতঃপর নদীর অপর পাড়ে এই শিকল রেখাকে
বর্ধিত করে জরিপকার্য শেষ করা যেতে পারে।

চিত্রঃ ৫.৬.৫ঃ বাঁধা অতিক্রম (১ম নিয়ম)
দ্বিতীয় পদ্ধতি ঃ
নদীর অপর পাড়ে ‘খ’ বিন্দু নিন যেন “কখ” একই শিকল রেখায় অবস্থান করে (চিত্র ঃ ৫.৬.৬)। এই শিকল রেখার উপর
‘ক’ ও ‘গ’ দুটি বিন্দু নিন এবং শিকল রেখার একই দিকে “কঙ” ও “গঘ” রেখা সমকোণে অংকন করুন। এখন ‘ঘ’ ও
‘খ’ বিন্দু যোগ করুন যেন “কঙ” রেখার ‘ঙ’ বিন্দুতে ছেদ করে।

চিত্র ঃ ৫.৬.৬ঃ বাঁধা অতিক্রম (২য় নিয়ম)
তাহলে ‘ঘ’, ‘ঙ’ ও ‘খ’ একই সরল রেখায় অবস্থিত হবে।
এখন সদৃশ ত্রিভূজ খকঙ এবং খগঘ এর মধ্যে <
তৃতীয় পদ্ধতি ঃ
নদীর অপর পাড়ে ‘খ‘ বিন্দু এমনভাবে নিন যেন “খক” একই শিকল রেখায় অবস্থান করে। এখন ‘ক’ বিন্দুতে একটি
সমকৌণিক রেখা “কঘ” অংকন করুন ও “খঘ” যুক্ত করুন (চিত্র ঃ ৫.৬.৭)। “খঘ” রেখার উপর ‘ঘ’ বিন্দুতে একটি
সমকৌণিক রেখা অঙ্কন করুন। এই রেখা “খক” এর বর্ধিত রেখায় ‘গ’ বিন্দুতে ছেদ করবে।

FOR MORE CLICK HERE
বাংলা রচনা সমূহ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
English Essay All
English Grammar All
English Literature All
সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী
সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
বি সি এস প্রস্তুতি: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
বি সি এস প্রস্তুতি: নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন
বি সি এস প্রস্তুতি: সাধারণবিজ্ঞান
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়
ভাবসম্প্রসারণ

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]